Wednesday, September 15, 2004
BETWEEN THE LINES
Blame game is on
BY KULDIP NAYAR
আমি বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার উপর হত্যা প্রচেষ্টা নিয়ে আগেই কিছু না লিখে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলাম। আমি ঢাকা থেকে কয়েকদিন আগে ফিরেছি এবং দুইজনের সাথেই দেখা করেছি। হত্যাকারীরা ঠিক কারা ছিল তা আমি নিশ্চিত বলতে পারি না। কিন্তু আমি উভয়েরই বক্তব্য তুলে ধরতে পারি।
যাইহোক, এজন্য এখন কাদা ছোড়ছুড়ি হচ্ছে এবং অনেকের নাম আসছে।
ভারত, পাকিস্তান এবং ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি), এমনকি আওয়ামী লীগ, এবং অবশ্যই আল-কায়েদা। এটা শুধু আমাকে দ্বিধান্বিত আরও কিংকর্তব্যবিমূঢ় করেছে।
আমাকে প্রথম ঘটনাটি পুনরায় বলতে হয়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ২১শে আগষ্ট তাদের পার্টি অফিস থেকে একটি সমাবেশ আয়োজন করে যা ঢাকার প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত। যখন প্রায় বিকাল ৫টা সমাবেশ শেষ হওয়ার পথে তখনই অস্থায়ী মঞ্চ হিসেবে দাড়িয়ে থাকা ট্রাকের নিকট চারদিক হতে আটি গ্রেনেড উড়ে এসে পরে। তার নিরাপত্তা রক্ষী সহ সমর্থকগণ একটা মানব ঢাল নিজেরাই তৈরি করে রক্ষা বর্ম দেয়। তিনি যে তার বুলেটপ্রুফ গাড়িতে উঠতে বাধ্য হন তাতেও গুলি করা হয়। যদিও তিনি অলৌকিক ভাবে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন কিন্তু তার ১৮জন কর্মী নিহত হয়। তার মধ্যে দুই জন ছিল তার ঘনিষ্ঠ সহকর্মী।
এটি ছিল একটি পেশাদারী কাজ। যারা গ্রেনেড ছুড়েছে তারা জানত কিভাবে এটা করতে হয় কারণ এটা(গ্রেনেডে) নিক্ষেপের আগে জড়ানো পিন তিন থেকে চার সেকেন্ডের মধ্যে খুলতে হয়। যারা বুলেটপ্রুফ গুলি ছুড়েছে এরাও ছিল সিদ্ধ হস্ত এবং এতে কোন সন্দেহ নেই যে তারা সবাই ৩০ হতে ৩৫ জন হবে, যাদের একটাই লক্ষ্য ছিল সেখানে "হাসিনা"।
আমি যতক্ষণ ঢাকায় ছিলাম কেউ গ্রেফতার হয়নি, কোন পুলিশকে বরখাস্ত করা হয়নি এবং উপরের কেউ কোন আলামতও খুজে পায়নি। সরকার একটি বিচারবিভাগীয় কমিশনের নিযুক্ত করেছে কিন্তু এটা অল্প প্রমাণই সংগ্রহ করতে পেরেছে। দুটি অবিস্ফোরিত গ্রেনেড পাওয়া যায় যা তদন্তকে এগিয়ে নিতে পারত সেটা তাড়াতাড়ি নিস্ক্রিয় করা হয়। পুলিশ বিশৃঙ্খল ভিড়ে যে কাদুনে গ্যাস ছুড়ে তার সুযোগে ভিড়ের সাথে মিশে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ প্রথমে ট্রাক মালিককে ট্রাকটি ফিরিয়ে দিলেও মানুষের দাবীতে এটা পুনরায় তাদের কাছে নিয়ে নেয়।
হাসিনা, যার সাথে আমি প্রথম দেখা করি, তিনি বলেন কোন সন্দেহ নেই যে এটা ছিল সেনাবাহিনীর কাজ যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জড়িত। এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্র যা ক্ষমতাসীন বিএনপির সর্বোচ্চ মহল জড়িত বলে সন্দেহ করেন। তিনি বলেন পাকিস্তানেরও এতে ভূমিকা আছে।
তিনি বলেছেন এটা ছিল ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তির উপর আক্রমণ। আমি বলব যে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫ আমার পিতাকে যারা হত্যা করেছিল তারা সেদিন আমাদের দুই বোনকে হত্যা করতে না পেরে তাদের অসমাপ্ত এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া অথবা গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের উপর কোন আস্থা নেই এবং তারা তা বর্জনও করেছেন।
হাসিনার সাথে আমি যখন দেখা করি তখন সে বিচলিত ছিল। কিন্তু তিনি বলেন কোন সন্দেহ নেই যে আরও প্রচেষ্টা করা হবে আমাকে হত্যা করার জন্য। তার এক সহযোগী খালেদা পুত্র তারেক রহমানের নামও বলে। সেই লোক আরো বলেন বিএনপি ও জামাত চেয়েছিল আমাদের নেত্রীকে সরিয়ে দিতে।
হাসিনা ইতিমধ্যেই FBI এবং Interpolকে তদন্ত কাজে অন্তর্ভূক্তর মাধ্যমে দোষী কারা তা খুজে বের করার বিরুদ্ধে ছিলেন না। তিনি বলেন "কিন্তু কোথা থেকে তারা প্রমাণ পাবে? কারণ সরকার যেখানে সব আলামত ধ্বংস করেছে"। FBI এবং interpol বাংলাদেশ টেলিভিশনের ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করছে যা ঘটনার শুরুর সময় তার ক্যামেরা নিকটের একটি ভবনের তৃতীয় তলায় ছিল। ভিডিওতে অনেক চেহারাই ফুটে উঠেছে যাদের অনেককেই অপরাধী বলে গণ্য করা হয়। হাসিনা বলেন "আমি কিছুই বুঝতে পারিনি কারণ গাড়ীতে উঠার সময় আমার চশা ভাঙা ছিল"। আমি হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করলাম ঘটনা এখান থেকে কোথায় যাবে, তিনি বলেন "যদি তা জানতাম"। কিন্তু তারা আমাকে যতক্ষণ না হত্যা করতে পারছে তারা ততক্ষণ ক্ষান্ত হবে না।
এরপর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎকার ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি সকল অভিযোগ প্রত্যাখান করেন। তিনি বলেন কিছু দু্ঃখজনক ঘটনা ঘটেছে এবং আমাদের অবশ্যই খুজে বার করতে হবে কারা এতে জড়িত আছে। তিনি বলেন অপরাধের মূল হতে ধরার জন্য তিনি বিরোধী দলীয় নেত্রীর সহযোগীতা চান। তিনি সংসদে এই হত্যা প্রচেষ্টা নিয়ে বিতর্কের অনুমোদন দিয়েছেন।
খালেদা জিয়া বলেন "আমি উনাকে লিখিত ভাবে দেখা করার অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি অস্বীকৃতি জানান"। (হাসিনা বলেন আমি খালেদাকে আমার এখানে আসতে বলিনি কারণ নিহতদের পরিবার আত্নীয় এখানে আছে তাতে যদি কিছু হয়ে যায়)
আমি খালেদা জিয়াকে বলি যে হাসিনার অভিযোগ যে আপনি আক্রমনের পিছনে ছিলেন। তিনি জবাবে বলেন "তাকে মেরে কি লাভ আমার? যেখানে আমি ভাল করছি এবং পুরো দেশ আমার নিয়ন্ত্রণে"। দেশ শান্ত। আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪ কোটি লোককে পূর্নবাসন করে দারুণ কাজ করেছি। কেন আমি কিছু করব যা সব বিনষ্ট করে দেয়?
আমি(কুলদীপ) বিশ্বাস করি যে আপনি খালেদা এর জন্য ভারতকে দায়ী করবেন। খালেদা বলেন "সেটা সত্য নয়। তবে কিছু লোক এটা বলছে।" আমি যখন খালেদাকে জিজ্ঞাসা করলাম যে কাকে সন্দেহ করেন তা সত্ত্বেও তিনি ভারত জড়িত নয় এ কথা বলেননি। "তদন্ত এখনও চলছে" সেটাই তিনি(খালেদা) বলতে চাইলেন। কিছু বিরতির পর তিনি বললেন এটা বহিরাগতদের কাজ। আমি যখন জিজ্ঞাসা করলাম তারা কারা, জবাবে তিনি বললেন আওয়ামীলীগের সদস্য যারা কোলকাতায় আছেন। তারা ফিরত আসলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আপনি কি তাদের সন্দেহ করেন? জবাবে তিনি বলেন আমাদের সব কিছু জানতে হবে। খালেদা তার দেশের ঐক্যের ব্যাপারে ফিরে গেলেন। আমি আমাদের কিছু সম্পাদক, অবসরপ্রাপ্ত আমলা এবং অন্যদের সাথে কথা বলেছি আমাদের এক হওয়ার জন্য। আমি আশা করি তারা এই কাজে আমাকে সাহায্য করতে পারবেন কারণ দেশে আমাদের সবার উপরে।
আমি উনাকে বললাম যে আমি ভয় পাই যে সেনাবাহিনী আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। তিনি বললেন "আমরা গণতন্ত্রে আছি"। এখানে সেনাবাহিনীর নাক গলানোর কোন কাজ নেই। অনেক দুঃখজনক ঘটনাই সারা পৃথিবীতে ঘটেছে। আমেরিকাতে ৯/১১ ঘটার পর সেখানে কি সেনাবাহিনী ক্ষমতায় এসেছিল? এমন কি আপনার দেশে(ভারত) সংসদে হামলাতেও? সরকারই এটা সামাল দেয়। তবে কেন বাংলাদেশে কেন এটা ভিন্ন হবে?
প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর প্রতি খালেদার পূর্ণ প্রশংসা ছিল। যে তিনি দক্ষ সাবেক প্রশাসক ছিলেন যা একটি ভাল সরকারের জন্য দরকার। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রতিও সন্তষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন যে তিনি ভারতের সাথে ভাল সম্পর্ক চান কিন্তু তিনি অভিযোগ করেন ২১শে আগষ্ট হাসিনার উপর হামলা নিয়ে ভারতীয় কিছু মিডিয়ায় ভুল তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
খালেদার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোর্শেদ খান বলেন "ভারত বাংলাদেশের স্রেফ এক দলকে সমর্থন করতে পারে না" তা আমার মনে প্রশ্ন জাগে। যদিও তিনি প্রকাশ করেননি তবুও স্পষ্টতই এটা আলীগকেই বুঝায়। আইন মন্ত্রী মওদুদ আহমেদও মোর্শেদ খানের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন "যেখানে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী কলিন পাওয়েল ২১শে আগষ্ট ঘটনার পর খালেদা ও হাসিনাকে ফোন করেন সেখানে মনমোহন স্রেফ হাসিনাকেই ফোন করেছেন খালেদাকে নয়, এ হতে আমরা কি ধরে নিব?"
যখন আমি খালেদা জিয়াকে বললাম যে কিভাবে ভারত এবং পাকিস্তান মানুষের মধ্যে যোগাযোগের জন্য দু 'দেশের মধ্যে সম্পর্কের আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছিল এবং ১৪-১৫ আগষ্ট রাতের উপর ওয়াঘা সীমান্তে মোমবাতির আলো জেলেছিল তার উদাহরণ উদ্ধৃত করলে তিনি বলেন, তিনিও অনুরূপ জিনিস চান ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে। আমি সব মানুষ মানুষে যোগাযোগের পক্ষে।
ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ মানুষে যোগাযোগের জন্য আরো পরিণত সময়ের দরকার। কিন্তু বাংলাদেশের ভিতর নাগরিকদের যোগাযোগ রক্ষা তথা ঐক্য সময়ের দাবী তথা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ২১শে আগষ্টের ঘটনা জাতিকে ক্ষুরধার ভাবে বিভক্ত করে রেখেছে।
Click This Link
http://www.mediafire.com/?l9jegsuyf6a496y
# # # #
মূলত ১৯৯৬-২০০১ তথা হাসিনার প্রথম মেয়াদেই তথাকথিত ইসলামী জঙ্গীবাদের উদ্ভব ঘটে বাংলাদেশে। জেএমবি, হারকাতুল জিহাদ হঠাৎই ১৯৯৯ সালে যশোরে উদিচীর অনুষ্ঠানে আর.ডি.এক্স বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এর পর ডজনের উপর ঘটনা ঘটে। সম্ভবত শামীম ওসমানের নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ায় সর্বশেষ বিস্ফোরণে ২২ জন নিহত হয়। এটা নতুন জোট সরকারের ২০০৫ পর্যন্ত চলে। মজার কথা হল এই সকল জঙ্গীবাদীদের বোমা, অস্ত্র, প্রশিক্ষণ সবই ভারতে। বিশেষ করে জেএমবির ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বোমা ও অস্ত্রের ঘাটি বহু বছর ধরে ছিল(সুত্রঃ প্রথম আলো ৫ই জুন ২০০৯ইং)। এই সবের শুরু হতেই হৈ চৈ করা হয় যে বাংলাদেশকে আফগানিস্তান অথবা উগ্র-ইসলামী রাষ্ট্র বানানো হবে। এখানে সংখ্যালঘু, তথাকথিত মূক্তমনা(নাস্তিক) ভিন ধারার মানুষ নাকি নিরাপদ নয়। হাসিনার প্রথম মেয়াদে কবি শামসুর রহমানের বাসায় হামলার প্রচেষ্টায় আটক দাড়ি-টুপি ওয়ালারা নাকি ওসামা বিন লাদেনের আল-কায়েদার সদস্য। তারপর ২০০০ সালে ক্লিন্টন বাংলাদেশের সাভারে স্মৃতি সৌধে যাওয়ার কথা থাকলেও তাকে ভয় দেখানো হয় ষ্ট্রীংগার ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে তার হেলিকাপ্টার ধ্বংস করে দেওয়া হবে। তাই তিনি সাভারে যাননি। বস্তুত ৩০ বছর মেয়াদী ফারাক্কা চুক্তি ৯৬ ও তথাকথিত পার্বত্য শান্তি চুক্তি ৯৭ ভারতের অভিপ্রায়ে স্বাক্ষরিত হলেও বহু কিছুতেই দিল্লীর অভিলাষ বাকী রয়ে যায়। ইতিমধ্যে র্দূনীতি, চরম সন্ত্রাস(দলীয় লোক) ও ভারতপ্রীতির কারণে আলীগ ২০০১এর নির্বাচনে চরম ভাবে হেরে যায়। এমন অবস্থা হয় ২০০৪ এর ২১শে আগষ্ট পূর্ব পর্যন্ত তারা সংগঠিত হতে পারেনি। আর জোট সরকারের ২০০২ মেয়াদেই ময়নমন সিংহে সিনেমা হলে বোমা হামলা শুরু দিয়ে জেএমবি জানান দেয় যে তারা সক্রিয় আছে। এই জেএমবির মূল হল শায়খ আব্দুর রহমান যে যুবলীগ নেতা মির্জা আজমের আপন দুলাভাই। হাসিনা প্রথম ও খালেদার দ্বিতীয় আমলতো বটেই সেই ১৯৯১-৯৬ হতেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ভারত সরকার ও বিশেষ করে তার মিডিয়া খড়গ হস্ত ছিল। ঠিক যেমন ১৯৯৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া অস্ত্র নিক্ষেপের কাহিনী। যাতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জড়ানো হয়। ভারতের সব সময় অভিযোগ তার তথাকথিত ট্রানজিট, সুমুদ্র বন্দর ইত্যাদি প্রাপ্তিতে আমাদের সেনাবাহিনীই নাকি সবচেয়ে বড় বাধা। ১৯৯৬-২০০১ও নাকি সেনাদের জন্যই হাসিনা ভারতকে অনেক কিছু দিতে পারেনি। আর জোট আমলেও ভারত এই ট্রানজিট ও সুমুদ্র বন্দরতো দূর ১৯৭২ এর চুক্তি অনুযায়ী নদী পথের ট্রানজিটও ২০০৬এর শুরু পর্যন্ত আটকে রেখেছিল। ২০০২ সালে এর সর্বশেষ মেয়াদ শেষ হয়। কারণ জোট সরকারে দাবী ছিল সকল নদ-নদীর ন্যায্য পানি প্রাপ্তি, স্থল ও সুমুদ্র সীমানার সুষ্ঠ সমাধান, নেপাল-ভুটান-চীনকে ট্রানজিট, ভারতে শুল্ক ও বাধা মূক্ত পণ্য রপ্তানী, নেপাল ও ভুটান হতে পানি বিদ্যুৎ আমদানী ইত্যাদি এক হাতে দিয়েই সে করিডোর পেতে পারে। কিন্তু ভারত নামকা ওয়াস্তে ফি দিয়ে বাকী কোন দাবীই মানতে রাজী হয়নি। তাইতো আরো জোরদার হয় দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশ বিরোধী প্রোপাগান্ডা। এটা সেই জোট ক্ষমতায় আসার প্রায় সাথে সাথে। এলেক্স পেরী নামক একজন সাংবাদিক টাইম ম্যাগাজিনে লেখেন;
Deadly Cargo
By ALEX PERRY / CHITTAGONG Monday, Oct. 14, 2002
Click This Link
যেখানে বাংলাদেশকে আল-কায়েদা সহ জঙ্গীবাদের অভয়ারণ্য দেখানো হয়। এই সমস্ত প্রোপাগান্ডার উদ্দেশ্য একটাই আমাদের সেনাবাহিনী সহ জনগণের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করে বহিঃশক্তির অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ভারতের খায়েশ পূরণ করা। ২০০১ হতে ২০০৩ এর শেষ পর্যন্ত আলীগ খুব একটা ইস্যু পায়নি। এর পরই উগ্র নাস্তিক হুমায়ুন আজাদকে দিয়ে লিখায় "পাক সার জমিন..." যাতে পাকিস্তানের সমালোচনা করতে গিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের মূল্যবোধকেই দারুণ কটাক্ষ করেন। যা নিয়ে তৎকালীন জামাতের সংসদ সদস্য সাঈদী এর দারুণ সমালোচনা করেন। তখন নাস্তিক গংতো বটেই আওয়ামী-বাকশালীরা হুল উঠায় যে এই দেশে মূক্তবুদ্ধির চর্চা ও মানবতাবাদে বিশ্বাসী মানুষদের নিরাপত্তা নেই। এই বিষয়কেই কেন্দ্র করে ২০০৪ এর ফেব্রুয়ারীর বাংলা একাডেমীর বই মেলায় হুমায়ুন আজাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা হলে আওয়ামী-বাকশালী ও ভারতপন্থী গং হুল উঠায় জামাতীরা এই কাজ করেছে। এমনকি গুরুতর আহত আজাদের অবস্থা খানিকটা উন্নতি হলেও আলীগপন্থী চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক রিপোর্ট করেন যে ডঃ আজাদ ক্লিনিকালী ডেড!
প্রথমেতো ঢাবি ও ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর হয়েছেই এই রিপোর্টে আরো এক দফা ভাঙচুর হয়। কেবলই দাবী সাঈদীকে গ্রেফতার করলেই আক্রমণকারী ধরা পরবে। আর পরের মাস মার্চে আলীগ সাধারণ সম্পাদক জলিল ঘোষণা দেন ৩০শে এপ্রিল জোট সরকারের শেষ দিন এই দিনের পর খালেদা জিয়া অবশ্যই সাবেক প্রধানমন্ত্রী হবেন। কিন্তু কিছুই হয়নি। যদিও জলিল এই দাবী করেন কিন্তু আসল কুবুদ্ধি হাসিনার। এর পরে প্রায়ই শুনি হুমায়ুন আজাদের পরিবারের উপর হয়রাণির খবর। এইভাবে ২০০৪ সালের আগষ্টে জার্মানির মিউনিখে একটি এপার্টমেন্টে আজাদ মৃত্যুবরণ করলে পরের দিন ঢাবিতে ছাত্রলীগ ও তাদের উস্কানীতে বামপন্থীরা গুজব রটায় যে জামাতীরা তাকে হত্যা করেছে। যথারীতি বেশ কিছু ভাঙচুরও হয়। এরপর জলিল, তোফায়েল, ইনু ও মেনন হুমায়ুন আজাদের বাসায় যেয়ে যতনা তার পরিবারকে সান্তনা দিবে তারচেয়ে হুংকার দেয় "আমরা এই মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারছি না। আমরা জাতিসংঘ অথবা ইইউর মাধ্যমে তদন্ত চাই"। মানে জার্মান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চাই!
ফলে ভেস্তে যায় আওয়ামী-বাকশালীদের গড়া একটি কুটিল ষড়যন্ত্র! ঐ সময় জুন-জুলাই ২০০৪এ ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। যা জোট সরকার বন্যা চলাকালীন কোন বিদেশী সাহায্য ছাড়াই দেশের নিজস্ব সম্পদ ও লোকবল ব্যাবহার করে সাফল্যের সাথে এটা মোকাবেলা করে। আলীগের হাতে কোন ইস্যুই ছিল না। তারপরই ঘটে ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলা। যেখানে হাসিনার ট্রাকের চারপাশে গ্রেনেড পরলেও একটিও ট্রাকের মধ্যে পরেনি। হাসিনার গাড়ীতে স্নাইপার গুলি চালালেও টিভি ফুটেজে দেখা যায় আলীগ কার্যালয় হয়ে পীর ইয়ামেনী মার্কেট পর্যন্ত কোন গুলির দাগ নেই। যা পরে সাবের চৌধুরী হাসিনার সুধা সদনে সাংবাদিকদের দেখান অফিসের সামনে হতে উঠার ও চালুর পর গাড়ীতে গুলির দাগ। তার ড্রাইভারও মারা যায়। তাহলে হাসিনাকে পীর ইয়ামেনী পর্যন্ত কে নিয়ে গেল? ড্রাইভারে আহত ও নিহত সুধা সদনে পৌছানোর আগে জানা যায়নি। অফিসের সামনে কেউই তাকেতো দূর গাড়ীতেও গুলির দাগ দেখেনি সম্পূর্ণ অক্ষত ছিল পীর ইয়ামেনী পর্যন্ত। হাসিনার দাবী যে গ্রেনেড নিক্ষেপকারীরা প্রশিক্ষত ও দক্ষ ছিল। তাই ডজনের উপর গ্রেনেডের একটিও ট্রাকের উপর পড়ল না। যেখানে বাংলাদেশের কোন সাংবাদিক আগষ্ট মাস পর্যন্ত জানল না তখন ১৫ই সেপ্টেম্বরের পর ভারতীয় ডেকান হেরাল্ডের মাধ্যমে জানল যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই কাজ করেছে। যদিও তারেক রহমান ও জামাতী নেতারা মূল কিন্তু এই কাজে সেনা সদস্য ব্যাবহার করা হয়েছে। জোট সরকার শুরু হতেই জানত যে ভারতীয় "র" এর পিছনে আছে ঠিক যেমন জেএমবি। তাই জোট সরকার ভীত হয়ে অপরিপক্কের মত জজ মিয়ার ফালতু ঘটনা দিয়ে পার পেতে চাইল। যা তার অবস্থানকে দূর্বল করে। বরং সাগর-রুনীর মতই চুপচাপ থাক উচিত ছিল। পরবর্তীতে গভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ১/১১ এবং ২০০৮ সালের সিলেকশনের মাধ্যমে ২৩০ ও মহাজোটগত ভাবে ২৬৫ আসন জিতিয়ে আজকে হাসিনা ক্ষমতার চরম অপব্যাবহার করছে। জামিনে নয় প্যারোলে থাকা অবস্থাতেই বিদেশ গমন সহ ৬ই জানুয়ারী ২০০৯এ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১১টির উপর মামলা সরকারী নির্বাহী আদেশে প্রত্যাহার করেছে। আর খালেদার মামলা ঠিকই রেখে দিছেন। প্রথমে সেনাবাহিনী বললেও এখন মুফতী হান্নান ও তার জঙ্গী সাথীদের ঘাতক বানিয়েছে। এখন হান্নানকে অমানুষিক নির্যাতন করে তারেক রহমান ও জামাতী নেতাদের হুকুমের আসামী হিসেবে চার্জশীট দেওয়া হয়েছে। আমরা এও দেখেছি হাসিনার সামরিক উপদেষ্টা তারেক সিদ্দিকী প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানকেও এর জন্য দায়ী বলেছিল। আর ২০০৭-০৮ ফখরু-মঈনের মেয়াদে সাব জেলে হাসিনাকে বিষ খাইয়ে মারারও চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু হাসিনা ক্ষমতায় এসে তাদের কাউকেই চার্জ করেনি। এর রহস্য কি? তারপর ফেব্রুয়ারী ২০০৯এ পিলখানা বিদ্রোহের খবর সকাল সাড়ে ৯টায় পেয়েও সময়মত সেখানে সেনা প্রেরণ করেনি। এটাকি বাংলাদেশের স্বাধীন চেতা সেনাবাহিনীর উপর আক্রোশ? দীর্ঘদিন ক্ষমতা না পেয়ে আবার ক্ষমতায় এসে চিরস্থায়ী করেত সেনাদের কব্জা করার জন্যই কি এই সব র্দূঘটনা? তা না হলে ২০০৯ ও গত ডিসেম্বর ২০১১তে সেনা অভ্যুত্থান চেষ্টায় ভারতীয় বিমানবাহিনী কিভাবে পূর্ব-প্রস্তুত থাকে। আমরা দেখেছি যে হাসিনা ২০১০ সালের জানুয়ারীতে দিল্লীতে বেশ কয়েকটি চুক্তি করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত জানলাম না যে কি চুক্তির শর্ত! আর দেশের সেই প্রথম মেয়াদের মত র্দূনীতি, দুঃশাসন ও ভারত প্রীতিতে মত্ত হয়ে যখন জনপ্রিয়তা ব্যাপক কমে গেছে তখনই খালেদা ও তারেকের মামলা হঠাৎই সচল হচ্ছে। প্রশাসনতো কথাই নেই বিচার বিভাগ এমনকি রাষ্ট্রপতিও দুই ডজনের দলীয় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তদের ক্ষমা করে দিয়েছে। এখন নিজেদের র্দূনীতি, দুঃশাসন ও ভারতের গোলামী করার জন্য জাতীয়তাবাধী শক্তি ও দেশপ্রেমিক জনগণ যেন ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে তার জন্য বিরোধী পক্ষকে দমন করার জন্য উদগ্রীব। তাই বখেন বলছে যে ২১শে আগষ্টের জন্য তারেক রহমানের মৃত্যুদন্ড হতে পারে;
Police investigators say Tarique Rahman aided and abetted the Zia administration in planning the attacks and helping the assailants flee the scene. Rahman could face the death penalty if found guilty, according to the country's penal code.
Click This Link
দেশের সরকার ও পাশের ভারত সবই এখন বৈরী! এই কুলদীপ নায়ারই সেই ২০০৪ সালেই বলেছিলেন যে তিনি আশংকা করেন যে আর্মি আসবে। কিন্তু এটা যে দিল্লীর ফেভারে আসবে সেটা তিনি চেপে গেছেন। কুলদীপ নায়ার ও তার ভারতের মতলব হল স্বাধীন-সার্বভৌম চেতা সেনাবাহিনী ইসলামী জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসী কিন্তু আলীগকে ফেভার করলে তারা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী, গণতান্ত্রিক ও সভ্য। তার মানে এটা ভারতের ফেভারেই যায়। এই কারণেই ডিসেম্বর ২০১১র তথাকথিত অভ্যুত্থান ব্যার্থ হলে ২২/০১/২০১২ইং কোলকাতার আনন্দবাজার লিখে হাসিনা জানেন যে কিভাবে বাঙালী সত্তা দিয়ে ইসলামকে মোকাবেলা করতে হয়;
http://www.mediafire.com/?5u19wa3h3e5348u
ইসলাম ও মুসলমানী চেতনা ভারতের আধিপত্য বাদ হতে বাংলাদেশকে রক্ষা করছে এটা দিল্লীর কাছে অত্যন্ত পরিস্কার।তাই এই সবের ষড়যন্ত্রের একটাই উদ্দেশ্য যে কিভাবে আওয়ামী-বাকশালী ও তাবেদার গোষ্ঠী নিজেরা হীরক রাজার মত বাংলাদেশে রাজত্ব এবং ভারতের আজীবন গোলামী করবে। স্পষ্টতই বাংলাদেশ এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ৮:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


