somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

১/১১, ভারতের সাথে গুপন চুক্তি, ফ্রি করিডোরের জন্য হাসিনা কি রাষ্ট্রদ্রোহী-নব্য ঘসেটি বেগম নাকি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :










ঘটনাকাল ১৯৮৬। শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে জনসভায় বললেন "স্বৈরাচার এরশাদের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেঈমান"! কিন্তু পরের দিন সারা দেশের জনগণ ও বিশ্ব অবাক করে দিয়ে হাসিনা জামাতকে সাথে নিয়েই ৮৬র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গেল। তখন দেশের বিবেকবান সকল জনগণের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেলে হাসিনা কি চিজ! কিন্তু আওয়ামীলীগার ও বাকশালী মনোভাবাপন্ন ব্যাক্তিরা এতে দোষের কিছু মনে করল না। তখনই প্রথম আম্বাদের কাছে শুনি "রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই"। তথা হাসিনা ও আলীগের কাছে যতক্ষণ মিষ্টি ঠিক ততক্ষণই আঙুর ফল ভাল নতুবা টক! :D

এরপর ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হেরে সরকার গঠনে ব্যার্থ হয়ে হাসিনা ঘোষণা দেয় "একদিনের জন্যও বিএনপি সরকারকে শান্তিতে থাকতে দিবে না"। আর বিএনপিকে সমর্থন দেওয়াতে হাসিনা ও আওয়ামীদের এতদিনের জানি দোস্ত জামাত হয়ে গেল শত্রু। সত্য-মিথ্যা মিশিয়ে ৭১এর অনেক অজানা তথ্য সামনে আসল। যা ১৯৮২-৯০ মেয়াদে শুনি নাই। তারপর আওয়ামীদের একাংশকে দিয়ে বানানো হল ঘাদানিক। মূলত আওয়ামীদের অসৎ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এই ঘাদানিক সক্রিয় থাকল। পরে যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে বিএনপির সাথে জামাতের বনিবনা হল না তখন তাদের সাথে আম্বাদের সাথে পুনরায় সখ্যতা গড়ে উঠল। ১৯৯৫ সালে আলীগ জামাতকে নিয়েই সংসদ হতে পদত্যাগ করে। অর্থাৎ স্পষ্টতই হাসিনা ও আম্বাদের কাছে জামাতী আঙুর ফল পুনরায় মিষ্টি হয়ে যায়। তাই ১৯৯৫ হতে কিসের আবার ঘাদানিক, এমনকি হাসিনা ১৯৯৬-২০০১এ তথা প্রথম প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থাতেও শাহরিয়ার কবির গংদের ৭১এর ঘাতকদের যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবী নিয়ে ৯২র মত উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি। এর একটাই অর্থ হাসিনা ও আম্বাদের ক্ষমতার ফেভারে যতদিন যেই আছে এবং যদি সেটা জামাতও হয় সে সাধু হয়ে যায়। তাই আওয়ামী-বাকশালী গংদের এই নিয়ে প্রায় কোন আপত্তিই শুনি নাই। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেই হাসিনা গ্যারান্টি ক্লজ ব্যাতিরেকে ৩০ বছরের জন্য প্রতারণামূলক ফারাক্কা চুক্তি করে। এই চুক্তির ও হাসিনার দিল্লী যাওয়ার আগে বিএনপি, জামাততো বটেই জাপাও বার বার বলে যে কি কি শর্তে পানি চুক্তি হবে তা সংসদে আলোচনা ও অনুমোদন নেওয়া হৌক। কিন্তু হাসিনা থোড়াই এগুলার পরোয়া করে। চুক্তিতে বলা আছে যে শুস্ক মৌসুমে যদি ফারাক্কার উজানের দিকে ৭৫ হাজার কিউসেক পানি জমে তবে ভারত ৪০ হাজার রেখে ৩৫ হাজার বাংলাদেশকে দিবে। যা চরম প্রহসন ও প্রতারণা ছাড়া আর কিছু্ই নয়। চুক্তিতে বলা আছে যে শুস্ক মৌসুমে যদি ফারাক্কার উজানের দিকে ৭৫ হাজার কিউসেক পানি জমে তবে ভারত ৪০ হাজার রেখে ৩৫ হাজার বাংলাদেশকে দিবে। এই বিষয়ে তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেছিলেন এটা শুভংকরের ফাকি। কারণ ভারতে গঙ্গা সংশ্লিষ্ট রাজ্য গুলি ফিডার ক্যানেল ও পাম্পের মাধ্যমে পানি টেনে নিয়ে যায় শুস্ক মৌসুমে। তারপরে হাসিনা গং শোরগোল যে তারা ঐতিহাসিক পানি চুক্তি স্বাক্ষর করাতে দেশ লাভবান হয়েছে। অথচ সত্য হল স্বাধীনতার পূর্বের ১৯৬৭ সাল হতে ১৯৭৫ সালের দুই জরিপেই এই অঞ্চলের মোট নদী পথ ছিল ২৪ হাজার কিমি। অথচ এটা বর্তমানে মাত্র ৬ হাজার কিমি। তার মানে ১৮ হাজার কিমিই গায়েব;

Click This Link

কিন্তু তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী-বাকশালী ও সুশীলগণ কি এর মধ্যে কোন রাষ্ট্রদ্রোহীতা ও দেশের সাথে কোন প্রতারণা খুজে পায় কি?

এরপর আবার ৭১এর যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে হৈ চৈ শুরু হয় যখন জামাত পুনরায় বিএনপির সাথে জোট বেধে ক্ষমতায় আসে। অর্থাৎ হাসিনা ও আলীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি ও বিএনপির সাথে যোগ দেওয়ায় যত্ত দোষ হয়ে যায়। তাই বিগত হাসিনার প্রথম আমলে কৃত্রিম সৃষ্ট জেএমবিকে দিয়ে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে লাগল। এই জেএমবি হল ভারতীয় র এর সৃষ্টি উদ্দেশ্য বাংলাদেশে একটি তাবেদার সরকার কায়েম রাখা। যে ভারতের কথা শুনে নদী পথের পাশাপাশি, সড়ক-রেল ও সুমুদ্র বন্দর সুবিধা দিবে। এ ছাড়াও ভারতের সেভেন সিষ্টার্স রাজ্য গুলিতে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে চলাচলে বাধা দিবে না। এই সমস্ত বিষয়কেই নিয়েই আওয়ামী-বাকশালীরা দেশী ও বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটি জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রোপাগান্ডা চালানো হয়। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক টাইমস পত্রিকার এলেক্স পেরী লিখে;

Deadly Cargo
By ALEX PERRY / CHITTAGONG
Monday, Oct. 14, 2002

Click This Link

ব্যাস আর যায় কোথায়! হাসিনা ও তার চামচারা শোরগোল তুলে যে খালেদা ও তার দল বাংলাদেশকে একটি জঙ্গীবাদী ও আল কায়েদার আস্থানা বানিয়ে দিচ্ছে। তারা পশ্চিমা ও ভারতকে অনুরোধ করে বাংলাদেশে হস্তক্ষেপের জন্য। অথচ ১৯৯৮ সালে তথা হাসিনার প্রথম আমলেই ভারতীয় র এর মদদে গঠিত হয় জেএমবি সহ তথাকথিত জিহাদী কিছু গোষ্ঠী। ভারত চায় বাংলাদেশে যেন তার তাবেদার সরকার থাকে। যে ভারতকে একতরফা নদী, সড়ক-রেল, সুমুদ্র বন্দর সহ একতরফা বাণিজ্যিক সুবিধা দিবে। এমনকি প্রয়োজনবোধে সেভেন সিষ্টার্স রাজ্য সমূহ ভারতীয় সামরিক বাহিনী সহজেই যাতায়াত করতে পারে তাতেও যে বাংরাদেশ বাধা না দেয়। যেহেতু বিএনপি ও জামাত জোট ভারতকে এই সুবিধা দিবে না তাই দিল্লী চক্রান্ত করে বাংলাদেশে ও বিদেশে ভারতীয় দালালদের মাধ্যমে সারা বিশ্বে প্রোপাগান্ডা চালায়। জেএমবির ব্যাবহারকৃত বোমা, বিস্ফোরক দ্রব্য, ডেটোনেটর, ডিভাইস ইত্যাদি সন্ত্রাসী সরঞ্জাম সবই ভারত হতে আগত। জেএমবির এই সকল সরঞ্জামের ঘাটি হল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদাহ জেলায়;







দৈনিক প্রথম আলো ৫ই জুন ২০০৯

Click This Link

বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় রাসায়নিক, ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও ডেটোনেটর দিয়ে জেএমবি পশ্চিমবঙ্গের মালদাহে ঘাটি গেড়েছে তা র সহ সেই দেশের গোয়েন্দা ও সামরিক বাহিনী জানে না এটা একটা শিশু শ্রেণীর ছাত্রও বিশ্বাস করবে না। তখন জেএমবির বিভিন্ন সদস্যদের গ্রেফতারে এই সমস্ত বিস্ফোরকে ভারতীয় দ্রব্য পাওয়া গেলেও আওয়ামী-বাকশালীরা বিশ্বাসই করত না। তারা কেবলই মশগুল ছিল কিভাবে পশ্চিমাদের সহযোগীতায় রাতারাতি ক্ষমতায় যাওয়া যায়(এটা ফেসবুকে এক ছোট ভাই মনে করায়া দিল)। যার অংশ হিসেবে ২০০৪ সালের ৩০শে এপ্রিলকে লক্ষ্য রেখে হাসিনার আম্লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল হুংকার দিল যে ঐ দিন খালেদা জিয়ার জোট সরকারের শেষ দিন। এই দিনের পরে খালেদা সাবেক প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাবে। কিন্তু কিভাবে হবে কেমনে হবে এটার জবাব জলিল কাউকেই দেননি। তো এই ভাবে দিনক্ষণ দিয়ে কোন সরকারকে কোন চক্রান্ত ছাড়া ও খুন-যখম ছাড়া কিভাবে ক্ষমতা হতে হটানো যায়? তখন জলিলকে কেউ কেউ ছাগল বললেও এর মধ্যে কোন দোষ খুজে পাননি ও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনি। কারণ আব্দুল জলিল এই কথা বললেও আসল কু-বুদ্ধি হইল স্বয়ং শেখ হাসিনার। হাসিনা জলিলের কান্ধে বন্দুক রেখে শিকার করতে চেয়েছিল। যেহেতু দেশ রত্ন হাসিনার ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্ন তাই কোন আওয়ামী সমর্থক এতে কোন সমস্যা দেখেন না। আর ঐ দিকে হাসিনা ও আম্বাদের প্রভু ভারততো মড়িয়ার কমতি নেই। ২০০৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আওয়ামীদের আয়োজনে এক বিজয় দিবস সভায় আসে ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার সর্বজিত চক্রবর্তী। আব্দুল জলিলের উপস্থিতিতেই সর্বজিত বাবু বলে বসেন "ভারত আর বেশীদিন ট্রানজিটের জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না"। যেন বাংলাদেশ ভারতের পৈতৃক সম্পত্তি! কিন্তু আওয়ামী-বাকশালীরা এই নিয়ে কোনই দোষ খুজে পায় না। ইতিমধ্যে চীনকে রুখতে গিয়ে ওয়াশিংটনের নীতি নির্ধারকরা তথা মার্কিনিরা ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলে। তাই বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ২২শে জানুয়ারী ২০০৭এর বৈধ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও আওয়ামী-বাকশালী ও ভারতের দেশী বিদেশী চক্রান্ত চলতে থাকে। কেবলই চিন্তা কিভাবে পরবর্তীতে ভারতপন্থী একটি তাবেদার সরকার আনা যায়। প্রথমে হাসিনা মনে করে যে ২২শে জানুয়ারী ইয়াজউদ্দিন প্রধান উপদেষ্টা থাকলেও তাদের মহাজোটের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তাই ২৬শে ডিসেম্বর ২০০৬এ মনোনয়ন নেয়। কিন্তু দিল্লীর উপদেশে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির জন্য হাসিনা ও তার আলীগের মহাজোট ৩রা জানুয়ারী মনোনয়নের প্রত্যাহারের শেষদিনে তারা নির্বাচন বয়কট করে। ঐ দিকে দিল্লীর প্রভাবে পশ্চিমাদের পরোক্ষ মদদে সেনাপ্রধান মঈন ইউ বাংলাদেশে জাতিসংঘের পরিচালক রেনেটা লকের নাম ভাঙিয়ে মিথ্যা চিঠির প্রোপাগান্ডা করে। বলা হয় রেনটা লকের স্বাক্ষরিত চিঠি বলছে যদি সামরিক বাহিনী ২২শে জানুয়ারী ২০০৭ এর নির্বাচন আয়োজন করে তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা রক্ষী হতে বাংলাদেশের সেনাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। ভারতীয় চক্রান্ত ও পশ্চিমা মদদ এই জন্যই যে উক্ত বহুল প্রচারিত জাতিসংঘের চিঠির বিষয়ে দীর্ঘদিন রেনেটা লক নিশ্চুপ থাকলেও যখন তিনি ২০১০ সালে তার বিদায়ের প্রাক্কালে বলেন যে ২০০৬-০৭ মেয়াদে এমন ধরণের কোন চিঠি তিনি স্বাক্ষর করেননি। এমনকি জাতিসংঘও এই ধরণের কোন চিঠি বাংলাদেশী কর্তৃপক্ষকে দেয়নি;

No letter from UN, no int'l interference
Click This Link

(The Daily Star Apr 18, 2010)

প্রকৃতপক্ষে রেনেটা লক এই ধরণের মিথ্যা চিঠির কথা জেনেও ভারত ও পশ্চিমাদের কারণে মুখে কুলুপ এটেছিলেন। দিল্লী মরিয়া ছিল কিভাবে তার ক্রীতদাসী হাসিনাকে যেনতেন উপায়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আনা যায়। তবে এর জন্য হাসিনার ক্ষমতার অতিমাত্রার লোভই দায়ী। ২০০৭-০৮ মেয়াদে ভারতপন্থী ফখরু-মঈনা গং বিএনপিকে ভাঙার বহু কৌশল করে। তারই একটি অংশ হল প্রশাসনের মদদে সাইফুরকে দিয়ে অবৈধ ভাবে মেজর(অব) হাফিজকে দলের মহাসচিব বানিয়ে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলাপের চিঠি দেওয়া হয়। আর ভারত, ফখরু-মঈনার চামচা নির্বাচন কমিশনার শামসুল হুদাও খালেদার মনোনীত ক্ষন্দকার দেলোয়ারকে আলাপে না ডেকে মেজর(অব) হাফিজকেই ডাকেন। পরে বিএনপির সমর্থক কেন সিংহভাগ নেতারা অনীহা জানানোতে শামসুল হুদা ব্যার্থ হয়। কিন্তু ভারতের আকাঙ্খার জন্য যথারীতি বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক বেশী রাষ্ট্রীয় জুলুম হয়। ফলে ২০০৮ সালের নির্বাচনের জন্য বিএনপি অনেক দূর্বল হয়ে যায়। আর হাসিনা বিশেষ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে একবার যুক্তরাজ্য আরেকবার যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বিশ্বের প্রভাবশালীদের চামচামি করতে থাকে। যে তাকে যেন পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়। এই নিয়ে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি কোন দোষ খুজে পায় না। তারপর যথারীতি সিলেকশনের নির্বাচনী আলীগ ২৩০টি আসন পায়। ফলে যদি ভারতের জন্য কোন কাজ করতে হয় তাতে সংসদে কোন আইন পাশ করতে বাধা থাকবে না। এই ভাবেই ফখরু-মঈনা তাদের সাজানো নির্বাচন আয়োজন করে। হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় র এর চক্রান্তে ফেব্রুয়ারী ২০০৯এ পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নাম করে ৭০জন সেনা অফিসারকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। এটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে শোকাবহ দিন। যখন হাসিনার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনী ক্ষিপ্ত হয়ে যায় তখন অবস্থা বেগতিক দেখে ভারত সরকার বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে হুমকি দেয়। বলে যে হিন্দুস্থানী বিমানবাহিনী রেডী আছে তাই হাসিনা সরকারকে উৎখাত করা যাবে না;

IAF on stand-by, ready to help Bangladesh
Click This Link

তো শেখ হাসিনা গংদের অনুরোধ ছাড়া দিল্লী এতবড় একটা বিষয়ে এগুতে পারে না। এই নিয়ে প্রণব ও ভারতের নীতি নির্ধারকগণ বাংলাদেশে অবৈধ হস্তক্ষেপের কথা চিন্তা করে। একবার পড়েছিলাম যে প্রণব মুখার্জী বলে হাসিনা সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা হলে ভারত হস্তক্ষেপ করবে। এই বিষয়টা সমন্ধে খোজ না পেলেও বিডিআর বিদ্রোহ পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম হতে জানি;

That “unusual Saturday meeting” was to discuss the mutiny by troopers of the Bangladesh Rifles a couple of days earlier, and the worry in the Indian government about its implications for the newly elected government of Sheikh Hasina, perceived as being a friend of India.

The cable that was sent on March 2, 2009 (194661: confidential), and accessed by The Hindu through WikiLeaks, details the conversation between the American stand-in envoy and Mr. Menon.

The Bangladesh Prime Minister, Sheikh Hasina, had telephoned External Affairs Minister Pranab Mukherjee during the mutiny to ask for assistance from the international community but had not been specific about the kind of help she needed. Mr. Mukherjee had offered “to be responsive” if needed.

Click This Link

যদি হাসিনার সরকারের কেউ বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত না থাকে তবে কেন বিদেশীদের তথা বিশেষ করে ভারতের কাছে ধর্ণা দেওয়া? শেখ সেলিম, তাপস, তোরাব আলী এবং তার পুত্র লেদার লিটনের নাম আসে এই বিদ্রোহের ঘটনায়। বিশেষ করে আলীগ নেতা তোরাব আলী এবং তার পুত্র লিটন সরাসরি এই বিডিআর বিদ্রোহ ও খুনীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয় লিটন বিডিআরের বিভিন্ন অস্ত্রও লুট করে এবং পালিয়ে যায়। তারপর ফেরার থাকার পর এক সময় চট্টগ্রামে RAB তাকে গ্রেফতার করে। কিন্তু শেখ হাসিনার নির্দেশে লিটনকে ছেড়ে দেয় RAB এবং তাকে বিদেশে পালিয়ে যেতেও সাহায্য করা হয়;

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদ খোয়া যায়। বিদ্রোহের পর র‌্যাব-পুলিশ পুরনো ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনেক অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এরপরও খোয়া যাওয়া অস্ত্রের বড় একটি অংশ থেকে যায় হাজারীবাগের যুবলীগ নেতা লেদার লিটনের লোকজনের হাতে। এসব অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সে সময় লেদার লিটনকে র‌্যাব আটকও করেছিল। তবে প্রভাবশালী মহলের তদবিরে ছাড়া পেয়ে কলকাতায় আত্মগোপন করে লিটন।

Click This Link

দেশের সেনা সদস্যদের হত্যা করা এবং ক্রুদ্ধ সেনা সদস্যদের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ভারতের দ্বারস্থ হলেও আওয়ামী-বাকশালী গং কোনই দোষ খুজে পায় না শেখ হাসিনার।

ভারত হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশে লুটপাট, জুলুম চালানোর সুযোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে পায় তথাকথিত ট্রানজিটের নামে করিডোর সহ আরো বিভিন্ন গোপন সুবিধা। জানুয়ারী ২০১০ সালে দিল্লীতে গিয়ে হাসিনা ভারতের সাথে অনেক শর্তে বিভিন্ন চুক্তি করে। এটা দেশবাসী ও সংসদের অনুমোদনতো দূর কাউকেই জানানোও হয়নি। তাই ২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর বানানোর কথা বলে ক্ষমতায় এসে এখন হাসিনার উপদেষ্টা মসিউর বলে "ভারত হতে ফি চাওয়া হল অসভ্যতা"! যেন বাংলাদেশ মসিউরের বাপ দাদার জমিদারী। ১৬ কোটি মানুষের হক মেরে ভারতকে একতরফা সুবিধা দেওয়াই তাদের ক্ষমতায় আসার অন্যতম উদ্দেশ্য। এই দিকে হাসিনার অন্য উপদেষ্টা গওহের রিজভীর মতলব হল ভারত হতে আমরা কি পেলাম না পেলাম তার জন্য ট্রানজিট ঝুলিয়ে রাখা ঠিক হবে না;

প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী ভারতকে ট্রানজিট দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন, কোনো সমস্যার এক দিনে সমাধান হয় না। তাই বলে ৪০ বছর বসে থাকলে চলবে না। আর তাই অন্তত সীমিত আকারে ট্রানজিটের কিছু পদক্ষেপ এখনই বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

Click This Link

অথচ একই সেমিনারে অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় বলছেন বলছেন যে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং জনগণের মতামত নিতে। কিন্তু রিজভী ও শেখ হাসিনা এই নিয়ে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নাই। কিন্তু এই বিষয়ে কি আওয়ামী-বাকশালী গং হাসিনাকে রাষ্ট্রদোহী বা ঘসেটি বেগম বলবে? অথচ প্রকাশ্যে খালেদা জিয়া মার্কিন ওয়াশিংটন পোষ্টে লেখা আর্টিকেলকে রাষ্ট্রদ্রোহী বানিয়ে দিল।
বাংলাদেশের জনগণের কষ্টের অর্থে ভারতীয় যানবাহন ভর্তূকীতে জ্বালানি নিলেও কোন অসুবিধাই মনে করে না আওয়ামী-বাকশালী গং।

দেশের সাধারণ মানুষ আজকে সঞ্চয় ভেঙে খাচ্ছে। দেশের সিংহভাগ জনগণ এই চোর-বাটপার, লুটেরা, জুলুমবাজ ও তাবেদার সরকারের পতন চায়। হাসিনা ক্ষমতার লোভে দেশকে ভারতীয় গোলামী করার জন্য গোপন ষড়যন্ত্র করলে দেশের স্বার্থে প্রকাশ্যে খালেদার মার্কিনি সহযোগীতার আশা করা দোষের হবে কেন?

আওয়ামী-বাকশালী গং আজকে ৯ জানে কিন্তু ৬ জানে না। তাদের বুঝা উচিত অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ হয় না।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮
৫৭টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×