somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আগে সবার জন্য অন্তত খাদ্য, চিকিৎসা নিশ্চিত হৌক পরে ইন্টারনেটের কথা ভাবা যাবে!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা গুলি হইল খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার। তবে ছোট দেশ ও সম্পদের অপ্রতুলতায় সব মৌলিক চাহিদা পূরণ করা বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে সম্ভব না। তবে বেচে থাকার জন্য সবার জন্য খাদ্য ও চিকিৎসার কোর বিকল্প নাই। আমি মনে করি এই দুইটা বিষয় বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা পূর্ণ করা সম্ভব যদি সরকার সহ দেশের সবাই সিরিয়াস হয়। চোখের সামনে কিছু মানুষ ভরপুর খাবে আর বহু মানুষ কম বা অর্ধহারে থাকবে সেটা কেমন কথা? তারপর যার অর্থ আছে সে এপোলো, ইউনাইটেড, ল্যাব এইড, স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা করবে এমনকি আরো ধনীদের কিছু হলেই ভারত, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ, আমেরিকায় ছুটবে কিন্তু অসামর্থ্যরা বিনা চিকিৎসায় মরবে বা ধুকবে তা বর্তমান বিজ্ঞান বিপ্লবের যূগে সেটা কেমন চিত্র? এই দুটা বিষয়ে কোন বৈষম্য কোনমতেই কাম্য নয়। তারপরেও দুঃখের বিষয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সব মুখে বাগাড়ম্বর স্বরে মাঝে মাঝে এই সব কথা বললেও তেমন কোন উদ্যোগই পরিলক্ষিত হয় নাই। এই যখন অবস্থা তখন তথ্যমন্ত্রী ইনু বলল যে "মৌলিক অধিকারে ইন্টারনেট সংযোজন করা উচিত"

http://www.amadershomoys.com/newsite/2016/01/20/497820.htm

তার এই কথাটা আমার কাছে পরিহাসের মতই শোনাল। দেশের সিংহভাগ মানুষকে হাতে মুখে চলতে যে হিমশিম খেতে হচ্ছে তারা কিভাবে এত মূল্যে পিসি অথবা স্মার্টফোন কিনে ইন্টারনেট ব্যাবহার করবে? তাদের কয়জন ঠিকমত তথা চাহিদা মত দৈনিক খেতে পারে? তারা কিভাবে বসবাস করে? তারা রোগ বালাই হলে কি ঠিকমত ডাক্তারের চিকিৎসা পায় যেখানে ওষুধ কেনার সামর্থ্যর কথা বাদই দিলাম! শহড়ে পাড়া, মহল্লা কিংবা ওয়ার্ড ভিত্তিক এবং গ্রামে ইউনিয়ন বা উপজেলা বা থানা ভিত্তিক সরকারী লাইব্রেরী গড়ে ইন্টারনেট স্বল্প ও বিনামূল্যে ব্যাবহার ও সেই সাথে কম্পিউটার পরিচালনা সমন্ধে ধারণা দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সবার অধিকার হলে কিভাবে তা ব্যাবস্থা করবেন সেটা কি ভেবে দেখেছেন? নাকি স্রেফ গলাবাজি করে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ? যথাযথ কর আদায় ও ব্যাবস্থাপনা করা গেলেই সবার জন্য খাদ্য নিরাপত্তা ও চিকিৎসা ব্যাবস্থা করা যায়। এর জন্য দরকার র্দূনীতিমূক্ত হওয়া। আপনে নেটকে মৌলিক অধিকার বলছেন যা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশ ফিনল্যান্ড সবার আগে প্রতিষ্ঠা করছে;

Finland has become the first country in the world to make broadband a legal right for every citizen.

Finland makes broadband a 'legal right'

http://www.bbc.co.uk/news/10461048

এখন আপনে যদি তাদেরকে টানেন তাইলে দেখেন সেই ফিনল্যান্ড নিউজিল্যান্ডের সাথেই পৃথিবীর এক নম্বর র্দূনীতিমূক্ত দেশ! সেখানে শুধু নেট নয় একটা মানুষের জন্য বেচে থাকার জন্য যা যা মৌলিক বিষয়ের প্রয়োজন হয় তার সবই সেই দেশের সংবিধানে নিশ্চিত করা হইছে। সেখানে কোন নাগরিককে না খেয়ে মরতে হয় না। বিনা চিকিৎসায় ধুকাতো দূর ওষুধ সেবন নিয়েও চিন্তা করতে হয় না। যার অর্থ আছে সে ওষুধ কিনে আর যার নেই তাকে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ তথা ভতূর্কী থেকেই তাকে ওষুধ দেওয়া হয়। জরুরী প্রয়োজনে এম্বুলেন্স কল করলেও তার জন্য কোন ভাড়া রোগীকে দিতে হয় না সে ধনী কিংবা গরীবই হৌক! তাদের সাফ্যল্যের কারণ শুধু বড় দেশ কম লোকের জন্য নয় তারা যথাযথ কর আদায় ও ব্যাবস্থাপনা পুরোপুরি র্দূনীতিমূক্ত হওয়ায় তারা এভাবে মৌলিক অধিকার সমূহ নিশ্চিত করছে। সেই ২০০৯ সালেও ইনু বলছিলেন ইন্টারনেট বিল মাসিক ৩০০ টাকা করার। কিন্তু বাস্তবায়ন করাতো দূর তেমন উদ্যোগও নেওয়া হইছে বলে জানি না। চটকদার কথা কম বলে বাস্তবে কতদূর অগ্রসর হইছেন সেটা আগে দেখান। দেশের মানুষকে ঠিকমত খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যাবস্থা করলে তারাই আস্তে আস্তে সঞ্চয় গড়ে নিজেরাই পিসির ব্যাবস্থা করে নেট ও ব্যাবহার করবে। আগে বাচতে হবে সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ! ইন্টারনেট না হলে অথবা কম ব্যাবহার করলেও মানুষ মরবে না।


সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×