somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কিসের পর্দা? আগে নিয়ম! (অর্ধশতাধিক ছাত্রীর জামার হাতা কেটে দিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী)

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অর্ধশতাধিক ছাত্রীর জামার হাতা কেটে দিলেন মন্ত্রীর স্ত্রী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ফুলার রোডের উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল ও শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর স্ত্রী মাহবুবা খানম কল্পনা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অর্ধশতাধিক ছাত্রীর স্কুল ড্রেসের জামার ফুলহাতার অর্ধেকটা কেটে দিয়েছেন। এ সময় কাঁচিতে অনেকের হাতেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ফুলহাতা শার্ট পরে এসেছে- এমন অভিযোগ তুলে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহবুবা খানম কল্পনা কাঁচি দিয়ে ছেলেদের সামনেই মেয়েদের জামার হাতা কেটে দেন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের শাস্তির দাবিতে তারা স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন। স্কুলের গভর্নিং বডি যদি আজকের মধ্যে তাদেরকে অপসারণ না করে, তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানান অভিভাবকরা।

অভিভাবক আব্দুল আলিম মিয়া বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ আগে কোনো ধরনের নোটিশ বা নির্দেশনা না দিয়ে এ কাজ করেছে। এ রকম স্বেচ্ছাচারি সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া যায় না। শিক্ষার্থীরা ধর্মীয় কারণে হিজাব বা ফুলহাতা পরে আসতেই পারে। বাংলাদেশে এ ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ নয়। আমরা স্কুলের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের পদত্যাগ দাবি করছি।

তিনি বলেন, মন্ত্রীর স্ত্রী হওয়ার দাপটে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল এ কর্মকান্ডের পাশাপশি এর আগেও অনেক স্বৈরাচারী কর্মকান্ড করেছেন।

অভিভাবক সায়মা সুমী জানান, ইভটিজিং প্রতিহত করার জন্য এতো প্রচেষ্টা চালানো হয়। আবার ফুলহাতা ড্রেস পরে এলেও তা কেটে দেয়া হবে, তাহলে ইভটিজিং কমবে কিভাবে? আমরা মেয়েদের শালীনতার কথা চিন্তা করে হিজাব ও ফুলহাতা শার্ট পরতে উৎসাহিত করি- সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধা দিচ্ছে!

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নওশিন বলেন, আমাদের আগে কখনো নোটিশ দেয়া হয়নি। ক্লাসে কখনো বলাও হয়নি। আমরা হিজাব পরিধান করি। কিন্তু এর সাথে শর্ট হাতা পরলে সবাই খারাপ ভাববে। তাই ফুলহাতা পরে আসি। কিন্তু ম্যাডামরা আমাদের কোনো ধরনের সুযোগ না দিয়ে সবার সামনে হাতা কেটে দিলেন।

আরেক অভিভাবক জহিরুল ইসলাম জানান, মুসলিম দেশে মেয়েরা ফুল হাতার পোশাক পরিধান করতেই পারে। যদি এটি তাদের পছন্দ না হয় তাহলে জিন্সের প্যান্ট এবং গেঞ্জি পরার নিয়ম করুক। তিনি মন্ত্রীর স্ত্রী বলে যা ইচ্ছা তাই করবেন- এটা হতে পারে না। এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্তের আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল ড. উম্মে সালেমা বেগম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার নির্দেশে তাদের জামার হাতা কেটে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে আমি তাদের অনেকবার নিষেধ করেছি ফুলহাতা পরে আসতে। কিন্তু এরপরও তারা একই কর্মকান্ড করেছে। তাই স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল কাঁচি দিয়ে ফুলহাতা কেটে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, স্কুলের নিয়ম অনুসারে সবাইকে ড্রেস পরে স্কুলে আসতে হবে। এর বাইরে মেনে নেয়া হবে না। তবে কেউ যদি পর্দার কারণে ফুলহাতা শার্ট ও হিজাব পরে, তবে লিখিতভাবে জানাতে হবে।

উদয়ন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহবুবা খানম কল্পনার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য বারবার ফোন করলেও মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

কিসের পর্দা,

আবারো হিজাবের উপরে আঘাত

উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভাইস প্রিন্সিপাল ও শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর স্ত্রী মাহবুবা খানম কল্পনা শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অর্ধশতাধিক ছাত্রীর স্কুল ড্রেসের জামার ফুলহাতার অর্ধেকটা কেটে দিয়েছেন। এ সময় কাঁচিতে অনেকের হাতেও আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ফুলহাতা শার্ট পরে এসেছে- এমন অভিযোগ তুলে স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহবুবা খানম কল্পনা কাঁচি দিয়ে ছেলেদের সামনেই মেয়েদের জামার হাতা কেটে দেন। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এ নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকেই প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপালের শাস্তির দাবিতে তারা স্কুল প্রাঙ্গণে অবস্থান নিয়েছেন। স্কুলের গভর্নিং বডি যদি আজকের মধ্যে তাদেরকে অপসারণ না করে, তাহলে বৃহস্পতিবার থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দেয়া হতে পারে বলে জানান অভিভাবকরা ।

ক্লাসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেক শিক্ষার্থী জামার হাতা নয়, আমার বোনের কলিজাই কেটে দাও!
View this link
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×