somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোটা!! কোটা!! কোটা!!! সরাসরি কিছু কথা বলতে চাই...

১১ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোটা!! কোটা!! কোটা!!! সরাসরি কিছু কথা বলতে চাই---> আমি জানি এনং মনে প্রাণে বিশ্বাস করি যেসব মহান মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা কখনোই "দেশ স্বাধীন হলে অনেক সুবিধা পাবো" এই আশায় যুদ্ধ করেননি। দেশ মাতাকা কে ভালোবেসেই তাঁরা এটা করেছেন। তাদের ঋণ শোধ করার ক্ষমতা কোন মানুষের নেই। তারপরেও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেখাতে গিয়ে তাদের কিছু টাকা ভাতা দেয়া হয়, যেটার পরিমান হাস্যকর। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যেসব নেতা কিংবা নেতাদের ছেলেমেয়ে, নাতি নাতনী, সবাই আরামসে সরকারী টাকার ঘর বাড়িতে থেকে গাড়িতে ঘুরে আর দুর্নীতি করে যত লক্ষ কোটি টাকা কামিয়েছেন এবং এখনও কামাচ্ছেন সে তুলনায় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা ২০০০ টাকা (সর্বনিম্ন) !!- প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েদের বেলায় কোটা ব্যাপারটা সমর্থনযোগ্য, কারণ যেসব যোদ্ধা যুদ্ধে মারা গেছেন কিংবা আহত হয়েছেন তাঁর বা তাঁদের ছেলেমেয়রা আর দশটা ছেলেমেয়ের মত বাবার আদর কিংবা বেড়ে ওঠার বয়সে বাবার তত্তাবধায়ন পায় নি । ওই ছেলেমেয়েরা এটা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কারণ তাদের বাবা দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেছিলেন। এই দিকটা বিবেচনা করে ছেলেমেয়েদের সুযোগ সুবিধা দেওয়াটা চোখে লাগে না কিন্তু নাতি নাতিনিদের বেলায় একই সুবিধা কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না। আর যদি এই ধারা চলতে থাকে তাহলে সবাই আফসোস করবে যুদ্ধের সময় কেন তাদের জন্ম হয় নি কিংবা দেশে আরেকবার যুদ্ধ লাগছে না কেন!!
শাহবাগের নেতাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে নাকি? এরকম একটা বিষয় নিয়ে যারা আন্দোলন করছে স্বশিক্ষিত সব মানুষেরই উচিত তাদের সমর্থন দেওয়া। অথচ গণ জাগরণ মঞ্চ থেকে বলা হচ্ছে এটা হতে দেওয়া যাবে না কারণ এতে নাকি রাজাকারদের সন্তানেরা সরকারী জায়গা দখল করে বসবে!!- আমি আমার জীবনে এমন হাস্যকর এবং অযৌক্তিক কথা এর আগে শুনিনি। রাজাকারের ছেলেমেয়ে যদি প্রকৃত মেধাবী হয় তাহলে তারা তাদের মেধার উপযুক্ত মুল্যায়ন পাবে এই আশা করাটা নিশ্চয় দোষের না। আর তাছাড়া বাবার পাপের ভার সন্তান বইবে- এটা কেমন কথা? মুক্ত মনের মানুষ হিসাবে এটা হতে দেওয়া যায় না।
যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির আন্দলনের সময় আমি নিজে ৪ দিন দুপুরের তীব্র রোদে শাহবাগে বসে স্লোগান দিয়েছিলাম। এছাড়া বই মেলা উপলক্ষে প্রতিদিন মেলায় যেতে হতো তাই ফেব্রুয়ারির পুরো মাস শাহবাগে কাটিয়েছি- এটা বলাই যায় এবং এটা নিয়ে গর্বও করা যায়। কিন্তু আজ যখন শাহবাগিদের এরকম উদ্ভট এবং অযৌক্তিক কথা শুনি তখন গণ জাগরণ মঞ্চের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে সন্দেহ জাগছে।
সবাইকে বলতে চাই মুক্তিযোদ্ধারা মহান মানুষ,ভালোবাসার ঋণ শোধ হওয়ার নয়। তাঁদের দেশকে ভালোবাসার ঋণ শোধ দেওয়ার চেষ্টা করা বৃথা। আর সরকার যদি মনে করেন যে মাসে মাসে ২০০০ টাকা আর সরকারী চাকুরীতে কোটা দিলেই ঋণ শোধ সম্ভব তাহলে আমার আরেকটা প্রস্তাব আছে। মন্ত্রী পরিষদ থেকে আবাল গুলারে বাদ দিয়ে যারা সত্যিকার অর্থেই দেশকে ভালবেসেছেন সেইসব মুক্তিযোদ্ধাদের যারা এখনও বেঁচে আছেন তাঁদের দিয়ে মন্ত্রীপরিষদ এর জায়গাটা পূরণ করা হোক। ঋণ শোধ নিয়ে তখন আর মনে সন্দেহ জাগবে না। এটা ছাড়াও তাঁদের সবাইকে সপরিবারে বঙ্গ ভবনের মত জায়গায় বাসা দেয়া+শুল্কমুক্ত গাড়িতে ঘুরতে দেওয়ার সুযোগ করে দেয়া যেতে পারে। মনে হয়- আমার প্রস্তাবে সাধারণ মানুষের আপত্তি থাকার কথা নয়। চাওয়াটা কি অযৌক্তিক হয়ে গেলো ?

--> মিকসেতু মিঠু
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৪২
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×