somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কোটা প্রথা নিয়ে আরেকটি পোস্ট... আরও কিছু কথা...

১৩ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কোটা প্রথা সংস্কার নিয়ে চলমান আন্দোলন নিয়ে অনেকেই ধুম্রজাল সৃষ্টি করছে আবার অনেকেই ধোঁয়াশার মাঝে আছে ; আমি আবারো স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কোটা প্রথা সংস্কারের মাধ্যমে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার পক্ষে, বাতিলের জন্য আন্দোলন নয়!

দেশে ৫৬% কোটা থাকা যেমন অযৌক্তিক ঠিক একইভাবে পুরোপুরি কোটা তুলে দেয়াও একটি অযৌক্তিক এবং অমানবিক কাজ বলেই গণ্য হবে! সময় এসেছে উভয়ের মাঝে একটা চেক অ্যান্ড ব্যাল্যান্সের যাতে করে উভয়পক্ষের মাঝে একটি ন্যায্যতা বজায় থাকে!

মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশের সূর্য সন্তান এবং অবশ্যই দেশের যে কোনধরনের কাজেই অগ্রাধিকার পাবার দাবিদার, তাই মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০%-১৫% রাখা হোক, এতে করে কারোই কোন আপত্তি থাকার কথা না! আর কয়েকবছর পর সম্ভবত আর ৬-৮ বছর পরেই প্রাকৃতিকভাবেই অধিকাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বিসিএস'র জন্য পরীক্ষা দেয়ার নির্ধারিত বয়স পেড়িয়ে যাবে! এরপর আমরা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিদের এই কোটা সুবিধার সুযোগ দেব কিনা সেটা নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে, এক্ষেত্রে হয়ত এই ধরনের সুযোগ দেয়া একটু অতিরিক্তই হয়ে যায় যদিও বিশ্বাস করি মুক্তিযোদ্ধাদের ঋণ কোনভাবেই শোধ করার মত নয়;

প্রতিবন্ধী কোটা ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবেই; ৫% প্রতিবন্ধী কোটা নিয়ে কেউই কোন কথা তুল্বেই না বলে বিশ্বাস করি!

আদিবাসী কোটা ৫% করা হলে কারো আপত্তি থাকার কথা না আর এক্ষেত্রেও ৫% কোটা সুবিধা হলে অনেকেরই ভাষ্যমতে তারা যে সুযোগবঞ্ছিত তা সম্পূর্ণ ভাবেই দূর হয়ে যাবে বলেই মনে হয়!

আর সবশেষে নারী কোটা এবং জেলা কোটা প্রসঙ্গে- নারীদের যেহেতু স্নাতক পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সমাজে ধীরে ধীরে নারীদের অবস্থান বদলাচ্ছে সেহেতু নারী কোটা এখন ০% তে নামিয়ে আনলে, নারীরাও বিশেষ অসুবিধার শিকার হবে নাই বলে প্রতীয়মান হয় এবং এক্ষেত্রে নারীরাও প্রতিবাদ করবে না!

জেলা কোটার কোন দরকার আছে বলে অন্তত আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি না তাই এইটা সম্পূর্ণ রূপে বাতিল করে দেয়া হোক ...

পরিশেষে বলা যায়, কোটা প্রথা সংস্কার করে ৫৬% থেকে নামিয়ে একটি যৌক্তিক এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ পর্যায়ে নিয়ে আসা হোক যেটা হতে পারে ২০%-২৫%;

পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে বিসিএস'র এই মান্ধাতা আমলের পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং সর্বোপরি ব্রিটিশ শাসনামলে সৃষ্টি এই আমলাতান্ত্রিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা যার ভিত্তি হল প্রায় ১৫০ বছর পুরনো, তার যথাযত সংস্কার করে একটি আধুনিক, সময়োপযোগী এবং বিজ্ঞানভিত্তিক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যার ভিত্তি হবে মেধা, সততা এবং কর্মনিষ্ঠা!

আর একটি কথা না বললেই নয়, দেশের সর্বাধিক পরিমান টাকার লেনদেন হয়ে থাকে বিসিএস পরীক্ষায় নিয়োগের জন্যই, এখন সেটা পাঁচ লক্ষ থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ পর্যন্ত হয়ে গিয়েছে একেকটি পদের বিপরীতে নিয়োগের জন্য; এই অবস্থার অবসান চাই! এই নিয়োগ বাণিজ্য কোটা- কোটাবিহীন দুধরণের নিয়োগের বেলাতেই প্রযোজ্য;

একটা কথা মনে রাখতেই হবে আমাদের সবাইকে আমরা যেমন জাতির সূর্য সন্তানদের তাদের প্রাপ্য মর্যাদা না দিয়ে উন্নতির আশা করা বাতুলতা ঠিক একইভাবে দেশের মেধাবীদের মেধা মূল্যায়ন না করতে পারলে দেশের উন্নয়ন কখনই আশা করা যায় না ..
___________________________________________________
নিচের লিঙ্ক গুলো থেকেও বিস্তারিত পরে আসতে পারেন।
___________________________________________________
কোটা!! কোটা!! কোটা!!! সরাসরি কিছু কথা বলতে চাই...

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ছেলে কি তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না???

..
কোটা!! কোটা!! কোটা!!! সরাসরি কিছু কথা বলতে চাই. ..।

___________________________________________________

কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
শেষ কথে কিন্তু একটাইঃ কোটা প্রথার অবসান চাই।
___________________________________________________

আরও বিস্তারিত পাবেন এই লিঙ্ক এ
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×