বিশ্বাসঃঃ
আহ্মদিয়া মুসলিম জামাত রা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ্ যীশুকে সশরীরে (জ়ীবন্ত অবস্থায়) বেহেস্তে তুলে নিয়ে যান্নি।তিনি এই পৃথিবীতেই স্বাভাবিক মৃত্যবরণ করেছেন এবং মৃত্যুর পর বেহেস্তবাসি হয়েছেন। যীশুর আগমন হবে এবং তা হবে মুহাম্মদ(সঃ)এর উম্মতদের মধ্য থেকে।কেননা যদি ইসলাম ধর্মকে পুনর্গঠনের জন্য বেহেস্ত হতে যীশুকেই পাঠাতে হয় তাহলে মুসলমানরা কি ভূমিকা পালন করবে? যীশুর দায়িত্ব পালন করার জন্য তাই মুসলমানদের মধ্য থেকে উঠে আসবেন কেউ,যিনি ইসলাম ধর্মের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবেন।আর ইনি হলেন মির্যা গোলাম আহ্মেদ।
ইতিহাসঃঃ
১৯'শ শতকের শেষের দিকে মির্যা গোলাম আহ্মেদ নিজেকে একজন সংস্কারক,প্রতিশ্রুত মসীহ্,ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে দাবী করেন।তিনি বলেন যে তার আগমন হয়েছে ইসলাম কে তার আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে।তাই তিনি প্রতিঠা করেন আহ্মদিয়া মুসলিম জামাতের।
বর্তমান অবস্থাঃ
মতভেদের পার্থক্য এবং বেশিরভাগ লোকের আহ্মদিয়া সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আহ্মদিয়াদের জন্য ইসলাম ধর্ম প্রচার অত্যন্ত কষ্টকর। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরকার আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ একটি অংশ থেকে আহ্মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন হতে থাকে। সংখ্যা লঘিষ্ট আহ্মদিয়ারা বিভিন্ন রকমের আক্রমনের শিকার হয় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে। সাধারণের মধ্যে একটি ধারনাই ছড়িয়ে দেয়া হয় যে আহ্মদিয়ারা মুহাম্মদ(সঃ) কে শেষ নবী বলে স্বীকার করেনা, তাদের কলেমা ভিন্ন। যদিও তা অনেকাংশেই অন্ধবিশ্বাসের কারণে হচ্ছে।
মূলধারার মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গিঃ
বেশিরভাগ মূলধারার মুসলমানরা মনে করে যে আহ্মদিয়ারা মুহাম্মদ(সঃ) কে শেষ নবী বলে স্বীকার করেনা। যদিও লাহোর আহ্মদিয়া আন্দোলন এর ভাষ্যমতে এরকম মনে করা সম্পুর্ণ আযৌক্তিক। কারণ তারা মির্যা গোলাম আহ্মদকে নবী বলে মনে করেনা, মনে করে একজন প্রতিশ্রুত মসীহ্(সংস্কারক)হিসাবে। আহ্মদিয়া সম্প্রদায় এর দুটি ভাগই মির্যা গোলাম আহ্মদকে মসীহ্(সংস্কারক),ইমাম মাহাদি, প্রত্যাবর্তনকারী যীশু মনে করে থাকে। কিন্তু মুলধারার মুসলিমরা এটা মানতে নারায। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানি সরকার আহ্মদিয়াদের অমুসলিম হিসাবে ঘোষণা করে।
মূলধারার মুস্লিমদের সাথে পার্থক্য সমূহ ঃ
আহ্মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় মনে করেঃ
১। যীশু কুমারী মেরির গর্ভেই জন্ম গ্রহন করেছেন এবং তিনি ক্রশ বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেননি। বরঞ্চ তিনি পূর্ব ইন্ডিয়ায় চলে আসেন ঈসরাঈলের একটি হারানো গোত্র কে খুঁজতে। যীশু এই পৃথিবীতেই ছিলেন এবং এখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে কাশ্মীরের "উয আসাফ" এ।
২। যীশু খ্রিস্টর/ হযরত ঈসা (আঃ) দ্বিতীয় আগমন কথাটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত। যাকিনা মির্যা গোলাম আহ্মেদ এর আগমন এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ হয়েছে।
[পাঠক সমীপেঃ ভুল হলে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা গেল]
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




