somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আহ্‌মদিয়া (কাদিয়ানি) কারা?? কি ওদের বিশ্বাস ??

২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

;);) আহ্‌মদিয়া একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়। যার এর প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহ্‌মেদ কাদিয়ান। ইসলামের আসল পথ থেকে বিচ্যুত মুসলমানদের সঠিক পথের সন্ধান দিতে প্রতিষ্ঠিত হয় আহ্‌মদিয়া আন্দোলনের। পরবর্তীতে আহ্‌মদিয়ারা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে লাহোর আহ্‌মদিয়া আন্দোলন ,আহ্‌মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় নামে। লাহোর আহ্‌মদিয়া আন্দোলন মনে করে আহ্‌মদিয়া জামাতের প্রতিষ্ঠাতা মির্যা গোলাম আহ্‌মেদ একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্‌, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে। তারা কায়মনো বাক্যে স্বীকার করে যে মুহাম্মদ(সঃ)সর্বশেষ নবী। অপরদিকে আহ্‌মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় এর মতে মির্যা গোলাম আহ্‌মেদ একজন মুজাদ্দিদ (সংস্কারক), প্রতিশ্রুত মসীহ্‌, ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু পাশাপাশি মুহাম্মদ(সঃ)এর প্রদর্শিত পথে পাঠানো একজন নবী। তাদের মতে নবুয়াতের সমাপ্তি মানে আর কোন নতুন নবী আসতে পারবেননা তা নয়, নতুন নবী আসতে পারবেন তবে তা অবশ্যই হতে হবে মুহাম্মদ(সঃ) যে পথ-প্রদর্শন করে গেছেন সেই পথে কিন্ত্ত কখনই নতুন কোন মতবাদ নিয়ে নয়।

বিশ্বাসঃঃ :-/:-/

আহ্‌মদিয়া মুসলিম জামাত রা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ্‌ যীশুকে সশরীরে (জ়ীবন্ত অবস্থায়) বেহেস্তে তুলে নিয়ে যান্‌নি।তিনি এই পৃথিবীতেই স্বাভাবিক মৃত্যবরণ করেছেন এবং মৃত্যুর পর বেহেস্তবাসি হয়েছেন। যীশুর আগমন হবে এবং তা হবে মুহাম্মদ(সঃ)এর উম্মতদের মধ্য থেকে।কেননা যদি ইসলাম ধর্মকে পুনর্গঠনের জন্য বেহেস্ত হতে যীশুকেই পাঠাতে হয় তাহলে মুসলমানরা কি ভূমিকা পালন করবে? যীশুর দায়িত্ব পালন করার জন্য তাই মুসলমানদের মধ্য থেকে উঠে আসবেন কেউ,যিনি ইসলাম ধর্মের পুনর্গঠনের জন্য কাজ করবেন।আর ইনি হলেন মির্যা গোলাম আহ্‌মেদ।

ইতিহাসঃঃ :P

১৯'শ শতকের শেষের দিকে মির্যা গোলাম আহ্‌মেদ নিজেকে একজন সংস্কারক,প্রতিশ্রুত মসীহ্‌,ইমাম মাহাদি এবং প্রত্যাবর্তনকারী যীশু খ্রিস্ট হিসাবে দাবী করেন।তিনি বলেন যে তার আগমন হয়েছে ইসলাম কে তার আসল অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে।তাই তিনি প্রতিঠা করেন আহ্‌মদিয়া মুসলিম জামাতের।

বর্তমান অবস্থাঃ :P

মতভেদের পার্থক্য এবং বেশিরভাগ লোকের আহ্‌মদিয়া সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আহ্‌মদিয়াদের জন্য ইসলাম ধর্ম প্রচার অত্যন্ত কষ্টকর। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান সরকার আহ্‌মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করে। পাকিস্তানের মত বাংলাদেশ একটি অংশ থেকে আহ্‌মদিয়াদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য আন্দোলন হতে থাকে। সংখ্যা লঘিষ্ট আহ্‌মদিয়ারা বিভিন্ন রকমের আক্রমনের শিকার হয় বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সহ পৃথিবীর বেশ কিছু দেশে। সাধারণের মধ্যে একটি ধারনাই ছড়িয়ে দেয়া হয় যে আহ্‌মদিয়ারা মুহাম্মদ(সঃ) কে শেষ নবী বলে স্বীকার করেনা, তাদের কলেমা ভিন্ন। যদিও তা অনেকাংশেই অন্ধবিশ্বাসের কারণে হচ্ছে।

মূলধারার মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গিঃ

বেশিরভাগ মূলধারার মুসলমানরা মনে করে যে আহ্‌মদিয়ারা মুহাম্মদ(সঃ) কে শেষ নবী বলে স্বীকার করেনা। যদিও লাহোর আহ্‌মদিয়া আন্দোলন এর ভাষ্যমতে এরকম মনে করা সম্পুর্ণ আযৌক্তিক। কারণ তারা মির্যা গোলাম আহ্‌মদকে নবী বলে মনে করেনা, মনে করে একজন প্রতিশ্রুত মসীহ্‌(সংস্কারক)হিসাবে। আহ্‌মদিয়া সম্প্রদায় এর দুটি ভাগই মির্যা গোলাম আহ্‌মদকে মসীহ্‌(সংস্কারক),ইমাম মাহাদি, প্রত্যাবর্তনকারী যীশু মনে করে থাকে। কিন্তু মুলধারার মুসলিমরা এটা মানতে নারায। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানি সরকার আহ্‌মদিয়াদের অমুসলিম হিসাবে ঘোষণা করে।

মূলধারার মুস্লিমদের সাথে পার্থক্য সমূহ ঃ

আহ্‌মদিয়া মুসলিম সম্প্রদায় মনে করেঃ

১। যীশু কুমারী মেরির গর্ভেই জন্ম গ্রহন করেছেন এবং তিনি ক্রশ বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেননি। বরঞ্চ তিনি পূর্ব ইন্ডিয়ায় চলে আসেন ঈসরাঈলের একটি হারানো গোত্র কে খুঁজতে। যীশু এই পৃথিবীতেই ছিলেন এবং এখানেই মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছে কাশ্মীরের "উয আসাফ" এ।

২। যীশু খ্রিস্টর/ হযরত ঈসা (আঃ) দ্বিতীয় আগমন কথাটি রূপক অর্থে ব্যবহৃত। যাকিনা মির্যা গোলাম আহ্‌মেদ এর আগমন এর মাধ্যমে পরিপূর্ণ হয়েছে।

[পাঠক সমীপেঃ ভুল হলে ধরিয়ে দেয়ার অনুরোধ করা গেল]

সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪১
১৬টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×