
শুরুটা ২০০১ সাল ৭ই অক্টোবার । মিডিয়া প্রোপ্যাগান্ডা ওসামা বিন লাদেন আফগানিস্তানে অতএব আফগানদের জন্য নিয়তি লাকি-৭ না হয়ে আনলাকী-৭। লাদেন পাকিস্তানে তা যুদ্ধবাজরা আগেই জানত! কিন্তু উদ্দেশ্য তো তালিবান সরকার হটানো তাই যুদ্ধ ভয়াবহ এক ঢিলে দুই পাখী খতম। লাদেন তালিবান পর্ব শেষ। পরিনতি রক্তাক্ত আফগান।

এরপর ২০০৩ সাল ২০ই মার্চ । এবার ঘাড় ত্যাড়া সাদ্দাম হোসেন। হ্যাঁ ঘাড় ত্যাড়া সাদ্দাম। আমেরিকার কাছে সে ঘাড় ত্যাড়াই কারণ সবাই জানা। আমেরিকার সাথে আপনি ঘাড় ত্যাড়ামি করবেন আর তারা বসে বসে কলা খাবে তা হবে না। পরিনতি করুন। আমেরিকার শক্তি বেশি যুদ্ধবাজ বন্ধু অনেক। তাই আফগান যুদ্ধ না শেষ করেই সাদ্দাম সায়েস্থা করতে নজর দিল ইরাকে। এবার সাদ্দামের ইরাকে আল-কায়দা প্রোপ্যাগান্ডা বিশ্ব মিডিয়াতে। ব্যাস আল- কায়দার সাথে সাদ্দাম খতম।

এখন যুদ্ধ সিরিয়া। শুরু ১৫ই মার্চ ২০১১ কিন্তু তা ছিল অভ্যান্তরীন ভাবে। মোটামুটি আফগান, ইরাক যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধবাজ মিত্ররা কাটিয়ে উঠেছে। এখন ২০১৫ সালে এসে এবার তাদের টার্গেট ব্যয়াদব বাশার আল আসাদ ও তার সরকার; সুত্র সেই জুঙ্গি তবে নাম ভিন্ন, এবার তা-- আই এস এস (ISS)। উপড়ে নিচে সমান তালে মারা হচ্ছে বোমা। পরিনতি অনুমেয় আফগান, ইরাক থেকে আরও খারাপ হবে!

আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি। কিন্তু আমাদের নেতারা কি ভালবাসে? নেতা নেত্রীর ব্যাক্তিগত ইচ্ছা পূরণ আর অন্যের ভাল সহ্য না করতে পারার জন্য মোটামুটি পশ্চিমাদের সাথে ব্যায়াদবি করার জন্য তাদের ব্যাদবি খাতায় নাম উঠেছে নেত্রীর তথা বাংলাদেশের। বাংলাদেশে যুদ্ধ লাগলে ভারত ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তাই হয়ত ভারত চাইবে না যে যুদ্ধবাজ মিত্ররা বাংলাদেশে হামলা করুক। কিন্তু সিংনাল কিন্তু ভিন্ন। আফগান তালেবান সরকার এরকম ভরসা করেছি পাকিস্তানকে নিয়ে। কিন্তু তা কি হয়েছিল, মোটেই না। মোশাররফ সরকার তার দেশের উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা শক্তি বাড়ানোর জন্য আমেরিকার কাছ থেকে যে অর্থ গ্রহণ করেছিল তা কে না জানে। আমেরিকা সব সময় ভারত- পাকিস্তান কে ব্যলেঞ্চে করে চলে। তার প্রমাণ অনেক আছে। তাই বলি কী আমাদের পররাষ্ট্র নীতি আছে যে, “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে শত্রুতা নয়” সেই নীতি মেনে চলি।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




