ঠক ঠক ঠক
দরজা খোল... ঠঅঅঅঅঅক ঠঅঅঅঅঅক ঠঅঅঅঅঅঅক ঠঅঅঅঅক
দারওাজা খোল
এই তুমি যেওনা...পাচ বছরের ছোট্ট মিনহাজকে জড়িয়ে ধরে শাহানার ফ্যাকাসে মুখ তাকিয়ে আছে স্বামীর দিকে।
কর্ণেল তানজিল কখনো ভয় কি জিনিষ চোখে দেখেননি। দুর্গম পাহাড়ী জঙ্গলেও তিনি দাপিয়েছেন নির্ভীক।
কিছুক্ষন আগে তার সহকর্মী কর্ণেল খালিদ এর সতর্কবার্তা পেয়েছেন তিনি, ওয়াকিটকিতে তার সাথেই শেষ কথা বলে নেন কর্ণেল খালিদ।
তানজিল ডু ইউ হেয়ার মি? আই রিপিট ডু ইউ হেয়ার মি?
ইয়েস, খালিদ ভয়েস রিসিভড
এন আননোন অকারেন্স হেল্ড ইন দরবার হল, কিপ ইউরসেল্ফ এন্ড ইউর ফ্যামিলি সেফ। হারিআপ
ভয়েস রিসিভড, খালিদ আর ইউ ইন সেফ?
ইয়েস টিল নাউ
সালেকো মার দো। আচ্ছা স্যার
অফিসার খাতাম...
খালিদ ডু ইউ হেয়ার মি?? খালিদ ,খালিদ আর ইউ ওকে?
নিথর পরে থাকা দেহটার পাশে পরে থাকা ওয়াকিটাকিটার যান্ত্রিক কথাগুলো আর কেউ শুনছেনা।
কর্ণেল তানজিল শান্তমুখে স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বললেন শাহানা কিপ হিম এন্ড ইউরসেল্ফ সেফ, ভয় পেওনা ওরা আমার কিচ্ছু করবেনা তোমরা ভিতরে যাও।
স্বভাবসুলভ অফিসারের মতই তিনি দরজা খুলে বললেন
হোয়াট হ্যাপেন্ড? হোয়াই আর ইউ মেক ডিস্টার্ব
পিছন থেকে এক জওয়ান এসে বলল স্যার আপনাকে আমাদের সাথে যেতে হবে।
হোয়াই হু কল মি?
স্যার আই কান্ট সে। ইউ হ্যাব টু গো
হু আর ইউ মেক এন অর্ডার অন মি?
বাত মাত কারো চলো সাথ
এইবার জীবনে প্রথমবারের মত বিপদের সামনে পড়ে ভড়কে গেলেন কর্ণেল তানজিল। হাত চলে গেল কোমড়ের গান বেল্টে।
ঠুওস
কপাল থেকে গড়িয়ে পড়ছে রক্তের স্রোত ।
পর্দার ফাক থেকে শাহানা অবাক চেয়ে রইলেন, কখনো আর কাউকে বলতে পারেন না সেইদিনের ঘটনা শুধু তাকিয়ে থাকেন।
#১৫ বছর পর
২৫ শে ফেব্রুয়ারী মায়ের সামনে দাড়িয়ে ল্যাফটেনেন্ট মিনহাজ।অবাক চোখে শাহানা তাকিয়ে দেখেন ছেলেকে আর চোখ থেকে অশ্রুর নির্মল আনন্দ।
মাথায় হাত বুলিয়ে হাতটা শক্ত করে বুকের সাথে বেধে দেন। আর ইশারা করেন দেয়ালে ঝুলতে থাকা এক শহীদ বীর সেনার দৃপ্ত চেহারার দিকে।
হাসি মুখে বাবার দিকে তাকায় ল্যাফটেনেন্ট মিনহাজ। বাবাকে মনে মনে বলে বাবা আমি ভয় পাইনা সেদিনও পাইনি।
পতাকার বৃত্ত আজ আরও গাড় লাল...