somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উইলিয়াম ওডারল্যান্ড (বীর প্রতিক) - বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আগামী ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের ৪০ তম বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানীদের আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের । ১৯৭১ সালের সে বিজয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছিলেন যে বিদেশীর মনিষীরা আসুন আরো একবার শ্রদ্ধাভরে স্মরন করি তাদের।
ওডারল্যান্ড হলেন একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত বিদেশী যোদ্ধা । ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করেছেন হানাদার পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে।

১৯১৭ সালে নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে জন্ম নেন ওডারল্যান্ড। বাটা জুতা কোম্পানী’র চাকুরি ছেড়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। সেই বাটা সু কোম্পানী’র প্রোডাকশান ম্যানেজারের চাকুরি নিয়ে বাংলাদেশে আসেন ১৯৭০ সালে। অল্প কয়েকদিনপর জেনারেল ম্যানেজারের দায়িত্ব পান। ৭১’এর গনহত্যা, পাকিস্তানীদের ধ্বংশযজ্ঞ জাগিয়ে তোলে ওডারল্যান্ডের সৈনিক মনকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গেরিলা যুদ্ধের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ব্যাবস্থা করেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষনের। তিনি তার ডাইরীতে লিখেন "I recollected and resumed in myself the experiences of my youth in Europe, and I felt that I should get the world informed of what was happening in Bangladesh".

মুক্তিযোদ্ধাদের নিজের টঙ্গী’র বাসায় আশ্রয় দিতে নিজের পরিবারকে দেশে পাঠিয়ে দেন। বাটা সু কোম্পানীর টঙ্গী ফ্যাক্টরীর ভিতরেই মুক্তি যোদ্ধাদের ট্রেনিং এর ব্যাবস্থা করেন। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস থেকেছেন বাংলাদেশে। বিদেশী হিসেবে বহুজাতিক কোম্পানীর শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে তার গতিবিধি ছিল অনেকটাই অবাধ। জেনারেল টিক্কা খান, জেনারেল নিয়াজির সাথে ব্যাক্তিগত বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। সেনানিবাসে তার প্রবেশাধিকার ছিল। পাকিস্তানীদের গনহত্যা, লুটপাট, জ্বালানো পোড়ানোর ছবি পৌছে দিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। পাকিস্তানীদের চলাচলের খবরখবর পৌছে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নগদ আর্থিক সহায়তা থেকে শুরু করে সব ধরনের সাহায্য করে গেছেন যুদ্ধের শেষ দিন পর্যন্ত। মুক্তি বাহিনী’র ২নং সেক্টরের গেরিলাযোদ্ধা ছিলেন তিনি।
১৯৭৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে থেকেছেন ওডারল্যান্ড। চাকুরি থেকে অবসর নিয়ে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন অস্ট্রেলিয়া’র পার্থ নগরীতে। ১৮ই মে ২০০১ সালে মৃত্যবরন করেন ওডার ল্যান্ড। তিনি তার একমাত্র মেয়েকে বলতেন " Bangladesh Mon amor"- বাংলাদেশ আমার ভালোবাসা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৪
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×