somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে মানবদেহে রুহ ও আত্মার ইতিকথা(দ্বিতীয় পর্ব)

১১ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাইবেল কোরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে মানবদেহে রুহ ও আত্মার ইতিকথা
In the light of the Bible Quran and Science The story of Spirit and Soul in human body

প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন--প্রথম পর্ব


(দ্বিতীয় পর্ব)

হৃদপিন্ড (হৃদয় -HEART):-

The heart is a conical hollow muscular organ situated in the middle mediastinum. It is enclosed within the pericardium.It pums blood to various parts of the body to meet their nutrives requirements.(৬)

An average adult heart is about 12 cm(5 inches) base to apex, 8-9 cm(3.5 inches) transversely at its broads and 6 cm(2.5 inches) anterroposterriorly. Its weight, in male varies from 280-340 g (average 300 g), in femels, from 230-280 g (average 250 g.(৭)

“আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। তোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তিনি তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্য পুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননি। এগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্র। আল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেন।“
Allâh has not made for any man two hearts inside his (one) body; nor has He made your wives whom you divorce by Zihar your mothers[Az¬Zihâr is the saying of a husband to his wife, “You are to me like the back of my mother” i.e. You are unlawful for me to approach.]; nor has He made your adopted sons your real sons.Such is (only) your (manner of) speech by your mouths. But Allâh says the truth, and He guides to the (Right) Way.
-[সূরা আহযাব ৩৩/৪]।
আয়াতে বলা হচ্ছে-
» (সৃষ্টি করেন নাই)
» ("রিজাল" অর্থাৎ মানুষ বা পুরুষ লোকের।মানুষ= man, male, boy, bloke ইত্যাদি)।
» (দুইটি হৃদয় বা HEART)
» (অভ্যন্তরে-শরীরের ভিতরে বা মধ্যে)
অর্থাৎ আল্লাহ কোন মানুষের (man-পুরুষের) শরীরের ভিতরে দুটি হার্ট দেন নি বা দুটি হৃদয় স্থাপন করেননি। দুটি হার্ট তিনি নারীর শরীরে দিয়েছেন।কারণ আল্লাহ নারীকে গর্ভবতী হবার ক্ষমতা দিয়েছেন। আর নারী যদি গর্ভবতী হন তবে নারীর ভিতরে দুটি হৃদয় থাকে একটা তার এবং অন্যটা বাচ্চার ।

মানব ভ্রুণীয় (embryonic) হৃৎপিন্ড স্পন্দন শুরু করে-- গর্ভধারণের প্রায় ২১ দিন পরে, অথবা সর্বশেষ স্বাভাবিক ঋতুস্রাবের (menestrual period) পাঁচ সপ্তাহ পরে (LMP), যা সাধারণত গর্ভধারণের সময় কাল নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়। মানব হৃৎপিন্ড মায়ের হৃৎ-স্পন্দন হারের কাছাকাছি হারে প্রথমে স্পন্দিত হতে থাকে, যা প্রায় ৭৫-৮০ স্পন্দন/মিনিট (BPM)। মৃত্যর পৃর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত হৃৎপিন্ডের এ স্পন্দন ক্রিয়া অবিরত চলতে থাকে।(৮)

ধরুন কাকেও তার সাজা হিসাবে শাস্তি দিয়ে বলা হল, তোমাকে এখন থেকে বিরামহীন ভাবে ২৪ ঘন্টা আজীবন এক হাতের মুষ্ঠি প্রতি মিনিটে ৭২ বার করে একবার খুলবে ও একবার চেপে ধরবে।এর মধ্যেই তোমার জীবন নিহিত রয়েছে। তুমি যখনি এটা বন্ধ করে দিবে সাথে সাথে তোমার মৃত্যু ঘটানো হবে।সে কখনোই দীর্ঘক্ষন এটা করতে পারবে না। কারন তার হাতের বা শরীরের মাংস পেশী এমন ভাবে সৃষ্ট যে এই কাজটি করতে করতে তার হাতের মাংস পেশী ও মস্তিস্ক কিছক্ষন পর ক্লান্ত হয়ে পড়বে। তখন তাকে কাজ বন্ধ দিতে হবে। কিন্তু হৃদপিন্ডের মানুষের মৃত্যর পৃর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত দিবা রাত্র কখনোই এক মুহূর্ত বিশ্রাম নাই।আমাদের বাঁচিয়ে রাখার জন্য একে অনবরত কাজ চালিয়ে যেতে হয়।(৯)

মানুষের হাতের বা শরীরের মাংস পেশী যেটি করতে পারে না সেখানে মানুষের শরীরেরই অভ্যন্তরের হৃদপিন্ড কিভাবে করে?কারণ হৃদপিন্ডের মাংস পেশী(CARDIAC MUSCLE) আর শরীরের অন্য জায়গার মাংস পেশীর গঠন এক নয়। হৃদপিন্ডের সংকোচন ও সম্প্রসারন মানব মস্তিস্ক করে না।সেই জন্য হৃদপিন্ডের এই সংকোচন-সম্প্রসারন করার বৈদ্যুতিক শক্তিটা মস্তিস্ক হইতে সরবরাহ হয় না। হৃপিন্ডের এই সংকোচন ও সম্প্রসারনের কাজ চালাবার জন্য তার নিজস্ব অত্যন্ত শক্তিশালী ও স্থিতিশীল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র(GENERATOR)রয়েছে। যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে SINO ATRIAL NODE (SA) বলে। এটা হৃদপিন্ডের ডান পার্শের উপরি প্রকোষ্ঠের উপরি অংশে (ঊর্ধ্ব মহাধমনীর -Superior Vena Cava) অবস্থিত। এটা একটা জীবন্ত অথচ অত্যন্ত শক্তিশালী ব্যাটারী। যা সারা জীবন অনবরত ভাবে হৃদপিন্ডকে বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম করে তৈরী। এটি হৃদপিন্ডের মাংসপেশীকে সঠিক ও নিয়মিত ভাবে বিদ্যুত সরবাহ করার মাধ্যমে হৃদপিন্ডকে সঠিক ভাবে পরিচালচনা করছে। একই সংগে এই বিদ্যৎ আমাদের শরীরেও ছড়িয়ে পড়ছে।আর ELECTRO CARDIOGRAPH, (ECG) মেসিন দ্বারা এই বিদ্যুৎ প্রবাহের ধরন DETECT করে চিকিৎসকগণ হৃদ পিন্ডের রোগ নির্ণয় করে থাকেন।(১০)

(১১) চিত্র- হৃদপিন্ডের ডান অলিন্দের উপরি অংশে হৃদপিন্ডের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র (GENERATOR) SA NODE এবং উপকেন্দ্র AV NODE ও বিদ্যুত প্রবাহের তার সমূহ A-V BUNDLE BRANCH, LEFT BUNDLE BRANCH,RT BUNDLE BRANCH, PURKINJI FIBERS সমগ্র হৃদপিন্ডের প্রতিটা মাংস পেশীর মধ্যে বিদ্যুৎ প্রবাহের তার হিসাবে ব্যবহৃত হয়।SA NODE বিদ্যুৎ উৎপাদন করে AV NODE কে উত্তেজিত করে দেয়। তখন AV NODE, AV BUNDLE এর মধ্য দিয়ে LEFT BUNDLE BRANCH,RT BUNDLE BRANCH ও PURKINJI FIBERS এর মধ্য দিয়ে হৃদপিন্ডের প্রতিটা মাংস পেশীতে বিদ্যুৎ পাঠিয়ে দেয়।

বেঁচে থাকার জন্য আমাদের দেহের প্রতিটা কোষের অক্সিজেন প্রয়োজন, আর একই সংগে প্রতিটা কোষে উৎপাদিত কার্বন ডাই অক্সাইড পরিত্যাগ করারও প্রয়োজন। কিন্তু মানবদেহের কোষ গুলী বায়ুমন্ডল হতে সরাসরি অক্সিজেন গ্রহন করতে ও বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড পরিত্যাগ করতে সক্ষম নয়। হৃদপিন্ড্ এই কাজটি রক্ত সষ্ণালন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে করে থাকে।হৃদপিন্ড একটা নিছক পাম্প মেসিন মাত্র আর রক্ত হল আমাদের দেহের জ্বালানি স্বরূপ।মানব হৃদপিন্ড ৪টি মূল প্রকোষ্ঠে বিভক্ত, ডান অলিন্দ ও ডান নিলয় এবং বাম অলিন্দ ও বাম নিলয়।হৃদপিন্ডের ডান অংশের কাজ হলো পুরো দেহ হতে অক্সিজেন-শূন্য দুষিত(CO2 মিশ্রিত) রক্ত সংগ্রহ করে ডান অলিন্দে সংগ্রহ করা এবং ডান নিলয়ের মাধ্যমে তা পাম্প করে ফুসফুসে প্রেরণ করা যাতে কার্বন ডাই-অক্সাইড রক্ত হতে নিষ্কাশিত এবং অক্সিজেন যুক্ত হতে পারে।হৃদপিন্ডের বাম অংশ অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত ফুসফুস হতে বাম অলিন্দে গ্রহণ করে। বাম অলিন্দ হতে রক্ত বাম নিলয়ে স্থানান্তরিত হয় এবং সারা দেহে সঞ্চারিত হয়।

“আল্লাহ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। আসমান ও যমীনে যা কিছু রয়েছে, সবই তাঁর। কে সে,যে তার অনুমতি ছাড়া তার নিকট সুপারিশ করবে? দৃষ্টির সামনে কিংবা পিছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।যা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ব করতে পারে না।তাঁর ‘কুরসী’(সিংহাসন)সমস্ত আসমান ও যমীনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর সেগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ তাকে ক্লান্ত করে না। তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বাপেক্ষা মহান।”
Allâh! Lâ ilâha illa Huwa (none has the right to be worshipped but He), the Ever Living, the One Who sustains and protects all that exists. Neither slumber, nor sleep overtake Him. To Him belongs whatever is in the heavens and whatever is on earth. Who is he that can intercede with Him except with His Permission? He knows what happens to them (His creatures) in this world, and what will happen to them in the Hereafter . And they will never compass anything of His Knowledge except that which He wills.His Kursî extends over the heavens and the earth, and He feels no fatigue in guarding and preserving them. And He is the Most High, the Most Great. [This Verse 2:255 is called Ayat-ul-Kursî.]—
--[ সুরা বাকারা ২/২৫৫ ]।

উপরে কোরানের আয়াত থেকে বোঝা যায় আল্লাহ হ’ল চিরঞ্জীব।তাঁকে তন্দ্রা স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়। তাহলে মানবদেহে ফুৎকারিত রূহের তন্দ্রা -নিদ্রা বা ক্লান্তিবোধ থাকার কথা নয়। কেননা মানবদেহে ফুৎকারিত রূহ আল্লাহর পক্ষ হইতেই সঞ্চারিত এবং তা আল্লাহর রুহেরই কিছু অংশ-breathed into him something of His spirit-[সুরা সাজদা- ৩২/৯]।

মানুষের হৃদপিন্ড একটি স্বয়ংক্রিয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র।এটি সার্বক্ষণিক পাম্প করে দেহের রক্ত সরবরাহ ব্যবস্থা সচল রাখে।যার কোন তন্দ্রা -নিদ্রা বা ক্লান্তিবোধ কিছুই নেই।সাইনো এট্রিয়াল নোড (Sinoatrial Node) বা এসএ নোড (SA Node)হ’ল এর ইলেক্ট্রনিক শক্তির আধার।তাহলে কি এখানেই রূহের অবস্থান?এসএ নোড নামক স্বয়ংক্রিয় জেনারেটরটি বন্ধ হয়ে গেলেই কি মানুষ মারা যা্চ্ছে?

কিন্তু বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা।কোনো কারণে এসএ নোড (SA Node) ফেল করলেই মানুষ মারা যায় না। এসএ নোড অচল হয়ে গেলে এভি নোড( AV NODE)নামক যে সাব স্টেশনটি রয়েছে সেটি তাৎক্ষণিক চালু হয়ে বৈদ্যুতিক ইমপাল্স তৈরি করা শুরু করে হৃদযন্ত্রকে সচল রাখে। এর ক্ষমতা এসএ নোডের মত না হলেও হঠাৎ বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। এভি নোডের ইমপাল্স উৎপাদন ক্ষমতা মিনিটে ৪০ থেকে ৬০ বার, যা হৃদযন্ত্রের আপাতঃ সুরক্ষার জন্য যথেষ্ট হলেও দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে যথেষ্ট নয়।

কোন কারণে এভি নোড অকার্যকর হয়ে গেলেও সাথে সাথে মানুষ মারা যায় না। তখন বান্ডেল অব হিজ( Bundle of Hiss)নামে যে সঞ্চালন লাইনটি রয়েছে সেখান থেকেই মিনিটে ২০-৩০ বার ইমপাল্স তৈরি শুরু হয়ে হার্টকে সচল রাখতে সচেষ্ট হবে। শুধু তাই নয়, এই সব ব্যবস্থা অচল হয়ে গেলে হার্ট মাস্ল নিজেই অনিয়মিতভাবে কিছু কিছু ইমপাল্স তৈরি করে হার্টের কাজ চালিয়ে নিতে সচেষ্ট হয়।

আচ্ছা ভাবুনতো এমন যদি হয় একসাথে সবগুলো স্টেশন ইমপাল্স উৎপাদন শুরু করে দিল, তখন একটা বিতিকিচ্ছিরি ব্যাপার হয়ে যাবে না কি?তেমনটি হবার উপায় নেই। কারণ হার্টের কাজের ব্যাপারে চেইন অব কমান্ড (Chain of Command) খুব সুন্দরভাবে পালিত হয়। সুতরাং এসএ নোড চালু থাকা অবস্থায় এভি নোড মোটেও কোনো হঠকারী কিছু করবে না, অর্থাৎ সে ইমপাল্স জেনারেট করার ব্যাপারে নিস্ক্রিয় থাকবে। তেমনি ছোট ছোট অন্যান্য ইমপাল্স উৎপাদনকারী (Impulse Generating) যন্ত্রগুলো তাদের ঊর্ধ্বতন স্টেশনের কার্যকালে একইভাবে নিস্ক্রিয় থাকে। তারা সচল হয় শুধুমাত্র তাদের ঊর্ধ্বতন কেন্দ্র থেকে ইমপাল্স উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে তবেই।

তাহলে সর্বোচ্চ পাওয়ার স্টেশন এসএ নোড বন্ধ হয়ে গেলে কি মানবদেহের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই?বিষয়টি ঠিক সেরকমও নয়। ধরুন এসএ নোড বন্ধ হয়ে গেল, এখন হার্ট চলতে থাকবে এভি নোড কর্তৃক উৎপাদিত ইমপাল্স দ্বারা, যার ক্ষমতা মিনিটে সর্বোচ্চ ৫০। এমতাবস্থায় হার্ট হয়তো আপাতত কাজ চালিয়ে নিতে পারবে, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে কিংবা বিশেষ অবস্থায় যখন অতিরিক্ত রক্ত সরবরাহ প্রয়োজন তখন সে সেটা পূরণ করতে পারবে না। তাই ক্রমেই এই ইমপাল্স উৎপাদন কেন্দ্রটি দুর্বল হয়ে যেতে থাকবে তাছাড়া প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটাতে না পারায় দেহে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে থাকবে, যাকে বলা হয় হার্ট ফেইলিউর (Heart Failure)। তেমনি অন্যান্য ছোট ছোট কেন্দ্রগুলো যেমন বান্ডেল অব হিজ (Bundle of Hiss) অথবা হার্টের অন্য কোনো ফোকাস থেকে উৎপাদিত ইমপাল্স খুব জরুরি মুহূর্তে হয়তো হঠাৎ মৃত্যু রোধ করতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম, কিন্তু তা দিয়ে জীবন চালানো সম্ভব নয়। কোনো কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তখন উপায়?তেমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা হিসেবে হার্টে কৃত্রিম ইমপাল্স উৎপাদক যন্ত্র স্থাপন করাই হচ্ছে একমাত্র চিকিৎসা।যন্ত্রটির নাম ‘পেসমেকার(Press Maker)’।

চিত্রে চামড়ার নিচে বসানো ‘পেসমেকার(Press Maker)’ যন্ত্র(১২)
হার্টে কৃত্রিম ইমপাল্স উৎপাদক যন্ত্র স্থাপন হার্ট ফেইলিউর রোগের একমাত্র চিকিৎসা।অথচ এই পেসমেকার কিন্তু ব্যাটারী চালিত একটি দীর্ঘ মেয়াদি ইমপাল্স উৎপাদক জেনারেটর ছাড়া আর কিছুই নয়।আপনার বাড়ীর পাশের কাউকেই এই পেসমেকার যন্ত্র লাগিয়ে বেঁচে থাকতে দেখবেন। কৃত্রিম এই যন্ত্রটি বুকের চামড়ার নিচে ছোট্ট একটি অপারেশনের মাধ্যমে বসিয়ে দিয়ে তার থেকে সঞ্চালন লাইন বা বৈদ্যুতিক লিড এনে রক্তনালীর ভিতর দিয়ে হার্টের প্রকোষ্টে পৌঁছে দেয়া হয়। তখন দেহের চাহিদা অনুযায়ী এই যন্ত্রটি বৈদ্যুতিক ইমপাল্স তৈরি করে এবং সে অনুযায়ী হৃদযন্ত্র তার কাজ চালিয়ে যায়।(১৩)

বাইপাস ও ওপেন হার্ট সার্জারিঃ-বাইপাস অপারেশ আর ওপেন হার্ট সার্জারি কথাটি সমার্থক নয়। হার্টের ভাল্বের রোগ, রক্তনালির রোগ, হার্টের মাংসপেশির রোগ, শিশুর জন্মগত হদরোগ এসব ক্ষেত্রে ওপেন হার্ট সার্জারির প্রয়োজন হয়। আর বাইপাস সার্জারি হলো করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারি (সিএবিজি সার্জারি)। বাইপাস অপারেশন হার্ট স্পন্দিত অবস্থায় বা বিটিং হার্টে করা যায়। এটিকে অপক্যাব সার্জারি বলে। বর্তমানে উন্নত বিশ্বে হৃৎস্পন্দন বন্ধ করেই বেশিরভাগ সিএবিজি সার্জারি করা হয়। ওপেন হার্ট সার্জারিতে হার্ট পুরোপুরি থামিয়ে দেওয়া হয় এবং অপারেশনকালে হার্ট-লাং মেশিন হার্ট ও ফুসফুসের কাজ চালিয়ে নেয়।(১৪)

হার্ট-লাং মেশিন (Heart-Lung machine)(১৫)

উপরোক্ত আলোচনা ও চিত্রের মাধ্যমে বোঝা যায়, হার্ট পুরোপুরি থামিয়ে দিয়ে হার্ট-লাং মেশিন দিয়ে হার্ট ও ফুসফুসের কাজ চালিয়ে নেয়া যায়। তাহলে হার্ট থামিয়ে দিয়ে রুহকে থেমে যাওয়া হার্টে আটকিয়ে রেখে কি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব?

১৮ ডিসেম্বর বুধবার, ২০১৩ প্যারিসের জর্জ পমপাইদো হসপিটালে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ৭৫ বছর বয়সী এক ফরাসির হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপন করে কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড লাগানো হয়। ফ্রান্সের চিকিৎসকরা হৃদরোগীদের এই বলে সুখবর দিয়েছিলেন যে প্রতিস্থাপিত কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডেই মানুষ বেঁচে থাকতে পারবে কমপক্ষে ৫ বছর।

French heart transplant specialist Alain Carpentier presents a prototype of the world's first fully implantable artificial heart. Photo: AP(১৬)

French Social Affairs and Health Minister Marisol Touraine, left, and Alain Carpentier, surgeon and Carmat co-founder attend a news conference at the Georges Pompidou European Hospital in Paris(১৭)

বিশ্বে প্রথম ‘মৃত’ হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনঃ-

কেবল কৃত্রিম হৃৎপিণ্ডের কথা কেন বলছি শুধু চিকিৎসা বিজ্ঞানেই নয় বিশ্বে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির হৃদপিন্ড জীবিত ব্যক্তির শরীরে স্হাপন করে অষ্ট্রেলিয়ার শল্যচিকিৎকরা বিস্ময়ের সৃষ্টি করে ফেলেছেন।



অস্ট্রেলীয় গবেষকরা জানান,দাতার হার্ট তার মৃত্যুর পর ২০ মিনিটের মধ্যেই সংগ্রহ করে ‘প্রিজারভেশন ফ্লুইড’ ব্যবহার করে পুনরুজ্জীবিত করা হয়। পরে তা সফলভাবে হৃদযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাওয়া রোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।

ছবি-দ্য টেলিগ্রাফ The first patient to have the surgery was Michelle Gribilas. The 57-year-old, who was suffering from congenital heart failure and had surgery about two months ago, said the operation had transformed her life. “I was very sick before I had it,” she said. “Now I’m a different person altogether. I feel like I’m 40 years old. I’m very lucky.” -theguardian.

Mr Daniele, 57, suffered a heart attack 17 years ago and afterwards was diagnosed with cardiomyopathy, a condition in which the heart muscle ¬becomes inflamed and ¬enlarged. He had a defibrillator placed in his chest to treat his irregular heartbeat.

###“From the beginning of the year I was deteriorating,” he said.

###“My defibrillator never went off for eight years and then in May it was going off all the time. I was fainting and collapsing and at one stage I had a mild stroke.###“

”I was in hospital basically every two weeks. I couldn’t walk very far — only 10 or 15m — without feeling out of breath and quite tired. I couldn’t basically do anything.”

Tony Daniel,pictured with his family, is the third recipient of the ‘heart in a box’ transplant at St Vincent’s Hospital- ছবি-দ্য টেলিগ্রাফ

Mr Daniele was put on the priority list for transplants and said he could feel his body shutting down.

Four weeks ago he got a phone call asking him to come to St Vincent’s and he spent eight hours in surgery.
His emotional wife Nancy said the family was so grateful to the donor and they would love to see a system where people opted out of donating, rather than the current system.

”It all boils down to if there was no donor — there would be no heart — so we are so thankful to the family and the person who donated all his organs,” she said.

Mr Daniele said he was looking forward to travelling, spending time with his family, including his recently married children and being more active.—The Daily Telegraph.

এ প্রক্রিয়ায় হৃদযন্ত্রটি মৃত ব্যক্তির দেহ থেকে তুলে নিয়ে তা একটি শীতল স্থানে (কনসোল) রাখা হয়। সেখানে হৃদযন্ত্রটির সঙ্গে রক্তের সংযোগ দেওয়া হয় এবং তাতে অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তখন হৃদযন্ত্রটি আস্তে আস্তে পুনরায় স্পন্দন শুরু করে। এরপর হৃদযন্ত্রটি একটি উষ্ণ স্থানে রাখা হয়। পরে তা আবারও একটি কনসোলে রেখে তাতে সংরক্ষণ দ্রবণ (প্রিজারভেশন সলিউশন বা ফ্লুইড) দেওয়া হয়।এর পর সময়মতো হৃদরোগীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।

The team of doctors involved in the world's first "dead heart transplant" at St Vincent's Hospital in Sydney. ছবি-দ্য টেলিগ্রাফ

Prof Peter MacDonald, head of St Vincent's heart transplant unit, said: "This breakthrough represents a major inroad to reducing the shortage of donor organs."--BBC HEART TRANSPLANT HISTORYThe first Australian heart transplant was performed in 1968 at St Vincent’s Hospital in Sydney Heart transplants have been performed regularly in Australia since 1984 At 14, Fiona Coote become the youngest Australian to undergo a heart transplant after falling gravely ill from viral-induced tonsillitis. She is now 44.- দ্য টেলিগ্রাফ

নকল হৃদযন্ত্র নিয়ে ৫৫৫ দিনের স্বাভাবিক জীবন

কৃত্রিম হৃদয় নিয়ে ৫শ ৫৫ দিন কাটিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ২৫ বছর বয়সী তরুণ স্ট্যান লারকিন। সম্প্রতি সফলভাবে তার হার্ট প্রতিস্থাপন হয়েছে। তার আগ পর্যন্ত নকল হার্টের ভরসায় টিকে ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে লারকিন ও তার ভাই ডমিনিকের শরীরে হৃদযন্ত্র অচল করা রোগ এ-আর-ভি-ডি ধরা পড়ে। সে বছরই মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্র্যাঙ্কেল হৃদকেন্দ্র দুই ভাইয়ের শরীরে কৃত্রিম হৃদয় সচলকারী যন্ত্র- সিনকার্ডিয়া বসিয়ে দেয়। রোগিকে হাসপাতালে শুয়ে থাকা থেকে রেহাই দিতে অস্ত্রপচারের আগ পর্যন্ত এই যন্ত্রটি ব্যবহার করতে হয়। লারকিন এই নকল হৃদয় নিয়ে স্বাভাবিক চলাফেরার পাশাপাশি বাস্কেটবল খেলাও চালিয়ে গেছেন।অবশেষে এক ব্যক্তি লারকিনকে তার হৃদপিণ্ড দান করে গেলে সফল প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়। দেড় বছর পর সিনকার্ডিয়া বহন করা থেকে মুক্তি মেলে লারকিনের। ছোট ভাই ডমিনিকের অস্ত্রপচার তার আগেই সম্পন্ন হয়েছিলো।

(১৮)

ব্রিটেনের এই মহিলা পিঠে করে বয়ে বেড়াচ্ছেন নিজের হৃদপিণ্ড

৩৯ বছর বয়সী ব্রিটেনের বাসিন্দা সেলওয়া হুসেন কৃত্রিম হৃদপিণ্ড নিয়েই জীবনযাপন করছেন। আর পিঠেতে ঝোলানো রয়েছে সেই হৃদপিণ্ডকে সচল রাখার মোটর।


ছয় মাস আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন সেলওয়া। চিকিত্সকরা জানিয়েছিলেন, হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন করতে হবে। সে সময় কোনও ডোনার না পাওয়ায় কৃত্রিম হৃদপিণ্ড বসানো হয় সেলওয়ার বুকে। আর সেই যন্ত্রকে সচল রাখতে বাইরে থেকে ব্যাটারি চালিত একটি মোটর যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থাতেই সেলওয়া এখন সুস্থ রয়েছেন। তবে, সব জায়গায় ওই মোটরের ব্যাগ পিঠে করে বয়ে বেড়াতে হয় সেলওয়াকে। যদিও সেলওয়া একা নন, ডোনার না পাওয়ায় এভাবেই জীবন কাটাতে হয় ব্রিটেনের অনেক মানুষকেই।
কীভাবে কাজ করে ওই কৃত্রিম হৃদপিণ্ড?সেলওয়া জানিয়েছেন, কৃত্রিম হৃদপিণ্ডকে সচল রাখতে দুই সেট ব্যাটারিও সব সময় বহন করতে হয় তাঁকে। একটি ব্যাটারির চার্জ শেষ হলেই অন্যটি স্ট্যান্ড বাই হিসাবে কাজ করে। এই অবস্থাতেই বর্তমানে সব রকম কাজ করেন সেলওয়া। সেলওয়ার পাঁচ বছরে একটি ছেলে এবং দেড় বছরে মেয়ে রয়েছে। তারা অবশ্য সম্পূর্ণ সুস্থ। তাদের দেখাশুনা এবং সংসারে সব দায়িত্বই পালন করেন সেলওয়া।

How the incredible device works: The two large plastic tubes connected to the backpack enter her body through her tummy button and travel up to her chest. They then fill two balloons inside her chest cavity with air, which work like the chambers of a real heart to push blood round her body(১৯)

Selwa Hussain, a 39-year-old mother-of-two has recently undergone a life-saving operation so radical that she now, in effect, carries her heart around in a rucksack. She is the second person to go home with an artificial hear.

কিন্তু এমন কৃত্রিম হৃদপিণ্ডের দাম কত?প্ল্যাস্টিকের তৈরি এই হৃদপিণ্ডের দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭৮ লক্ষ টাকা। আমেরিকায় তৈরি ওই হৃদপিণ্ডটিকে ৬ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারে দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয় তাঁর শরীরে, জানিয়েছেন সেলওয়া।

(চলবে)

তথ্য সূত্রঃ
(৬) BD Chaurasia’s Human Anatomy Volume 1(Fifth Edition. page 243)
(৭) Gray’s Anatomy page 700(Angiology-Cardiac Size, Shape & External Features
(৮) হৃৎপিন্ড(উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে-এ পৃষ্ঠায় শেষ পরিবর্তন হয়েছিল ২২:৪৭টার সময়, ২৩ মার্চ ২০১৭ তারিখে)হৃৎপিন্ড
(৯) হৃদপিন্ড কী?হৃদপিন্ড কী ভাবে কাজ করে? পর্ব-৩৩(২) ,প্রকাশ সেপ্টেম্বর ১৪,২০১৪।হৃদপিন্ড কী?হৃদপিন্ড কী ভাবে কাজ করে? পর্ব-৩৩(২)
(১০) Cardiac Conduction System and Understanding ECG, Animation. & ElectrocardiographCardiac Conduction System and Understanding ECG, Animation. & Electrocardiograph
(১১) Atrioventricular (AV) node Atrioventricular (AV) node
(১২) Heart pacemaker - discharge
(১৩) হার্ট চলে বিদ্যুতে -সময়ের বিবর্তন, প্রকাশ ১৪-০৯-২০১৪ লেখক: ডাঃ মোঃ বজলুল করিম চৌধুরী, এমবিবিএস, এম ফিল, পিএইচ ডি, সহযোগী অধ্যাপক, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ।হার্ট চলে বিদ্যুতে
(১৪) হার্টের চিকিৎসায় বাইপাস সার্জারি -লেখক অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান মিলন, বিভাগীয় প্রধান, কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগ, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।দৈনিক আমাদের সময় ২২ মে ২০১৬হার্টের চিকিৎসায় বাইপাস সার্জারি
(১৫)হার্ট-লাং মেশিন (Heart-Lung machine)
(১৬) France implants its first artificial heart, Surgeons perform pioneering new surgery to give man an implant- By Peter Allen, Paris,12:50PM GMT 21 Dec 2013France implants its first artificial heart Surgeons perform pioneering new surgery to give man an implant
(১৭) Man gets the world's first artificial heart: French surgeons perform ground-breaking operation
(১৮) Man lives 555 days without a heart-By Jacqueline Howard, CNN, Updated 2048 GMT (0448 HKT) June 10, 2016 Man lives 555 days without a heart
(১৯) Britain's only woman to carry her heart in a backpack: Amazing £86,000 device that keeps this mother alive,By Martin Halle For The Mail On Sunday, Published: 22:00 BST, 30 December 2017 | Updated: 01:53 BST, 31 December 2017Britain's only woman to carry her heart in a backpack: Amazing £86,000 device that keeps this mother alive
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×