somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বন্ধু বাসন্তী (১৮+)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিভাবে কিভাবে যেন এবারের শীতটা কেটে গেলো। পুরো শীতের পুরোটাই এবার শরীরের উপর দিয়ে গেলো। ৮০০০ টাকার শপিং মলের চাকুরীর বেশীর ভাগ এবার ছুটিতেই কাটা যাবে। জানুয়ারির প্রায় শেষ, কয় টাকাই এবার হাতে পাবে। বাসন্তি আজও অফিস যায়নি। শরীরটা কোনভাবেই সায় দিচ্ছে না। সন্ধায় বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে অনেক কিছু আজ মনে পরছে। কলেজ থেকে বাসায় ফেরার পথে প্রচণ্ড ভীরে যখন কোনভাবেই বাসে উঠতে পারছিল না। শক্তিমান পুরুষ দেহ গুলো ঠেলে কোনভাবেই সে বাসের ভিতরে যেতে পারছিল না। অপেক্ষায় একটি দুইটি তিনটি চারটি করে সাতটি বাস চলে গেলো। কিন্তু কোন বাসেই বাসন্তীর জায়গা হল না। নানা রকম দুর্ভাবনায় বাসন্তী চোখ ভিজে এলো, তবে সময়টা সবে সন্ধায়, তবে মাঘের মাঝের দিক বলে কথা। আপনি কোথায় যাবেন? হটাত এই প্রস্নে বাসন্তি কিঞ্চিত আঁতকে উঠলো। পাস ফিরে দেখে এলো চুলে নিরস চেহারার একটি ছেলে। বাসন্তি আমতা আমতা করে বলে, মিরপুর। ছেলেটি কিঞ্চিত উদাশ গলায় বলে, সব বাস, সব পথিক ছুটে চলে মিরপুর, কে জানে ? হেতায় কি সুখ? চলুন তবে মিরপুরই যাই।
পাশের সিটে বসে পুরোটা পথ ছেলেটি নিশ্চুপ। একধরনের আতংকে বাসন্তীর জান প্রায় যায় যায়। সে পথ গুনে, কলাবাগান, ২৭, আসাদগেট......... ধুর পথ কিছুতেই শেষ হয় না...... বাসন্তী কি করবে ভেবে না পেয়ে হটাত মোবাইলের হেডফোন বেড় করে গান শুনতে লাগলো, প্রতিক্ষায় কখন মিরপুর-১ আসে। গান শুনতে শুনতে এক সময় বাস কল্যাণপুর চলে আসলো।বাকা চোখে চেয়ে দেখে আতংকের ওই ছেলেটি গভীর ঘুমে। ছেলেটির দিকে এবার খুব ভালো করে দেখল। না, ছেলেটি মোটেই ভীতিকর চেহারার নয় বরং ক্লান্ত মুখটা দেখলে কেমন জানি মায়া হয়। আহারে দুপুরে ছেলেটি মনে হয় কিছু খায়নি। বাসন্তীর মনটা কেন জানি অনেক খারাপ হয়ে গেলো। এক অসীম মায়া অনুভব করলো ছেলেটির জন্য। কিন্তু এই কিছুক্ষন আগেও যখন ছেলেটি ভিড় ঠেলে বলল উঠুন উঠুন , তখন একটু হলেও ভরসা পাচ্ছিল কিন্তু অজানা আতংকে তার শরীর কাপছিল। বাস ততক্ষণে আনসার ক্যাম্প পেরিয়ে চাইনিজের কাছাকাছি। বাসন্তী ভেবেই পাচ্ছিল না, কিভাবে ছেলেটিকে ডেকে তুলবে। হটাত তার মনে হতে লাগলো, ইস জ্যামটা যদি আরও কিচ্ছুক্ষণ থাকতো, তাহলে ছেলেটি আরও কিচ্ছুক্ষণ ঘুমোতে পারত। কিন্তু অবাক করে দিয়ে বাসটি মিরপুর ১ আসতেই ছেলেটি বিশন্ন হাসি দিয়ে চোখ মিলে তাকাল , যেন সে জানে তার ঘুমের সময় শেষ...............
এর ঠিক কত দিন পর তাদের আবার দেখা হল, দিন হিসেব করে বাসন্তী বলতে পারবে না, তবে এই টুকু মনে আছে সেটা ছিল ১লা ফাল্গুন। ওইদিন সে লাল শাড়ি পরেছিল, মাথায় ছিল গাঁদা ফুল।
ধুর, মনটা যেন কেমন করে উঠছে। একটা সিগারেটের তিব্রতা খুব অনুভব করছে। সে রুমে গিয়ে তমালের সিগারেটের প্যাকেটে হানা দিলো। দুটো আছে, তমাল জানলে খবর আছে। অবশ্য ওর অজান্তেই আজকাল অনেক কিছুই করতে হয়। গোল্ডলিফের একটিতে আগুন ধরাতে ধরাতে কেসে উঠলো বারবার। হাতের মোবাইল নিয়ে অন লাইন পেজগুলো ঘুরতে লাগলো। ভালোবাসা দিবস, ১লা ফাল্গুনের কত হরেক রকম পোশাক। বাসন্তীর খুব শখ এবার ১লা ফাল্গুনে দুইজন একসাথে বের হবে। ও সকল পেজ ঘুরে ঘুরে খুজচ্ছিল নিজের জন্য একটা শাড়ি আর তমালের জন্য একটা পাঞ্জাবি। অনেকগুলোই পছন্দ হয়েছিল, কিন্তু দাম দেখে............... বেকার তমাল আর তার এই মাসের বেতনের প্রায় অর্ধেকটাই কাটা। কি করবে কিছু বুঝতে পারছিল না...... হটাত তার মনে হল দারুন সচ্ছল তানভীর ভাই তাকে বেস কয়েকবার ফোন দিয়েছিল। কিন্তু এই কয়েকটা দিন বাসায় থাকায় তার সাথে আর কথা বলা হয়ে উঠেনি......... হটাত বাসন্তীর মনে আশার আলো জেগে উঠলো......... সিগারেটে শক্ত করে দু টান দিয়ে ...... নাম্বার ডায়াল করলো......... ০১৭১১২৫......
হ্যালো............
হিহি.........
কেমন আছো...............
আপনি ফ্রি কবে???????????
( অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:২৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×