somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মোবাইলগ্রাফী-১৮ (মনোহারিণী......সে যে ঘ্রাণে মাতাল কামিনী)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আবারো মোবাইলগ্রাফী নিয়ে হাজির হলাম। হালকা মুগ্ধতা অথবা পূর্ণ মুগ্ধতায় ভরে যাবে হয়তোবা আপনাদের মনপ্রাণ। কামিনীর নাম শুনেননি বা এই দেখেননি এমন মানুষ হয়তো নেই্ এর ঘ্রাণের কথা কি আর করিব বর্ণন। এই ফুলের স্থায়িত্ব শিউলীর মতই । ঝরে পড়াই যেনো এর মূল উদ্দেশ্যে। ফুল ফুটা মাত্র পাপড়িতে ছুয়ে দিলেই ঝরে যায় । এত টাচি বাব্বা... তাকে ছোঁয়া যাবে না দুর থেকেই উনি মাতাল করবেন তার ঘ্রানে আমাদের। গ্রামের বাড়ি এই ফুলগাছের অভাব নেই । তবে এখন ঢাকাতেও দেখি এই ফুলের চাষ। বুড়িগঙ্গার তীরে ইকোপার্কে দেখে এসেছি অনেক গাছ সারি সারি লাগিয়েছে। তখন ফুল ফুটেনি কিঙবা কুঁড়ি আসেনি। তবে ব্যাপারটা যারপর নাই ভাল লাগল। কারণ যখন ফুল ফুটবে তখন মানুষ পাগল হবে এই সাদা পরীর দর্শনে। আমাদের ব্যাংক কলোনীতে কয়েকটা গাছ আছে । সেদিন স্কুলে বাচ্চা দিয়ে আসার সময় সেই অভূতপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়লো অবশ্য একদিনের ফটো নয় । দুইদিন তুলেছিলাম-একদিন বৃষ্টি ভেজা অন্যদিন শুকনো দিনে। যাই হোক বকানি বেশী হয়ে গেলেতো বলবেন ছইব্বানি পাগল-হেরে পাবনা পাডানোর দরকার। হাহাহা ........আচ্ছা মাউসে মুঠো করে ধরুন আর স্ক্রল করুন-ভাল লাগলে কষ্ট সার্থক আর না লাগলেও যে আপনার দেখেছেন তাতেই আমার ভাল লাগবে। হাজার ব্যস্ততার ফাঁকে ফটোগ্রাফীও যেনো একটা নেশা অবশ্য আমি ফটোগ্রাফার নই বা হতে চাইনা। যা কিচু সুন্দর সব আমার করে নেয়াটাই আমার কাজ। ক্যামেরা ওজন তাই সাথে থাকে না। হাত আছে মোবাইল তাই মোবাইলেই ক্লিকাক্লিকি চলে

মোবাইল স্যামসাং এ সেভেন।
১। পাঁচটি পাপড়ি একটি ফুল
কামিনী ফুল তার নাম
ঘ্রাণ ছড়ানো সুন্দর বিলানো
সে শুধু তার কাম।



২। তুমি আসলেই -আমায় আলতো ছোঁয়া দিলেই আমি ফুটব তোমার ভালবাসার ফুল হয়ে। অপেক্ষায় তাই আজো হলো ফুটা আমার-কুঁড়ি হয়েই কিন্তু বুড়ি হয়ে যাবো হাহাহাহা ......



৩্। তুমি সবুজ পাতা-আমি শুভ্র ফুল
তোমার বুকে মাথা রাখতে করবো নাকো ভুল।



৪। দৃষ্টিজুড়ে শুধু স্নিগ্ধতা-এমন স্নিগ্ধ প্রহর -বৃষ্টি ভেজা দিন- তুমি তো ভেবেই বসে আছো-ঘরে থাকবে বন্দি। অথচ দেখে যাও কত সুন্দর অপেক্ষা করছে ......মনের দেউড়ি খুলে এসো আমি অপেক্ষায়-শত হাজার মুগ্ধতা নিয়ে। কি তুমি নিবে এক ফুটা মুগ্ধতা?



৫। পাতায় পাতায় ঝরে গেলো আমার অশ্রুরা -তুমি যদি সবুজই হতে তবে কেনো-আমার চোখের জলের স্পর্শে জেগে উঠলে না। চির কোমায় -কাটছ সাঁতার। চোখ মেলে দেখো তোমার কামিনী বাগান আমার চোখের জলে কতটা স্নিগ্ধতায় রূপ নিয়েছে...... তুমি এবার পাগল হবেই- চোখের পাতায় ছুঁয়ে দিতে।



৬। আচ্ছা তুমি তো শরত আকাশ দেখেছো -কতটা শুভ্রতা ছড়িয়ে থাকে নীল আকাশের বুকে। কিন্তু এই সজীব সবুজের বুকে শুভ্রতা তোামার অপেক্ষায় আছে সে কি তুমি কখনো ভেবেছো? আহা এসেই দেখো না-ফুলে ফুলে সাজানো আমার কামিনী বাগান। ভুলেও তো পারো একবার প্রজাপতি হবে। ধ্যত্তেরি তুমি তো ভালবাসাই বুঝলে না পাগল-খুললে না মনের আগল।



৭। আমার বাগে ফুল ফুটেছে
সেতো তোমার জন্য
তুমি যদি আসতে বাগে
হতাম আমি ধন্য।

কামিনীর ঐ ডালে ডালে
দেখো কত ফুল যে
দাও না বন্ধু দাও না তুলে
সাজিয়ে দাও চুল যে।



৮। এভাবেই তোমার বুকে সেঁটে থাকব তুমি লতানো গাছ আমার-চারিদিক থেকে রাখবে জড়িয়ে আমায়। ভালবাসার প্রহরগুলো যেনো এমনতরোই হয় এবঙ ফিরে আসে কামিনীর....... মৌসুমে।



৯। আহা কত স্নিগ্ধ দেখো
ছড়িয়ে আছে পাতায়
দুধ সাদা ফুল তাতে বসে
জড়িয়ে রাখে ছাতায়।

ছায়া দিয়ে মায়া দিয়ে
শুভ্রতা ছুয়ে ছুঁয়ে
বৃষ্টি ঝরা একটি ক্ষণে
মুগ্ধতা পড়ে চুয়ে।

ভেজা পাতায় ভেজা ফুলে
ভালবাসাতে ভরপুর
এমন দিনে দূরে তুমি
হৃদয়টা ভেঙ্গে চুরচুর।



১০। ঝরে যাবো মরে যাবো-যাবো ধূলায় মিশে
পারো যদি এসো তুমি-বাঁচাও্
নইলে হারাবো দিশে......
বেঁচে আছি অল্প ক্ষণ তোমার অপেক্ষায়
কেনো তুমি রাখো শুধু তোমার উপেক্ষায়।



১১। সাদা ফুলের ঘ্রাণ যে রাখছি তোমার জন্য তুলে
এসে তুমি নিয়ে যেয়ো -যেয়ো নাকো ভুলে
বোতল ভরা কামিনীর ঘ্রাণ-নিতে এসো যদি
তোমার জন্য অপেক্ষাতে থাকব নিরবধি।
সাথে দিবো ভালবাসা-বুক পকেটে রেখো
আমার স্বপ্ন ভুলেভালে একবার তুমি এঁকো। (মাত্রা ছাড়া হাহাহাহ)



১২। সবুজ শাড়ি সাদা পাড়ের
দিবে কিনে বন্ধু
ভালবাসব জেনে রেখো
তোমায় এক সিন্ধু।



১৩। ফুলের বাগে প্রজাপতি
দেখবে এসো ত্বরা
কেমন সুন্দর ফুলে ফুলে
সাজানো এ ধরা।
মুগ্ধ তুমি হবে শুনো
আমার পাশে থাকলে
জীবন তোমার সুন্দর হবে
আমার ছবি আঁকলে।



১৪। তুমি বন্ধু কামিনী ফুল
আমি সবুজ পাতা
আমার বুকে তোমার জন্য
প্রেমের বিছনা পাতা।

গুনগুনিয়ে গেয়ো তুমি
ভালবাসার গান যে
ফুলের ঘ্রাণে জীবন মাতাল
উতলা এ প্রাণ যে।



১৫। লিখতে লিখতে হাতটা ব্যথা
তোমার খবর নাই তো
ফুলের মালা গেথে রাখি
সবই হলো ছাইতো।

শুভ্র ফুলের পাপড়িগুলো
দিলাম চিঠির পাতায়
তুমি বন্ধু আমার নামটি
লিখো মনের খাতায়।



১৬। আমি তোমার ফুলের কুঁড়ি
ভালবাসার এক ফুল
ছুঁয়ে দিলে ঝরে যাবো
করো নাকো ভুল।



১৭। এমন স্নিগ্ধ প্রহর বন্ধু
ডাকছে হাত বাড়িয়ে
তোমার জন্য আছি দেখো
অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে।

ফুলের পাপড়ি হাতে রাখা
দিবো তোমার মাথায়
ঘ্রাণে তুমি হবে মাতাল
স্মৃতি মনের পাতায়।



১৮। তুমি আমি পাশাপশি
দেখো আছি বসে
দুজন মিলে মনে মনে
যাচ্ছি হৃদয় চষে।

সবুজ সাদা প্রেমের বাড়ি
তোমার আমার বাস যে
তুমি আমি মিলে করবো
ভালবাসার চাষ যে।



১৯। দেয়ালের এপাশে আমি-আর ওপাশে তুমি দাড়িয়ে । তুমি আছো বাস্তবতার কষাঘাতের দেউড়িতে আর আমি কল্পলোকে ভাসছি সাদা ফুলের পাপড়ির নায়ে করে। তুমি জানতেও পারলে না ফুল কি সুন্দর বুঝতেও পারলে না এর ঘ্রানেও মাতাল হওয়া যায়। আমি শোকরিয়া জানাই আমার প্রভুর যিনি আমাকে সুন্দর উপভোগ করার ক্ষমতা দিয়েছেন।



২০। বৃষ্টির জলের স্নিগ্ধতা পাতায় পাতায় ছড়িয়ে। তুমি কি জানো এমন প্রহর শুধু মুগ্ধতার প্রহর । আমি একাই সেসব মুগ্ধতা বুকে জমিয়ে রাখি। তুমি তো ঘুম ঘোরে আারামে আছো অথচ কত কিছু উপভোগ করার আছে সে তুমি জানেলেই না পাগল। এসো মনের দুয়ার খুলে-দেখো হাজার মুগ্ধতা পায়ে লুটায় তোমার। শুধু আমার চোখজোড়ায় একবার চোখ রাখো আমি তোমায় মুগ্ধ হওয়া ধার দিবো । কি নিবে?



২১। কামিনীর গায়ে লেপ্টে আছে স্নিগ্ধতা থুক্কু সবুজের গায়ে -তুমি তো সবুজ হতে চেয়েছিলে। আমার ভালবাসার স্নিগ্ধতা এভাবেই ছুয়ে দিতাম তোমায় । তুমি পালিয়েই বেড়ালে পাগল। একটু ছুয়ে দেখো-শিহরণের প্রহর তোমাকে পাগল করে দিবে। তবে আমি তোমাকে একমুঠো কামিনীর পাপড়ি দিবো। বুকের বামে রেখে দিয়ো।



২২। যত আবেগ ছিলো সবই তোমাকে দিলাম আর বিনিময়ে তুমি দিলে অশ্রু-লোনাজলে ভেসে ভেসে দাড়িয়ে আছি কাটাবনে। কই ফুল দিবে আচল ভরে সেখানে দিয়ে দিলে অশ্রুকাটা। তুমি পারোও বটে-বিনিময়টা তবে কি হবে শুনি। আমি তোমায় মুগ্ধতাই দিবো কাটা নয়-এই মৌসুমে এসো-তোমাকে মাতাল করা ঘ্রাণ দিবো এক মুঠো। হয়তো তোমার মনে আমাকে ঠাই দিতে পারো একটিবার । (হ্যহ হ্যহ হ্যহ ভিলেন হাসি হপে) যত্তসব আজাইরা প্যাচাল পারলাম আর আপনারাও এসব পড়লেন বটে হ্যহ হ্যহ ........



হাহাহাহা আসি তবে আজ অন্যদিন দেখা হবে ঠিক এই জায়গাতেই কোন এক ভাললাগা প্রহরে ততক্ষণ ভাল থাকুন -শুভেচ্ছা ভালবাসা আর শুভকামনা বন্ধুদের জন্য ।

সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×