somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

» অঝোর ধারার বৃষ্টিতে শহুরে বন্যা( মোবাইলগ্রাফী-২২)

২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
১। ব্যাংকের ভিতরের ছবি



প্রতিবছর বর্ষার মৌসুমে আমাদের শহরগুলো কালো জলের তলে ডুবে যায়। এর জন্য কি আমরাই দায়ী নই? যদিও নগরপিতাদেরও গাফিলতি আছে শহর সাজানোর ব্যাপারে। তবে তাদের দোষ যদি ৭০% হয় আমার মনে হয় আমাদের ৩০% দোষ আছে কম বেশী হতে পারে। আমরা নিজেরাই স্বার্থপর। শহরের কথা আমরা কেনো চিন্তা করবো। চিপস খাবো-প্যাকেট ঢিল দিয়ে রাস্তায় ছুঁড়ে মারবো-কলা খাবো চিলকা রাস্তায় ফেলবো, বিস্কিট খাবো প্যাকেট থাকবে রাস্তায়, পান খাব পিক ফালাবো রাস্তায়। বিড়ি খাবো বিড়ির প্যাকেট ছুঁড়ে মারবো রাস্তায়। প্রতিদিন হাজার হাজার ছেঁড়া পলিথিন ম্যানহোলের ছিদ্র দিয়ে চলে যায়-আটকে থাকে ম্যানহোলের মুখে। ড্রেনগুলো পলিথিনে ভর্তি। কেনো মেয়ররা তো কিছুদূর অন্তর অন্তর ডাস্টবিন ফিট করে দিয়েছেন, একটু কষ্ট করে কেনো আবর্জনাগুলো আমরা ডাস্টবিনে ফেলি না হুম। ভাঙ্গাচুড়া প্রতিটা অলিগলির রাস্তা রাজপথ। ওড়াল সড়ক, রাস্তা খুঁড়াখুঁড়ি। ওড়াল সেতু বানানোর পর নিজের জায়গাগুলোতে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে যেনো। কি নোংরা রে বাবা। একটি দেশের রাস্তায় নামলেই বুঝা যায় সে দেশের মানুষ কত ভদ্র আর প্রশাসন চালাক-ফাঁকিবাজ। এই কয়দিনে মানুষের কি দূর্ভোগ ঘরের বাইরে এলেই টের পাওয়া যায়। আজ আমাদের এখানেও পানি জমে আছে। কষ্ট করে অফিসে আসতে হয়েছে হাঁটু পানি ভেঙ্গে।

ছবিগুলো ব্যাংকের ছয়তলার বারান্দা থেকে তুলেছি মতিঝিলের এদিক ওদিক

২। বন্ধুরে তুই আসবি নাকি
বেয়ে বেয়ে নৌকা
আমায় নিয়া ভাসবি রাস্তায়
হারাস নে এ মওকা।



৩। বাসে বাদুরঝোলা হয়ে আর কত? শোন এবার পঙ্খীরাজে চড়ো কিংবা-পালতোলা নৌকা। তুমি মাঝি হয়ো, বৈঠা হতে বসো পাশে-চলো শহরটা ঘুরে আসি আজ হাহাহা।



৪। উঠো নাকো ফুট ওভারে
চলো জলে নামি
মুগ্ধতার এমন সময়টুকু
আমার কাছে দামী।
ভিজে ভিজে হবো যে পার
রাস্তার এপাড় ওপাড়
ছাতা ধরো মাথার উপর
ফুল যেনো না ভিজে খোঁপার।



৫। তুমি সার্জেন্ট হও এ বেলা, জল থই থই রাস্তায় দাঁড়িয়ে হাত উঁচিয়ে থামিয়ে দাও সব যান-তবে আমার রিক্সাটা ছেড়ে দিয়ো-ভিজে যাবো জ্বর আসলে বলো তোমার কি আর ভাল লাগবে গো wink



৬। দুরবিন লাগাও চোখে। দেখো কত অসহায় মানুষ-অথচ ওরাই নোঙরা করেছিল রাজপথ। তুমি কি তাদের মতই। তবে এবার থেকে সাবধান হও পুরুষ-নোংরাগুলো ডাস্টবিনে ফেলো কিন্তু।



৭। কাগজের নৌকার প্রহরগুলো অতীত ডহরে। তাতে কি চলো আজ রঙধনু রঙ নৌকা বানাই-ছেড়ে দেই শ্রাবণ ধারায় । কিছুটা ক্ষণ চলো মুগ্ধতা কুঁড়াই



৮। রিকশার উড খুলে দাও- জ্যামে আটকা জীবন বড্ড দুর্বিসহ- তবে একটু বৃষ্টি পড়ুক গড়িয়ে চোখের পাতায়। তুমি কেবল ভালবেসে হাত রেখো আলতো আমার কাঁধে



৯। ডুবে যাবে ভয় পাচ্ছো-আরে বাপু অভিজ্ঞতা অর্জন করো কিছু্ তুমি কি রোমাঞ্চিত হতে চাও না। এইতো সুযোগ একটু রোমাঞ্চ নিয়ে আসো মনে-বিরক্তি ঝেড়ে ফেলে দাও। উপভোগ কর কষ্ট অথবা সুখ।



১০। ছাতা দিয়ো মাথার উপর
জলে হাঁটবো শ্রাবণ দুপুর
বৃষ্টি পড়ুক টাপুর টুপুর
নগ্ন পায়ে বাজুক নুপূর।



১১। কিছুটা প্রহর সপে দাও নিজেকে সময়ের কাছে। হুদাই হা হুতাশ করে লাভ নেই। যা হওয়ার তাতো হবেই। কেবল মেনে নিতে শেখো।



১২। আামর শহর আজ ভেসে যাক অঝোর ধারায়। বন্যায় ডুবে যাক-তুমি ডিঙি বেয়ে চলে এসো মনের ঘাটে। আমি আছি অপেক্ষায়-শহর চষবো আজ। যত জরাজীর্ণ সব ধুয়ে দেই চলো



১৩। জলে ভেজার প্রহর আমার-মন জলে থই থই
ও বন্ধু আমায় ছেড়ে-গেলা তুমি কই।
ছাতা মাথায় নিরিবিলি-জলের পথে হাটো
চলে এসো এখানটাতে-কেনোই বা পচা জল ঘাটো।



১৪।
শাপলা ফোটা মতিঝিলে
চলো পা ডুবিয়ে বসি
হেটে হেটে চলো বন্ধু
এই শহরটা আজ চষি।



১৫।
অলিগলি জলের তরে
পথ হারাইয়ো না বন্ধু
আমার জন্য এসো তুমি
পার হয়ে সাত সিন্ধু।



১৬।
নারিকেলে পাতার ফাঁকে শ্রাবণ জলের নৃত্য-আহা যেনো রূপালী নদী আমার শহরটা। তুমি এসে দেখে যেয়ো। আচ্ছা তোমার শহরও কি আজ জলে ডুবে গেছে?



১৭। ভাবছো বুঝি -আমার নীড়ের দখিনপাশেই ইয়া বড় স্বচ্ছ জলের দীঘি? হুম-ভাবনাটা মোটেও অমূলক নয়গো- তুমি একটু চোখ বুলালেই দেখতে পাবে সে জলে শাপলা ফুটে আছে। এসো পা ছুঁয়াই দীঘির জলে।



১৮। বৃষ্টি পড়ছে- এসো বারান্দায়-হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেই বৃষ্টির জল। শিহরণের বেলা যায় বয়ে যায়। পারলে দুই কাপ কফি বানিয়ে নিয়ে এসো। তৃপ্তিতে ঠোঁট ছুঁয়াই কফির পেয়ালায়।



১৯। মার্সিডিজে বসে তুমি আর বুঝবে বন্ধু অসহায়দের দু:খ । যারা ফুটপাতে শোয়-খায় -তাদের আবাসন আজ কোথায় শুনি। কে দিবে তাদের মাথা গুজার ঠাঁই। মাঝে মাঝে নেমে পড়-উপভোগ কর কষ্ট। আর ওদের জন্য ভাবো একবার একটুস খানি। হুম


সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫
২৮টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×