somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাদিয়ানী সম্প্রদায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহমদীয়া মুসলিম জামাত(Ahmadiyya Muslim Community) মূল/আনুষ্ঠানিক নাম। এটি মুসলমাদের অসংখ্য ফিরকার/দলের মধ্যে একটি। প্রতিষ্ঠাতা মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী। ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের কাদীয়ান গ্রামে জন্ম, সেই সূত্রে তার নামের সাথে কাদীয়ানি সংযুক্ত। আর একারণেই প্রাচ্যে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের অনুসারীরা কাদিয়ানী নামে পরিচিত। তবে মূল নাম আহমদীয়া মুলসলিম কমিউনিটি তাই তাদের আহমদী হিসেবে ডাকাটাই যুক্তিসংগত।
মির্জা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানী -র দাবি: ইমাম মাহদী, প্রতিশ্রুত মসীহ ইবনে মরিয়ম।
তার দাবির ভিত্তি বনী ইসরাঈলের নবী ঈসা(আ) এর মৃত্য

কোরআনের ৩০ টি আয়াত দ্বারা তিনি প্রমাণ করেছেন যে বনী প্রায় ২০০০ এরও বেশি বছর পূর্বে আগত ইসরাঈলের নবী ঈসা(আ) যথাসময়ে যথাযথ সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণ করেছেন। একারণে তার আকাশে জীবিত থাকার বিশ্বাস ভিত্তিহীন। আর আহমদীদের মতে, ঈসা(আ) এর মৃত্যুতেই ইসলামের জীবন নিহিত। কারণ আখেরী যুগে বিভ্রান্ত মুসলিমরা ঈসা(আ) এর আকাশ থেকে অবতরনের জন্য পথ চেয়ে আছে।

ব্যাখ্যাসহ সেই ত্রিশটি আয়াত ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

কিন্তু এক্ষেত্রে এটা্ও বিবেচ্য যে, রাসূল (স) বলেছেন ঈসা(আ) আসবেন। আহমদীরা যেহেতু কোরআনের ৩০ টি আয়াতের মাধ্যমে ঈসা (আ) এর মৃত্যু প্রমাণ করেছেন তাই তারা বিশ্বাস করে, দ্বিতীয় যে ঈসার আগমনের কথা সেটা রূপক অর্থে রাসূল (স) ব্যবহার করেছেন।
যেমন: তিরমিযি কিতাবুল ঈমানে আছে:



অর্থাৎ মুসলমানরা যখন ইহুদীদের রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে তখন যে চিকিৎসক আসবেন তার উপাধি ঈসা।

এখানে আরেকটি বিষয় বিবেচ্য, আপনার সবাই জানেন কাদীয়ানিদের অন্য সব মুসলিমরা সর্বসম্মত ভাবে কাফের বলে মনে করে। এমনকি পাকিস্তানে আহমদীদের সাংবিধানিকভাবে কাফের সাব্যস্ত করা হয়েছে। যখন এই বিলটি পাশ হয়েছিল পাকিস্তানে, তখন কিছু পত্রিকার শিরোনাম এরকমও ছিল, "৭২ দল ১ দলকে ধর্মচ্যুত করল।"
এখানে পূর্বে উল্লেখিত হাদীসটির প্রতি আবার দৃষ্টি দিচ্ছি, রাসূল (স) বলেছেন, আখেরি জামানায় দলাদলি সৃষ্টি হবে। আবার শেষের কথায় বুঝা যাচ্ছে আর সব দিকে দলাদলি থাকলেও সেই সঠিক পথের দলটি থাকবে একদিকে বাকি সবাই থাকবে অন্যদিকে। সেক্ষেত্রে অন্য সব বিষয়ে দিমত থাকলেও সেই ফিরকার ব্যাপারে তারা প্রত্যেকেই একমত থাকবে...আর সেটা কি বলা হয়ে গেছে।

আহমদীয়া সম্প্রদায় রাসূল (স) কে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল এবং সর্বশেষ শরীয়াতবাহী রাসূল হিসেবে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে। তারা বিশ্বাস করে রাসূল (স) এর প্রকৃত মর্যাদা খাতামান্নাবীঈন। খাতামান্নাবীঈনের যতগুলো অর্থ হয় সব অর্থেই তাকে খাতামান্নাবীঈন হিসেবে তারা মান্য করে। তবে কোরআনে ও হাদীস অনুযায়ী তাদের বিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত। মির্জা গোলাম আহমদকে তারা নবী মানলেও তিনি কোন স্বাধীন(শরীয়তবাহী) নবী ছিলেন না। কোরআনে দাসত্বের নবীর পথ খোলা আছে, নিচের আয়াত ও হাদীসটি দেখুন:

সূরা নিসা: ৬৯



আরেকটি আয়াত প্রমাণ করে কিয়ামত পর্যন্ত উম্মাতি নবীর আগমনের পথ খোলা আছে:

সূরা আরাফ: ৩৫



সুনানে নাসাঈ



অর্থাৎ এখানে স্পষ্টত যে, যারা আল্লাহর হুকুম মান্য করবে এবং প্রিয় রাসূলের(স) দাসত্ব করবে, তারা নবী, সিদ্দিক, শহীদ, ও সালেহ দের অন্তর্ভূক্ত হবে। অর্থাৎ রাসূল (স) এর দ্বসত্বের শর্তে নবীর আগমনের পথ খোলা আছে। আর আপনারা মির্জা গোলাম আহমদ সাহেবের নামটি বিশ্লেষন করুন। নামটিতে মূর্তিমান যে তিনি আহমদের গোলাম...অর্থাৎ রাসূল(স) এর গোলাম। পূর্বের কোন নবীর ক্ষেত্রে এই শর্ত ছিল না যে তাদের পূর্ববতী কোন নবীর দাসত্ব করতে হবে। কিন্তু আল্লাহ্ সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর জন্য এই নিয়ম করেছেন। এটা কি রাসূল (স) এর শ্রেষ্ঠতার একটি নিদর্শন না, যে তার ঘরের দাস কে আল্লাহ্ নবীর মর্যাদা দেন, শুধুমাত্র তার দাসত্বের কারনে? আর হাদীসেতেও স্পষ্টত যে, মসজিদে নববীর পর যেমন মসজিদ নির্মান করা হয়েছে তেমনি রাসূল (স) এর পরেও নবীর আগমন হতে পারে। তবে মসজিদ বানাতে হলে সেটা মসজিদে নববীর আদর্শ অনুসারে হতে হবে, তেমনি নবী হতে হলে তাকে কোরআন, হাদীস অনুযায়ী রাসূল (স) এর প্রকৃত দাসত্বের মাধ্যমে হতে হবে। তারপরেও যদি সন্দেহ থাকে মির্জা গোলাম আহমদ সাহেব, রাসূর(স) এর অবমাননাকারি, তবে রাসূল (স) কে নিয়ে তার রচিত একটি কবিতার অংশ উদ্বৃত করছি:

"উস নূর পার ফিদা হু(সেই জ্যোতিতে আমি বিভোর)
উসকা হি মে হুয়া হু (আমি তারই হয়ে গেছি)
ও হে মে চিজ কেয়া হু? (তিনি ছাড়া আমার আছেই বা কি?)
বাস ফেয়সালা এহি হে। (এটাই প্রকৃত মিমাংসা)"

আর ইমাম মাহদী(আ) ও দ্বিতীয় ঈসা(আ) যে একই ব্যক্তি হবে সেটার জন্য মুসলিম শরীফের এই হাদীসটি দেখুন, কিতাবুল ইমান অধ্যায়ে হাদীসটি পাবেন:



রাসূল(স) এর পর নবীর কথা উঠলেই অনেকে একটি হাদীসের কথা বলেন, যেখানে রাসূল (স) বলেছেন, তার পর ৩০ জন মিথ্যা নবী দাবিকারক আসবেন। হাদীসটি একটু ভালো ভাবে পরুন। রাসূল (স) বলেছেন ৩০ জন মিথ্যা দাবীকারক আসবেন, কেন বললেন না, তার পর যেই নবীর দাবি করবেন সেই মিথ্যা? এটা এজন্যই বলেননি কারণ ৩০ জন মিথ্যা নবী যেমন আসবেন সত্য নবীও তেমনি আসবেন। তাই ৩০ জন সম্পর্কে সতর্ক করেছেন তিনি এবং একই ভাবে পরোক্ষ ভাবে নিদের্শ দিয়েছেন যাতে অজ্ঞতাবসত যাতে কোন নবী দাবিকারকে মিথ্যা সাব্যস্ত করা না হয়।


তবে খাতামান্নাবীঈন এ আমরা সবসময়ই বিশ্বাস করতাম, এটাকে আহমদীয়াতের ইস্যু হিসেবে দেখিয়েছে যুগের পথভ্রষ্ট আলেমরা। আমাদের মূল ইস্যু হচ্ছে ইসা (আ) এর মৃত্যু। ঐ ত্রিশটি আয়াত নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করুণ, আপনিও বুঝতে পারবেন কেন এই বিষয়টি বোঝা জরুরি।

আর আলেমরা বলে, কাদিয়ানীরা খ্রিস্টানদের দালাল। কিন্তু এটা খেয়াল করে না, গোলাম আহমদ সাহেব খ্রিস্টান পাদ্রীদের দাজ্জ্বাল আখ্যায়িত করেছেন।

দাজ্জাল সম্পর্কে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের একটি বই আপনাদের জন্য সংযুক্ত করলাম।

শুধুকি তাই? তিনি(আ) খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ৩ খোদার ১ খোদা(জিসাস) কে মৃত সাব্যস্ত করে প্রমাণ করেছেন তাদের ধর্মের অসাড়তা।

তবে হযরত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ) ইংরেজ সরকারের প্রশংসা করেছে, তার কারণ ইংরেজরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। একারণে তাদের পাদ্রীদের দাজ্জাল আখ্যায়িত করার পরেও তারা আহমদীয়াদের উপর আক্রমন চালায় না, যা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মত মুসলিম দেশে সরকারের ছায়াতলে থেতে যুগের তথাকথিত আলেমরা শান্তিতে চালিয়ে যাচ্ছে। একারণে ইংরেজ সরকারকে তিনি(আ) সবসময় সম্মান করতেন। কিন্তু ঠিক তদ্রুপ বা তারচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন খ্রিস্টানদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে, যা এক কথায় তৃত্ত্ববাদ(তিন খোদায় বিশ্বাস)।

সূরা মরিয়মের ৮৮-৯১ আয়াত(বিসমিল্লাহকে ১নম্বর আয়াত বিবেচনা করে) টি লক্ষ্য করুন:



যেভাবে আল্লাহ্ তাআলা বিষয়টিকে ঘৃণা করেন ঠিক তেমনি আমরাও বিষয়টিকে ঘৃণা করি। ৩ খোদায় বিশ্বাস সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিশ্বাস।

আমি সবাইকে একটি বিষয়ে দিকনির্দেশ করব। আপনি যখন অন্য একজনের সম্পর্কে কোন কিছু কমেন্ট করবেন তখন আপনার প্রত্যক্ষ করা উচিৎ সে প্রকৃত পক্ষে কেমন? আর যেটা যুক্তি তর্ক সাপেক্ষ সেখানে তো অবশ্যই বিপক্ষের রেফারেন্স দিয়েই বিপক্ষকে ঘায়েল করতে হবে। কিন্তু আহমদীয়া সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি চর্চা করার কথা কেউ স্মরণ রাখেন না। শোনা কথায় কান দিয়ে সেই কথাকেই রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করেন। আমি আমার এই ব্লগের হাদীস ও কোরআনের উদ্বৃতিগুলোতে এই নীতিটি প্রয়োগ করেছি। যেহেুত ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেশের বিশ্বস্ত একটি প্রকাশনী তাই হাদীসগুলো ইসলামীক ফাউন্ডেশনের অনুদিত হাদীস গ্রণ্থ থেকেই উদ্বৃত। আর কোরআনের ক্ষেত্রে ডা: জহুরুল হকের এবং আরেকটি কোরআনের অনুবাদ থেকে সরাসরি ক্রিনশট তুলে এটাচ করেছি।

সবশেষে আমি সবাইকে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্জা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী(আ) কে কোরআন ও হাদীস সাপেক্ষে ইমাম মাহদী ও ঈসা ইবনে মরিয়ম (আ) হিসেবে যাচাই করার জন্য অনুরোধ করে শেষ করছি। আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে সর্বদা সরল, সঠিক পথে পরিচালিত করুন। আমীন।

আহমদীয়া মুসলিম জামাত সম্পর্কে আরো জানতে ভিজিট করুন:
www.ahmadiyyabangla.org
www.alislam.org
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১৬
৭৮টি মন্তব্য ৫১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×