বাইরে বিশাল চমৎকার সাইনবোর্ড। হাস্যজ্জোল রমনীর ছবি। কোন কোন জায়গায় দেখা যায় একজন বিশেষজ্ঞ দন্ত
চিকিৎসকের সাইনবোর্ড ঝুলছে। সত্যিই কি এই চিকিৎসক ঐ জায়গায় চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন ! এটা প্রশ্ন সাপক্ষে। আসল চিত্র হচ্ছে সকাল থেকে গভীর রাত র্পযন্ত ঐ সব ডেন্টাল ক্লিনিকে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিচ্ছেন ডাক্তার নামধারী হাতুরে চিকিৎসকগণ। যাদের নেই কোন চিকিৎসার সনদ, নেই কোন যোগ্যতা। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা ঐ সব ডেন্টাল ক্লিনিকে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন শত শত সাধারণ মানুষ। ঐ হাতুরে চিকিৎসকগণের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। মাঝে মধ্যে ভ্রাম্যমান আদালতে এদের কিছু সংখ্যককে জেল জরিমানা করলেও কিছু দিন পর আবারো পুরনো ব্যবসায় লিপ্ত হচ্ছে। এদের প্রতিরোধের জন্য গণ-সচেতনতার বিকল্প নেই।মনে রাখতে হবে বিডিএস (ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারী) ডিগ্রী ব্যতিত কেউই দাঁতের ডাক্তার না। এই ডিগ্রীটি শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর যে কোন দেশে দন্ত চিকিৎসা দওয়ার জন্য একটি বাধ্যতামূলক ডিগ্রী। শুধুমাত্র ছয় মাসের ট্রেনিং অথবা ডেন্টাল টেকনোলজিষ্টের ডিগ্রী দিয়ে দাঁতের ডাক্তার হওয়া যায় না। এরা শুধু ডেন্টাল সার্জনের সহকারী হিসাবে কাজ করার যোগ্যতা রাখে কিন্তু রোগীর মুখে হাত দেয়ার যাোগ্যতা রাখে না। হাতুরে চিকিৎসকের কল্যাণে আমাদের দেশে এইডস, হেপাটাইটিস বি, সি এর মতো প্রাণঘাতী রোগের বিস্তার বাড়ছে। কারণ এরা দন্ত চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত করেনা যার ফলে প্রতিনিয়ত এসব প্রাণঘাতী রোগের বিস্তার বাড়ছে। ঐ সব হাতুরে চিকিৎসকের অপচিকিৎসা ও ভূল ঔষধের ব্যবহারের ফলে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত ও শিশুদের অকালে দাঁত হারানোর ঘটনা প্রতিনিয়তই হচ্ছে। তাই দন্ত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার পূর্বে অবশ্যই দেখে নিবেন, উনার বিডিএস ডিগ্রী আছে কি-না এবং বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল অনুমোদিত সনদ আছে কি-না। যদি থাকে, http://www.bmdc.org.bd ওয়েব সাইটের মাধ্যমে যাচাই করে নিবেন। অবশ্যই ছয়মাস অন্তর অন্তর ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শ নিবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




