টাইটেল দেখে আঁতকে উঠলেন? আমার মনে হয় এখন স্বপ্ন দেখার সময় এসেছে। স্বপ্নই যোদি না দেখি,পুরণ হবে কি করে?
সেই শারজাহর দিনের কথা মনে পড়ে। আতাহার আলি খান আর জাভেদ ওমর বেলিম এর অপেনিং পেয়ার। বুলবুলের ব্যাট হাতে সুরা পাঠ, নান্নুর সুইপ, আকরামের দৌড়, প্রিন্স এর পেঠ, আনিসের গোফ, আরও কত কি? আতাহার আলির একটা কভার ড্রাইভএর সাথে মনে হত ১০টা পাকিস্থানি হানাদার মেরে ফেল্লাম। তখন অনুভব করতে শুরু করলাম ইন্ডিয়া, পাকিস্থান না, আমার নিজের একটা টিম আছে। টিমের জন্যে ভালবাসাময় উষ্ণতা অনুভুত হল। এবং সেই থেকে শুরু।
আমরা খারাপ সময় কাটিয়েছি অনেক। ১৩৪, ১৬৫, ১৫০, ১৮০ তে অলআউট হয়েছি অনেক। নতুন বলের শাইন অথবা তাজা পিচের এসিস্টেন্স সামলাতে না পেরে অপেনিং পেয়ার টিকতে পারেনি। টপ মিডল অর্ডার সামলাতে পারেনি আর্লি উইকেট এর প্রেসার । লোয়ার মিডল অর্ডার চক্কর খেত বিশ্ব সেরা স্পিনারদের ঘুর্ণি তে। লোয়ার অর্ডার কোনও মতে ব্যাট ধরে রাখত যতক্ষন পারা যায়.... সম্মানজনক স্কোর....
বোলিংএ আমরা চরম খারাপ কবে ছিলাম মনে নেই। মোটামুটি একটা লেভেল ছিল। তবে যেদিন কপাল খারাপ থাকত সেদিন ভাই চরম ঘষা খেতাম। বলের পর বল মাঠের বাইরে। পেসারের কোন মা বাপ নাই লাইনের কাছ থেকে দৌড়ে এসে পাএর কাছে ডেলিভারি। তবে রফিক ভাই বেশ ক্লাস বোলিং করত মাঝে মাঝে। পিউর লেংথ, হালকা টার্ন, মাঝে মাঝে আর্ম বল..লেগ বিফোর উইকেট।
একটা সম্মান জনক হারের জন্য কতই না অপেক্ষা। একটার পর একটা ব্যাট্সম্যানের আত্মহত্যা। ওফফফ।
দিন এখন ফিরেছে। ব্যাট হাতে বুক উ্ঁচু করে পিচে যায় তামিম সাথে এনামুল। রাইট লেফ্ট কম্বিনেষন। বিশ্ব কাপানো অপেনিং বোলারদের কাকে কাপায়নি তামিম? এনালুম এর ব্যাপারে বলব মর্নিং শোওস দ্যা ডে। এই পেয়ার টা ফেইল করলে বোধহয় আশরাফুলকে ওপেনার হিসেবে একটা সুযোগ দিয়ে দেখা যেতে পারে।
আমার কাছে মনে হয় ওয়ান ডাউনে একটা গ্যাপ রয়ে গেছে। নাইম কে দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট টা মনে হয় ফ্লপ হল। ওয়ান ডাউন পসিশন এ বলের শাইন অনেকটা থেকে যায়। নাইম পুরাতন বলে হয়ত ভাল খেলবে কিন্তু ওয়ান ডাউন পসিশন এ টেকনিকেলি পারফেক্ট কাউকে বিবেচনা করা উচিৎ। বা্ঁ হাতি মোমিনুল মনে হল টেকনিকেলি অনেক ভাল। একারণে ওকে ওয়ান ডাউন পসিশন এ চিন্তা করা যেতে পারে।
টু ডাউন পসিশন টা সাকিবের জন্যে। এটা চেন্জ না করাই ভাল।
পটেনশিয়ালিটি দেখে মনে হয় নাসির কে থ্রি ডাউনে নামানো যেতে পার।
নাসির এর পর মুশফিক আসুক বাকিটা টেনে নিতে।
তারপর ইনফর্ম রিয়াদ ত হাতে আছেই। সোহরাওার্দি শুভ কে ব্যাকআপ অলরাউন্ডার হিসেবে ভাবা যেতে পারে।
এই হল মোটে মাটে ব্যাটিং অবস্থা। আমার কাছে মনে হচ্ছে অনেক ব্যালেন্স্ড যা ২০১৫ আসতে আসতে আরও অনেক পরিপক্ক হবে।
দেশ যেমন একজন যোগ্য নেতার অপেক্ষা করছে, তেমনি এই দেশ একটা তুফান পেসার এর অপেক্ষা করছে। কবে যে আসবে আল্লাহ মালুম। তবে যা আছে তার মধ্যে অভিগ্গ মাশরাফি শুরু করতে পারে সোহাগ গাজি কে নিয়ে।
সোহাগ গাজির উপর মনে হচ্ছে অপেনিং বোলিং নির্ভর করা যায় যেমনটি দিপক প্যাটেল এর উপর নিউজিলেন্ড নির্ভর করত। সব স্পিনার নতুন বলে গ্রিপ বা স্পিন করাতে পারে না যেটা সোহাগ পারে। ক্রিস গেইলের মত ব্যাটসম্যান কে যে মিনারেল ওয়াটার খাই্য়েছে সে খুব স্বাধারণ বোলার আমার মনে হয় না। আমার কাছে এই মুহুর্তে ওকে বেশ ক্লাসই মনে হচ্ছে।
বা্ঁ হাতি স্পিন বরাবরই আমাদের শক্তি। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সাকিবের সাথে একজন স্পেশালিস্ট বা্ঁ হাতি স্পিনার খেলানো উচিৎ। রাজ্জাক এবং সানির মত ক্লাস আমাদের হাতে আছে। আসল আক্রমন টা বা্ঁহাতিরাই করবে।
পার্ট টাইমার হিসেবে রিয়াদ, নাসির, মোমিনুল, নাইমএর মত অপসন ত আছেই। আর কি লাগে?
আমরা এখন বলতে শুরু করেছি যে আমরা একদিন বিশ্বকাপ জিতব। তবে সেটা এবার নয় কেন? আমরা স্বপ্ন দেখলেই ছেলেরা তা সত্যি করবে। যোদি না পারে পরের বার করবে। আমি স্বপ্ন দেখব। সাফ কথা এবার বিশ্বকাপ জিততে চাই। এবার বিশ্বকাপ আমাদের।
পাকনামির জন্য দু:ক্ষিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:০২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



