একবার একদেশে ছাগুর দৌরাত্ন খুব বেশী বেড়ে গেল। যেদিকেই সবাই তাকায় সেদিকেই ছাগু। দেশের কাঠাল পাতা সব শেষ হলো, ছাগুর বাচ্চারা শুধু পাতা খেয়ে শেষ করলে কথা ছিলনা, কাঠাল গাছের কচি চারা গুলিকে ও ভাংতে শুরু করল (ছাগুর বাচ্চার যা অভ্যাস আর কি), আর এতে কাঠালের শুধৃ না কাঠাল পাতার অভাব দেখা দিল সারা দেশে, পরিস্থিতি এমন যে, দেশে কাঠাল পাতা আমদানী করার চিন্তা ও করতে শুরু করল কেউ কেউ।
ছাগুরা শুধু কাঠাল পাতা খেলে সমস্যা ছিল না, কিন্তু তারা এমনভাবে বিচরন শুরু করল যে সারা দেশে তারা ল্যাদানো শুরু করল। মারাত্নক বিপর্যস্ত হয়ে উঠল পরিবেশ। পথে চলা দায়, দূর্গন্ধে ঘরে টেকা দায়। এদিকে ছাগু নিধন ও সম্ভব হচ্ছে না কারন আন্তর্জাতিক পশু অধিকার ফোরামগুলি সোচ্চার হবে তাতে। দেশের কর্তা ব্যক্তিরা তখন ছাগুদের পূণর্বাসনের চিন্তা শুরু করল এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্দান্ত নিল যে একটি নির্ধারিত এলাকায় কাঠাল চাষ করা হবে এবং সেখানে ছাগুদের পূণর্বাসিত করা হবে। যেই কথা সেই কাজ, নির্দিষ্ট একটা সীমা নির্ধারন করে সেখানে লাগানো হলো কাঠাল গাছ, গাছগুলি একটু বড় হতেই সেখানে এনে ছেড়ে দেয়া হলো ছাগুদের। ফলে আপাতত সবকূল রক্ষা পেল। কিন্তু ছাগুরা ও কম নয়, নিজেদের মধ্যে অবাধ মেলামেশার ফলে অচিরেই তাদের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলল এবং সংরক্ষিত এলাকায় তাদের খাদ্য সংকট দেখা দিল। কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যেই তাদের জন্য নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করলে ও তা ছিল গানিতিক হারে। ফলে খাদ্য সংকট! না এতে ছাগুরা দূর্ভিক্ষে পতিত হলো না বরং তারা দাবী জানালো স্বাধীনতার। তারা আর কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকতে চায় না, নিজেদের ভালো মন্দ নিজেরা বুঝবে। তাই সংরক্ষিত এলাকায় স্বায়ত্বশাসন নয় স্বাধীনতার মাধ্যমে তারা ছাগু রাষ্ট্র চায়। গোপনে তারা আতাত শুরু করল ছাগু বান্ধব রাষ্ট্রগুলির সাথে এবং সংরক্ষিত এলাকা থেকে গোপনে বেরিয়ে এসে মাঝে মধ্যেই দেশটির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিল। কর্তৃপক্ষ অনেক চেষ্টা করে ও তাদের নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হতে শুরু করল ফলে যা হবার তাই হলো, সারা দেশের জনগন গর্জে উঠল ছাগুর বিরুদ্ধে। তাদের তখন একটাই শ্লোগান যেখানেই ছাগু সেখানেই প্রতিরোধ এবং ছাগু নিধন। আন্তর্জাতিক পশু অধিকার ফোরাম ও ছাগু বান্ধব সংগঠনগুলি নানা বিবৃতি হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করল। কিন্তু সে হুমকি ধামকি সরকার আমলে নিলে ও সাধারন জনগন কি আর পরোয়া করে! কাজেই চলতে লাগল ছাগু নিধন অভিযান, যা এখন ও চলছে দেশটিতে।
[গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক, কেউকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নয়। কাজেই কেউ এই গল্পের কারনে নূন্যতম কষ্ট পেয়ে থাকলে পোস্টদাতা দায়ী নয়।]

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



