somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কয়েকটি ক্রসফায়ার আর দালাল গণমাধ্যমগুলোর ভাওতাবাজি

২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশে চলতি সপ্তাহে নতুন করে কয়েকটি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে। আর এই ক্রসফায়ারের শিকার হওয়া প্রত্যেকেরই বিরুদ্ধে রয়েছে প্রকাশ্য হত্যাকান্ডের অভিযোগ। আর এরা সবাই সরকার সমর্থক আওয়ামি লীগ তথা ছাত্রলীগ যুবলীগের সদস্য। আমরা সবাই জানি বর্তমান বাংলাদেশে ছাত্রলীগ একটি ভয়ানক দানবের নাম। এদের হাত থেকে রক্ষা পায়না কেউ। দেশের সর্বোত্র চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক বাণিজ্য, অবৈধ অস্ত্রের কারবার, ধর্ষণ, প্রশ্নফাঁশ থেকে শুরু করে খুনোখুনি এখন তাদের নিত্যনৈমিত্তিক নেশা। এদের হাত থেকে যেমন নিরাপদ নয় অশীতিপর বৃদ্ধ তেমনি নিরাপদ নয় মায়ের পেটে থাকা শিশু। এই সরকার সমর্থক সহ সংগঠনগুলো এখন পরিণত হয়েছে সন্ত্রাসীের আশ্রয়স্থলে। এদের নিত্যকার অপকর্মের তান্ডবে নাকাল দেশের সকল শ্রেণীর মানুষ। খোদ হাসিনা তার এই সোনার ছেলেদের অপর্কমে জেরবার। ঠিক তখনি হাসিনা তার মুখ রক্ষার্থে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়ার নির্দেশের প্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তিন-চার জন সন্ত্রাসী এবং হত্যা মামলার আসামীকে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধ কিংবা ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে আর সাথে সাথেই প্রথম আলো - একাত্তর টিভির মত দালাল গণমাধ্যমগুলো মানবাধিকার গেলো বলে হাহাকার আর কান্নাকাটি আরম্ভ করে দিয়েছে। মানবাধিকার লঙঘনের কথা বলে এসব গণমাধ্যম প্রতিদিনই প্রতিবেদন প্রকাশ-প্রচার করছে। মূলত সত্যিকথা হচ্ছে সারা দেশের মানুষ আরো মিনিমাম একশো সরকার সমর্থক সন্ত্রাসীর ক্রসফায়ার দেখতে চায়।
ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের নামে এসব বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু এ বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের তালিকা অনেক দীর্ঘ। এই আওয়ামি লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আজ পর্যন্ত এই ৭ বছরে কত হাজার হাজার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীকে এমনিভাবে কথিত বন্দুকযুদ্ধ, ক্রসফায়ার আর চলন্ত যানবাহনের নিচে ধাক্কা মেরে হত্যা করেছে তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কত শত শত নেতা-কর্মীকে গুম করা হয়েছে তার হিসাব এখনো অজানা। কত লক্ষ লক্ষ মানুষকে বিনা অপরাধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ঢুকানো হয়েছে এবং ঢুকাচ্ছে তারও কোন ইয়ত্তা নেই। কিন্তু আফসোস এইসব নির্দোষ নিপীড়িত -নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলার জন্য নাই কোন প্রথম আলো, নাই কোন একাত্তুর টেলিভিশন কিংবা নাই কোন বিডি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম। কারণ এই সব দালাল গণমাধ্যম চিরকালই মানবাধিকার আর মানবতার কথা বলে দেশের মানুষের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে প্রতারণা আর ভাওতাবাজি করে চলছে। এই প্রথম আলো-কালের কণ্ঠ-একাত্তুর টেলিভিশন গংরা কখনো নির্যাতিত গণমানুষের জন্য ন্যায্য কথা বলেনি। অসংখ্য নিরীহ মানুষকে এই অত্যাচারী জালিম সরকার হত্যা করে চলছে অথচ তখনো এই দালাল গণমাধ্যমগু নির্লীপ্ত থেকে কখনোবা স্বস্তি প্রকাশ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। কিন্তু আজ যখন হাতেগোনা তিন-চার জন সন্ত্রাসী কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা গেলো তখন আর এই দালাল হলুদ সাংবাদিকরা চুপ করে থাকেনি। তারা এখন নানারকম নীতিকথা শোনাচ্ছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্ররকাশ করে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এই সন্ত্রাসীদের রক্ষাকবচ দিতে চায়। এরা এখন মানবতাবোধের কথা বলে। কিন্তু দেশের জনগণ ভালো করেই জানে এই সবই মানবতাবোধের কথা দালাল গণমাধ্যমগুলোর ভাওতাবাজি বৈ আর কিছুই নয়।

প্রথম আলো পত্রিকার ফ্রন্ট পেজের শিরোনাম
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:০৭
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×