আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় এখন প্রতিদিন হচ্ছে নতুন আইন আর নতুন সিস্টেম। সবাই পড়ছে বিপাকে। আজ শুনা যায় এই বিষয় সৃজনশীল কাল শুনি তো না এই বিষয়ে সৃজনশীল তুলে দেওয়া হলো। সকালে শুনা যায় ভর্তির এক নিয়ম বিকালে আসে আরেক নিয়ম। কোন দীর্ঘস্থায়ী বা সুন্দর লিমিটে নেই আমাদের শিক্ষা। সবাই ছুটে সার্টিফিকেটের পেছনে, সুশিক্ষার জন্য নয়। পড়াশুনাটা আজ অনেকের কাছে ভীতি হয়ে গেছে। মৌলিক জ্ঞান অর্জনের চেয়ে সবাই ছুটছে শিট আর সাজেশন্সের পিছে। আর এইসব হবেই না কেনই বা!!! আমাদের তো হাজারটা সাবজেক্ট পড়ে এগোতে হয়। একেবারে মানব দেহ থেকে ছাগলের মূত্র বিশ্লেষণ। ধরুন আপনি মাধ্যমিক এ মানবিক শাখায় পড়লেন। আপনি সব সাবজেক্ট ভালো পারেন শুধু গণিত ভালো পারেন না। এসএসসিতে গণিতে আপনার ফেল আসলো। বাকিগুলোতে আপনি পেলেন স্টার মার্ক। কিন্তু আপনাকে মাধ্যমিকেই পড়ে থাকতে হবে যতদিন না গণিতে পাস না করছেন। জাতির কাছে আপনি হবেন গাধার দাদা বা আদু ভাই। আবার আপনি সায়েন্সে পড়লে ধরুন সবগুলোই ভালো পারেন কিন্তু বায়োলজি তে ফেল। অথচ আপনি ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি এবং ম্যাথে সেরা মার্ক পান। হবে না ভাই। এই হলো আমাদের শিক্ষা। আবার দেখুন এখনকার অনেক কিন্ডারগার্টেনের বাচ্চাদেরকে ইংরেজি গ্রামারের কঠিন কঠিন নিয়মও শেখানো হয় যা সত্যিই পড়াশুনার প্রতি আজীবন ভীতি তৈরি করে। অথচ এই সময়টা বাচ্চাদের হেসে খেলে ছড়ায় ছড়ায় শেখার বয়স। এরকম হলে শিক্ষাক্ষেত্রে স্বাধীনতা থাকতো। অর্থাৎ আজ যা দেখা যায় আজকের শিশুদের ইচ্ছেটাকেও অংকুরে বিনষ্ট করা হচ্ছে। কোচিং প্রাইভেটের কথা না হয় বাদই দিলাম। "সাধারণ জ্ঞান" নামের যে সাবজেক্ট আছে সেটা আমার কাছে "অসাধারণ জ্ঞান" মনে হয়। আমাদের শিশুরা যখন শেখে জাপানের প্রেসিডেন্টের বাপের নাম, তখন জাপানের শিশুরা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্টের বাপকে নিয়ে ভাবে না। তারা পড়াশুনা করে নিজেদের ইচ্ছে অনুযায়ী পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে। তারা চিন্তা করতে শেখে কিভাবে একটা খেলনা রোবটের মাথায় এন্টেনা যুক্ত করা যায়। আর আমরা পড়ি বারাক ওবামার খালুর নাম কি? (সাধারণ জ্ঞান)!!! অবাক হওয়ার কিছু নাই। এই হলো বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষার নমুনা। ভেবে দেখবেন আমার কথাগুলো একটুও যুক্তিযুক্ত কি না!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




