স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম। যখন দেখলাম আর কোন হরতাল বা অবরোধ কর্মসূচীর ঘোষণা কানে আসছে না। ভেবেছিলাম, সেই পুরানো জীবনের সাধারন চলমান প্রবাহে নিজেকে প্রবাহিত করার দিন আবার দরজায় কড়া নাড়ছে। অবশেষে, কোন হরতাল ছাড়াই আগমন ঘটলো পহেলা বৈশাখ এর।
টিএসসি এর ঘটনা নিশ্চয়ই সবাই জানেন। তাই নতুন করে বলার কিছু নেই।
“যাদের সাথে এই ঘটনা ঘটেছে আমি তাদের মধ্যে কেউ না তারাও আমার কেউ না। এই ঘটনায় আমার কোন ক্ষতি হয়নি। আমি কেন ভাববো? ”
-এই চিন্তা অনেকের মনেই আছে। আমি সেই দলের কেউ না!
আমরা সবাই চেয়েছিলাম স্বাধীন এক জীবন। স্বাধীনতা আমাদের সবার ই কাম্য। আমরা কি সেই স্বাধীনতা এখনও পেয়েছি? স্বাধীনতা সবার জন্য। আমরা স্বাধীনতা চাই – আমাদের জন্য। সমগ্র জাতির জন্য। কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি-বিশেষ এর জন্য নয়। সেই স্বাধীনতা থেকে আমরা এখনও অনেক দূরে। আমরা সব কিছুতেই স্বাধীনতা চাই। ‘আমরা স্বাধীন’ – এই কথা প্রমান করতে মাঝে মাঝে আমরা আমাদের বড় পরিচয়ই ভুলে যাই যে ‘আমরা মানুষ’! মানুষ এর কাছে স্বাধীনতা কাম্য হলেও অন্তত একটা জায়গায় মানুষের অধীন থাকা টা-ই শ্রেয়। আর তা হল – নৈতিকতা।
মাঝে মাঝে মনে প্রশ্ন জাগে যে, নারীরা দুর্বল বলেই নির্যাতিত হচ্ছে নাকি নির্যাতিত হতে হতে দুর্বলে পরিণত হয়েছে? এর উত্তর এখনও পাইনি।
“কী দেখার কথা কী দেখছি, কী শোনার কথা কী শুনছি
কী ভাবার কথা কী ভাবছি, কী বলার কথা কী বলছি,
৩০ বছর পরেও আমি স্বাধীনতা টা কে খুঁজছি!”-গানটা শুনেছিলাম অনেক আগে। তখন মনে হয়েছিল, ৩০ বছরে না হলেও ৩২/৩৩ বছরে হয়ত আমরা স্বাধীনতা পেয়ে যাব। নাহ! আজ ৪৩ বছর ৩ মাস ১২ দিন পার হল! এখনও সেই স্বাধীনতা আমরা অর্জন করতে পারিনি।
তবে হ্যাঁ! স্বাধীনতা কেউই পায়নি তা বললে ভুল হবে। কিছু সংখ্যক অমানুষ দের অর্জন এর তালিকায় রয়েছে স্বাধীনতা। আর এটা তাদের মানসিকতা (যা বর্বরতার এক প্রতিরূপ) চিত্রিত করছে প্রতিনিয়ত। সেই অমানুষদের বর্বরতা আরেকটি উদাহরন আমরা পেলাম এই পহেলা বৈশাখ ১৪২২ এ।
আসলে “অল্প স্বাধীনতা ও ভয়ংকরী!” অর্থাৎ অল্প কিছু লোকের স্বাধীনতা।
আর সেটা ভয়ানক রূপ তখনই ধারন করে, যখন সেই স্বাধীনতা পায় এদের মত কিছু মানুষ।
[কার্টুন DemoCrazy - কূটতন্ত্র থেকে নেয়া।]
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৬