দানকৃত সম্পত্তি এই হরিপুর জমিদারবাড়ি কেউ কেউ রাজবাড়ি হিসেবেও বলে থাকে। দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে অনেকে এই জমিদারবাড়িটি দেখতে আসেন। হরিপুর গ্রামের পশ্চিমদিকে তিতাস নদীর পাড়ে অবস্থিত তিনতলা জমিদারবাড়িটিকে বাইরে থেকে দেখে আপনি কিছুই বুঝতে পারবেন না।
একটি বিশাল বারান্দা অতিক্রম করে মূল ভবনটি আপনার চোখে পরবে। জমিদারবাড়িটির স্থাপত্যশৈলী যতটা না চমৎকার তার চাইতে নয়নাভিরাম জমিদারবাড়িটির দেয়ালের কারুকাজ। জমিদারবাড়ির প্রকৃত দরজাগুলো এখন আর নেই। বর্তমানে এখানে প্রায় ৩০টি পরিবার বাস করে।
বলা হয়ে থাকে প্রায় ১৭৫ বছর পূর্বে ইংরেজ শাসনামলে জমিদার গৌরি প্রসাদ রায় চৌধুরী এবং কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরী এই জমিদারবাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। কৃষ্ণ প্রসাদ রায় চৌধুরীর মৃত্যুর পর হরিপদ রায় চৌধুরী এবং শান্তি রায় চৌধুরী এই জমিদারবাড়িটির উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হন।
অতঃপর তাঁদের কাছ থেকে জমিদার বাড়িটির উত্তরাধিকার চলে যায় উপেন্দ্র রায় চৌধুরী এবং হরেন্দ্র রায় চৌধুরীর কাছে। জমিদারবাড়িটি কখনোই মেরামত না করায় দিন দিন এটি তার জৌলুস ও আবেদন হারাচ্ছে। মধুমালতি', 'নাইওরী', 'ঘেটুপুত্র কমলা'সহ আরো বেশকিছু চলচ্চিত্রেরই শুটিং হয়েছে এই জমিদার বাড়িটিতে !
কিভাবে যাবেন,
ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসে অথবা ট্রেনে করে পৌছাতে পারবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌঁছে আপনাকে নাসিরনগর জেলা সদর থেকে ১৪-১৫ কিলোমিটার দূরে হরিপুর ইউনিয়নে যেতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭