ছেলেটার মেয়েটার সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয়ার একটা স্বপ্ন ছিল... সেই স্বপ্নে তারা মাতাল ছিল...
সেই স্বপ্নের শুরুটা বুঝি এমন ছিল... সকাল সন্ধ্যার এক কাপ চায়ে হুড়োহুড়ি করা...
হুড়োহুড়িতে কখনো সেই চা ছলকে ছেলেটার টি-শার্টে পড়বে কখনো মেয়টার ওড়নায়...
অই শোন আমরা এক প্লেটেই কিন্তু নাস্তা খাবো... মেয়েটা বলে চলে...
আহা তাইলে তো তোর আরা নাস্তা খেতে হবে না... সব আমি খেয়ে ফেলবো তোর আগে...
তুই হাঁ করে দেখবি...ছেলেটা বলে চলে................!
পেটুক হাতি একটা, মেয়েটা কপট রাগ দেখায়, এরপর বলে...
আচ্ছা, আমি তোকে নিজ হাতে খাইয়ে দেবো আর তুই আমাকে খাওয়াবি রাজি...?
ছেলেটা বলে রাজি না মানে পাগলীটা ১০০বার রাজি...
এরপর আসে বালিশ আর কাঁথা ভাগাভাগি...
মেয়েটা বলে শোন, আমাদের বিছানায় কিন্তু একটাই বালিশ আর একটা কাঁথা থাকবে...
ছেলেটা বলে ওকে একটা বালিশে কাঁথা মুরি দিয়ে আমি ঘুমাবো আর তুই রান্নাঘরে বসে থাকিস কেমন... ?
মেয়েটা বলে হারামী বদের হাড্ডি! বালিশটাতে তুই-ই মাথা রাখিস... আমাকে তোর বুকে মাথা রাখতে দিস... রাজি...?
হু রাজি মানে আলবৎ রাজি... কিন্তু কাঁথার কি হবে...রে ছেলেটা বলে চলে...?
মেয়েটা বলে চলে আরে বুদ্ধু কাঁথাটা আমার উপরে নেবো ঠিক ই কিন্তু তুই তো থাকবি আমার বুকের উত্তাপে... রাজি...বল?
অমাআআ কি কস তুই আমার চাদনীটা...? রাজি মানে আলবৎ রাজি...
এবার ছেলেটা বলে অর্ধেক রাত তুই আমার বুকে মাথা রাখবি অর্ধেক রাত আমি...
ঠিক ঠিক এভাবে কাঁথাও ... বলতে বলতে ছেলেটা হাসে...
মেয়েটা চুপচাপ মাথা নুইয়ে থাকে... তিরতির করে ঠোঁট দুটো কাঁপে ...
ছেলেটা আলতো করে মেয়েটাকে কাছে টেনে নিয়ে দুজনের ভাগাভাগির স্বপ্নে মাতাল হতে থাকে...
তারপর বলে আচ্ছা মশারী কে টানাবে শুনি...? রান্না...? সেবা- যত্ন... এসবের কি হবে...?
মেয়েটা ছেলেটাকে চিমটি কেটে বলে...সব ভাগাভাগি করে নেবো রে হাব্লা...
শুধু তোকে কারো সাথে ভাগাভাগি করতে পারবো না...রাজি... বল?
কেন রে... তুই তো জানিস আমার অনেক শাঁকচুন্নি আর কটকটি আছে...
তুই ই তো বলিস... ওদের সাথে না কি আমার পিরিত... সো...!
খ্যাক খ্যাক করে ছেলেটা হাসে...
মেয়েটা বলে--তোরে কাইটা ভাসাইয়া দেবো তবু কারো সাথে ভাগাভাগিতে যাবো না...হু...
ছেলেটা বলে চলে- আরে পাগলী আমিও তোর সাথে কাউকে ভাগাভাগি করতে পারবো না...
মনে রাখিস- “ In my world there’s only you & me...”
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:১০