আপনার বিশাল আলোচনায় ৪টি প্রশ্ন আছে
১। ইসলাম গ্রহণের সাথে দাস প্রথাকে কেন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো না?
২। যুদ্ধবন্দীরা কেন দাস হবে?
৩। যুদ্ধবন্দীনি কেন দাসী হবে এবং কেন তাদেরকে মুসলমানদের মাঝে বন্টন করা হবে এবং কেন তাদের সাথে যৌনাচার বৈধ হবে?
৪। পালিত পুত্রের হুকুম কি?
ইসলাম গ্রহণের সাথে সাথে মদ ও অবাধ যৌনাচার নিষিদ্ধ করা হয় নাই।
(ক) মদ নিষিদ্ধ করা হয় দীর্ঘ দুই বছরে তিনটি ধাপে
প্রথমত বলা হয় মদ এর মধ্যে কোন কল্যানকর কিছু নাই।
দ্বিতীয়ধাপে বলা হয় মদ খেয়ে তোমরা নামাজে এসো না
এর পর তৃতীয় ঘোষণায় মদ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
(খ) আরবদের অবাধ যৌনাচারের জন্য ব্যভিচার থেকে রক্ষা করতে একত্রে চারটি স্ত্রী রাখার বিধান দেয়া হয়েছে।
(গ) দাস প্রথাকে তখনই সরাসরি মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়নি তবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রমাণঃ
কোন স্বাধীন ব্যক্তিকে দাস বানানো যাবে না
মুসলমানেরা দাসের ব্যবসা করতে পারবে না
দাসমুক্তি সর্বোত্তম সদকা হিসেবে গণ্য হতো
ইসলামে বিশেষ ধরণের গুনাহ এর জরিমানা (কাফফারা) হিসেবে দাসকেমুক্তি দেয়ার বিধান
দাসকে যেহেতু টাকা দিয়ে ক্রয় করা হয়েছে, সেহেতু তাকে ‘টাকা প্রদান সাপেক্ষে আযাদ’ দিয়ে মুক্তির ব্যবস্থা ছিল।
এ সকল কারণে সামাজিক ভাবে একক কোন সিদ্ধান্ত ইসলাম দেয়নি।
যুদ্ধবন্দীরা কেন দাস হবে?
তৎকালীন বিশ্বের নিয়মানুযায়ী যুদ্ধবন্দীদেরকে হত্যা করা হতো এবং এ নিয়মানুযায়ী মদিনায় শর্তভঙ্গকারী এক ইহুদী গোত্রের সকলকে (ইহুদী ধর্মের বিশ্বাসঘাতকা আইন অনুযায়ী) হত্যা করা হয়।
ইসলাম এসকল ব্যক্তিকে বেঁচে থাকার সুযোগ দিয়েছে। কারণঃ
১। তারা নিজেরা নির্দিষ্ট পরিমান টাকা প্রদান সাপেক্ষে মুক্তি পেতে পারত
২। তাদের আত্মীয় স্বজন নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করে তাকে নিয়ে যেতে পারত।
৩। যুদ্ধবন্দীর বিনিময়ে তাদেরকে মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা ছিল।
৪। শিক্ষিত যুদ্ধবন্দী ১০জন মুসলামানকে স্বাক্ষর করাতে পারলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে।
এভাবে যুদ্ধবন্দীদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা ছিল।
যুদ্ধবন্দী নারীদেরকে কেন দাসী করে মুসলমানদের মধ্যে বন্টন করা হবে এবং তাদের সাথে কেন যৌনাচার করা যাবে?
দেখতে হবে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় এক্ষেত্রে নারীদেরকে কিভাবে মূল্যায়ন করা হতো? ইসলামের বিধান কি তার চেয়ে খারাপ কি না?
ইসলাম পূর্বযুগে যুদ্ধবন্দীনিদেরকে যৌনদাসী, জলসার গায়িকা এবং দেহপ্রদর্শনীতে ব্যবহার করা হতো। আরবের সর্বত্র এ সকল নাচগানের ব্যবস্থা ছিল। একগোত্রের মেয়েকে ধরে এনে অন্য গোত্রের লোকজন ব্যবহার করত সম্মিলিতভাবে।
ইসলামে এক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির অভিভাবকত্ব প্রদান করা হয়েছে। এতে নারী নিজ সম্ভ্রব রা করে চলতে পারত। স্বভাবতই নারীর প্রতি দূর্বলতা থাকতে পারে এজন্য তৎকালীন সামাজিকতার জন্য যৌনাচারকে বৈধতা দেয়াছিল। যে কোন দাসীর গর্ভের সন্তানকে সম্পদের উত্তরাধিকার দেয়া হত এবং এসকলদাসীকে হস্তান্তর নিষিদ্ধ ছিল। এভাবে তৎকালীন সামাজিক রেখাকে ভেদ করে সর্বোত্তম পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে।
পালকপুত্রের ব্যাপারে আপনার শরীর ঘিন ঘিন খিজ খিজ করলেও কিছু করার নাই। কারণ ঐ ছেলে তার পালকপুত্র।
বর্তমানে কেউ যদি মুসলমান হতে চায় তবে তার উপর উপরোক্ত নিয়ম সমূহ প্রথম থেকেই পরিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে।
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বর্তমান সময়ে ইসলামের কোন যুদ্ধে কেউ বন্দী/বন্দীনি হলে তাকে দাস/দাসী করার কোন সুযোগ নেই। যুদ্ধ বন্দী বিনিময় হতে পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




