somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

ফকির ইলিয়াস
আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

বাঙালির চেতনার সঙ্কট ও একুশের প্রেরণা

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১০ ভোর ৫:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাঙালির চেতনার সঙ্কট ও একুশের প্রেরণা
ফকির ইলিয়াস
======================================
তবে কি আবার আরেকটি রক্তক্ষয়ী অর্জনের মুখোমুখি বাংলাদেশ? এ প্রশ্নটি গোটা বাঙালি জাতিকেই একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। বাংলাদেশে একটি হায়েনাচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বেশ পরিকল্পিতভাবে। উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের খুন করা হয়েছে। ঢাকায় এবিএম ফারুক হোসেন নামে আরেক ছাত্রকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিকে তীব্র সঙ্কটের মুখোমুখি ঠেলে দেয়ার এই যে প্রক্রিয়া এর নেপথ্যে কারা? কি তাদের উদ্দেশ্য?
এর উত্তর খোঁজার আগে একটি সংবাদের দিকে চোখ ফেরানো যাক। যুক্তরাষ্ট্রের এন্টি টোরোরিজম বিভাগ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। খবরটির একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। এ সংবাদটি প্রচারিত হওয়ার পর এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। যারা শিবির-জামায়াতকে সমর্থন করে তারা বলছে, আমেরিকা নিষিদ্ধ করার কে? তারা তা করলেই কি আর না করলেই কি? আমরা কি থোড়াই কেয়ার করি।
আর সংবাদটিকে যারা সমর্থন করেছে তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র চোখে আঙ্গুল দিয়ে শিবিরের স্বরূপ দেখিয়েছে। তারা যে জঙ্গিবাদের সহচর, তা বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
কথাটি ঠিক, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গিয়ে শিবির-জামায়াতের সহিংসতা, রগকাটার রাজনীতি বন্ধ করতে পারবে না। তা করতে এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশ সরকারকে। এগিয়ে আসতে হবে গোটা বাঙালি জাতিকে।
বিষয়টি নিয়ে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ব্লগ, আলোচনা গ্রুপে বিস্তর আলোচনা হচ্ছে। লক্ষ্য করছি, শিবিরের রগকাটার রাজনীতির পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে তুলোধুনো করছেন বেশ কিছু বুদ্ধির ঢেঁকি বুদ্ধিজীবী। তারা বলছেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাকি শিবিরের হাতেই বেশি নিরাপদ !
প্রকারান্তরে তারা সেই পরাজিত রাজাকার শক্তির পক্ষেই সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছেন। যেহেতু সন্ত্রাসী শিবিরকে সরাসরি সমর্থন দিতে পারছে না, তাই তারা ছাত্রলীগের অপকর্মের চিত্রগুলোকে খুব বড় ক্যানভাসে এনে, তা দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ঘায়েল করার চেষ্টায় লিপ্ত হচ্ছেন।
কথা হলো, ছাত্রলীগের কেউ দোষ করলে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে। শাস্তি দেবে। এর সঙ্গে তুলনা করে সন্ত্রাসী শিবিরকে কি ধোয়া তুলসিপাতা বানানো উচিত? রগকাটার রাজনীতিকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত?
না উচিত নয়। কোনভাবেই উচিত নয়। তারপরও এটার মধ্যপন্থি সুবিধাভোগী পরাজিত শক্তিরা মওকা নেয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। 'সাংবাদিক নির্যাতন করা হচ্ছে' বলে লাউড স্পিকার হাতে নিয়ে কিছু ডানপন্থি সাংবাদিক 'আন্দোলনের' হুমকি দিচ্ছে। অথচ শিবিরের সশস্ত্র আক্রমণের বিরুদ্ধে তারা একটি শব্দও উচ্চারণ করছে না।

দুই.
একটি বিষয় খুব গভীরভাবে লক্ষণীয়। গেল দু'সপ্তাহে দেশজুড়ে পরাজিত রাজাকার-আলবদর শক্তি যেভাবে সভা-সমাবেশ করেছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির তেমন কোন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়নি। অথচ এখন চলছে মহান একুশের মাস। যে একুশ এ জাতিসত্তাকে জাগরণের পথ দেখিয়েছিল।
বাঙালি জাতির যে একটি স্বাধীন দেশের প্রয়োজন, মহান ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে সেই জানানই দিয়েছিল বাঙালি বায়ান্ন সালে। প্রতিরোধ-প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিল। রক্ত দিয়েছিল। এবং অর্জন করেছিল সেই স্বাধিকার। যার পথ ধরে এগিয়ে গিয়েছিল এ জাতির স্বাধীনতার পথ। এর বাস্তবায়নে ৪০ বছর সময় লাগলেও একাত্তর সালে এসেছিল মহান বিজয়।
সেই বিজয় কি সহজ ছিল? না ছিল না। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এসেছিল সেই বিজয়। খুব সত্য কথা হচ্ছে, সেই যুদ্ধের সময়েও এই রাজাকার-আলবদরচক্র বলেছিল পাকিস্তানি হানাদারদের হাতেই নাকি বাঙালি নারী-পুরুষ বেশি নিরাপদ! যে কথাটি এখনও তারা বলে বেড়াচ্ছে, এই রগকাটা সন্ত্রাসীদের হাতেই নাকি জাতি সুরক্ষিত। তার অর্থ কি দাঁড়ায়?
অর্থটি হচ্ছে এই তারা সেই একই সমানুপাতে জাতিকে পাকিস্তানি তমুদ্দনপন্থি বানাতে চাইছে। তারা সেটাই বলতে চাইছে আমরা পাকি আমলেই ভাল ছিলাম।
ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের তল্লাশিতে বেরিয়ে এসেছে, আইএসআই নামক পাক-গোয়েন্দা সংস্থাটি বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাতে বিশাল পরিমাণের অর্থ ঢেলে আসছে। জামায়াত-শিবিরের বেশ কিছু প্রাক্তন কর্মী যারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান করছে, তারা নানাভাবে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছে। তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার পন্ড করা।
এদের দেশী-বিদেশী এজেন্টরা এতই সক্রিয় যে তারা মুক্তিযুদ্ধের কথা মুখে বলে হলেও মানুষকে ধোকা দেয়ার চেষ্টা করছে। 'দেশ বাঁচাও'-এর দোহাই দিয়ে তারা স্বরূপে আবির্ভূত হচ্ছে।
গেল ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ বুধবার দুটি জাতীয় দৈনিকে দুটি খবর ছাপা হয়েছে। যা সত্যিই ভয়াবহ। 'যমুনার চরে চলছে জঙ্গি প্রশিক্ষণ' (কালের কণ্ঠ)। 'ঢাকায় জামায়াত-শিবির চক্রের ৪১ স্থায়ী আস্তানা শনাক্ত' (সংবাদ)।
সংবাদ দুটি এই সাক্ষ্য বহন করছে, এরা বসে নেই। তারা তাদের কাজ করেই যাচ্ছে। এই যে অশনি সঙ্কেত তাতে কি প্রধান বিরোধীদল বসে আছে? না তারাও বসে নেই। তারা আন্দোলনের নামে বিভিন্নভাবে রাজাকারদের সঙ্গে আবার ঐক্য গড়ার চেষ্টা করছে। ঢাকা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন ইস্যুকে কেন্দ্র করে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি দিয়েছে। স্মারকলিপি দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। টিভিতে সেই দৃশ্যটি দেখলাম। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বিএনপির নেতাদের বলেছেন, 'আপনারা বসুন। সামনে আপনাদের অনেক দৌড়াতে হবে। বসে বিশ্রাম নিন।'
বাংলাদেশে কে দৌড়ে আর কে কারে দৌড়ায় তা বলা বড় কঠিন। তবে খুব পরিকল্পিতভাবে রাজাকারচক্র দেশে যে ত্রাসের রাজস্ব কায়েম করতে চাইছে তাদের জনগণ সায়েস্তা করতে পারবে কি?
একুশ আমাদের একটি প্রেরণা দিয়েছিল, আর তা হচ্ছে সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর। বাঙালি জাতি সেই পথ ধরেই এগিয়েছে। সেই চেতনাও ছিনতাইয়ের চেষ্টা হয়েছে। কুখ্যাত রাজাকারকে 'ভাষাসৈনিক' বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে এ বাংলাদেশেই। কিন্তু জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে বার বার।
একটি কথা মনে রাখা দরকার ১৫ আগস্টের পরাজিতরা হাত মিলাবে একাত্তরের পরাজিতদের সঙ্গেই। কারণ ১৫ আগস্টের বেনিফিসিয়ারিরা জানে গণতান্ত্রিক উপায়ে এই শহীদদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশে তাদের সিংহভাগ রায় নেই। আর সেজন্যই তাদের একমাত্র পথ 'শর্টকার্ট', যা তারা বারবার করে এসেছে।
বাংলাদেশে বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই এখন আর প্রধান নয়। কারণ চারপাশের বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যে যত বেশি ভাষা রপ্ত করতে পারবে তার জন্য তত বেশি খুলে যাবে বিশ্ব দরজা। একথা আজকের প্রজন্ম জেনে যাচ্ছে প্রতি পদে পদে। দেশের আধুনিক বিদ্যানিকেতন এবং এর প্রসারতা সেই প্রমাণ করছে।
আজ যা বেশি প্রয়োজন তা হচ্ছে ভাষার চেতনা। বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, আদর্শের উৎস সন্ধান করে সত্যের পক্ষে প্রজন্মের মনন বিনির্মাণ।
এদেশে যারা তরুণ প্রজন্মকে চাকরি, চিকিৎসা সুবিধাসহ অন্য সুবিধাদি দিয়ে বিপথগামী করছে, তাদের প্যারালাল শক্তি গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাদী শক্তির এ বিষয়টি সিরিয়াসলি ভাবা দরকার। যারা বিত্তবান, তারা নিজ নিজ এলাকায় মেধাবী প্রজন্মকে সাহায্যের মাধ্যমে হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন। কারণ মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণে অপশক্তি যতটা তাদের অনুসারীদের সাহায্য করছে, যুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি তা করছে না। কেন করছে না? আমাদের গাফিলতি কোথায়? এ কারণগুলো সবাইকে খুঁজে দেখতে হবে। সরকার ও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন গণমানুষের ঐক্যই পারে একুশের চেতনা ধরে রাখতে।
নিউইয়র্ক, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০
---------------------------------------------------------------------
দৈনিক সংবাদ ।ঢাকা । ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ শুক্রবার প্রকাশিত

১৮টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭


ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে চাঁদগাজীর নাম দেখাচ্ছে। মুহূর্তেই আপনার দাঁত-মুখ শক্ত হয়ে গেল। তার মন্তব্য পড়ার আগেই আপনার মস্তিষ্ক সংকেত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×