মাদকাসক্তি বলতে মূলত বিভিন্ন ড্রাগ যেমন এলকোহল, এম্ফিটামিন, ক্যাফেইন, মারিজুয়ানা, ককেইন, হ্যালুসিনোজেনস, ইনহ্যালানট, নিকোটিন এর অপব্যবহারকে বা এগুলোতে আসক্ত হওয়া বুঝায়। দীর্ঘ সময় ধরে মাদকাসক্তির ফলে পেশা বা দৈনিক কাজ সম্পাদনে নেতিবাচক প্রভাব পরে, সম্পর্কে টানাপড়েন ঘটে, কর্মদক্ষতা হ্রাস পায়, দৈনিক রুটিনে প্রভাব পরে যা স্বাস্থ্যের জন্যে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
যারা মাদকাসক্তিতে ভুগেন তাদের সাধারণত ঔষধ, কাউন্সেলিং, পুনর্বাসন, আত্মনির্ভর গ্রুপ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি প্রয়োজন হয়। অকুপেশনাল থেরাপি চিকিৎসা পদ্ধতি ঔষধ ও কাউন্সেলিং চিকিৎসা পদ্ধতি থেকে ভিন্ন যাতে একজন মাদকাসক্ত রোগীর ঔষধ ছাড়াই জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় দক্ষতা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে তাকে সামাজিক ভূমিকায় (যেমন পেশাজীবী, বাবা/মা, স্বামী/স্ত্রী, বন্ধু) অবতীর্ণ হতে সহায়তা করে। এছাড়াও মাদকাসক্তি রোগীরা অকুপেশনাল থেরাপিসটের কাছ থেকে কার্যকরী Coping strategies শিখে যাতে তারা তাদের দায়িত্ববোধ, আর্থিক লেনদেন, অন্যদের সাথে ফলপ্রসূ যোগাযোগ এবং চাপজনিত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেয়ার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে পারে।
অকুপেশনাল থেরাপিসট কি করেন?
■একজন রোগীর সামর্থ্য অ কর্মদক্ষতা নিরীক্ষণ করেন।
■সুস্থ হবার প্রক্রিয়ায় রোগীকে জীবনের স্বল্প অ দীর্ঘ মেয়াদী লক্ষ্য নির্ধারণে সহায়তা করেন।
■রোগীর যাতে জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজের করে নিতে পারে সেজন্য উপযুক্ত কৌশল প্রয়োগ করা যেমনঃ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেবার দক্ষতা, আর্থিক লেনদেনে পারদর্শিতার জন্যে কৌশল ইত্যাদি।
■জীবনে নতুনভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্যে পরিকল্পিত কৌশল প্রয়োগ
পরিবারের ভূমিকাঃ
■মাদকাসক্তি বিষয়ে অকুপেশনাল থেরাপিসট এবং অন্য চিকিৎসকগণের সাথে সমন্বয় রাখা।
■মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে প্রত্যাবর্তনের পথে বন্ধু বা কাছের মানুষ হয়ে সহায়তা করা যাতে তিনি জীবন যাপনের মান উন্নয়নে বিকল্প কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
■পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং এলকোহল ও ড্রাগ মুক্ত পরিবেশে বেঁচে থাকতে সহায়তা করা।
■বিভিন্ন গ্রুপ থেরাপি, কাউন্সেলিং কিংবা নিজের শিক্ষা ও সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যে প্রয়োজনীয় গ্রুপ সেশনে অংশগ্রহণ করা।
লেখকঃ
শম ফারহান বিন হোসেন
ক্লিনিক্যাল অকুপেশনাল থেরাপিসট,
সিআরপি-মিরপুর, ঢাকা।
মোবাইলঃ ০১৬৮৫৬৫৬১৯৯

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



