ছেলেটির নাম নির্ঝর। বিবিএ ফার্স্ট ইয়ারে পড়ে। বিগত কয়েক বছর ধরে তার একটি বাজে স্বভাব গড়ে উঠেছে, খালি মেয়েদের পিছে ঘুরে বেড়ানো। ঠিক এমনি সুবর্ণা নামের একটি মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার পর, মেয়েটি তার কাছে কিছুদিন সময় চেয়ে নিলো। মেয়েটি কোনো একভাবে জানতো নির্ঝর এর বাজে স্বভাবের ব্যাপারে। সে কিছুক্ষন ভাবার পর সিধান্ত নিলো,
‘এবার নির্ঝরকে তার ভুলগুলো বুঝতে হবে। আহহহ আমি এক কাজ করি ওকে একটা গোলাপ ফুলের চারা গিফট করি। হ্যা তাই করি’।
সুবর্ণা তারপর দিন নির্ঝরের সঙ্গে দেখা করে বলল,
-আচ্ছা তুমিতো আমাকে ভালোবাসো তাইনা?
-হ্যা কোনো সন্দেহ?
-না নেই সন্দেহ। তবে তোমাকে প্রমাণ করে বুঝাতে হবে।
-মানে?
-তোমাকে আমি এই গোলাপের চারা গাছটি দিচ্ছি,তুমি এই গাছের যত্ন নিয়ো খুব সাবধানে। কারণ এখানে তোমার ভালোবাসা বিরাজ করবে। তোমাকে ৬মাস সময় দিলাম তুমি এই চারা গাছটির যত্ন নিয়ে গাছটিকে বড় করে তুলো। যদি তুমি খুব যত্ন সহকারে গাছটিকে বড় করে তুলতে পারো তাহলে তবেই আমি তোমার প্রস্তাবে রাজি হবো।
-আমার ভালোবাসা! এই চারা গাছের সাথে আমার ভালোবাসার সম্পর্ক কোথায়! আর তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি একটি চারা গাছের যত্ন নিবো!
-হ্যা,ঠিক তাই। এখনতো ভালোই বলছ তোমার ভালোবাসা আমি,তো তাহলে অবশ্যই এখানে আমিই বিরাজ করবো তোমার জন্য। তবে কি তুমি তোমার ভালোবাসার যত্ন এখনো নিতে পারবেনা?
নির্ঝর ঠিক বুঝতে পারেনি। তার খুব হাসি পাচ্ছে সুবর্ণার কথা শুনে। একটি গোলাপ ফুলের চারার মাঝে আবার নির্ঝরের ভালোবাসা,বাহ!
নির্ঝর তার বাসায় সেই গোলাপের চারা গাছটি নিয়ে গেলো। তার রুমের বারান্দার এক পাশে যত্ন করে রেখে দিলো। ২দিন চলে গেলো, হঠাত করে ওর চোখ পরলো সেই চারা গাছের দিকে। খুব মায়া লাগছে দেখে তার।
-ইশ! বেচারা চারা গাছ! একটু পানি দিয়ে দিয়ে দেই গাছে।
প্রতিদিন অল্প অল্প পানি দিতে দিতে অবশেষে দেখা গেলো চারা গাছ এখন আর চারা নেই। ধীরে ধীরে বড় হয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে নিজের অজান্তেই নির্ঝরের মুখে একটি হাসি চলে আসলো।


অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



