somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মাননীয় বিচারপতি সমীপে

০৫ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা মানুষ, মেশিন নই; ইচ্ছা হলেই মুখ বন্ধ করে দিবেন। বিভিন্ন রুল জারী করবেন আর ভাববেন চুড়ান্ত হুমকি দিয়েছি। ইতিহাস বলে ভয় দেখিয়ে সাময়িকভাবে হয়তো কিছু মানুষ চুপ হয়ে যাবে। তাবলে কিছু মানুষ কিন্তু ১০০ % জনগণ নয়। উচ্চ শ্রেনীর কিছু মানুষ যদি ১৬ কোটি মানুষের মতবাদ পাল্টে দিতে পারতো তাহলে বাংলাদেশে এতগুলো রাজনৈতিক দল থাকতো না।

উচ্চ শ্রেনীর কিছু মানুষকে গান শুনিয়ে আর ফুচকা খাইয়ে হয়তো সাময়িকভাবে জ্বি ম্যাডাম ! জ্বি ম্যাডাম ডাকটি শোনা যায়। কিন্তু গল্পের শেষে সেই বা্চ্চা ছেলেটির মতো বলে দিবে রাজা মশায়, আপনার গায়ে তো কোনো পোশাক নেই।ঠিক মেঘের মতো করে।

সাগর-রুনি হত্যার পর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন সমবেদনা প্রকাশ করতে এবং মেঘের দ্বায়িত্ব নিতে মেঘকে ডেকেছিলেন। মেঘ বলেছিল, আপনার পিছনে যে ছবিটা (বঙ্গবন্ধুর) টানানো, সেটি দেখতে ভুতের মতো লাগে। ওর ভয় করে।সেদিন তো, মেঘের মুখ চেপে ধরতে পারেননি। বরং বলেছেন ছবিটা আপনি সরিয়ে ফেলবেন। যে কোনো চাটুকারকে যখন জিজ্ঞাসা করবেন, সে কিন্তু বলবে চমৎকার ছবি, এর উপরে কোন ছবিই হয়না।

কথায় আছে ''ঝি''কে মেরে বউকে শিখাতে হয়।কিন্তু আমাদের দেশের নিয়ম যেন উল্টো পথে চলে। যতদূর মনে পরে, সরকারী দলীয় কোন এক মন্ত্রী / এমপি মন্তব্য করেছিলেন সাগর-রুনি হত্যার পিছনে জামাতে ইসলামের হাত আছে। তখনতো বিচার বিভাগ কোনো রুল জারি করেন নি। রুল জারি করলেন কখন? যখন বিরোধী দলীয় নেত্রী বললেন, সরকারী দলের কোন মন্ত্রী এর সঙ্গে জড়িত।

বিচার বিভাগের এই রুলের পর, সাপও মরলো লাঠিও ভাঙ্গলো না। এখন আর কেউ গলা খুলে কথা বলতে পারবেনা। গুজব ছড়াবে না জনগণ বা কোন মিডিয়া অথবা সংবাদ মাধ্যম। এখন প্রশ্ন হলো, সরকারের কোন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবং জনৈক মিডিয়া ব্যবসায়ীর নামে, এমন গুজব উঠলো কোন ভিত্তিতে তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?

১৪-২-২০১২-র প্রথম আলোর তথ্য মতে, ৭৬ শতাংশ মামলার ক্ষেত্রে আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। অর্থাৎ ৭৬ শতাংশ মামলার আসামি খালাস পায়। তাহলে দেশের ভবিষ্যত কোনদিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ কেন এই ব্যাপারে কোন রুল জারি করে না। আমরা কি রাত যত গভীর হবে সব ভুলে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়বো।

দিন যাচ্ছে আর খবরের পাতা থেকে মুছে যাচ্ছে সাগর-রুনি। ৪৮ ঘন্টার সময় পেরিয়ে কত সময় যে গড়িয়ে গেল এবং যাবে হিসাব করে বলা যাচ্ছে না। মৃত্যুর কারণ এখনো খুঁজে পাচ্ছেনা পুলিশ। এভাবে একের পর এক হত্যা হবে। কিন্তু বিচার হবেনা। তদন্ত চলতে থাকবে অনন্তকাল যাবৎ। এক সময় ধুলা পড়ে যাবে স্মৃতির পাতায়।

আমাদের মনে রাখতে হবে, ছোট মেঘ একদিন বড় হবে। প্রশ্ন করবে, আমার বাবা-মায়ের খুনীকে ধরা হলো না কেন? বিচার হলো না কেন? মেঘ কিন্তু একা নয়। শতদল মেঘ এখন এক হয়েছে। জবাব দেয় তারা বি.এস.এফের অত্যাচারের। ৩৫% ভোট এখন তরুণদের হাতে।

আশার কথা হলো জনগণ, সাংবাদিক আর মিডিয়ার মুখ বন্ধ করা মাননীয় বিচারপতি এত সহজ নয়। সহজ কথা সহজ করে যায় না বলা। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিবাদ করছে মানুষ। এই প্রতিবাদ হেলায় উড়িয়ে দেবার মতো নয়।

দাবানল জ্বলে উঠলে পুড়িয়ে ছারখার করে সবকিছু। পুড়ে নিঃশেষ হবার আগে জনগণের মনকে বোঝার চেষ্টা করুন। ভাববেন না, ভোট দেয়ার দ্বায়িত্ব পালন শেষ করে, মানুষ তার বাঁচার অধিকারের কথা ভুলে যাবে আর ভাববে, ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত।

ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)
বন জার্মানি






সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১২ ভোর ৪:৩৭
৯টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ধর্ম অবমাননার ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২৯


ঢাকায় এসে প্রথম যে স্কুলে ভর্তি হয়েছিলাম, সেটা ছিল মিরপুরের একটা নামকরা প্রতিষ্ঠান। লটারির যুগ তখনো আসেনি, এডমিশন টেস্ট দিয়ে ঢুকতে হতো। ছোট্ট বয়সে বুঝিনি যে স্কুলের টিচাররা কোন মতাদর্শের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৮

ওরা দেশের শত্রু; শত্রু দেশের মানুষেরও...

অন্তর্জাল থেকে নেওয়া সূর্যোদয়ের ছবিটি এআই দ্বারা উন্নত করা হয়েছে।

ইসলামের পবিত্র আলো ওদের চোখে যেন চিরন্তন গাত্রদাহের কারণ। এই মাটি আর মানুষের উন্নয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তারেক রহমানের হঠাৎ ‘জামায়াত-বিরোধী’ উচ্চারণ: রাজনীতির মাঠে নতুন সংকেত, নাকি পুরোনো সমস্যার মুখোশ?

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯

তারেক রহমানের হঠাৎ ‘জামায়াত-বিরোধী’ উচ্চারণ: রাজনীতির মাঠে নতুন সংকেত, নাকি পুরোনো সমস্যার মুখোশ?

বিএনপি রাজনীতিতে এক অদ্ভুত মোড়—অনেক বছর পর হঠাৎ করেই তারেক রহমান সরাসরি জামায়াতকে ঘিরে কিছু সমালোচনামূলক কথা বললেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন থাপ্পড় খাবি!

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩৩



ঘটনাঃ ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দামের পতনের সময়।
চৈত্র মাস। সারাদিন প্রচন্ড গরম। জামাই তার বউকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। সুন্দর গ্রামের রাস্তা। পড়ন্ত বিকেল। বউটা সুন্দর করে সেজেছে। গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

এডমিন সাহেব আমাকে নিয়ে অনেক বক্তব্য দিতেন এক সময়।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৯



আমার "চাঁদগাজী" নিকটাকে উনি কি জন্য ব্যান করেছিলেন, সেটা উনি জানেন; আসল ব্যাপার কখনো আমি বুঝতে পারিনি; আমার ধারণা, তিনি হয়তো নিজের দুর্বলতাগুলো নিয়ে ভয়ে ভয়ে থাকতেন; মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×