somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঈশ্বরের অস্তিত্ব

০৭ ই নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শয়তানঃ তুমি কি দেখো না শয়তান বলে কিছু নেই , তবুও তুমি শয়তানে বিশ্বাস কর ?

মুসলমান ঃ হ্যা আমি করি ।

শয়তানঃ তুমি কি বিজ্ঞান বিশ্বাস করো না ?

মুসলমান ঃ হ্যা করি ।

শয়তানঃ বিজ্ঞান তো জীন জাতিকে পায় না । তা সম্পূর্ন অযুক্তিক ।

মুসলমান ঃ না , কোরানে বলা আছে । অতএব, অবশ্যই আছে , কিন্তু বিজ্ঞানের পর্যবেক্ষনে কোথাও সমস্যা আছে ।

শয়তান ঃ আচ্ছা, তুমি কি গডে বিশ্বাস কর ?

মুসলমানঃ হ্যা করি ।

শয়তান ঃ তাহলে ঈশ্বর তোমার বিপদে সাহায্য করতে আসেন না কেন ?

মুসলমান ঃ কে বলে আসেন না ।

শয়তান ঃ তুমি কি দেখো নি , তুমি এক জন অতি দরিদ্র । রোদের খর তাপে, তুমি কাজ কর , তোমার বাচ্চারা অনাহারে অর্ধহারে থাকে তবুও তুমি মনে কর ঈশ্বর আছেন ? তোমার ছেলেটা অসুস্থ, তোমার মেয়েটা কাঁদছে , তবুও বল তিনি তোমাকে সাহায্য করেন ? তোমার ভাই-বোনেরা ফিলিস্তিনে কুকুরের মত গুলি খেয়ে মরে তবুও বল তিনি তোমাকে দেখেন ? তুমি কি দেখনা , পাহাড়-সমতুল্য কালো টাকা আর সাদা টাকার অট্টালিকা গুলি, তোমার গার্মেন্টসের শ্রমিক ভাই, আর বোনের মাথায় পরে, আর তারা তোমার চোখার সামনে মারা যায় , তবুও বল তিনি তোমাকে দেখেন । কি আশ্চর্য, কয়দিন আগেই না সিডর আর সাইক্লোন, তোমার ঘর বাড়ি আর তোমার ভাই বোন দের নিয়ে গেল , তখন কোথায় ছিল তোমার ঈশ্বর । বল ? কি ভুলে গেছ সে দিন ভুমিকম্প আর সুনামিতে তোমার ইন্দেনেশিয়া মালোশিয়াতে তোমার ভাই মারা গেল । বল আফ্রিকায় তুমার ভাইয়েরা কি দোষ করেছিল , যে যুগ যুগ ধরে তাদের অবহেলায়, বঞ্চনায় থাকতে হবে । কি ? এখনও বুঝতে পারতেছনা ? তুমি কি চীন, ভারত, আর উন্নত দের দেখনা । তারা তো তোমার গড কে মানে না । কেন তারা উন্নত হবে ? তুমি কি বুঝতে পারো না দুখের দহনে তোমার ঘর ছারকার হয়ে যাচ্ছে ? তোমার নাই টাকা নাই সম্মান , কি আছে তুমার ? তুমি কি করতে পার ? না ভালো করে খেলাধুলা করতে পারো, না পরা শুনা করতে পার । সকল দিকেই তুমি ফেইল । তোমার দেশ ও ছোট, মান ইজ্জতহীন ? তুমার জাতিকে কেও সম্মান দেয় না । তোমার জাতি কি সবার লাত্তি উষ্টা খায়না ? কি সে ভাল তোমার জাতি ফুটবল না ক্রিকেটে ? ক্রিকেটে কিছু ভাল হলেও পৃথিবিতে ফুটবলের দামই বেশী । এদিকেও তুমি লছে ? তাই নয় কি ? তোমার প্রতিটি কষ্টের রক্ত পানি করা টাকা যখন কৌশলে সুসীল রুপের সমাজ হাতিয়ে নেয় , আর তোমার টাকা ঈ তোমাকে ভিক্ষাদেয় , এই ছলনার পরেও তুমি বলবে তিনি তোমাকে সাহায্য করেন ।

মুসলমান ঃ হ্যাঁ, আমি দেখেছি আমি অতি দরিদ্র , আমি দেখেছি খেয়ে-না-খেয়ে বেচে থাকার কত কষ্ট , আমি দেখেছি । তুমি কি করে বুঝবে আমার আনন্দ, এত কষ্টের সৎ উপার্জনের টাকা নিয়ে যখন বাড়ি ফিরি, তখন যে আমার কত আনন্দ তা তুমি কি করে বুঝবে । তুমি ত জাননা, আমার ছেলেটা অসুস্থ হলেও যখন হাসে তখন চারিদিকের হিরা-মুক্তারা ভয়ে কালো হয়ে যায়, আমার মেয়ে যখন কাদে, তখন আকাশ-বাতাশ কেপে ঊঠে রাস্তা ঘাটে ভুকম্পন শুরু হয় । তুমি তো জানোনা আমার ভাই বোন রা ত কুকুরের মত মরে না , হায়ানার তীব্র থাবায় মাথা উচু করে মরে । অট্টালিকা ত আমার ভাঈয়ের উপর পড়ে না , পড়ে -সাদাকালো-টাকা ওয়ালা লোভের উপর । তুমি কি দেখনি সিডর সুনামি আর ভুমিকম্পের পর ও আমরা কিভাবে বেচে থাকি , কার আশায় বেচে থাকি । আফ্রিকায় অবহেলায়, বঞ্চনায় যারা, তারা ত ক্ষতিগ্রস্থ নয় । তুমি কি ভেবছ তারা তোমার মত যতসব ম্যটারিয়ালিস্টিক চিন্তা করে । তারা তো হারে নি , হেরেছে পাষান্ড আর নরপিচাসের দল, আর তারাই ক্ষতিগ্রস্থ । আমার টাকা নাঈ , সম্মান নাঈ কিন্তু আমার কি আছে তুমি তা জান না , জানবে ও কথা , কত অমূল্য ধন আমার আছে । আমি হ্য আমি ই ভালবাসতে পারি মনের গভীর অন্তস্থল থেকে , তারা পারে না । ভালবাসার কি আনন্দ তুমি জান না ।আমার দেশ ছোট হলেও মর্যাদাবান, এ মর্যাদা বিশ পচিশ বছরের নয়, হাজারো লক্ষ বছরের সম্মান । আমার দেশের সুন্দর্য তুমি খালি চোখে দেখতে পারবেন না , তোমার অন্তর চোখে দেখতে হবে । আচ্ছা তুমার কি অন্তর আছে । আমার দেশ কারো লাত্তি খায় না, যারা দিতে চায়, তারাঈ খায় । কিন্তু তারা বুঝতে পারে না । সুসীল সমাজ, হায়্রে এত কুশীল সমাজ নিজেই নিজেদের ঠকায় । আমার টাকা আমার, সম্পূর্ন আমার কারো চুরি করা টাকা নয় । আমি কারো কান্না দুঃখের কারন নই। অতএব, যদি তোমার অন্তর থাকে তাহলেই তুমি বোঝবে । তুমি জান, তুমি আমার কি নাই, তাই বলে ফিরতেছ , আমর কি আছে, তা বলো নি । তুমি দেখ একদিন আমার দেশ বহু বহু উন্নত হবে সকল মান ঈজ্জত নিয়ে সবার উপরে ঊঠেছে । জেনে রাখ, আমি তোমাদের সকলের চেয়ে ভাল আছি ।

শয়তানঃ তুমি আমার ছলনা ধরে ফেলেছ , আসলে আমিঈ মানুষকে দুঃখের কাহিনী শুনাই, আর সুখার কাহীনি ভুলিয়ে দেই । কিন্তু সবার ঈ সুখ দুঃখের কাহিনী থাকে । আমি এখন যাই ।

মুসলমানঃ দাঁড়াও একটা জিনিস জেনে যাও, যদি আমার অস্তিত্ব থাকে তাহলে ঈশ্বরের ও অস্তিত্ব আছে। আর তিনি আছেন বলেই আমরা আছি ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:১৬
৩৯টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×