somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভবিষ্যতের পথে

২১ শে নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কি সুন্দর আমাদের এই পৃথিবী । আহা, এই পৃথিবী সব সময় এই রকম থাকবে না, পরিবেশ ধ্বংস নিয়ে যতই আমরা আন্দোলন করি না কেন । আমাদের সূর্য, যা আমাদের আলো আর শক্তি দেয় সে কি এই রকম থাকবে সব সময়, সূর্য মামার বয়স যখন ৫.৬ বিলিয়ন বছর হবে , মানে আজ থেকে মাত্র ১.১ বছর পর, তিনি তার তীব্র ক্ষোভ থেকে ১০% বেশী উজ্জ্বলতা প্রকাশ করবেন । আর তাতেই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর বারোটা বেজে যাবে । অধিক থেকে অধিক উত্তপ্ত হবে আর পানি বাষ্পে পরিণত হতে থাকবে দ্রুত গতিতে , ভূমির বেশীর ভাগ প্রাণী মারা যাবে , সাথে আমরাও । তবে ঐ সময় আমাদের জন্য মায়া কান্না করার কেউ থাকবে না মনে হয় । কিছু অনুজীব চরমজীবি প্রাণী আর মহাসাগরের স্বল্প কিছু জীব থাকবে হয়ত । তাহলে আমাদের কাহিনী ওইখানে শেষ । কিন্তু আমরা ভাগিনারা না থাকলে কি হবে, সূর্য মামা ঠিক ই থাকবেন । উনার বয়স যখন ৯ বিলিয়ন বছর হবে , মানে আজ থেকে ৪.৫ মিলিয়ন বছর পর ভাগিনা হারানোর দুঃখে বর্তমানের চেয়ে ৪০% বেশী উজ্জ্বলতা প্রকাশ করবেন । আর তাতেই পৃথিবীর বাকি প্রানী গুলিও খতম হয়ে যাবে । আর তাতে সূর্যমামা আরো ক্ষেপে যাবেন আর তাই এতদিনের কষ্টের জমানো হিলিয়াম ব্যবহার করা শুরু করবেন । তখন সূর্য মামার বয়স হবে ১০.৯ বিলিয়ন বছর । বয়স বাড়ার সাথে সাথে উনার সাইজ ও বড় হয়ে যাবে, তিনি বর্তমানের চেয়ে ১.৫ গুন বড় হয়ে যাবেন ।
পরবর্তিতে ৭০০ মিলিয়ন বছর পর্যন্ত উনার তাপমাত্রা একই থাকবে , কিন্তু উনার বড় হয়ে উঠা থামবে না । যতক্ষণ পর্যন্ত উনার সারফেইস কিছুটা ঠাণ্ডা হওয়া শুরু না হয় । কিন্তু ততক্ষণে তিনি ২.৫ গুন বড় হয়ে যাবেন ।

কিছুকাল পর, উনার বয়স যখন ১১.৬ হলে তিনি প্রায় ছোট-খাট দানব নক্ষত্রে পরিণত হবেন । দানব হয়ে ওঠার পর উনার আর ছোট থাকতে মন চাইবে না, তাই তিনি দ্রুতগতিতে বড় হতে থাকবেন । তাতে কিছুটা বাধ সাধবে ঝড় । ১২.১ বিলিয়ন বছর বয়সে ঐ ঝড় গুলি উনার ৩০% ভর সোলার সিস্টেমে ছড়িয়ে দেবে । তবুও সূর্য মামার বড় হওয়া থেমে থাকবে না । উনি দ্রুত লাল দানব নক্ষত্রের সর্ব্বোচ্চ সাইজ অর্জন করবেন । তখন উনার বয়স হবে প্রায় ১২.২ বিলিয়ন বছর । তিনি এই সময় কিছুটা রেস্ট নিবেন , তখন উনার উজ্জ্বলতা বর্তমানের চেয়ে প্রায় ২৩০০ গুন বেশী হবে । তিনি প্রায় ১১০ মিলিয়ন বছর এই অবস্থায় থাকবেন । তারপর উনার হিলিয়ামের অবস্থা টাইট হয়ে যাওয়ায় , অক্সিজেন আর কার্বন ব্যবহার করা শুরু করবেন , আর তাই আবারো দ্রুত বড় হতে থাকবেন । মাত্র ২০ মিলিয়ন বছরে লাল দানবের ২য় পর্যায়ে চলে যাবেন । তখন তিনি প্রায় ৮০ গুন বড় হবেন , ৩০০০ গুন উজ্জ্বল হবেন । আস্তে আস্তে পেলেন্টারি নেবুলাতে পরবেন বা হবেন । তারপর বিভিন্ন প্রক্রিয়া পার হয়ে ঠাণ্ডা আর কালো হয়ে শেষ হবেন । এর ভিতর মামার আরো কাহিনী আছে , কিন্তু এত কিছু তো বলা সম্ভব না । যাইহোক, এর ভিতরে আমাদের বেচে থাকার কিছু সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে । মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা একটা সময় পৃথিবীর তাপমাত্রার কাছাকাছি হবে । তখন যদি আমরা সেখানে পালিয়ে যাই, তাহলে কিছু কাল সেখানে থাকতে পারবো । কিন্তু মঙ্গল ও আমাদের মামার কবলে পরবে, তখন হয়তো সোরজগতের বাহিরে কোন গ্রহ অথবা চাদে থাকতে পারি । কিন্তু শেষ মেষ আমাদের বেচে থাকা হবে না , অপেন ইউনিভার্স আর ক্লোজ অথবা ফ্লেট ইউনিভার্স যাইহোক ।


রব্রট ফ্লোরস্ট বলেছেন , “Some say the wrold will end in fire, some say in ice” . ক্লোজ ইউনিভার্স হলে তা আগুনে গিয়ে শেষ হবে, অপেন বা ফ্লেট হলে আইসে গিয়ে শেষ হবে । এটা কে বলা হয় বিগ চিল ।

এই বিশাল বিশ্ব এ সময় বলে আসলে কিছু নেই , সময় হইতেছে জগতের গতি । এই মহাবিশ্ব এ কেন বুদ্ধি (মানুষ) সৃষ্টি হবে এই স্বল্প সময়ের জন্য , কেন আদিল ভাই কিংবা ফুয়াদ হবে । তাই আমি মনে করি এখানে আল্লাহ সুবাহানাতালার হাত আছে । সবাইকে ধন্যবাদ । আমার লেখায় ভুল কিংবা বানান ভুল থাকতে পারে । এ জন্য দুঃখিত ।

Reference : 1 Astronomy By Cynthia Phillips Ph.D, and Shana Priwer
2 Encyclopedia of astronomy Edited by Paul Murdin & Margaret Penston
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৬
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×