somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনী : চলুন সবাই মিলে ইভটিজারদের রুখে দেই...

২৫ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আপডেট ৫ : ১ জুলাই ২০১২
ইভটিজিংয়ে মেয়েদের পোশাকের প্রভাব নিয়ে নানাজনের নানা মত। সবকিছু মিলিয়ে আকর্ষক এক বিশ্লেষণ পাবেন ইভটিজিং বেসিকসের দ্বিতীয় পর্বে। সঙ্গে প্রকাশিত হল ইভটিজিংবিরোধী জরিপের আংশিক ফলাফল।

আপডেট‌ ৪ : ২৭ জুন ২০১২
'ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনী' প্রথম পর্যায়ে ৫০ জন মেয়েকে সেলফ ডিফেন্স ও কারাতে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বেশ কয়েকজন কারাতে প্রশিক্ষক। তবে প্রশিক্ষণের উপযোগী স্থান পাওয়া যাচ্ছে না। ব্লগারদের মধ্যে কেউ উপযুক্ত কোনো জায়গার খোঁজ দিতে পারলে ফেসবুক গ্রুপে জানাবেন।

আপডেট ৩ : ২৬ জুন ২০১২
দেশে ইভটিজিং নিয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো পরিসংখ্যান নেই। নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান থাকলে পুরো সমস্যাটি অনুধাবন করতে যেমন সুবিধা হয়, তেমনি এর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিবাদ গড়ে তোলাটাও সহজ হয়। এই দিকটি মাথায় রেখে একটি 'ইভটিজিং সমীক্ষা' পরিচালিত হচ্ছে। মাত্র ৩ থেকে ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করে এই সমীক্ষাতে আপনার অংশগ্রহণ পুরো উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। জানিয়ে রাখা ভালো, গত ২৪ ঘন্টায় এই সমীক্ষাটি সম্পন্ন করেছেন ৯৮ জন নারী এবং ১৯৩ জন পুরুষ। ক্লিক »

আপডেট ২ : ২৬ জুন ২০১২
ইভটিজিং কী-কেন-কিভাবে এরকম সাধারণ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে

আপডেট ‌১ : ২৪ জুন ২০১২
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির টেক্সটাইলস বিভাগের ছাত্র রেজাউল করিম রুবেল। ইভটিজিং করাই ছিল ফেসবুকে তার একমাত্র কাজ। কয়েকদিন আগে এক মহিলা ফেসবুকেই এই ইভটিজারের হাতে যৌননিপীড়নের শিকার হন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়া ওই মহিলার পক্ষে অভিযোগ পেয়ে তৎপর হয়ে ওঠে ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনী। সাঁড়াশি আক্রমণে দিশেহারা ইভটিজার ক্ষমা চেয়ে তার ফেসবুক একাউন্টই বন্ধ করে দিয়েছে। এখানেই শেষ নয় ঘটনা। গেরিলা বাহিনী যাবে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজির উপাচার্যের কাছে, ফেসবুকে তার অপতৎপরতা সম্পর্কে জানানো হবে ওই ইভটিজারের বাবা-মাকেও।

-------
পূর্বকথা
এবার ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে ঘোষিত হল সরাসরি যুদ্ধ। কেবল কথা নয়, মুখোমুখি প্রতিবাদ—এই অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত হল ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনী।
প্রথাগত লেখালেখি, বিনোদনদায়ক টকশো আর নিয়মরক্ষার মানববন্ধনের বাইরে গিয়ে এই বাহিনী ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় অবস্থান নিতে ইচ্ছুক। সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে ইভটিজিংকে প্রতিরোধ করতে চায় এই বাহিনী। এর সদস্যরা মনে করেন, ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে সকল কান্নাকে প্রতিরোধে রূপান্তরিত করতে হবে। চোখের জল মুছে ফেলে দাঁড়াতে হবে ঘুরে। আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে কেবল নীতিবাক্য আওড়ান না, তাৎক্ষণিক প্রতিবাদও করেন। ইভটিজিংবিরোধী গেরিলা বাহিনী সেইসব সাহসী এবং নির্ভীক মানুষের সংগঠন—যারা কথা এবং কাজে বিশ্বাসী।

কেন হঠাৎ এই গেরিলা বাহিনী?
ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনী হবে নাগরিকদের সাহস জোগানোর প্লাটফর্ম। সমাজে গুটিকয়েক ইভটিজার থাকতেই পারে। তাদের ভয়ে মুখ লুকিয়ে থাকলে চলবে না। তাদের বিরুদ্ধে কেবল প্রথাগত লেখালেখি, বিনোদনদায়ক টকশো আর নিয়মরক্ষার মানববন্ধন যথেষ্ট নয়। ইভটিজারের মনে ভয় ধরিয়ে দিতে হলে তাদের মুখোমুখি দাঁড়াতে হবে, তাদের মুখোশ খুলে ফেলতে হবে, তাদের সাথে লড়তে হবে। এইসব নরপিশাচের ভয়ে মেয়েরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেবে করবে, লুকিয়ে থাকবে ঘরের নিরাপদ কোণে—এই অন্ধকার সময়ের অবসান ঘটাতে চায় ইভটিজিংবিরোধী গেরিলা বাহিনী।

কারা আছেন গেরিলা বাহিনীতে?
এই বাহিনীতে আছেন র‌্যাব ও পুলিশের পরিশ্রমী কিছু সদস্য, আছেন মেধাবী কিছু আইনজীবী, আন্তরিক ক'জন সাংবাদিক, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যমী কিছু শিক্ষার্থী এবং অফুরন্ত প্রাণশক্তিসম্পন্ন কিছু ব্লগার ও ফেসবুকার। বলে রাখা ভালো, এখানে কেউ নেতা নয়, সবাই কর্মী, সবাই সমান। সুখের বিষয়, এখন প্রতি ঘন্টাতেই বাড়ছে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা। প্রত্যেকেই এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ যে, যখন যেখানে যার সাহায্য প্রয়োজন হবে, তারা সেখানে সাহায্য করবেন। তাদের সাহায্য নিয়ে ইভটিজারদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সেটা প্রচার করা হবে।

গেরিলা বাহিনী মূল কাজ কী?
১. বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহী মেয়েদের বিনামূল্যে কারাতে এবং সেলফ ডিফেন্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
২. বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক আমরা এক বা একাধিক ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা গ্রুপ গড়ে তুলবো। আমাদের থাকবে একটি নির্দিষ্ট ফোন নাম্বার। কোথাও ইভটিজিংয়ের খবর পাওয়া গেলে, ফোনে জানালে গেরিলা গ্রুপের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে হাজির হবে।
৩. অনলাইনভিত্তিক ইভটিজারদের বিরুদ্ধে অনলাইনেই প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। এজন্য সদা প্রস্তুত থাকবে সাইবার গেরিলা ইউনিট।
৪. বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ইভটিজিং বিরোধী প্রচারণা চালাবো হবে।

যে কারণে ফেসবুক গ্রুপ
১. ইভটিজিং নিয়ে নেতিবাচক খবরই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় বেশিরভাগ সময়। এই গ্রুপের মাধ্যমে ইভটিজিংয়ের ইতিবাচক খবর, ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর খবর চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকেও আমরা উৎসাহিত করবো এই ধরনের খবর বেশি বেশি প্রকাশ করার জন্য। প্রসঙ্গত, যারা ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে রুখে দাড়িয়েছেন তারা তাদের অভিজ্ঞতা, কেসস্টাডি ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করতে পারেন।
২. বিভিন্ন সময়ে যারা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছেন তাদের অভিজ্ঞতা এবং সেটা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়গুলো ফেসবুক গ্রুপে শেয়ার করা হবে।
৩. যৌন হয়রানিমূলক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপের বিরুদ্ধে সবাই মিলে রিপোর্ট করা হবে।

গণমাধ্যমও আছে সঙ্গে
ইভটিজিং বিরোধী গেরিলা বাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে গত ২৩ জুন এটিএন নিউজের জনপ্রিয় 'ইয়াং নাইট' অনুষ্ঠানে প্রচারিত হল আলোচনা অনুষ্ঠান। এর আগে রেডিও এবিসির 'শব্দগল্পদ্রুম' অনুষ্ঠানে এই বাহিনী নিয়ে প্রতি পর্বেই থাকছে বিশেষ আয়োজন।

রুখে দাঁড়ানোর সময় এখন
ইভ টিজিং আন্দোলন জোরদার হচ্ছে ক্রমশ। মাত্র ৪৮ ঘন্টায় ইভটিজিংবিরোধী গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন ৮৫০+ সাহ্সী যোদ্ধা। আপনিও কি সঙ্গে আছেন? যদি থাকেন তাহলে যোগ দিন গেরিলা বাহিনীতে, যুক্ত হন ফেসবুক গ্রুপে। আপনার নিজের সমস্যা, আপনার আশেপাশের সমস্যা, আপনার বন্ধু-বান্ধবের সমস্যা ফেসবুক গ্রুপে জানান। আর এই খবর জানিয়ে দিন আশেপাশের সবাইকেও। সমাজ কখন বদলাবে- সেই আশায় বসে থাকার দিন নেই আর। রুখে দাঁড়ানোর সময় এখন! চলুন সবাই মিলে ইভটিজারদের রুখে দেই।

বুকমার্কস
ফেসবুক গ্রুপ
সামহোয়্যারইন ব্লগে ইভটিজিংবিরোধী সংকলন
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১২ রাত ১:৪১
৩৫৪টি মন্তব্য ২৮২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×