somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বোরখা নিয়ে বিতর্ক! তাও আবার সি এন এন এ!!!

২৪ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ৮:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রথমে অল্প অল্প ভয় পেয়েছিলাম, বাপরে!!!!!!!!!!! বোরখা পরা নিষিদ্ধ করা নিয়ে CNN এ বিতর্ক, !!!!!নাস্তিক আর তথাকথিত ধর্ম নিরপেক্ষবাদীরা তো বোরখাকে নারীর জেলখানা ভাবে, আবার শুনেছি ইসলামে নাকি মুখ ঢাকা ফরয না, তাই বোরখা পরে মুখ ঢাকার পক্ষে বিতর্কে যদি আমি অংশ গ্রহন করতাম হয়ত একজন পুরুষ হিসেবে তেমন কিছুই বলতে পারতাম না।

কিন্তু হেবা আহমেদ একজন নারি হয়ে এমন ঝাঝা উত্তর দিলে যা দেখে বিস্ময়য়ে আমি মুগ্ধ, আভিভুত!!!!

"মুসলিম ম্যটারস" নামের জনপ্রিয় ব্লগের নিয়মিত ব্লগার হেবা আহমেদ CNN নিউজ চ্যনেল এ সরাসরি বিতর্কে জড়িয়ে পরেছিলেন সাংবাদিক মনা ইলথাওি এর সাথে (যিনি নিজেও একজন মুসলিম)


প্রসঙ্গ ঃ ফ্রান্সে বোরখা পরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা


হেবার যুক্তিগুলো মনার মাঝের কনফিডেন্স ভেঙ্গে দিয়েছিল বলে মনে হচ্ছিল, যারা ভিডিওটি দেখেন নাই তাদের কে বুঝানো একটু কঠিন।


মুসলিমদের হেবার এই বিতর্ক থেকে অনেক কিছু শেখার আছে

বিতর্কটি ছিল নিম্নরূপ

CNN উপস্থাপকঃ ধর্মপ্রাণ মুসলিম মেয়েদের আমেরিকান সমাজের সাথে একীভূত করা নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলে আসছিল। সেই বিতর্ক আবার মাথাচারা দিল ফ্রান্সে মুসলিম মেয়েদের মুখে নিকাব ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে। এই নতুন আইন প্যরিস শহরে সন্দেহ আর প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। ২ জন মুসলিম নারিকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বোরখা পরে বের হয়ে প্রতিবাদ করার কারনে।

অনেক মুসলিমই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তবে সবাই নয়।

আজ আমার সাথে আছেন হেবা আহমেদ, তিনি মুসলিম মাটারস নামক ব্লগের একজন লিখক, যিনি এই নিষেধাজ্ঞার বিপক্ষে। অন্যদিকে আছেন কলামিস্ট মনা এলথাউই, উনি আরব এবং মুসলিম ইস্যুতে লিখালেখি করেন। মনা এই নিষেধাজ্ঞা সব জায়গায় ছড়িয়ে দেয়ার পক্ষে।

আপনাদের দু জনকেই স্বাগতম।
CNN উপস্থাপকঃ আসুন আমরা এই বোরখা দিয়ে মুখ ঢাকার ব্যপারে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সারকজির বক্তব্য টা শুনি। তার বক্তব্যটি উল্লেখযোগ্য ঃবোরখা কোন ধর্মীয় পোশাক নয়, এটি দাসত্ব এবং অবমূল্যায়ন এর মাধ্যম। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই ফ্রান্সে বোরখাকে কখনই স্বাগত জানান হবে না, মেয়েদের পর্দার আড়ালে বন্দি করে তাদের সামাজিক পরিচয় থেকে বঞ্চিত করাকে আমরা এইখানে গ্রহন করতে পারি না।

মনা আপনাকে দিয়েই শুরু করছি , আপনি চান সারা পৃথিবীতেই বোরখা নিষিদ্ধ করা হোক, আপনি কি প্রেসিডেন্ট সারকজির সাথে একমত যে শুধুই নিজের পছন্দমত কেউ পোশাক পরতে চাইলেই তাকে সেটা করতে দেয়া উচিত না????

মনাঃ দেখুন মিস্টার এলিওট (উপস্থাপক) আমি সারকজিকে ঘৃণা করি কারন আমি মনে করি সে একজন বর্ণবাদী । কিন্তু আমি নিকাব বা মুখের পর্দাকেও ঘৃণা করি এবং একজন মুসলিম নারি হিসেবেই আমি এ কথা বলছি।

আমার মনে হয় নিকাব এমন একটা মতাদর্শকে প্রতিনিধিত্ব করে যেটা মুসলিম নারিদের শুধু মুখ ঢাকা ছাড়া আর কিছুই করতে দেয় না।

নিকাব বিপজ্জনকভাবে মুসলিম নারীর ধার্মিকতার সাথে তাদের পর্দার আড়ালে হারিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করে।

তাই আমি বোরখার বিপক্ষে কারন এটা কুরানে নেই, এটা মুসলিম নারিদের জন্যে বাধ্যতামূলক নয়, এবং আপনার সাথে কথা বলার সময় আপনি যে আমাকে দেখছেন সেটা অন্যরকম হত যদি আমি বোরখা পরে আসতাম।

আমি বিশ্বাস করি মানুষের মুখ যোগাযোগের কেন্দ্র।

CNN উপস্থাপকঃ আমি হেবাকে সুজোগ দিচ্ছি কিছু বলার জন্যে তবে তার আগে মনা আমি আপনাকে বলতে চাই আপনি বার বার "আমি" শব্দটি ব্যবহার করেছেন। আমার কোন সন্দেহ নেই যে আপনি আপনার মতে বিশ্বাস করেন কিন্তু আমি বুঝতে পারছি না কেন আপনার বিশ্বাসের কারনে অন্য মানুষ যে পোশাক পরতে চায় সে পোশাক পরতে পারবে না ??

হেবা আপনি আমাকে বলুন কেন আপনি মনে করেন এই বোরখা নিষিদ্ধ করাটা অনুচিত??

হেবা আহমেদঃ আমি মনে করি এটা অনুচিত কারন এটা নারি যে পুরুষের ইচ্ছামত পোশাক পরবে এবং তাদের ইচ্ছামত জীবন যাপন করবে এটা তারই আরেকটা উদাহরন। মেয়েদের নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টার এটা আরেকটি উধাহরন। এটাকে সরকারি পর্যায়ে নিয়ে যেয়ে এর বিরুদ্ধে আইন করে বোরখা নিষিদ্ধ করা এটি শুধু অন্যায় নয় এটি মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন, এটি গনতন্ত্র যে ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে তার সাথে সাঙ্ঘরসিক!!বোরখা পরা একটি স্বাধীন ইচ্ছা, আমি নিজ ইচ্ছায় বোরখা পরি, আমি বিশ্বাস করি না এটি একটি ডানপন্থী ইস্লামিক মতাদর্শ, ইসলামে এর অনুমতি দেয়া আছে।

আমি মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর মাস্টার্স করেছি, , আমার যা ইচ্ছা সেটা করার অধিকার আমার আছে, আমি বোরখা পরার সিধান্ত নেয়ার অধিকার রাখি। কেউ কেউ ইসলামের পর্দার ব্যখ্যা পছন্দ করছে না তার মানে এই নয় যে, তারা আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা, বা ধর্ম পালনের স্বাধীনতাকে খর্ব করতে পারে।

CNN উপস্থাপকঃ হেবাহ আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল আপনি যদি এয়ারপোর্ট এ যান সেখানে কিছু নিয়ম আছে, তারা নিরাপত্তার স্বার্থে আপনাকে পরীক্ষা করবে, অন্যদেরও করবে, । আপনি যখন ড্রাইভার লাইসেন্স আনতে যাবেন আপনাকে তখন ছবি তুলতে হবে, মুখে কাপড় দিয়ে কি সেটা সম্ভব?

হেবা আহমেদঃ অবশ্যই, আমি আপনাকে এটা জানাতে চাই যে একজন মুসলিম নারি হিসেবে, এবং একজন আমেরিকান হিসেবে আমিও অন্য সবার মত নিরাপত্তার ব্যপারে চিন্তা করি। যে কোন ধরনের নিরাপত্তাজনিত ব্যপারে সহযোগিতা করতে আমার কোন ধরনের অসুবিধা নেই, আমি যখন ব্যঙ্ক, এয়ারপোর্ট বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে যাই আমি অবশ্যই আমার মুখ দেখাব, ইসলাম আদালতে সাক্ষী দেয়ার সময় নিজের পরিচয় প্রকাশ করার কথা বলা আছে । এটি হচ্ছে নিরাপত্তা এবং পরিচয় নির্ধারণের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু তার মানে এই নয় যে মুখ ঢাকতে আমাকে সম্পূর্ণরূপে নিষেধ করা হবে আইন করে।

CNN উপস্থাপকঃ ঠিক আছে মনা এখন আসছি আপনার কাছে, আমি এমন অনেক পোশাক দেখি যা আমার চোখে অপছন্দনিও , আমি মনে করি এগুলো নিচু মানের ,মানহানিকর, । আমি টিন এজার দের যে ধরনের পোশাক পরতে দেখি তা আমার পছন্দ নাও হতে পারে, টিন এজার রাও আমাকে পুরাতন মানসিকতার লোক ভাবতে পারে। তার মানে কি এই যে আমি বলে বেড়াবো এই ধরনের পোশাক নিষিদ্ধ করা উচিৎ?? এটা কি সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন নয়? একজন মানুষ কিভাবে পোশাক পরবে তা আইনিভাবে নিষিদ্ধ করার কি যৌক্তিক কারন থাকতে পারে?

মনা এলথাউইঃ সরকার কিন্তু মানুষ কিভাবে পোশাক পরবে বা পরবে না এই নিয়ে কথা বলতে পারে, আপনি উলঙ্গ হয়ে বাইরে যেতে পারবেন না, এখানে আমেরিকায় এমন অনেক রাজ্য আছে যেখানে ৩ বা এর বেশী মানুষ কোন এক জায়গায় মুখোশ পরে একত্রিত পারে না, অতএব সরকার কিন্তু পোশাক নির্ধারণ করে দিচ্ছে কিন্তু আমরা আমাদের সুবিধার্থে সেটা ভুলে যাই।

আমি হেবাকে জিজ্ঞাস করতে চাই সে কি কোন কাজ করে কিনা? কারন সে আর আমি এর আগে অন্যন্য জায়গায় বিতর্কে লিপ্ত হয়েছিলাম যেখানে এক জায়গায় সে বলেছিল সে কাজ ছেড়ে দিয়েছে। (উপস্থাপক কে) আপনি আগে যে কথাগুলো বললেন আমি তা বুঝতে পেরেছি কিন্তু নারীবাদী বা নারি অধিকার নিয়ে যে দলগুলো কাজ করে তারা বলে নিকাব মানে হল একজন মুসলিম নারীর ধর্মানুরাগের সর্বোৎকৃষ্ট পর্যায় মাত্র। fফ্রান্সে বোরখা পড়া নিষিদ্ধ হওয়ায় অনেক নারীবাদী গ্রুপ তা সমর্থন করেছে কারন অনেক মুসলিম নারি যারা ফ্রান্সের গৃহ নিরমান প্রকল্পে বাস করছে তাদের উপর অনেক চাপ প্রয়গ করা হচ্ছে বোরখা পরার জন্যে, যেটা রাজনতিক দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

CNN উপস্থাপকঃ মনা আমি এখানে কথা না বলে পারছি না । মানুষ কিভাবে পোশাক পরবে তার উপর কিছু নিষেধাজ্ঞা নিশ্চয়ই আছে, এই যেমন আপনি বললেন উলঙ্গ হওয়া বেআইনি, কিন্তু এই আইনগুলোর একটিও কিন্তু কোন ধর্মের সাথে সম্পর্কিত নয়, কোন আইনেই বলা নেই যে আপনি একটা বিশেষ ধর্মের অনুসারী, এবং আপনার ধর্মের একটি নির্দিষ্ট ধরনের পোশাক আপনি আপনার ইচ্ছা হলেই পরতে পারবেন না।

আপনার কাছে এমন কোন আইনের উধাহরন আছে কি? কারন আমি যদি চিন্তা করে এমন আরও হাজারটা আইন তৈরি করি যেগুলো বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম বিশ্বাসের কারনে কোন কাজ করতে বাধা দিবে, কারন সেগুলো আমি পছন্দ করছি না, সেটা করা বিপজ্জনক নয় কি?

মনা এলথাউইঃ দেখুন আমি এখানে ধর্মের ডানপন্থী ব্যখ্যা কে সবসময় পার পেয়ে যেতে দেখেছি, যারা বলে এটা আমার ধর্ম, এটা আমার ধর্মীও অধিকার। আমি এখানে আসলে বলতে চেয়েছি নারিদের হারিয়ে যাওয়াকে সমর্থন করা হচ্ছে স্রষ্টার নৈকট্য পাওয়ার কথা বলে

হেবা আহমেদঃ আমি সম্পূর্ণরূপে দ্বিমত পোষণ করছি, আমাকে বোরখা পরতে কেউ বাধ্য করে নি, মনা যে উপাত্ত এখানে দিল তার আমি মানি না, এক স্টাডি করে দেখা গেছে যে ফ্রান্সে মাত্র ২০০০ নারি আছে যারা নিকাব পরে, এই ২০০০ এর মধ্যে বেশিরভাগই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে স্বেচ্ছায়, এবং তারা স্বেচ্ছায় বোরখা পরছে। এটা আমার পছন্দ, কেউ আমাকে এটা খুলতে বাধ্য করতে পারে না, এমনকি আমাকে টাকা দিলেও আমি বোরখা পরা বন্ধ করব না। আমি আমার জিবনে যত দেশ ভ্রমন করেছি এমন একজন নারিও আমি দেখি নি যাদের বোরখা পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি মনা বোরখা পছন্দ করে না এবং ব্যক্তিগতভাবে এটা পরাকে সমর্থন করে না, কিন্তু সে শুধু তার অনুভুতির কথাই বার বার বলে যাচ্ছে, সে যদি চায় সকল মানুষের সহাবস্থান তাহলে তারও আমার বোরখা পরাকে মেনে নিতে হবে যেমনটা সে চায় আমি তার মতাদর্শকে মেনে নেই।

CNN উপস্থাপকঃ মনা আমাকে বলুন যে আপনার কাছে এমন কোন প্রমান আছে কি যা প্রমান করে মুসলিম মেয়েদের জোর করে বোরখা পরান হচ্ছে??? আরকটা প্রশ্ন হচ্ছে যদি মেয়েদের জোর করে বোরখা পরানো অন্যায় হয় তাহলে জোর করে যারা বোরখা পরতে ইচ্ছুক তাদের বোরখা খুলে নেয়াটাও কি অন্যায় নয়?

মনা এথাউয়ি ঃ আমি সউদি আরাবে লক্ষ লক্ষ নারিকে বোরখা পরতে বাধ্য হতে দেখেছি, যদিও এখানে ফ্রান্স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আমার কথা হচ্ছে যদি বলা হয় যে পানি আপনার শরীরের প্রতি ইঞ্চি না ঢেকে রাখলে জাহান্নামে পুড়বেন সেক্ষেত্রে কি আপনাকে বাধ্য করা হচ্ছে না??

হেবা আহমেদঃ এমন কথা বলতে আমি কোথাও শুনি নি।

মনা এথাউইঃ যেসব মুসলিম নারিরা ইসলাম গ্রহন করছে তাদের বলা হচ্ছে সারা শরীর ঢেকে না রাখলে জাহান্নামে পুড়বে, আমি ইসলাম বাদিদের নারি বিদ্বেষী আদর্শকে সমর্থন করে মুসলিম নারিদের অধিকারকে খর্ব করতে পারি না। এই আইন হলে একজন মুসলিম নারি তার স্বামী বা কোন আত্মীয়কে বলতে পারবে যে আমি বোরখা পরতে বাধ্য নই।

CNN উপস্থাপকঃ মনা সউদি আরাবের কথা এখানে আসছে না। আসুন ফ্রান্স নিয়ে কথা বলি। এখানে আমেরিকায় আমাদের সংবিধানে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা দেয়া আছে, আপনার কি মনে হয় না যে আমেরিকায় এরকম একটা আইন করে মানুষকে তাদের পছন্দমত ধর্ম চর্চা করতে বাধা দিলে তা সংবিধান লঙ্ঘন হবে?

মনা এথাউইঃ এখানে আবার ধর্মের কথা আসছে, ধর্মের নামে নিজের ইচ্ছামত চলতে দেয়া যায় না।

CNN উপস্থাপকঃ মনা আমি আপনাকে বলতে চেয়েছি যে কোন কিছু বাধা দিতে তার বিরুদ্ধে শক্ত কোন প্রমান থাকতে হয় যে এটাকে বাধা না দিলে রাষ্ট্রের জন্যে তা প্রবল ক্ষতির কারন হবে। এই বোরখা নিষেধাজ্ঞার পেছনে রাষ্ট্রের এমন কি প্রবল স্বার্থ জড়িত???????????

মনা এথাউইঃ আমি আপনাকে আবারো বলছি " আমি বিশ্বাস করি "যে এটা মুসলিম নারিদের জন্যে ক্ষতিকর কারন এটা ধর্মীও উচ্চশিখরে পৌঁছানোর উপায় হিসেবে দেখানো হয়, স্রষ্টার কাছে যেতে হলে বোরখার আড়ালে হারিয়ে যেতে হবে, উপরন্তু মুখ ঢাকা থাকে ভাব আদান প্রদান করা যায় না কারন মুখ হচ্ছে ভাব আদান প্রদানের কেন্দ্র।

এবং এটা মেয়েদের জড়বস্তুতে পরিণত করে।

CNN উপস্থাপক ঃ আমি একমত অনেক বিষয়ে আপনার সাথে কিন্তু আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে এটা কতখানি সঠিক হয়েছে সেটা এখনও ঘোলাটে। হেবা আহমেদ আপনি ১৫ সেকেন্ড এ কিছু বলুন

হেবা আহমেদঃ আমি সবাইকে এটা বলতে চাই যে যখন আমি বোরখা পরি আমি তখন আসলে নারিদের উপর একটি নিয়ন্ত্রিত জুলুমের প্রতিবাদ করি যেখানে মেয়েদের শরীরকে যৌনতা, ভোগ্য পন্য হিসেবে দেখানো হয়, বোরখা আমার কাছে ক্ষমতায়নের উৎস, যেখানে আমি প্রকাশ্যে জনসম্মুখে যাই, আমার যৌনতা আমার অধিকারে থাকছে, মানুষ আমাকে আমার মেধার কারনে মুল্যায়ন করে, আমার শরীরের কারনে নয়।

আমরা যদি নারিদের উপর জুলুম নিয়ে কথা বলতে চাই তাহলে খাবারের অনিয়ম নিয়ে কথা বলুন, ( মেয়েরা নিজেদের শরীর আকর্ষণীয় করার জন্যে খাদ্যেভ্যাসে যে পরিবর্তন আনে তার কারনে তাদের সাস্থের ক্ষতি হয়) , প্লাস্টিক সার্জারি, এবং যতসব স্বাস্থ্যহানিকর ডায়েট, যেগুলো করা হচ্ছে পারফেক্ট শরীর পাওয়ার আশায়। আমার কাছে বোরখা মানে স্বাধীনতা এবং ক্ষমতায়ন। মনা এলথাউই বার বার বলছেন "আমি বিশ্বাস করি" "আমি বিশ্বাস করি" "আমি বিশ্বাস করি" , কে কি বিশ্বাস করল তার উপর ভিত্তি করে কোন আইন হতে পারে না,

বিতর্ক এইখানেই শেষ......................................................ভাল লাগলে শেয়ার করুন

Written by>>>>>>www.facebook.com/alfattha.p
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×