somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিপাইনের ডায়েরী = পর্ব -১৫, চিড়িয়ার সন্ধানে জুবিক সাফারী (বাকি অংশ)!! একটি ছবি ব্লগ

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আর কোন ভুমিকা না বাড়িয়ে, আপনাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এ পর্বে আমরা চলে যাচ্ছি টাইগার সাফারি এবং লায়ন সাফারিতে। এই সাফারি শুরু হয় একটি খোলা ট্রেন (বাস কে টেনে ট্রেন বানানো হয়েছে ) ভ্রমন দিয়ে। গাইড সবার নাম ধরে ডেকে ডেকে ট্রেনে উঠায়।



ট্রেনটি চলতে শুরু করলে যাত্রা পথে পড়বে উটপাখি, ঘোড়ার পাল, ছাগলের দল, শুকরের পাল মানে সাফারি ভাবটা চলে আসা



ট্রেনটি এসে থামবে একটি গুহার সামনে নাম নিসিদ্ধ গুহা (Forbidden Cave)। এটি একটি কৃত্রিম ভাবে তৈরী গুহা। এখানে আসলে নানা ধরনের জন্তুকে ফরমালিন দিয়ে শুকিয়ে রাখা আছে। তবে যথারিতী ছাগলের প্রাধান্যতা একটু বেশি (এখানে মাঠে ঘাঠে ছাগলের অভাব, সব ছাগল দেখি এখানে)









গুহা থেকে বের হয়ে বিশ্রামাগার । ১০ মিনিটের বিরতি। আসলে গাড়ি মানে চলন্ত খাচার অপেক্ষা। এটি আসলে একটি জীপ। চতুর্দিকে এবং ছাদে শুধু তারজালি দেওয়া। উঠার আগে ১০০ পেসো দিতে হবে বাঘের খাবার মুরগির মাংস, ঐ খাবর না দেখালে নাকি বাঘ আসবে না, অগত্যা ১০০ পেসো দিতে হল।



চলতে চলতে হঠাৎ বাঘের দেখা পাওয়া গেল। ৩/৪ টা বাঘকে দেখা গেল ঝোপের আড়ালে, একটা বাঘ একেবারে রাস্তার পার্শ্বে যার পাশে আমাদের গাড়িটা থামলো। ডোরা কাটা বাঘ। গাইড কে নাম জিজ্ঞাসা করতেই বল্ল বেঙ্গল টাইগার। তাইতো বলি মামাকে এত চেনা চেনা লাগছে কেন? মুরগির মাংস দেখাতেই বাঘ মামা হামলে পড়ল। খাবরের আশায় লাফ দিয়ে ছাদে ও উঠে পড়ল।







বাঘ মামার লম্ফ জম্ফের পর আমরা চলে আসলাম। একই গাড়িতে আমারা এবার আসলাম সিংহ মামার এলাকায়। এখানে অবশ্য দেখলাম সিংহ মামা দেখি একা। অনেক বয়স। একটা জায়গায় ঠায় দাড়িয়ে। দেখে মনে হচ্ছিল মামা আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। যথারিতি চিকেন দেয়া হলো, মামা খেয়ে দেয়ে আবার দাড়িয়ে গেলেন। সিংহ মামার লম্ফ জম্ফ দেখা হলো না।





সিংহ মামার সাক্ষাৎ শেষে গাড়ি এসে থামল আবার বিশ্রামাগারে। এখান থেকে আবার সেই ট্রেন গাড়ি। এবার গন্তব্য বাঘের খামার। এখানে প্রায় ৩০/৪০ টি নানা জাতের, নানা বয়সের বাঘ। আমাদের বেঙ্গল টাইগার ও বার্মিজ টাইগার কেও দেখা হলো। এখানে তাদের প্রজনন গঠানো হয় এবং ফিলিপাইনের সকল চিড়িয়াখানায় এখান থেকে বাঘ সরবরাহ করা হয়।





এবারের গন্তব্য আদি ফিলিপিনোদের জীবন ও কালচার। এখানে তিন ধরনের নৃত্য দেখানো হয়। ঝড় এলে তারা কি ভাবে পূর্বাবাশ দিত, বানর নৃত্য, এবং শিকার নৃত্য।



এবার গন্তব্য কুমিরের আস্তানা (CROCO LOCO)। এখানে কুমিরের আস্তানার উপর ব্রীজ দিয়ে পার হতে হবে। লাঠির মাথায় সুতা দিয়ে মুরগি বেধে কুমিরকে খাওয়াতে পারবেন। (মুরগির পিছ ৫০ পেসো)।







তবে কুমিরের এখানে এই ছবিটি খুবই প্রতিকী। আমরা যে বলি কুমিরের মত হা করে ঘুমায়, তা প্রমানের জন্যই মনে হয় কুমিরের এই ফটো পোস।



কুমিরের আস্তানা শেষে এবার যাদুঘর (MUZOOUM)। এখানে প্রানিদের হাড় গোড়। যথারিতি ছাগলের কন্কালের দখলে বলা যায় পুরো যাদুঘর। বাঘ মামার ও ২টি কন্কাল আছে একটির নাম বেঙ্গল টাইগার, আরেকটি বার্মিজ টাইগার।



যাদুঘর থেকে বের হয়ে আবার সেই ট্রেন গাড়ি। যাত্রা যেখানে শুরু সেখানে শেষ। তবে আপনাকে নামিয়ে দেয়া হবে স্যুভেনিয়রের দোকানের সামনে। মোটামুটি প্রায় সব প্রানীর পুতুল আর টি শার্ট।



তবে এখানেই শেয নয়। আপনাকে অবাক করে দিয়ে আপনাকে একখানা সার্টিফিকেট দেয়া হবে, আপনার অভিযাত্রা সম্পন্ন করার জন্য।



পোস্ট শেষে আসুন এক ফিলিপিনো কর্তৃক তৈরীকৃত ইউটিউব ভিডিও দেখি। ১৫ মিনিটে মোটামুটি পুরো সাফারী।



ধন্যবাদ।

যারা প্রথম পর্ব পড়তে পারেন নি তাদের জন্য Part 1
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২১
৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×