somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভুতের আছর……………..নার্ভাস কথাবলী

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ভুতের আছর……………..নার্ভাস কথাবলী
(তিন খন্ডে সমাপ্ত *** শেষ খন্ড)
প্রথম খন্ডের জন্যে Click This Link
দ্বিতীয় খন্ডের জন্যে Click This Link
*** শেষ খন্ড
এবারে আসুন আমরা জীবনের চমকপ্রদ অংশে প্রবেশ করি । আবেগপ্রবনতা আর অনুভুতি ছাড়া জীবনের কোনও রং নেই, এটা আমরা সকলেই জানি । কিন্তু জানিনা যে এগুলো হলো কতকগুলি জৈব রাসায়নিক ক্রিয়ার ফল । এগুলো হলো আপনার মগজের প্যাসনেট সার্কিট (Passionate Circuits) এর কাজ । এই সার্কিটের প্রধান অংশই হলো লিম্বিক সিস্টেম (Limbic System)যার কিছু অংশ Corpus callosum, Frontal এবং Temporal Lobe এ অবস্থান করে এবং অংশ বিশেষ Hypothalamus নামক এলাকায় প্রবেশ করে । এই সিষ্টেমের মধ্যে আরো আছে Cerebral Cortex এর অংশ বিশেষ এবং Amygdala নামের এলাকাগুলি ।আপনার মগজের এই লিম্বিক সিষ্টেমের বিভিন্ন অংশকে উত্তেজিত করা গেলে আপনি ভয়ঙ্কর রেগে যেতে পারেন, ভয় পেতে পারেন, আক্রমনাত্মক আচরন করতে পারেন এবং যৌনতার সাথে সম্পৃক্ত অনুভুতিগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারেন । আপনার এই মানসিক পরিবর্তনগুলো লিম্বিক সিষ্টেমের নেটওয়ার্কের মধ্যে দিয়ে মগজের হাইপোথ্যালামাসে পৌছুবে । আর এখান থেকেই আপনার শরীরের মহামূল্যবান ও অতি প্রয়োজনীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গে যে সিগনাল যাবে তাতে ঐ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে নাটকীয় ঘটনাবলী ঘটতে থাকবে । মনে রাখতে হবে মানুষ এ পর্য্যন্ত এই কৌতুহলোদ্দীপক লিম্বিক সিষ্টেমের কনামাত্র জানতে পেরেছে ।যেমন আপনি “স্বপ্ন” কেন দেখেন তার রহস্য এখনও মানুষ ভেদ করতে পারেনি ।গবেষনা চলছে – চলবে !



এই লিম্বিক সিষ্টেমের মধ্যেই আছে আপনার শিক্ষার এলাকা ।Hippocampus হলো আপনার শিক্ষামন্ত্রনালয় । মগজের এই এলাকাটি আপনাকে শিখতে সাহায্য করবে । যেমন আপনি এই লেখাটি থেকে যদি কিছু শিখতে চান তবে এই এলাকাটিই আপনার মগজকে সাহায্য করবে কতোটুকু তথ্য আপনি আপনার মগজে জমা রাখবেন “মেমরী” হিসাবে তা ঠিক করতে ।অর্থাৎ Hippocampus এলাকাটি যার যতো বেশী সক্রিয় তিনি ততো বেশী মেমরীতে রাখতে ও বেশী শিখতে পারবেন । এই লেখাটি পড়তে পড়তে আপনি এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আপনার Hippocampus কতোটুকু সক্রিয় ?
আপনার Amygdala এলাকাটি আপনার মগজের Cortical Area থেকে পাঠানো শ্রবন ও দৃষ্টির বিশদ তথ্য গ্রহন করবে আর তা থেকে আপনার রাগ-ক্রোধ বা ভীতি জন্ম নেবে । এবং এই এলাকাটিই আপনার মগজকে সাহায্য করবে ঐ পরিস্থিতিতে আপনার ব্যবহার ঠিক কি ধরনের হওয়া উচিৎ তা নির্ণয় করতে । অর্থাৎ আপনি যদি আপনার প্রেমিকাকে আসতে দেখেন তখন আপনার এই Amygdala এলাকাটিই আপনাকে পরিস্থিতি বুঝে নির্দেশ দেবে আপনি পালিয়ে যাবেন (যদি পকেটে পয়সা না থাকে ) নাকি তাকে নিয়ে চাইনিজ খেতে (যদি পকেট ভারী থাকে) যাবেন ।
আপনার মগজে যে উঁচু উঁচু পাহাড় আছে তাদের একটির নাম Cingulate gyrus (সিঙ্গুলেট জাইরাস /গাইরাস)যা তার অবস্থানগত কারনেই গুরুত্বপূর্ণ । এই অংশটি আপনার মগজের মূল অংশের (Cerebral Cortex)Sensory এবং Motor এলাকার সাথে লিম্বিক সিষ্টেমের যোগাযোগ ঘটিয়ে থাকে । এবং সম্ভবত এটিই মগজের উচ্চ Neural regions বা বিশেষ ভাবে সমৃদ্ধ স্নায়ুকোষ এলাকা ও মগজের সবচেয়ে মৌলিক অংশ আবেগ এলাকার (Passionate core)মধ্যে দালালীর (mediator) ভুমিকায় নেমে পড়ে । এই Cingulate gyrus এর কর্মক্ষমতার কারনেই কেউ আপনাকে আবেগপ্রবন, আবার এর কারনেই কেউ আপনাকে আবেগহীন বলে ভাবতে পারেন ।



আর শেষমেশ আপনার Hypothalamus । মস্তিষ্কের এই এলাকাটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ । আপনার সকল কাজের নিয়ন্ত্রন করবে এই এলাকাটিই, ঠিক প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ের মতো । এই Hypothalamus নামের অংশটি লিম্বিক সিষ্টেমের সকল অংশ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পেয়ে থাকে আর সেই তথ্যের বিচার বিশ্লেষনের উপর ভিত্তি করেই আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিশেষ করে ভাইটাল অর্গান সমুহকে যথাযথ কাজের নির্দেশ প্রদান করে । আপনার শরীরের অতি প্রয়োজনীয় বিভিন্ন “হরমোন”ও এই এলাকা থেকেই নির্গত হয় ।যেমন আগের উদাহরনটিতে আপনার প্রেমিকার কথা বলা হয়েছে তাকে দেখলেই আপনার Hypothalamus আপনার হার্টকে বলবে বেশী করে লাফাতে ।এই নির্দেশগুলো বা সংকেত যাবে নিউরোট্রান্সমিটার আর হরমোনের বেশ ধরে । খেয়াল করে দেখুন, প্রেমিক বা প্রেমিকাকে দেখতে পেলে কার না বুক লাফাতে থাকে ? এসবই কিন্তু জ্বীন-পরীতে পাওয়া নয়, আপনার নার্ভ এন্ডিং থেকে বিশেষ বিশেষ নিউরোট্রান্সমিটারের নিঃসরনজনিত বায়োকেমিক্যাল রি-এ্যাকশান যা আগেই আপনি জেনেছেন ।
আসলে আপনার মগজটি একটি জটিল অধ্যায় আর এতে যে নিউরোন জগৎ রয়েছে তা খুবই শান্তিপূর্ণ এবং সার্বক্ষনিক ব্যস্ত । আর এগুলো খুব সুক্ষভাবে ব্যালান্সড । তারপরেও এখানে মাঝে মাঝে ঝড় উঠতে পারে । এই ঝড় হতে পারে বাইরের পরিবেশগত কারনে অথবা ভিতরের রাজনৈতিক কোন্দলের কারনে । আর এই কারনেই সাইকিয়াট্রিক সমস্যাগুলোর জন্ম । এই সমস্যাগুলো ঘটে থাকে মূলত নিউরোনগুলির কমিয়্যুনিকেটিং সার্কিটের গন্ডগোলের কারনে । সার্কিটের গন্ডোগোল আপনার আচার আচরনে অস্বাভাবিকতা এনে দেবে যার কারনে লোকে বলবে আপনাকে শয়তানে আছর করেছে, জ্বীনে-ভুতে ধরেছে । আপনি তো জানলেন , এ অস্বাভাবিকতা মোটেও ভুতের ভয়, শয়তানের আছর অথবা অপদেবতাদের রোষের ফল নয় । সবই আপনার মগজের এবং স্নায়ুতন্ত্রের জৈব রাসায়নিক ক্রিয়া । বিজ্ঞান এগুলোকে জানছে প্রতিদিন একটু একটু করে ।

এই সাইকিয়াট্রিক সমস্যা বা সাইকিয়াট্রিক অসুস্থতা যাই বলুন না কেন এগুলো আর দশটা রোগ যেমন ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস এর মতোই একটি শারীরিক রোগ ।আপনার আমার মতো ৪৮ শতাংশ লোকদের ভিতরেই জীবনে তা একবার না একবার জন্ম হতে পারে আর তা দেখা দিতে পারে বিভিন্ন ফর্মে । কিন্তু মানসিক রোগের এই লক্ষনগুলি যতোই বিরক্তিকর আর অস্বস্তির হোক না কেন তারা আসলেই কোনও না কোনও ভাবে আপনার চিন্তা অথবা কাজের গন্ডোগোলের ফল । আর যেহেতু আপনার সব কাজের পেছনেই রয়েছে নিউরোন, তাই মানসিক অসুস্থতা মানেই নিউরোনের অসুস্থতা (Neuropsychiatric illness)।
এই অসুস্থতার আসল কারন এখনও অজানা । যে ডিজিজ প্রসেস এদের পেছনে কাজ করছে তা এতোই সুক্ষ যে আপনি যদি একটি শক্তিশালী অনুবীক্ষন যন্ত্র দিয়ে তাকে দেখতেও চান, খুঁজে পাবেন না ।তবে অনেক বিজ্ঞানীই মনে করছেন যে, মানসিক এই রোগগুলি আপনার মগজের বিশেষ বিশেষ অংশে নিউরোট্রান্সমিটারগুলির পরিবর্তিত কর্মের (Altered Activity)ফল । সোজা কথায় – আকামের ফল ।
মানসিক অসুস্থতার, অস্বাভাবিক চিন্তার অথবা উল্টোপাল্টা কাজের লক্ষনগুলি আর কিছুই নয় আপনার মগজের নিউরোট্রান্সমিটারগুলির অস্বাভাবিক বা পরিবর্তিত কার্য্যকলাপ। তাহলে আপনাদের জানা উচিৎ মগজের নিউরোট্রান্সমিটারগুলির আসল কাজ কি ।সবগুলি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ এখানে নেই তাই বেছে বেছে প্রধান কয়েকটি নিয়ে আমি আলোচনা সীমাবদ্ধ রাখতে চাই ।

প্রথমেই Serotonin (সেরোটোনিন)এর কথা দিয়ে শুরু করি ।

আপনার শরীরে ৫ থেকে ১০ মিলিগ্রাম Serotonin আছে যার ৯০% ই থাকে আপনার অন্ত্রে আর বাকী অংশ থাকে অনুচক্রিকা আর মগজে ।এটি আপনার শিক্ষা(Learning), আপনার ঘুম(Sleep)এবং মানসিক ভাব(Mood)এর নিয়ন্ত্রক । আপনার মগজে বা শরীরে এর ঘাটতির বা উল্টোপাল্টা কাজের কারনে আপনাকে বিষন্নতা রোগে (Depression) পেয়ে বসবে । এমোনকি আপনি কখনও খানিক উত্তেজিত আবার পরক্ষনেই ম্রিয়মান হয়ে পরবেন । আপনার এমোনটি হলে , আপনাকে ভুতে বা পরীতে পেয়েছে এটা ভেবে বসলে দোষ কার ? আবার এই Serotonin ঠিকঠাক থাকলেও হতে পারে এটি সিন্যাপসে (Synapse)বেশীক্ষন স্থায়ী হচ্ছেনা ।অর্থাৎ তার কাজের স্যিগনাল মগজে পাঠাতে পারছেনা ঠিকমতো । কি হবে ? আপনার বিনিদ্র রাত কাটবে বিছানায় এপাশ-ওপাশ করে অথবা ঘুম আসছেনা বলে রাত দু’টোর সময়ে উঠে ঘরে পায়চারী শুরু করে দেবেন । আপনার মেজাজ-মর্জির কোনও ঠিক-ঠিকানা থাকবেনা । শেখার আগ্রহ কমে যাবে । কেউ বোঝাতে আসলেও আপনি বুঝতে চাইবেন না । এখোন লোকে যদি ভেবে বসে, আপনাকে শয়তানে আছর করেছে তবে তাদের খুব একটা দোষ দেয়া যাবে কি ?

এবারে Dopamine (ডোপামিন) এর কথা – মগজের একটি প্রধান নিউরোট্রান্সমিটার ।

এটি মগজের বিশেষ একটি এলাকায় (Basal Ganglia)কাজ করে আপনার নড়াচড়া বা মুভমেন্টকে নিয়ন্ত্রন করে । হয় Dopamine বা Dopamine Neurones এর স্বল্পতা আপনার নিয়ন্ত্রিত এবং সাবলীল চলাফেরাকে বিঘ্নিত করবে ।হাত-পা কাঁপতে পারে এবং শেষমেষ আপনাকে Parkinson’s disease এ পেয়ে বসতে পারে । লোকে ভাববে আপনার শরীরে অপদেবতাদের ভর হয়েছে ।
আপনার মগজের Frontal Lobe এলাকায় Dopamine এর উপস্থিতি অন্যএলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যসমূহকে নিয়ন্ত্রন করবে ।যার ফলে আপনার স্মৃতি, একাগ্রতা, সমস্যা সমাধানের যোগ্যতা জাতীয় বুদ্ধিদীপ্ত কাজগুলি নিয়ন্ত্রিত হবে । আর যদি Dopamine এর ঘাটতি কিম্বা এদের কমিয়্যুনিকেটিং সার্কিটের গন্ডোগোল হয় তবে কি হবে ? আপনার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হবে, একাগ্রতা হারিয়ে যাবে বুদ্ধি যাবে ঘোলাটে হয়ে । সহজ অংক, দু’য়ে দু’য়ে যে চার হয় তাও আপনি সহজে বুঝে উঠতে পারবেন না ।
আপনার মগজের “Pleasure System” বা আনন্দ উৎপাদনকারী এলাকা সমূহ যা আপনাকে কোনও কিছুর আনন্দ উপভোগ করতে অনুভুতির যোগান দিচ্ছে, অথবা আপনাকে কোনও কিছু করার অনুপ্রেরনা যোগাচ্ছে তার পেছনেও রয়েছে এই Dopamine এর ভূমিকা ।তাই Dopamine System এর ছন্দপতন হলে আপনার ভেতর Psychosis বা মনোরোগ অথবা Schizophrenia বা আতঙ্করোগ জন্ম নেবে ।আর এ জাতীয় রোগ হলে আপনাকে যে জ্বীন-ভুতে ধরেনি একথা কি সাধারন মানুষকে বোঝাতে পারবেন ?
এবারে Epinephrin বা Norepinephrin এর কথা – আমেরিকার বাইরে এদের যথাক্রমে Adrenaline এবং Noradrenaline নামে ডাকা হয় । আপনার শরীরের জরুরী অবস্থায় যেমন শীতে, অবসাদে, শক (Shock)এ এরাই আপনাকে সামাল দেয় ।
Noradrenaline আপনার মগজের সেই অংশকে নিয়ন্ত্রন করে যেখান থেকে আবেগময়তা (Impulsivity)সৃষ্টি হয় । এদের ঘাটতি বা কাজের অসংলগ্নতা (Imbalance) আপনার ভেতরে জন্ম দেবে কোনও কিছুতেই মনোসংযোগ করতে না পারার , অপরাধবোধের, নিজেকে অপদার্থ ভাবার, অবসাদের, অস্থিরতার, উৎসাহ হারিয়ে ফেলার, মৃত্যুভয়ের এমোনকি আত্মহত্যার চিন্তারও । তরুন পাঠক এদের উপস্থিতি হাড়েহাড়ে টের পান যদিও জানেননা না আসল কেমিষ্ট্রি কি ঘটছে তার শরীরে । তার প্রিয়লোকটির সান্নিধ্যে তার শারীরবৃত্তীয় যে অনুরণন উনি টের পান বা যে ঝংকার ওঠে তার শরীরে তা আর কিছু নয় এই Adrenaline এবং Noradrenaline এর দোলাচল । আপনি মানুন আর না-ই মানুন, আপনি স্বাভাবিক মানুষ হলে এই কেমেষ্ট্রির হাত থেকে আপনার রেহাই নেই ।

তবে হ্যাঁ, আপনি এগুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন । আর এখানেই রয়েছে আপনার “কারিশমা” ।
আপনি কি জানেন, আপনার শরীর প্রকারান্তরে একটি “বায়োলজিক্যাল ওয়াচ” বা “Circadian watch”এটাকে আপনি যে ভাবে টিউন করবেন বা এ্যালার্ম দিয়ে রাখবেন আপনার শরীর স্বয়ংক্রিয় ভাবে ঠিক সেভাবেই কাজ করে যাবে ।

এই যে রোজা গেল, আপনার খাদ্যাভাসের সময় উল্টেপাল্টে হয়ে গেছে প্রথম ক’দিন । প্রথম প্রথম ক্ষুধার কষ্ট হয়েছে, পরে আর কষ্ট হয়নি । অর্থাৎ আপনার শরীরের নিউরোট্রান্সমিটারগুলিকে তথা আপনার মগজকে আপনি নির্দেশ দিয়েছেন (আপনার অজান্তেই) সকালবেলা নো ব্রেকফাষ্ট, দুপুরে নো লাঞ্চ, সন্ধ্যায় প্রথম খাওয়া (ব্রেকফাষ্ট/ইফতার) আবার রাত তিনটেয় ডিনার বা সেহরী ।অর্থাৎ আপনি আগের দৈনন্দিনের খাওয়ার রুটিন পাল্টে দিয়েছেন ।আপনার শরীর ক’দিন পরে তাতেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে ।য়্যু হ্যাভ রি-টিউনড ইয়োর বডি টাইমিং সিষ্টেম । খেয়াল করেছেন হয়তো, ঈদের দিন সকালে আপনার ক্ষিধে লাগেনি । আপনার শরীর রোজার মাসটিতে জেনেছে সকালে তার “Hunger Center”কে কাজ করতে হবেনা । তাই সকালে আপনার ক্ষিধে পায়নি । ঠিক ইফতারের সময়টাতেই ক্ষিধে পেয়েছে ।ঈদের ক’দিন পরেই আবার তা আগের অবস্থায় ফিরে যাবে কারন আপনি আবার মগজটিকে প্রাকটিস করিয়েছেন, সকালে ব্রেকফাষ্ট, দুপুরে লাঞ্চ ইত্যাদি ইত্যাদি ।

তেমনি আপনার ভালোলাগা, মন্দলাগা, রাগ-অভিমান ইত্যাদিকেও আপনি নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন যদি প্রাকটিস করতে পারেন নিয়মিত । আপনি নিজেই এর নিয়ন্তা । কারো সাহায্যের প্রয়োজন নেই এখানে ।

শুধু লাগবে আপনার সদিচ্ছা, একাগ্রতা আর নিজের প্রতি ভালোবাসা ।



৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

রাজত্ব আল্লাহ দিলে রাষ্ট্রে দ্বীন কায়েম আমাদেরকে করতে হবে কেন?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:০৬



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ২৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬। বল হে সার্বভৈৗম শক্তির (রাজত্বের) মালিক আল্লাহ! তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) প্রদান কর এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা (রাজত্ব) কেড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তির কোরাস দল

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৫



ঘুমিয়ে যেও না !
দরজা বন্ধ করো না -
বিশ্বাস রাখো বিপ্লবীরা ফিরে আসবেই
বন্যা ঝড় তুফান , বজ্র কণ্ঠে কোরাস করে
একদিন তারা ঠিক ফিরবে তোমার শহরে।
-
হয়তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাইডেন ইহুদী চক্তান্ত থেকে বের হয়েছে, মনে হয়!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮



নেতানিয়াহু ও তার ওয়ার-ক্যাবিনেট বাইডেনকে ইরান আক্রমণের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো; বাইডেন সেই চক্রান্ত থেকে বের হয়েছে; ইহুদীরা ষড়যন্ত্রকারী, কিন্তু আমেরিকানরা বুদ্ধিমান। নেতানিয়াহু রাফাতে বোমা ফেলাতে, আজকে সকাল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজ ২৫শে বৈশাখ। ১৬৩তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আমার গাওয়া কয়েকটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শেয়ার করলাম। খুব সাধারণ মানের গায়কী

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫

আপনারা জানেন, আমি কোনো প্রফেশনাল সিঙ্গার না, গলাও ভালো না, কিন্তু গান আমি খুব ভালোবাসি। গান বা সুরই পৃথিবীতে একমাত্র হিরন্ময় প্রেম। এই সুরের মধ্যে ডুবতে ডুবতে একসময় নিজেই সুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্ব কবি

লিখেছেন সাইদুর রহমান, ০৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৭

বৈশাখেরি পঁচিশ তারিখ
কবি তোমার জনম
দিন,
বহু বছর পার হয়েছে
আজও হৃদে, হও নি
লীন।

কবিতা আর গল্প ছড়া
পড়ি সবাই, জুড়ায়
প্রাণ,
খ্যাতি পেলে বিশ্ব জুড়ে
পেলে নভেল, পেলে
মান।

সবার ঘরেই গীতাঞ্জলী
পড়ে সবাই তৃপ্তি
পাই,
আজকে তুমি নেই জগতে
তোমার লেখায় খুঁজি
তাই।

যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×