somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জ্ঞান – জ্ঞান কি ? জ্ঞানী কে ??

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জ্ঞান – জ্ঞান কি ? জ্ঞানী কে ??

“জ্ঞান” টা আসলে কি ?
জানা অর্থে যে জ্ঞান তা-ই কি প্রকৃত জ্ঞান ?
এ জানা তো হতে পারে নিছক কাল্পনিক, বানানো, কিম্বা নিজস্ব অবাস্তব জগতের অলীক কিছু । হতে পারে মানুষের হৃদয়বৃত্তির মায়া, স্বপ্ন, চিত্তবৃত্তির অভিব্যক্তিজাত কিছু । যেমন ভুত-প্রেত, জীন-পরী, এলিয়েন ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের জানা বা অর্জিত জ্ঞান কাল্পনিক, বাস্তব নয় । এই জানা কোনও মতেই জ্ঞান নয় । “আপনি যদি একজন ভালো স্ত্রী পান তবে আপনি জীবনে সুখি কিন্তু স্ত্রী খারাপ হলে আপনি দার্শনিক হয়ে উঠবেন ।” .......দার্শনিকদের (সক্রেটিস ) দেয়া এই জাতীয় তত্ত্ব-দর্শন আমরা জানি বটে তবে তা জ্ঞান নয় , ধারনা মাত্র । কারন এর প্রতিপাদ্য সর্বত্র প্রযোজ্য নয়, প্রতিভাত ও নয় ।
তাই পাঠ্যপুস্তক পড়া বিদ্বান ( অক্ষর জানা ) মাত্রই যে জ্ঞানী হবেন এটা একটা ধারনা । জ্ঞান নয় । ইদানিং কালের যুবসমাজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, তারা হয়তো অনেক বই-ই পড়েছেন কিন্তু তাদের অধিকাংশকে কে কি “জ্ঞানী” বলতে ভরসা হয় ?


• শুধু অক্ষর জানা-ই প্রকৃত জ্ঞান নয় ......
শেখা, জানা ও বোঝা হলো জ্ঞানের তিনটি স্তর । পাঠশালায়, উচ্চতর বিদ্যালয়ে আমরা পড়ি বা শিখি বা এক কথায় বিবিধ অক্ষর জ্ঞান লাভ করি । লাভ করি কি করে এগুলো সাজিয়ে বাক্য তৈরী করতে হয় তার জ্ঞান । এ পড়া বা শেখাটাই কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান নয় । মনে করুন প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা পড়ি বা আমাদের শেখানো হয় এই বাক্যটি – “বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ”। এই গণতন্ত্রই বা কি জিনিষ কিম্বা রাষ্ট্রই বা কাকে বলে এ বিষয়ে আমাদের জানা থাকেনা । এগুলো জেনেই বা লাভ কি এ জাতীয় মাথাব্যথাও আমাদের হয়না । বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র না হয়ে অন্য কিছু হলে ক্ষতিটা – ই বা কি হতো তাও আমারা ভাবিনে । আমরা শুধু মুখস্থ করি । আরো একটু উঁচু ক্লাসে এই শেখানো বাক্যটি সম্পর্কে আরো কিছু জানা হয়ে যায় । এই জানাটা হয় আগ্রহ থেকে । এভাবে বয়স বাড়ার কিম্বা আরো কিছু শেখার সাথে সাথে আমরা গনতন্ত্র কি তা বুঝি । রাষ্ট্র-ই বা কি তা বুঝতে পারি । সঠিক গণতন্ত্র বা সফল রাষ্ট্রের সুফল-ই বা কি, কুফল-ই বা কি সে সম্পর্কে একটা ধারনাও তৈরী হয়ে যায় । এই শিক্ষা বা জানা আমাদের কুশলী করে, আমাদের নৈপুণ্য বাড়ায়, চেতনার প্রসার ঘটায় আর বাড়ায় বিদ্যা-বুদ্ধি । আমাদের এই “জানা” যদি অভিজ্ঞতার আলোকে বোধের আওতায় এসে জীবনের প্রয়োগিক ক্ষেত্রে সফলতার সাথে প্রযুক্ত হওয়ার উপযোগী হয় তবেই তাকে বলতে হয় “জ্ঞান” । আর যিনি তা বোঝেন ও এর প্রয়োগও করেন তিনিই তো জ্ঞানী ?
কখন চাষের জমিতে নিড়ানী দিতে হবে , আগাছা তুলতে হবে , কখন দিতে হবে সেচ , কখন দিতে হবে সার ; এ সব কি একজন লেখাপড়া না জানা সাধারন কৃষক কোনও বিদ্যাপীঠে শেখেন ? এ জ্ঞান তো তার জীবনের অভিজ্ঞতা লব্ধ । পরীক্ষনে, নিরীক্ষনে, পর্যবেক্ষনে, সমীক্ষনে চাষ সম্পর্কে প্রমানিত তার তত্ত্ব, তথ্য ও সত্যই তো চাষ সম্পর্কে তার প্রকৃত জ্ঞান ।
স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে অর্জিত এই জ্ঞান-ই হলো, অভিজ্ঞতা । তাই শেখা ও জানার সাথে অভিজ্ঞতার মিশেল না হলে প্রকৃত জ্ঞানী হয়ে ওঠা সম্ভব নয় ।
বিদ্বানমাত্রই যেমন শিক্ষা বিশেষজ্ঞ নন তেমনি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ বা উপাচর্য কিম্বা অধ্যাপক মাত্রই শিক্ষার অলি-গলি-রাজপথ জানা সর্বজ্ঞ নন । আপনার অনেক কিছুই জানা আছে , শেখা আছে কিন্তু সমাজের কল্যান বা হিতার্থে সেই জানা ও শেখাকে প্রয়োগের পথটি আপনার জানা নেই কিম্বা ইচ্ছেও নেই । কারন প্রতিনিয়ত পাল্টে যাওয়া সমাজের গাঠনিক ও চারিত্রিক বিবর্তন সম্পর্কে আপনার অভিজ্ঞতা নেই । অনেকটা সেই “ষোলআনাই মিছে” কবিতার সাঁতার না জানা বাবুর মতো ।
এমোন হলে আপনাকে কি সত্যিকার অর্থে জ্ঞানী বলা যাবে ? কিম্বা অভিজ্ঞতা থাকলেও আপনি জনহিতার্থে তা প্রয়োগরহিত রয়েছেন । আপনার এই অবস্থান কি একজন জ্ঞানীর পরিচয় বহন করবে ?
শেখা, জানা ও বোঝা সমার্থক নয় । যা শেখা হয় তা-ই শিক্ষা । যা জানা হয়েছে তা-ই বিদ্যা বা জ্ঞান । আর এই শেখা ও জানা থেকে যা বোঝা গিয়েছে তা-ই বোধ । এই বোধ থেকেই আপনি আপনার চারধারে ঘটে যাওয়া বিষয়াবলী উপলব্ধি করে অভিজ্ঞতালব্ধ হন আর এটাই হলো পূর্ণ জ্ঞান যা প্রজ্ঞায় পরিনত হয় । জ্ঞান তাৎপর্যমন্ডিত হয়ে প্রজ্ঞায় রূপান্তর না পেলে বন্ধ্যাই থেকে যায় । উপলব্ধির স্তরে উন্নীত না হলে জ্ঞান মাত্রই বন্ধ্যা ।


• এই সব কটি অনুষঙ্গ চাই একসাথে ....
এই উপলব্ধি হবে কি করে ? একাডেমিক শিক্ষা কি এই উপলব্ধি তৈরী করে দিতে পারে ? ঘরে লব্ধ আজন্মলালিত বিশ্বাস আর সংস্কারই নিয়ন্ত্রন করে অধিকাংশ সাধারন মানুষের জীবন ও মনন । এ থেকেই আমাদের যে জ্ঞান তৈরী হয় তা-ই চিরকালের সত্য বা ফ্যাক্ট নয় । যেমন, খাবার খেতে খেতে হঠাৎ যদি বিষম লাগে ( গলায় আটকে যাওয়া ) তখন ছোটবেলা থেকেই আপনি শুনে এসেছেন – কে যেন আপনাকে গালমন্দ করছে কিম্বা কেউ আপনাকে স্মরণ করছে ; এই কথাটি। এটা একটা সংগৃহীত ছেলে ভোলানো বিশ্বাস, সত্য বা ফ্যাক্ট নয় । অনেকটা বড় হলে বিদ্যালয়ে আপনি এর ক্রিয়াবৈগুন্যজাত ব্যাখ্যা জেনে থাকেন হয়তো, কেন মানুষের বিষম লাগে । নতুবা জীবনভর এই বিশ্বাস বা তথাকথিত সত্যটি নিয়েই আপনাকে চলতে হয় । ঘরে লব্ধ এই সব জানা বা শেখা বিষয়গুলিই আপনার জ্ঞান নয় ।
একাডেমিক বিদ্যা আপনার এই জ্ঞানকে পরিশীলিত করে মাত্র উপলব্ধি তৈরী করে দিতে পারে না । যেমন একাডেমিক শিক্ষায় আপনি হয়তো জানেন – কী দুর্বিসহ বস্তিবাসীর জীবন । এই জানাটুকু আপনার পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান নয় । আপনি যতক্ষন না চোখ-কান খোলা রেখে, নিজস্ব বিদ্যা-বুদ্ধির সহযোগে একটি বস্তির সম্পূর্ণ চিত্র স্বশরীরে প্রত্যক্ষ করবেন তার আগে বস্তিবাসীর দুর্বিসহ জীবন কি জিনিষ তার আসল স্বাদ পাবেন না । স্বশরীরে এই যে দেখা ও বোঝা তা আপনার মন ও মননে যে অনুরনন তুলবে তা-ই আপনার অনুধাবন বা বোধ । এই বোধ থেকেই সৃষ্টি হবে আপনার উপলব্ধির । একাডেমিক বিদ্যায় যেটুকু আপনি জেনেছেন এবার পরীক্ষনে, নিরীক্ষনে, পর্যবেক্ষনে, সে জানা পূর্ণতার পথে । আর বস্তিবাসীর এই দুর্বিসহ জীবনের নেপথ্য কারন, কারনের কার্যকরন যদি আপনি বুঝে থাকেন এবং বস্তিবাসীর এই দুর্বিসহ অবস্থা থেকে তাদের পরিত্রানে আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে যদি কোনও পথ বাৎলে দিতে পারেন তবেই আপনার জ্ঞান পূর্ণতা পাবে আর তখনই আপনাকে সত্যিকার অর্থে জ্ঞানী বলা যাবে । আর যদি এনজিও গুলোর মতো এই লব্ধ জ্ঞান থেকে ফায়দা লুটতে চান তবে কি আপনাকে জ্ঞানী বলা যাবে ? তখন হয়তো আপনাকে জ্ঞানপাপী বললে খুব একটা ভুল হবেনা বোধহয় ।
প্রচলিত ভাবে আমরা একাডেমিক কোনও ডিগ্রীধারীকে-ই সাধারনত জ্ঞানী বলে থাকি । প্রশ্ন , জ্ঞানীকে কি অবশ্যম্ভাবী ভাবে একাডেমিক হতেই হবে ? একাডেমিক সার্টিফিকেট ছাড়া কেউ কি জ্ঞানী হতে পারবেন না ? তাহলে এসময়কাল পর্য্যন্ত স্বীকৃত বেশ কিছু মনীষীবৃন্দ কোন একাডেমীর সর্ব্বোচ্য সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ? কিম্বা তাদের ক’জনারই বা সামান্য একাডেমিক শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ হয়েছে ?
আইনষ্টাই্ন প্রথমত কেবলমাত্র একজন গ্রাজুয়েট । আইজ্যাক নিউটন স্কুল থেকে বহিষ্কার করা এক মানুষ । সক্রেটিস এর গায়ে কোনও স্কুলের ছাপ মাত্র নেই । আমাদের নজরুল আর রবীন্দ্রনাথ এর কথাই ধরুন ! শিক্ষাজীবনে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের পি-এইচ-ডি ছাপ মারা আছে তাদের গায়ে ?
সমাজে এ ধরনের অনেক মানুষ আছেন যাদের গায়ে একাডেমিক শিক্ষার চাদর জড়ানো নেই । আমাদের সীমিত জ্ঞানে এই সব সার্টিফিকেট বিহীন মানুষদের কারো কারো “কথা” বুঝতে না পেরে আমরা অহরহ তাদের পাগল আখ্যা দিই কিম্বা সমাজের জন্যে তাদের কে ক্ষতিকর ঠাওরাই । এ জন্যেই কোনও একটি কথার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বিচারের স্বার্থেই কথাটি কে বলছেন, কে তার ব্যাখ্যা কোন পরিস্থিতিতে করছেন ইত্যাদি পূঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিশ্লষন করা উচিৎ হয়ে পড়ে । এই যেমন , আমাদের রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক জীবনে ঘটে যাওয়া কোন একটি ঘটনাকে হাযারো জন হাযারো ভাবে ব্যাখ্যা করেন । এর কোনটি যে সত্য আর কোনটি যে অসত্য ; কোনটি যে সৎ উদ্দেশ্য প্রনীত , কোনটি নয় তা বুঝে উঠতে হিমসিম খেতে হয় । ছড়িয়ে যায় বিভ্রান্তি ।
বোধ –মনন- প্রজ্ঞার যখন ঘাটতি হয় , অপরিপূর্ণ হয় তখনই এরকম বিভ্রান্তি ঘটে থাকে ।


• বোধশক্তি সবার তীক্ষ্ণ, তীব্র, যুক্তিসঙ্গত নয় । চাই মস্তিষ্কের চর্চ্চা ।
আর এ কারনেই “ম্যাচিয়্যুরিটি” বলতে সৃষ্টিতে বোধহয় একটি ব্যাপার আছে । অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রকৃতিতে কোনও কিছুরই পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটেনা । মানুষের ক্ষেত্রে তার মস্তিষ্ক বিকাশেরও একটি পর্যায় আছে বয়সানুক্রমে । তার আগে তা পরিপূর্ণ বিকশিত হয়না । যেমন একজন আঠারো বছরের মানুষ ( ছেলে বা মেয়ে ) যতো সহজেই একটি টেলিভিষনের যান্ত্রিক ( মেকানিক্যাল )ও ক্রিয়াবৈগুন্যজাত ( ফাংশনাল ) কার্যক্রম বুঝতে পারবে , একজন সাত-আট বছরের ছেলে বা মেয়ের পক্ষে ততো সহজে তা বুঝে ওঠা সম্ভব নয় । হয়তো বুঝবেই না ! আবার অন্যদিকে একজন আঠারো বছরের বিজ্ঞান পড়ুয়া মানুষকে যতো সহজেই বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যাপারগুলো বোঝানো যাবে, ততো সহজে তাকে সাহিত্য বিষয়ক ব্যাপারগুলো বোঝানো যাবেনা । কারন সাহিত্য বিষয়ে তার তেমন কোনও পূর্ব ধারনা নেই । বিপরীত ভাবে একজন আঠারো বছরের সাহিত্য পড়ুয়া মানুষকে যতো সহজেই সাহিত্য বিষয়ক ব্যাপারগুলো বোঝানো যাবে, ততো সহজে তাকে বিজ্ঞান বিষয়ক ব্যাপারগুলো বোঝানো যাবেনা ।
এর অর্থ এই যে , যে কোনও মানুষের মস্তিষ্ক বিকাশের সাথে সাথে তার লব্ধ জ্ঞান যা হতে পারে পরিবেশ থেকে শেখা, অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত, একাডেমিক শিক্ষা থেকে আহরিত ইত্যাদি তাকে বিশেষ শাখায় জ্ঞানী করে তোলে । যদি তার বোধশক্তি তীক্ষ্ণ - তীব্র হয় । আবার বোধশক্তি সবার তীক্ষ্ণ, তীব্র, যুক্তিসঙ্গতও হয় না । বোঝা না বোঝার এও একটা কারন ।

তাই কোনও বিষয়ে কথা বলতে গেলেই যে এ, কোনও মানুষকে একাডেমিক পান্ডিত্য অর্জন করতে হবে এমন কথা জরুরী নয় । যেমন একাডেমিক পান্ডিত্য জরুরী নয় একজন আগামাথা কৃষকের বেলা । পড়া তো দুরের কথা, এই কৃষকটি হয়তো কোনদিন কোনও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বা নিদেন পক্ষে কোনও কৃষি কলেজ দেখেই নি । অথচ সে তো বছরের পর বছর সাফল্যের সাথে ফসল উৎপাদন করে যাচ্ছে তার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান থেকে । যে কৃষকের ছেলেটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সর্ব্বোচ্য এম.এ.জি বা পি.এইচ.ডি ডিগ্রীটি নিয়েছে সেই ছেলেটির পুঁথিগত জ্ঞান কি ফসল উৎপাদনে তার কৃষক পিতার অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানকে ছাড়িয়ে যেতে পেরেছে ? সে কৃষক পিতাটি তো ফসল ফলানোর কলাকৌশলের সাথে সাথে আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারে দিনটি বীজ রোপনের উপযুক্ত কিনা ।
দেশের বিকাশমান গার্মেন্টস বা নীটওয়ার শিল্পের কজন সফল উদ্দোক্তা গার্মেন্টস বা নীটওয়ার শিল্পে; সীমেন্ট, টিন, ফার্নিচার, গ্লাসওয়্যার, রড ইত্যাদি শিল্পে সফলতাপ্রাপ্ত কজন উদ্দোক্তা স্ব-স্ব শিল্পের কোন শাখায় একাডেমিক সার্টিফিকেটধারী ?
মানুষ তৈরীর কারিগর বলে একদিন যাদের সামনে মাথা নুঁইয়ে আসতো আমাদের, তাঁদের কজনার সর্বোচ্য একাডেমিক সার্টিফিকেট আছে ?
এগুলো তো বাস্তব সত্য ।
একাডেমিক শিক্ষা অর্জন তাই জ্ঞানী হওয়ার পূর্বশর্ত কি ?

নিজ মাটি আর মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ, নির্মোহ-নির্মল জীবন জিজ্ঞাসা , নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গী , বিশ্লেষনের ক্ষমতা, বিচারিক প্রজ্ঞা আর সর্বোপরি বিবেকবোধ আপনাকে সত্যিকারের জ্ঞানী করে তোলে ।

ছবি - ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫০
৩২টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×