শুরুতেই বলব মহানুভবতার বড় অভাব।আপনার মহানুভবতা হল আপনার ব্যয় বিহীন সঠিক নিরপত্তাপ্রহরী। ভেবে দেখুন একবার। খুব সাধারন। যে ব্যক্তি সমাজে অসহায়কে সহয়তা দেয় অভূক্তকে অন্ন দেয় মানুষের কষ্টে হাত বাড়ায় তার নিরাপত্তার জন্য বুলেট ও মরনাস্ত্রের কোন প্রয়োজন নেই। তার নিরাপত্তা ব্যয় শূন্য।কারন একটাই তিনি মানুষের দরদী বন্ধু আপামর জনগনই তার অতন্দ্র প্রহরী।মহান আল্লাহ্ তো আছেনই। আজ এ সঠিক সত্য মহানুভবতার অভাবের কারনে সম্পদ আমার কাছে জমে যাচ্ছে। ধনতন্ত্রের বড় কুফল হল সম্পদ পুনঃবন্টনের বাধ্যতামূলক কোন নিয়ম নেই। লোক দেখানো কিছু করলেও অজস্র অপব্যয় এবং সম্পদের পাহাড়ে ঘুমাতে পারার বড় সুযোগ পেয়ে আমি ঘুমায়। তাদের ঘরের আগুনেও আমার ঘুম ভাঙ্গে না। চরম নিষ্টুরতা আমকে পেয়ে বসেছে। নিরুপায় হয়ে অভূক্ত অভাবী মানুষ সুযোগ পেলেই আমার সম্পদ চুরি ড়াকাতি করতে চায় । আমাকে মারতে চায়। কিন্তু কেন? কোথায় গলদ? যন্ত্রনা ও অভাবের তাড়নায় অস্হিরতা তাদের রন্দ্রে রন্দ্রে, সুযোগের অপেক্ষায় থাকে তারা। আর আমি আমার নিষ্টুরতা ও হিংস্রতাকে অবয়ব রুপে ধরে রাখার জন্য বুলেট ও মরনাস্ত্র উৎপাদন করি এবং তা দিয়ে দুনিয়াবী নিরাপত্তা বলয় তৈয়ার করি। মাঝে মাঝে আমার হিংস্র থাবা দিয়ে তাদেরকে দমন করি তারপরও সহজ হয়ে তাদের কষ্টকে অনুভব করি না এবং বুঝারও চেষ্টা করি না। সমাজের কোন মহানুভব লোকের নিরপত্তা ব্যয়ের দরকার নেই কারন তার চারপাশের সকলেই জানে সে সত্যিকারের মানুষ। তার প্রহরী গোটা সমাজ। তার অস্ত্রধারী নিরাপত্তা প্রহরীর দরকার নেই। উপর ওয়ালাও তার উপর সন্তুষ্ট। ধরমঅ যাজকদের নিরপত্তা প্রহরীর দরকার হতে পারে ভিন্ন মতের কারণে কিন্তু মানবের যন্ত্রনা নিরসনকারী বা মানবতা প্রেমিকদের কখনো নিরাপত্তার দরকার হয় না। সে যে ধরমেরই হোক না কেন। মহীয়সী নারী মাদার থেরেসা হল তার জ্বলন্ত প্রমান। নিরলোভ মানবতা প্রেমিককে সবাই ভালবাসে। তাদের কোন জমানো সম্পত্তি থাকে না যে কারনে অপব্যয় করার ইচ্ছা তাদের জাগে না। সে ইচ্ছা নেই বলেই তাদেরকে কখনো শয়তান গ্রাস করতে পারে না। আজ পৃথিবীর সম্পদশালী নেতারা চরম অপব্যয়ে লিপ্ত যে কারনে শয়তান তাদের উঠাবসার বন্ধু হয়ে যায় বলেই মহানুভবতার আবশি্যক গুন তাদের কাছ থেকে হারিয়ে যায়। যা খুবই দুঃখজনক! যে গুনের অভাবে সমাজ মানুষ তাকে সত্যিকারের সম্মান ও নিরাপত্তা দেয় না। অন্যদিকে সাধারন মানুষ জীবন যাপন করে চরম কষ্টে। অভাবী বৃহৎ জনগোষ্টীর মারমুখী প্রতিক্রিয়া হতে পারে সেই চিন্তায় সম্পদশালীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় শংকা ও ভয়। এ শংকা থেকে বাঁচার জন্য তারা অস্ত্র উৎপাদনে তাদের টাকা বিনিয়োগ করে নীজেও রাখে তাদের সমগোত্রীয়কেও এ সকল অস্ত্র কিনতে উদ্ভুদ্ধ করে। আইনও তাদের অনূকুলে। মানুষ মারার এ অস্ত্র তারা সরবক্ষন রাখতে পারে কারন এ হিংস্ররাই সবকিছুর ধারক বাহক তাদের সুবিধামত তারা আইন তৈয়ার করে। তারপর শুরু হয় গায়ের জোড় অভাবী বৃহৎ জনগোষ্টীকে সেই মরনাস্ত্রের ভয়ে শংকিত করে তাদের বাক শক্তিকে দমিয়ে রাখে । ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ আকারে চিন্তা করলে সম্পদশালী ব্যক্তির মত সম্পদশালী রাষ্ট্রও ঠিক একই ব্যবহার করছে। শত যৌক্তিক হলেও অভাবী বা আক্রান্তরা কথা বলতে পারে না। তাদের নাকি নীজেদের depend করার অধিকার আছে। আজ এ অধিকারের কথা বলে আমেরিকা ইসরাইলকে motivate করছে, সাহস যোগায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর নিষ্টুর হত্যাযজ্ঞ চালাতে। এ সকল মরনাস্ত্র দিয়ে বেসামরিক মানুষকে ও নিরপরাধ নিস্পাপ শিশুকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে রক্তের উপর ভাসিয়ে দিয়ে বিরাট জনগোষ্টীকে তাদের প্রতি অবনত হওয়ার জন্য বাধ্য করা হয়। আজ ফিলিস্তিনের করুন মরমান্তিক চিত্র, সিরিয়া,ইরাক ও পূরবের বসনিয়া সহ আরও অনেক হৃদয়বিধারক ঘটনাবলী আমাদেরকে হিংস্র পশুই বানিয়েছে। আমরা কখনো শান্তির অন্য formula খুঁজি না। নীজেদর depend করার নামে রাষ্ট্র ব্যক্তিকে যেমন উদ্ভুদ্ধ করে অস্ত্র রাখতে তেমনি রাষ্ট্রও তার সিংহভাগ ব্যয় করে তার প্রতিরক্ষা খাতের নামে! কিন্তু কেন? আমি দৃঢভাবে মনেকরি শুধুমাত্র মহানুভবতার গভীর ফলন আমরা অনুভব বা ধারনা করতে পারছি না বলেই আমাদের আজ এ করুন দশা।
আজ আহত এক পৃথিবী চিকৎসা দেয়া জরুরী, সময়মত চীকিৎসা না দিলে আহত বা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত রুগির যে পরিণতি আমাদের সামনে হয়, এভাবে চলতে থাকলে পৃথিবীর পরিণতিও আমাদের সামনেই সে রকম হবে, শুধুমাত্র সময়ের ব্যাপার। এ সুন্দর ধরনীর এত অশান্ত চিত্র এবং প্রকৃতির মাঝে মাঝে ভয়াল থাবা আমাকে সেই চিন্তায় মগ্ন রাখে। কেন আমরা মরনাস্ত্র উৎপাদন বাড়াচ্ছি? কেন আমরা নিরাপত্তা ব্যয় বাড়াচ্ছি? কেন আমি সত্যিকারের মহত্ত্ব অনুধাবন করি না? পৃথিবীর সকল শিশুর রক্ত সহ সবকিছুইত এক। কেন আমি পরখ করি? আমার এ পৃথক ধ্যান ধারনায় আমাকে পৃথিবীতে যেমন অশান্ত রেখেছে তেমনি পরকালেও মহাশাস্তি আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আমার অসাম্য চিন্তার কারনেই আমাকে বিলিয়ন বিলিয়ন ড়লার নিরাপত্তার জন্য ব্যয় করতে হয়। আজ আমেরিকা বা উন্নত বিশ্বের ধারকরা যদি তাদের দেশের শিশুদের মত পৃথিবীর সকল শিশুকে এক মনে করে তাদের মৌলিক চাহিদার নিরাপত্তা দিত, সকল মানবের যন্ত্রনাকে তার নিজস্ব যন্ত্রনার মত চিন্তা করত তাহলে কখনো তাদের নিরাপত্তা ব্যয় লাগত না। কারন তখন এ পৃথিবীর সকল মানুষই এ সকল মহানুভব নেতাকে রক্ষা করত। আজ তা না হয়ে ঠিক বিপরীতভাবে আমরা চলছি। কেউ রাজপ্রাসাদে আর বেশীরভাগই কষ্টের সাগরে হাবুড়ুবু খেয়ে চরম যন্ত্রনায় সময় পার করছে। কি করুন! বৈষম্যের এ চিত্র প্রবাহমান থাকলে এ নিরপত্তা ব্যয় বাড়তে থাকবে এবং পৃথিবী ততই অশান্ত হতে থাকবে।আমার কাছে মনেহয় এ প্রকৃতিও আমাদের সাথে হিংস্র আচরন করবে। প্রকৃতির বিক্ষুদ্ধ আচরন মানি আল্লাহর অসন্তুষ্টির বহিঃপ্রকাশ এটি আমার কাছে দৃঢভাবে মনে হয়। আমি মনেকরি আমরা সত্য সুন্দর সরল পথে না হেঁটে পুরো বিপরীত মুখী হয়ে চলছি যার পরিণতি রক্ত স্নান ও ধ্বংস স্তূপ ছাড়া আর কিছুই নয়। নিশ্চিত ঘাতক ক্যান্সার জীবানু এখনো ছড়াতে পারেনি সে এখন ছড়ানোর পথ খুজছে সময়মত চিকিৎসা না দিলে করুন পরিনতিই হবে আমাদের। চিকিৎসা একটাই অস্ত্র ত্যাগ করে মহানুভব মন তৈয়ার করা। মি ওবামা, এ পৃথিবীর সকলেই আপনার নিরাপত্তা দিবে যদি আপনি সত্যিকারের মহানুভব হন যদি আপনি কেনিয়ার অভূক্ত শিশু এবং গাজার আক্রান্ত শিশুদের আপনার শাসা ও মালিহার মত মনে করেন। আক্রান্ত হলে উভয়ের মনের করুন আকুতি কিন্তু এক। মহানুভব হওয়া বা সেই রকম চিন্তার সংস্কৃতি নেই বলেই আপনিও পূরবঅতনদের মত অস্ত্রে বিনিয়োগ করে নীজের নিরপত্তার পথ খুজছেন। তারপরও শংকা আপনার মন থেকে দূর হয় না। আজ বিশ্বের বড় প্রয়োজন হল মহানুভব মনের। সেই মহানুভব মনের সংস্কৃতিই গড়ে তুলতে হবে। এই আন্দোলনই পারবে পৃথিবীর শত অশান্তি দূর করতে। আপনার মহানুভব মনই হবে আপনার নিরপত্তার বড় হাতিয়ার। এটম নয় মরনাস্ত্র নয়। সেই বিনিয়োগকে ফিরিয়ে মানব কল্যানে বিনিয়োগ করুন কখনো অস্ত্রে নয়। অস্ত্র আপনার দরকার হবে না যদি মহনুভবতার পরিচয় দেন। তাই আসুন অস্ত্র ত্যাগ করে মানুষের কষ্টকে বুঝি এবং তা লাঘব করার তডিৎ ব্যবস্হা নিই। আপনার আমার এহেন চিন্তায় করতে পারে শান্ত সুন্দর ধরনী। প্রকৃতিও সুবাতাস দিবে কারন সে সবসময়ই আমাদের উপকারই করতে চায়। তাকে গবেষনা করেই আমাদের চলা উচিত। গড়ে উঠুক মহানুভব মন সেই প্রারথনায় হোক সকলের।শংকার পৃথিবী নয় চীর শান্তির পৃথিবীই আমাদের সকলের কাম্য কখনো অস্ত্রের মাধ্যমে নয় অবশ্যই অবশ্যই মহানুভবতার মাধ্যমে।
খোদা হাফেজ।
গাজী ইলিয়াছ।