somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আমরা সবাই আগামি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি?

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনাকারী,দেশের গনমানুসের প্রানের দল,বাংলার মাটি ও মানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।আমাদের দেশকে পৃথিবীর একটা অন্যতম সুপার পাওয়ার বানাবার সপ্ন নিয়ে এ দলটির যাত্রা শুরু আমাদের দেশে।বারাক ওবামা কিংবা জর্জ ওয়াশিংটনের মত দেশপ্রেমিক যে দল তৈরি করেছে।তৈরি করেছে আব্রাহাম লিঙ্কন কিংবা শেখ হাসিনার মত গণতন্ত্রের রক্ষাকর্তাকে।যারা এই দেশকে তাদের নিজের জীবনের চাইতেও বেশী ভালোবাসে।যারা সাংবাদিকদের সামনেও বলতে দ্বিধা করে না "আমার চাইতে এই দেশকে আর কে বেশী ভালোবাসে"।এই মনের কথা বলার অপরাধে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির কোর্ট পর্যন্ত আমাদের নেত্রিকে কলংকিত করতে চেয়েছে রঙ হেডেড মহিলা বলে।কিন্তু তারপরও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে যায় নি।তারা দুর্বার আন্দোলন করে দেশকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।যেই মুক্তিযুদ্ধে আমাদের লেখনির মাধ্যমে নেতৃত্ব দিয়েছে মাওলানা আসিফ মহিউদ্দীন এবং মাওলানা রাজিব হায়দার।কিন্তু বিশ্বাসঘাতকের দল পাকিস্তানিরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে মাওলানা রাজিব হায়দারকে।যার ফ্যামিলি বাংলার প্রানের দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করতো।শুধুমাত্র এটাই ছিলো একমাত্র অপরাধ মাওলানা সাহেবের।স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি পুলিশের সরযন্তের কবলে পড়ে গ্রেফতার হল আমাদের আরেক মাওলানা আসিফ মহিউদ্দীন।হুজুর সাহেবকে নির্মমভাবে ডিম থেরাপি দিল রিমান্ডের নামে পাকিস্তানী ডিবি পুলিশ।কিন্তু ভাইয়েরা তারপরও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা আমাদের মন ভাঙতে পারেনি,পারবেনা।আমরা উচ্চকণ্ঠে বারবার বলে যাব সেই মহান শ্লোগান "জয় বাংলা"


মাওলানা বেঁচে রবে আমাদেরই মাঝে

আমাদের নামে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো।আমাদের দলের মহিলা এক কর্মীর বীর সন্তান মুক্তাদির যখন স্বাধীনতার আরেক বিপক্ষের শক্তি মিয়ানমার পন্থিদের আক্রমন করেছিলো।তার বীর আক্রমনে অর্ধের মিয়ানমারপন্থীর সামরিক ঘাটি ভেঙ্গে গিয়েছিলো।কিন্তু পাকিস্তানপন্থী স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা একে ধর্মীয় ট্যাগ দিলো।পাকিস্তানী পুলিশ দ্বারা আবারও গ্রেফতার হল বীর বাঙালি মুক্তাদির।তাকেও পুলিশে সেই একইভাবে ডিম থেরাপি দিলো।কিন্তু এত কিছু হওয়ার পরেও থামলো না আমাদের গনমানুসের নেত্রি।জেগে উঠলো বাঙ্গালিরা।হামলা করা হল বগুড়া ও মানিকগঞ্জে পাকিস্তানিদের নারীদের উপরে।২ লক্ষ বাঙালি নারীর উপরে হামলার প্রতিশোধ নিলাম আমরা



পাকিস্তানী নারী জঙ্গিদের উৎসস্থল বন্ধ করে দিলাম আমরা


গ্রেফতার করলাম কিছু পাকি নারীকে


এইবার আমরা বীর বাঙ্গালিরা টার্গেট করলাম পাকিস্তানী পুরুষের।বীরের মত তাদের উপরে আমরা ঝাপিয়ে পড়লাম আমরা





তাদের জঙ্গি ঘাটির সামনে গিয়ে তাদের দাড়ি ধরে পেটালাম আমরা


তারা আমাদের পাল্টা আক্রমন করতে চাইলো


বীর বাঙ্গালিরা তাদের গুড়িয়ে দিলো



তারা চোরের মত গিয়ে তাদের গুহায় আস্রয় নিলো




তারা বলে আমরা নাকি ধর্ম মানি না?
তারা মিথ্যুক
কে বলেছে আমরা ধর্ম মানি না
পহেলা বৈশাখে তারা এসে দেখুক আমরা বাঙ্গালির প্রানের উৎসবে কিভাবে মঙ্গল প্রদিপ জ্বালাই


কিভাবে আমরা মাথায় সিঁদুর লাগাই বাঙালি সংস্কৃতি মোতাবেক

আমরা জানি আমাদের সব বাঙ্গালির শেকড়ের গোড়া কোথায়
আমাদের অনলাইন কর্মীরা তাদের বিপ্লবি কাজ শুরু করে দিয়েছে।আমাদের দলের বিশ্বাস আমরা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।আমাদের দেশ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ।এই দেশে কেন মসজিদের ইমামের কন্ঠ হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান এদের কানে পৌঁছাবে?

আমরা পরবর্তীতে ক্ষমতায় এসে আমাদের দেশে পাকিস্তানী ধর্মচর্চা বন্ধ করে দেব।শুধু এ দেশে থাকবে বাঙ্গালির শেকড়ের ধর্ম

তারা বলে আমাদের দলের সাজেদা চৌধুরী নাকি বলেছে "এ দেশ থেকে ধর্মের শেষ চিনহটুকু আমরা মুছে ফেলবো"
হ্যাঁ আমাদের নেত্রি তো ভুল কিছু বলে নি।আমরা সবাই বাঙালি।বাঙ্গালিরা কেন পাকিস্তানীদের মত দাড়ি-টুপি পড়বে।বাঙ্গালিরা বাংলা সংস্কৃতি মেনে চলবে।সেটা তো আমরা বাধা দেই নি
তারা বলেছে আমাদের রাজপুত্র জয় নাকি বলেছে "২০০১ এ বিএনপি জেতার পরে বাংলাদেশে বোরখার বিক্রি ৫০০ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে"
কথা কি ভুল বলেছে আমাদের জয় সাহেব।বাঙালি নারীরা তো বাঙালি।তারা কেন পাকি পোসাক পরবে।তারা বাঙালি সংস্কৃতি পালন করবে
তাই তো আমরা বলি"মেয়েদের বোরখার হাত থেকে বাচাতে হলে নাচ-গানের শিক্ষা দিতে হবে"
তাই তো আমরা ঘোষণা দেই"বোরখা পড়ে কুৎসিত পাকি মেয়েরা"
স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিরা সব ধর্ম বিজনেস করে।তারা আমাদের বাঙালি সংস্কৃতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়
আমরা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিরা তা মানবো না।তাই তো আমাদের মহান নেত্রি ভোটের সময় দেখিয়ে দেয় তিনি কতটা ধার্মিক



সমস্ত বাঙ্গালির কাছে আমার অনুরোধ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচনে দাড় করান আবারও
আমরাই পারবো দেশকে পাকি মুক্ত করতে।সোনার বাংলা গড়তে পারবো

বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গ্রুপ এরি মাঝে তাদের মুক্তিসেনার মত কাজ শুরু করে দিয়েছে
তারা বিএনপি পাকিস্তান,হেফাজতে পাকিস্তান,জামাতে পাকিস্তান,শিবিরে পাকিস্তানের উপরে একাই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে
সবার শেষে আমি পাকিস্তানী চরদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলবো
আমার সোনার বাংলা
পাকিস্তান হবে না,হবে না,হবে না
জয় বাংলা
জয় বাংলা
জয় বাংলা
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৪
৪১টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×