somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্ব রাজনীতিতে কেউ কারো প্রকৃত বন্ধু নয় বরং অনেকেই সময়ের প্রয়োজনে ক্ষণিকের মিত্র হয়!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মজার ব্যাপার হচ্ছে একদিকে ভারত পাথর ছুঁড়ে বাংলাদেশী নাগরিকদের মেরে ফেলছে অন্যদিকে মায়ানমার তার দেশ থেকে বিতাড়িত নাগরিকদের কে দিয়ে সেই মৃত বাংলাদেশীর শূন্যস্থান পূরণ করছে! (সাবাস বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ)।।

কতই না সুন্দর বাংলাদেশের ভূ-রাজনীতি আর তাদের কূটনীতি। বর্হিঃবিশ্বে বাংলাদেশের নাকি বন্ধুর অভাব নাই। সবাই বাংলাদেশ সরকারের গুণগানে পেরেশান। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ একটি রোল মডেল! কাড়ি কাড়ি এওয়ার্ড বাংলাদেশের! অথচ প্রয়োজনের সময় দেখা গেলো সবই ফাঁফা (বাতাস ভর্তি) বুলি।

সত্যি কথা বলতে, বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের কূটনীতি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই বললেই চলে। আমাদের মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী জনাব তোফায়েল আহম্মদ বলেছেন, মিয়ানমারকে বিশ্ব ধিক্কার দিচ্ছে!!! আসলে ওনারা যে ওনাদের কথার অর্থও বোঝেন না সেটাও সাধারণদের বলে দিতে হবে!? আমাদের মতো মাথা মোটা সরকারেরা বিশ্বের ধিক্কারটুকুই দেখছেন কিন্তু মায়ানমারের নাগরিকদের সকল প্রকার নিরাপত্তা দিতে মায়ানমার সরকারকে বাধ্য করছেনা, সেটা দেখতে পাচ্ছেন না!!! সত্যি বলতে, এসব অমুসলিম বিশ্ব চায় মুসলিমরা কোনঠাসা হয়ে পড়ুক সারা বিশ্বে আর ওনারা লোক দেখানো নিন্দা করে যাবে, এতটুকুই। এই সহজ চিন্তাটুকু যে সরকার বুঝতে পারেনা, তারা কিভাবে বিশ্ব কূটনীতিতে দেশের হয়ে কিছু করে দেখাতে পারবে!?

আজকে মায়ানমার না হয়ে যদি এটা বাংলাদেশে হতো তাহলে বিশ্ব ধিক্কার জনানোর আগেই শান্তিরঙ্খি প্রেরণ করে উচিত শিক্ষা দিয়ে দিতো। তার জন্য বিশ্ব নেতৃত্বের সাথে আলাপ-আলোচনা করার ও দরকার মনে করতেন না। যেটা আমরা অন্যান্য মুসলিম দেশের সাথে করতে দেখেছি। তা না হলে বিশ্ব, মায়ানমারকে ধিক্কার দিচ্ছে কিন্তু তাদের দেশের নাগরিকদের, বাংলাদেশে প্রবেশ বন্ধ করতে মায়ানমারকে কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করে বাধ্য করেনি কেনো? এমনকি বিশ্ব, সুচি’র বিরোদ্ধে কোনো রকম আইনি ব্যবস্থা নিতেও রাজি নয়!!! তারপরেও কি তোফায়েল সাহেব বলবেন, বিশ্ব মায়ানমারকে ধিক্কার দিচ্ছে!

কারণ ক্ষমতার লোভ সব ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে থাকে তবে সেটা মুসলমানের তুলনায় অধিকতর অনেক কম। যার ফলে মুসলিম ব্যতিত অন্যরা নিজেদের মধ্যে এক রকম ঐক্য তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। এর প্রভাবেই বলা যায় তাদের মাঝে রাজনৈতিক সরকারের উথান-পতন হলেও কাজকর্মে একে অপরের প্রতি আস্থা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় থাকতে দেখা যায়। যেটা মুসলিমদের মাঝে থাকতে দেখা যায় না! যেমনটা দেখেছি পাকিস্তানে/সিরিয়ায়/মিশর/ইয়েমেন সহ অনেক মুসলিম দেশে। এমনকি আমাদের দেশেও কম দেখা যায় কিসে!

বিশ্ব নেতৃত্ব (অমুসলিম বিশ্ব), মুসলিম রাজনীতিবিদদের মতো এতো বেশি মাথা মোটা নয়। তারা সবজি/দুধ খায় বেশি তাই তাদের মাথা ঠান্ডা এবং কাজকর্মে খুবই দুরন্ধর! আর মুসলিমরা খাই গরুর গোস্ত, সব সময় মাথা গরম; আর সকল কাজকর্মে গলদ। যার ফলে বিশ্ব আমাদের মতো মাথা মোটার দলদের পক্ষে সাফাই গেয়ে গেয়ে এতটাই গেয়েছেন যে, এখন আমরা হাওয়ায় ভেসে বেড়াচ্ছি আর তাদের কাছ থেকে শুনা কথা বিশ্বাস করে প্রচার করে বেড়াচ্ছি। যা কমজুরি রাজনৈতিকের আচার-আচরনের বর্হিপ্রকাশ।

মোদ্দাকথা হচ্ছে, বিশ্ব নেতৃত্বে কেউ কারো প্রকৃত বন্ধু নয় বরং সবার সাথে কাজ করার জন্য চাই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ধীমান রাজনৈতিক যারা দেশ ও জাতির প্রয়োজনে সমস্যা উত্তরণে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন। অর্থাৎ পররাষ্ট্র নীতিতে ভারসাম্য অবস্থা রক্ষা করে চলতে পারেন। সেই দিক থেকে বর্তমান সরকারের চেয়ে বিগত সরকারের পররাষ্ট্র নীতিই অনেক ভালো ছিলো বলা যায়। কারণ ! যেখানে, এতদিন ভারত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত বন্ধু বলে গীত রচনা করতো সেখানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত কেনো মায়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করলো!? অন্যদিকে চীনের সাথে বাংলাদেশের রয়েছেন গভীর মিত্রতা কিন্তু রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেই চীনকেও আমরা মায়ানমারের পক্ষ অবলম্বন করতে দেখেছি। সোজা কথায় বলতে গেলে, বাংলাদেশের সাথে কেউ নেই যেখানে তার নিজের সমস্যা সমাধান একমাত্র নিজেকেই করতে হবে।

বিস্তারিত পড়ুতে ক্লিক করুন : মিয়ানমারকে বিশ্ব ধিক্কার দিচ্ছে: তোফায়েল
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×