somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শতাব্দির আলোচিত রাস্ট্রনায়ক- দেশপ্রেমিক- ফ্যাসিস্ট- এডলফ হিটলার (৩য় পর্ব)

০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ রাত ২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমরা দেখলাম হিটলার আর্ট স্কুলে ভর্তি হতে পারলনা, বাবা মারা গেছেন ফুসফুসে রক্তক্ষরণে, তারপর? শুনুন:
বাবা মারা যাবার পর হিটলার একটু ছন্নছাড়াই হয়ে গেলেন। ঘুম থেকে দেরী করে উঠতেন, বেশী রাতে বাড়ী ফিরতেন, না তার কোন খারাপ অভ্যাস ছিলনা।
তার বন্ধু তেমন কেউ ছিলনা, তবে একজনের নাম শোনা যায়, তার নাম অগাস্ট কুবিযেক (August Kubizek) যিনি একজন সংগীতজ্ঞ হতে চেয়েছিলেন। নীচে তার ছবি দেখুন:


হিটলার সেই বয়সেই জ্বালাময়ী ভাষায় দারুন বক্তৃতা দিতে পারতেন আর তার একমাত্র নিরব শ্রোতা ছিলেন ঐ কুবিযেক। পরে কবিযেক স্মৃতিচারণ করার সময় বলেছিলেন, হিটলার তার কথার কোন সমালোচনা সহ্য করতেননা, ভুল স্বিকার করতেননা।
তার এই দোষটার জন্য তাকে, জার্মানীকে তথা সারাবিশ্বকেই চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল।
তিনি যদি যুদ্ধচলাকালীন তার কয়েক ডজন জেনারেলদের কিছু কথা বা পরামর্শ শুনতেন তাহলে পৃথিবীর ইতিহাস অন্য রকম হতে পারত। তবে সে গল্প অনেক দেরীতে আসবে।



উপরের উনি ছিলেন ফিল্ড মার্শাল উইলহেম কাইটেল, হিটলারের একনম্বর জেনারেল।
নীচে দুনিয়াখ্যাত যোদ্ধা 'ডেজার্ট ফক্স' নামে পরিচিত, যার মরুভুমিতে যুদ্ধ কৌশল এখনো বাংলাদেশ সহ পৃথাবীর বিভিন্ন দেশের মিলিটারি কলেজ সমূহে পড়ানো হয়, নাম ফিল্ড মার্শাল আরভিন রোমেল।

[

তরুন হিটলারের কোন মেয়ে বন্ধু ছিলনা, তবে একজন লালচুলো সুন্দরী স্টেফাইন কে তিনি মনে মনে পছন্দ করতেন যা তিনি কোনদিন তাকে বলেননি, আর মেয়েটিও কোনদিন জানতে পারেনি।
ঐ সময় হিটলার জার্মান ইতিহাস আর নর্ডিক পৌরানিক গাথা মন দিয়ে পড়তেন।
এভাবেই হিটলারের মধ্যে নিজেকে ঐতিহ্যবাহী গৌরবময় নীল রক্তের জার্মান ভাবার প্রবনতা দেখা দেয়।
শত শত বছর ধরে যেই হাপসবুর্গ সাম্রাজ্য আর অস্ট্রো- হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্য অস্ট্রিয়া আর তার আশে পাশের এলাকাতে রাজত্ব করে আসছিল তাদের প্রতি একধরনের ঘৃনা অনুভব করতে থাকেন।

১৯০৭ সালের ১৪ই জানুয়ারী হিটলারের মা ক্লারা বুকে ব্যাথা অনুভব করায় পারিবারিক ডাক্তারকে দেখান। তাদের পারিবারিক ডাক্তারের নাম ছিল ডাক্তার এড্ওয়ার্ড ব্লশ ( Dr. Edward Bloch) আর তিনি ছিলেন একজন ইহুদী।
ডাক্তার পলীক্ষা করে দেখেন হিটলারের মা ক্লারার স্তন ক্যান্সার হয়েছে। তাও আবার অনেক দুর এগিয়ে গেছে।
যাহোক তিনি অপরেশন করার উপদেশ দিলেন। এই ঘটনায় হিটলার ভিয়েনা থেকে চলে আসলেন মায়ের সেবা করার জন্য।
কয়েকদিন পর ডাঃ ব্লশ ক্লারার অপারেশন করে একটা স্তন কেটে ফেলে দেন আর একটা কড়া ডোযের অষুধ দেন, যেটার নাম ছিল আইডোফরম।অবশ্য ততক্ষনে অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল।

ডাঃ ব্লশ ফি নেবার সময় প্রায় সবটাই মাফ করে দিয়েছিলেন যার জন্য হিটলার সেই মুহুর্তে তাকে বলেছিলেন যে এটার জন্য তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। আর তিনি ছিলেন বলে শোনা যায়।

পরে যুদ্ধকালীন সময়ে গনহত্যার আগেই ইহুদী ডাঃ ব্লশকে তার সম্পত্তি বেচে আমেরিকা যাবার সুযোগ করে দেয়া হয় বলে শোনা যায়। সেখানে নিউইয়র্কে তিনি মারা যান বলে কথা প্রচলিত আছে। এটা হিটলারের মানবিক গুনের একটা দিক।



বেশ কিছুকাল ভুগে এডলফ হিটলারের মা ক্লারা পোলয ৪৬ বছ বয়সে ক্রিষ্টমাসের সময়কালীন ১৯০৭ সালের ২১ শে ডিসেম্বর নীরবে মারা যান। তাকে তার স্বামী এলয়েস আর পুত্র এডমন্ডের সাথেই সমাধিস্হ করা হয়।




বাকিটুকু আরেকদিন!
আগের ২টি পর্বের লিংক নীচে:

Click This Link

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১১:৫৭
৭টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×