somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্ট্যাচু অফ লিবার্টী-এক অপুর্ব সৃস্টি

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্ট্যাচু অফ লিবার্টিী যুক্তরাস্ট্রের নিউইয়র্কের ম্যানহাটানের লিবার্টী আইল্যান্ডে দন্ডায়মান ৩০৫ ফুট উঁচু (মাটি থেকে মশাল) রোমান স্বাধীনতার দেবীর মুর্তি। ১৮৮৬ সালে ফ্রান্সের জনগন যুক্তরাস্ট্রের স্বাধীনতার শতবর্ষ পুর্তি উপলক্ষ্যে যুক্তরাস্ট্রের জনগনকে উপহার দেন। ১১০ বছর হয়ে গেছে ততদিনে!
ফরাসি ভাষায় এটার নাম
La Liberté éclairant le monde যার অর্থ স্বাধীনতা জগৎকে আলোকিত করছে।

এটার বিভিন্ন অংশ ১৮৮৩ সালে প্যারিসে বানানো শুরু হয়।
এটার ডিজাইন করেন ফরাসী ভাস্কর ফ্রেডারিক অগুসতে বার্তহোলডি, ছবি দেখুন:



মুর্তিটির স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করেন আইফেল টাওয়ারের বিখ্যাত ইন্জিনিয়ার গুস্তাভ আইফেল:



এটার পেডেস্টাল বা ভিতের ডিজাইন করেন মরিস হান্ট:



মুর্তিটির হাতে একটা হাতল্ওয়ালা বই (tabula ansata) আছে যাতে যুক্তরাস্ট্রের স্বাধীনতার তারিখ লেখা আছে। ৪ঠা জুলাই ১৭৭৬।



মুর্তিটি যুক্তরাস্ট্রে আগত সকল অভিবাসীদের স্বাগত জানাবার একটা প্রতীকও বটে!
প্যারিসে এটা টুকরা টুকরা করে বানিয়ে জাহাজে করে নিউইয়র্কে পাঠানো হংয়। কথা ছিল এর ভিতটা (পেডেস্টাল) তৈরী করবে যুক্তরাস্ট্র, কিন্তু টাকার অভাবে বিশ্বের অন্যতম ধনী রাস্ট্রের ঘাম ছুটে গেছিল। পরে যুক্তরাস্ট্রের কয়েক হাজার লোক ১০ সেন্ট থেকে ১ ডলার পর্যন্ত চাঁদা দিয়ে ভিতটা তৈরী করে!

মাথাটা বানিয়ে প্যারিসের একটা পার্কে রাখা হয়।১৮৮৩ সালে।



পুরোটাই তামার তৈরী, আর ভিতরে ইস্পাত।





মুর্তিটির মুখের আদল ভাস্কর বার্তহোলডির মায়ের চেহারার মত।



হাতের মশালে ২৪ ক্যারেট সোনার প্রলেপ দেয়া আছে।



২০১২ সালের হারিকেন স্যান্ডির কারনে এটার বেশ ক্ষতি হয় আর এটা ২০১৩ সালের শেষ ভাগ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।

ঝড়ের সময় বেচারী স্ট্যাচু অফ লিবার্টীর অবস্থা!










এটা তামার তৈরী হওয়াতে প্রাকৃতিক কারনে এটার চেহারা কিছুটা কাল হয়ে যায়। সেজন্য পরে এটার পুরো শরীর সবুজ রং করে দেয়া হয়।
যারা যাননি তাদের জন্য বলছি, এখানে ঢুকতে ম্যালা নিরাপত্তা ব্যাবস্থার মুখোমুখি হতে হয়,

মায় বেল্ট জুতো পর্যন্ত খুলতে হয়।

টিকিটের দাম ? বেশ টাকা লাগে, মনে হয় ২৮ ডলার!
অনলাইনে করাই ভাল কারন লাইনটা বেশ লম্বা হয়, তবে মজাই লাগে!

স্ট্যাচু অফ লিবার্টীর অবস্হান নিউইয়র্ক আর নিউজার্সীর কাছে তবে এটা সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রন করে ফেডারেল সরকার (কেন্দ্রীয় সরকার)।

আর নেচারালি এটার থেকে যা কামাই হয় পুরোটাই নেয় ফেডারেল সরকার!নিউইয়র্ক বা নিউজার্সি কোন পয়সা পায়না!
এবার এর আরো কিছু তথ্য:
এতে তামার ওজন: ৩১ টন।
পুরো ফ্রেমওয়ার্কের উজন: ১২৫ টন।
কনক্রীটের ভিতের ওজন: ৫৪ মিলিয়ন পাউন্ড।
তামার সীটের পুরুত্ব: ৩/৩২ ইন্চি।
বাতাসে মশালটা ৬ ইন্চি সরে যায়।
হাতের টেবলেটে লেখাটা রোমান অক্ষরে JULY IV MDCCLXXVI
পায়ের কাছে ভাঙ্গা শিকল আছে অবশ্য নীচ থেকে দেখা যায়না।

সুত্র: ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৪৩
১৬টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×