somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমাদের রাজনৈতিক কর্মপরিকল্পনা

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রিয় দেশবাসী,

আমরা আজ আপনাদের সামনে এসেছি আপনাদের জন্য। রাজনীতির মঞ্চে আমাদের আগমন সম্পূর্ণভাবে আপনাদের জন্য। আপনার, আপনাদের, আমাদের সকলের অধিকার আদায়ের জন্য। অধিকার রক্ষার জন্য। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য পরিপূর্ণভাবে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা আদায় এবং সেসবের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য। আপনাদের জীবন যাপনকে সহজ, সাবলিল করবার জন্য। জননিরাপত্তা বিধান করবার জন্য। যেকোনো ধরনের অন্যায় কর্মকাণ্ড রুখবার জন্য। নারী অধিকার রক্ষা এবং নারীর প্রতি সবধরনের সহিংসতা বন্ধের জন্য। প্রতিটি শিশুর সহজ, স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করবার জন্য। মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করবার জন্য। ক্ষুধা, দারিদ্রতা দূর করবার জন্য। শক্তিশালী, কার্যকরী, দক্ষ জনবল তৈরি করবার জন্য। কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং যোগ্যতা অনুসারে প্রত্যেককে স্ব স্ব কর্মপদে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, চিকিৎসা খাতকে বিশ্বের সমান্তরালে এগিয়ে নেবার জন্য। নিরক্ষরতা দূর এবং সর্বস্তরে সুশিক্ষা এবং যুগোপযোগী কার্যকরী সাধারণ, কারিগরি, প্রায়োগিক, এবং প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের জন্য। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সর্বোতভাবে প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশকে শক্ত অর্থনৈতিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠার জন্য। গবেষণা পরিবেশ সৃষ্টি এবং গবেষণা কলেবর বৃদ্ধির জন্য। দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, লোকশিল্প, কারুশিল্প, প্রত্নতত্ত্ব, এবং এধরনের অন্যান্য বিষয়গুলোকে দেশ এবং গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবার জন্য।

এ লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য সুস্পষ্ট রাজনৈতিক মতাদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল নিয়ে আমরা রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হতে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে আমরা আমোদের কর্মপরিকল্পনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো। আপনাদের কাছ থেকে পাওয়া গ্রহণযোগ্য মতামত এবং পরামর্শকেও আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত করবো। আপাতত আমাদের বিভিন্নজনের আলোচনাপসূত কিছু কর্মপরিকল্পনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের কর্মপরিকল্পনা

১। প্রথমত, মানুষজনকে একতাবদ্ধ করা এবং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনঐক্য তৈরি করা।

২। গণতান্ত্রিকভাবে দলীয় নের্তৃত্ব নির্বাচন এবং প্রতি ৪ বছর পর পর দলীয় নের্তৃত্বের পরিবর্তন এবং নতুন নের্তৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করা।

৩। রাজনীতির অঙ্গনে উচ্চশিক্ষিত, সৎ, সাহসী, বিচক্ষণ নের্তৃত্ব উপহার দেয়া।

৪। আমরা বাঙালি জাতীয়তাবাদের অনুসারী। জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করা হবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের ধারাটিকে সম্প্রসারিত করা হবে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে দেশপ্রেমের চেতনা বৃদ্ধি করা হবে।

৫। জনমানসে অহিংস আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশের রাজনৈতিক চর্চার ধারায় অহিংস আদর্শের রাজনীতির ধারা প্রতিষ্ঠা করা এবং যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে অহিংস কর্মসূচীর মাধ্যমে রূখে দাঁড়ানো।

৬। সত্যাগ্রহ আন্দোলন এর মাধ্যমে নীতি নৈতিকতার চর্চা করা এবং দুর্নীতির মূলোৎপাটনের জন্য জনগণকে প্রস্তুত করে তোলা এবং পাশাপাশি সৎ, সাহসী এবং উন্নত নৈতিকতার জনগোষ্ঠী গড়ে তোলা।

৭। স্বদেশী আন্দোলনের মাধ্যমে দেশিয় পণ্য উৎপাদন এ সহযোগিতা প্রদান, দেশিয় পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ এবং দেশিয় পণ্যকে জনপ্রিয় করে গড়ে তোলা।

৮। দেশীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতির প্রচার-প্রসার এবং সে অনুসারে ঐতিহ্যের চর্চাকে গতিশীল করা হবে।

৯। ধর্মের প্রেমের বাণী প্রচার করা হবে। মানুষ-জনকে নিজ নিজ ধর্ম পালনে উৎসাহিত করা হবে। ধর্মের অন্ধবিশ্বাস এবং ধর্মীয় গোড়ামী দূর করা হবে। মনুষের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনে ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং শান্তির বাণী প্রচার করা হবে। সকল ধর্মের মানুষের নির্বিঘ্ন ধর্ম চর্চার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে। সব ধর্মের উপর শ্রদ্ধাশীল মানসিকতা তৈরি করা হবে। ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা অন্য যেকোনো ধর্ম এবং ধর্মের বাণী প্রচারের সুযোগ তৈরি করা হবে। এবং সর্বপরী ধর্মনিরপেক্ষ উদার মানসিকতার, সর্বধর্ম শ্রদ্ধাশীল সম্প্রীতির সমাজ গঠন করা হবে।

১০। উচ্চ শিক্ষিত রাজনৈতিক নেতা-কর্মী-সমর্থকদের মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া শিশু, নারী, এবং বয়স্ক জনগোষ্ঠীদের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী তৈরি করতে ভূমিকা পালন করা হবে। দেশব্যাপী অনেকগুলো নারী, শিশু ও বয়স্ক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে।

১১। হরতালের মতো ঘৃণীত কর্মসূচী কখনোই পালন করা হবেনা এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহকে হরতালের মতো কর্মসূচী প্রদানে নিরুৎসাহিত করা হবে।

১২। শারীরিক শ্রম এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জনে নিয়োজিত প্রতিটি সেক্টরে আমাদের রাজনৈতিক সেল প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং শ্রমজীবির অধিকার রক্ষায় তাদের পাশে থেকে কাজ করা হবে।

১৩। দরিদ্র, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর পাশে দাঁড়ানো এবং আমাদের রাজনৈতিক দলের উৎপাদনশীল এবং আর্থিক অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সেসব জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান। সেসব জনগোষ্ঠীকে সমবায়ভিত্তিক উৎপাদন কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত করার মাধ্যমে আর্থিক অস্বচ্ছলতা দূরীকরণের চেষ্টা করা এবং পথনির্দেশনা প্রদান।

১৪। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন জনগোষ্ঠী যেমন, দেহপোপজীবিনী, সাধারণ লিঙ্গ (সম/উভলিঙ্গ) বা অন্যান্যদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং সমবায়ভিত্তিক কর্মসংস্থান তৈরি করে তাদেরকে উপার্জনক্ষম করে গড়ে তোলা এবং তাদের মর্যাদা নিশ্চিত করা।

১৫। প্রতিটি উপজেলা/জেলা রাজনৈতিক অফিসে দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করে ফ্রি চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং সাধ্যানুযায়ী বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ।

১৬। সরকার বা বিরোধী দলগুলো ভুল, অগ্রহণযোগ্য কর্মসূচী প্রদান করলে এর সমান্তরালে যুগপযোগী, বাস্তব এবং প্রায়োগিক কর্মসূচী প্রদান করা হবে।

১৭। ছায়া সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সরকারী অনিয়মতান্ত্রিক, ভুল, দুর্বল, বা অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তসমূহকে জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং সমান্তরাল বাস্তবধর্মী, যুগপযোগী, প্রায়োগিক কর্মসূচী এবং দিকনিরদেশনা প্রদান।

সরকার গঠন করলে আমাদের কর্মপরিকল্পনা

১। পুলিশ প্রসাশনকে ঢেলে সাজানো। বেতন কাঠামো এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি। পুলিশের বিকল্প উপার্জনের জন্য জন্য প্রতিটি উপজেলা এবং জেলা পযায়ে পুলিশ নিয়ন্ত্রণাধীন প্রকল্প গড়ে তোলা এবং প্রতিটি পুলিশ সদস্যদের মাঝে এর লভ্যাংশ বিতরণ।
১.১ পুলিশের মধ্যে প্রচলিত দুর্নীতি বন্ধ করা হবে।
১.২ পুলিশের মানবেতর জীবন-যাপনের মানোন্নয়ন করা হবে

২। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করা হবে। সব পর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা এবং ভালো ফলাফলকে প্রাধান্য দেয়া হবে। বেতন স্কেল বৃদ্ধি এবং সব পর্যায়ের শিক্ষকদের প্রথম শ্রেণিতে পদোন্নয়ন।

৩। শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ এবং শিক্ষাবোর্ড এর শিক্ষক, পদস্থ কর্মকর্তা সমন্বয়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে।

৪। সবধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ করা হবে। নিয়োগ প্রদানের ক্ষেত্রে উচ্চ শিক্ষা, ভালো ফলাফল, কর্মদক্ষতা ইত্যাদি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে জনবল নিয়োগ করা হবে।

৫। স্থুল, সূক্ষ্ণ, প্রদর্শিত অপ্রদর্শিত সবধরনের দুর্নীতির মূলোৎপাটন। ঘুষ আদান-প্রদানের প্রতিটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান।

৬। দুর্নীতি দমন কমিশন এর ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং স্বাধীনভাবে কাজ করবার সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৭। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ কমিশন এ রূপান্তর করা হবে।

৮। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন এবং প্রভাবমুক্ত করা হবে।

৯। পতিতা, ভিক্ষুক, ভবঘুরে, সাধারণ লিঙ্গভিত্তিক জনগোষ্ঠী সবার জন্য সরকারীভাবে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা হবে।

১০। দেশি বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুমতি প্রদান এবং সবধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।

১১। ব্যাবসায়ীদের জন্য অনুকূল বাণিজ্য পরিবেশ তৈরিতে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করা হবে। দেশি ব্যাবসায়ীদের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে।

১২। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যক্তাদের একত্র করে সমবায়ভিত্তিক বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা এবং অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে।

১৩। ক্ষুদ্র এবং ফুটপাত ব্যবসায়ীদের জন্য মার্কেট নির্মাণ করা হবে।

১৪। স্থানীয় সরকারকে আরো বেশি প্রায়োগিক এবং গতিশীল করা করা হবে।

১৫। রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিম্নতম পর্যায় থেকে সর্ব্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ তৈরি করা হবে এবং কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থার আওতায় এনে একক ডাটাবেজের মাধ্যমে সমন্বয় সাধন করা হবে। ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আন্তঃযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ নেটওয়ার্ক তৈরি করা হবে

১৬। সবধরনের সরকারি নথিকে কম্পিউটারাইজড করা হবে।

১৭। ইসলামী, পুঁজিবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক অর্থ ব্যবস্থার সমন্বয়ে যুগোপযোগী অর্থনৈতিক কাঠামো নির্মাণ করা হবে।

১৮। কৃষিশিল্পের বিকাশে সবধরনের সহযোগিতা করা হবে। ক্ষুদ্র চাষীদের সমবায়ভিত্তিক কৃষিকার্যক্রমে উৎসাহিত করা হবে এবং এক্ষেত্রে সবধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে। কৃষকের জন্য কৃষিপণ্যের নায্য দাম এর নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে।

১৯। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার জন্য বাজার মনিটরিং সেল গঠন এবং বাজারমূল্য অর্থাৎ দ্রব্যমূল্যের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হবে।

২০। সরকারী পরিবহণ খাতকে ঢেলে সাজানো হবে। একই সাথে বেসরকারী পরিবহণ সেবাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সহায়তা প্রদান করা হবে।
২০.১ পরিবহণ ব্যাবসায়ীদের সব ধরনের সুবিধা প্রদান করা হবে। সুবিধা নিশ্চিত করবার জন্য সরকারের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। ট্রাফিক আইন মানতে হবে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ, অনুমোদনবিহীন পরিবহণ চলাচল বন্ধ করতে হবে।

২০.২ জনগণের ভোগান্তি দূর করতে সহনীয় পর্যায়ে পরিবহণ ভাড়া নির্ধারিত থাকবে।

২০.৩ ট্রাফিক জ্যাম সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

২০.৪ রেল যোগাযোগ এর আধুনিকায়ন করা হবে এবং সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হবে।

২০.৫ জাতীয় সড়কগুলোকে চার/ছয়/আট লেন এ উন্নীত করা হবে। রোড ডিভাইডার নির্মাণ করা হবে।

২০.৬ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক মনিটরিং জোড়দার করা হবে। নিয়ন্ত্রিত গতিতে যান চালাতে হবে। নির্দিষ্ট লেন ছাড়া ওভারটেকিং বন্ধ করা হবে।

২০.৭ সড়ক পাড়াপাড়ে ফুট ওভার ব্রিজ, আন্ডার পাস এবং জেব্রা ক্রসিং এর ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

২০.৮ সড়ক পথের আইন অমান্য করলে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হবে।

২১। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা হবে। সবাইকে আইন মান্য করবার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হবে।

২২। সবধরনের নাগরিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।

২৩। ঢাকা মহানগরীকে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নগরীতে পরিণত করা হবে।

২৪। দেশের পর্যটন খাতকে ঢেলে সাজানো হবে।

২৫। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের সুরক্ষা করা হবে।

২৬। সেনাবহিনীর আধুনিকায়ন এবং উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর সামরিক সজ্জার ব্যবস্থা করা হবে।

২৭। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।

২৮। গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। গামের্ন্টস এ কর্মরত শ্রমিকদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে মনিটরিং সেল গঠন এবং বেতন ভাতা বৃদ্ধি করা হবে।

২৯। ব্যপক হারে বনায়ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে। ঢাকাসহ প্রতিটি নগর এবং গ্রামের বিভিন্ন স্থানসহ বসতবাড়িতে বৃক্ষ রোপণ করা হবে। ব্যপক এলাকাজুড়ে কৃত্রিম বন সৃষ্টি করা হবে।

৩০। শিক্ষা, প্রযুক্তি, আইটি, চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সেবা ও কারিগরি খাতে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করে জনশক্তির রপ্তানী করা হবে। পাশাপাশি বহির্বিশ্বে খ্যাতি অর্জনকারী এবং দক্ষ বাঙালি জনগোষ্ঠীকে দেশের প্রয়োজনে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

৩১। চিকিৎসা, প্রযুক্তি, কারিগরি, আইটি সেক্টরে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরির লক্ষ্যে ব্যপকহারে গবেষকদের এবং ভালো ছাত্রদের বৃত্তি প্রদান করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রেরণ করা হবে। প্রয়োজনে দেশি বিদেশি বিশেষজ্ঞ সমন্বয়ে দেশে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ব্যবস্থা করা হবে।

আমরা কথা দিচ্ছি, সমৃদ্ধ, মাথা উঁচু একটা দেশ আমরা আপনাদের উপহার দেব। আমাদের সঙ্গ দিন। আমাদের কথা শুনুন। আমাদের দেখানো পথ অনুসরণ করুন। আমাদের পরামর্শ দিন। আমাদের সমালোচনা করুন। আমাদের পথ দেখান।

দৃঢ়ভাবে বলতে চাই বিপ্লব সুনিশ্চিত। বিজয় সুনিশ্চিত।

জয় বাংলা।


[অনবধানবশত কিছু বানান ভুল হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি, পর্যায়ক্রমে বিস্তারিত এবং অন্যান্য কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরা হবে]
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৫১



সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×