নাটোরের বনপাড়ায় বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত জনসভা উপলক্ষে শুক্রবার আয়োজিত মিছিলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সশস্ত্র হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান সানাউল্লা নূর বাবু নিহত, চার সাংবাদিক সহ আহত চল্লিশ। আহত সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাংচুর ও ছিনতাই করা হয়েছে। তারা এখন নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বনপাড়া পৌর বিএনপির উদ্যোগে মাস ব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসাবে বিক্ষোভ মিছিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সভায় সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আগমণ উপলক্ষে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউল্লা নুর বাবুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি উপজেলা চত্বর থেকে শুরু হয়ে বনপাড়া বাজারে আসলে আগে থেকেই প্রস্তুত থাকা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতা অধ্যাপক জাকির হোসেনের নেতৃত্বে লাঠি-সোটা ও বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অপর একটি মিছিল নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান ও বনপাড়া পৌর বিএনপির সভাপতি সানাউল্লা নূর বাবু গুরুতর আহতে হলে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত চেয়ারম্যান সানাউল্লা নূর বাবু
এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় আরো ৪০ জন আহত হয়। নাটোর থেকে ঘটনাস্থলে ছবি তুলতে গেলে ডেসটিনি ও বাংলার চোখের নাটোর জেলা প্রতিনিধি শেখ তোফাজ্জ্বল হোসেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাটোর জেলা প্রতিনিধি নাসিম উদ্দিন, দিগন্ত টিভির ক্যামেরাম্যান লিমন হোসেন ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান রানা আহম্মেদের উপর এ সব সশস্ত্র কর্মীরা হামলা করে। এতে ডেসটিনি ও বাংলার চোখের নাটোর জেলা প্রতিনিধি শেখ তোফাজ্জ্বল হোসেনের ডান পা ভেঙ্গে যায় এবং বাম হাত গুরুতর ভাবে জখম হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাটোর জেলা প্রতিনিধি নাসিম উদ্দিন ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান রানা আহম্মেদের মাথা ফেটে যায়। দিগন্ত টিভির ক্যামেরাম্যান লিমন হোসেনকে লাঠি দিয়ে পেটানো হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ৮:৪৪