
যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতিমান জীববিজ্ঞানী জে ক্রেইগ ভেনটারের নেতৃত্বে মেরিল্যান্ড ও ক্যালিফোর্নিয়ার জে ক্রেইগ ভেনটার ইনস্টিটিউটের ২০ জন গবেষক ১০ বছর ধরে কৃত্রিম প্রাণ তৈরির এই গবেষণা চালিয়ে আসছিলেন। এবার তারা প্রাণ তৈরি করলেন। বিজ্ঞানীরা, কৃত্রিমভাবে তৈরি ক্রোমোজোমের মাধ্যমে একটি পোষক ব্যাকটেরিয়ার কোষে 'প্রাণ' সঞ্চারে সফল হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, এর মধ্য দিয়ে সেই যুগের সূচনা হলো_যখন প্রাণ তৈরি করা হবে, সৃষ্টি নয়।
বিজ্ঞান সাময়িকী 'সায়েন্স'-এ এই অগ্রগতিকে অভিহিত করা হয়েছে বিজ্ঞানের ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণ হিসেবে। পত্রিকাটির মতে, কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টির এই কৌশল বহু প্রাণঘাতী রোগের নিরাময়ে সহায়ক হবে। জ্বালানি সমস্যার সমাধান এবং গ্রিনহাউস গ্যাস শোষণের ক্ষেত্রেও এই গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে বিজ্ঞানীদের কেউ কেউ বলছেন, কৃত্রিম প্রাণ নিয়ে এই গবেষণা পুরো প্রাণিজগতের জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।
গবেষকরা জানান, কৃত্রিম প্রাণ সৃষ্টির প্রক্রিয়ার শুরুতে প্রথমে তাঁরা একটি ব্যাকটেরিয়ার জেনোমের অনুলিপি তৈরি করেন। এর ভিত্তিতে তাঁরা তৈরি করেন একটি সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারের সাহায্যে গবেষণাগারে তাঁরা তৈরি করেন কৃত্রিম ক্রোমোজোম। এরপর ওই ক্রোমোজোম পুরে দেওয়া হয় একটি পোষক কোষে। বিজ্ঞানীরা অবাক বিস্ময়ে দেখতে পান, পোষক কোষে প্রাণ সঞ্চারিত হয়েছে। প্রকৃতিতেও এটি অবিকল মূল ব্যাকটেরিয়ার মতো।
জে ক্রেইগ ভেনটার জানান, তাঁদের তৈরি ব্যাকটেরিয়াটি 'স্বাভাবিকভাবে' বংশবিস্তারও করেছে। প্রতিটি নতুন ব্যাকটেরিয়াতেই রয়েছে কৃত্রিম ডিএনএ। তিনি বলেন, 'মানুষ এই প্রথমবারের মতো একটি জীবন্ত কোষের ওপর পূর্ণ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হলো। বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত!!
এ বিষয়ে উপর ভিত্তি করে তৈরি ভিডিও দেখুন-
তবে হারুন ইয়াহিয়া আর হুজুরে পাক হয়রান মোল্লা স্বীকৃতি না দিলে এই খবর ভূয়া বলেই গন্য হবে।
মূল লেখা: খারাপ মানুষ ঃলেখকের অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রকাশ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১০ সকাল ৭:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




