হঠাত আংগুলের টোক্কা! আমি শুন্যে ভাসছি আর চক্কর খাচ্ছি!! এমন ভাবে কোন দিনও কেউ এত সজোরে আঘাত করবে ভাবতে পারি নি!! প্রচন্ড চক্করের মাঝে জিবনের পথচলা মনে পরতে লাগলো ... মনে হয় এই তো সেদিন আমার জন্ম প্রচন্ড শব্দের মধ্যে ... মনে পরে আমার জ্ঞাতি ভাইদের সাথে একটি পলিথিনের ব্যাগে করে দোল খাচ্ছি, এর পুর্বের কথা মনে নেই আমার। চারদিকে আমার মত অনেক জ্ঞাতি ভাই যাদের সাথে অল্প দিনেই আমার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে কিন্তু বেশী দিন একসাথে থাকা হয় নি। একটি হাত এসে আমাদের অল্প অল্প ভাগ করে অন্য একটি হাতের কাছে তুলে দেয়। তখন বুজলাম হাতের সাথে আরো অঙ্গ নিয়ে একেকটা মানুষ হয়। আমাকে ও আমার জ্ঞাতি ভাইদের একটি কাঠের বক্সের ভিতর রাখা হয় যেখানে আমাদের পুর্বপুরুষদের সাথেও আমার সাক্ষাত হয়। তাদের কাছ থেকে আমি গল্প শুনি আমাদের ইতিহাসের গল্প। আমার দাদু নাকি এক টাকার নোট যাকে এখন আর খুজে পাওয়া যায় না আর আমার দাদী নাকি সোনালী কয়েল যাকে সবাই নাকি বাসায় রেখে দেয় বাইরে বের করে না! অবশ্য আমি আমার দাদুকে একটি ছেলের মানিব্যাগে থাকাকালিন দেখতে পাই কিন্তু বেচাড়ার গায়ে সাদা সাদা কি যেন পেচানো ছিল। দাদী ও তাদের জ্ঞাতিদের আমি অনেকবার দেখেছি দোকানের বাক্সে থাকাকালীন যারা খুব অসুস্থ ছিল সারা গায়ে জঙ্গ পরে গেছে কেউ তাদের খোজও নেয় না! আমার ভাল লাগে যখন ভাবি আমি জঙ পরবো না! ও ভুলে গিয়েছিলাম কাঠের বাক্সের কথা যেখানে আমার সাথে পরিচয় হয় আমাদের সমাজের বড় বড় নেতাদের সাথে যার মধ্যে ৫ টাকার কয়েনের আচরন আমার একদম ভাল লাগে নি খুবই অহংকারী যে কিনা আমাকে বলে আমার জন্ম নাকি চকলেট কেনার জন্য!! তাকে দিয়ে নাকি বাদাম ভাজা, সিংগারা, ছমুছা, চা , ঝালমুরি ... কেনা যায়! কত বড় অপমান। তবে আমার মত দেখতে কিন্তু আমার চেয়ে মোটা ২ টাকার পয়সা, যে আমাকে দেখলে কেমন যেন করে হয়তো কোন প্রেমের আলামত! কিন্তু প্রেমের হাওয়া পেতে পেতে বাড়ে বাড়ে হারিয়ে ফেলি তাকে। আমার চেয়ে তার মান বেশী থাকায়ও তার মনে কোন অহংকার আমি কখনো খুজে পাইনি। ইশ আমি যদি ২ টাকার কয়েন হিসেবে জন্মাতাম! প্রেম আর অপমানের পরে সেই কাঠের বাক্স ছেড়ে এক বিকেলে একটি সাদা রঙয়ের বিদ্ঘূটে গন্ধপুর্ন লাঠির সাথে একটি ছেলের হাতে গিয়ে পরি। অবশ্য পরে বুজলাম ছোট লাঠিটা নাকি সিগারেট যাকে মানুষ আগুন দিয়ে আস্তে আস্তে করে মেরে ফেলে তার পর রাস্তায় তার গোড়া ফেলে দেয়! ভাবতেই অবাক লাগে মানুষ কি পাষণ্ড! অই ছেলেটির মানিব্যাগে আমি অনেক দিন থাকি যেখানে আমাদের চেয়ে আলাদা কিছু টাকা দেখতে পাই যেখানে আমি অবাক হই ১০০০ টাকার নোট দেখে, বাবা! কি লম্বা!! তাকে রাখার জায়গা কম তাই তাকে ভাজ করে রাখা হতো! একদিন মজার একটা জিনিষ হলো ১০০০ টাকার নোটকে হাত এর দুটা আংগুল এসে টান দিয়ে নিয়ে গেলো আবার একটু পর একটা ৫০০ টাকার নোট তিনটা ১০০ টাকার নোট একটা ৫০ টাকার নোট দুইটা ১০ টাকার নোট এনে রাখলো! পাষন্ড মানুষরা এমনি এদের আদর করে রাখতেও সময় লাগে না আবার ফেলে দিয়ে নতুন কাউকে আনতেও সময় লাগে না!! কিন্তু আমি বুজিনা একটি নোট দিলে এতোগুলো নোট আসে কি করে? যা হোক অনেক দিন মানিব্যাগের কোনায় ঘুমাতে ঘুমাতে এক সকালে কোন এক গাড়ির কন্টাক্টর এর চিৎকার চেচামেচিতে জেগে উঠি আমি যার পকেটে ছিলাম তার সাথে ১ টাকা দেয়া নিয়ে তর্ক করতে থাকে! আমার খুব ভালই লাগে আমাদের নিয়ে যদি কেউ তর্ক করে। এর মানে আমাদেরও অনেক চাহিদা আছে, আমি মানিব্যাগে থেকে মজা করতে লাগলাম হঠাত মানিব্যাগের মালিক প্রচন্ড রাগ করে আমাকে মানিব্যাগের কোনায় খুজে খুজে টেনে বেড় করে সোজা কন্টাক্টরের হাতে নিয়ে দিলো আর কন্টাক্টর তার জামার পকেটে আমায় ছেড়ে দিলো! সেদিন প্রথম নিজেকে খুব একা লাগছিলো। এক রাত সেখানে থাকার পর খুব সকালে অনুভব করলাম আমি কোন রাস্তার পাশের টিউবয়লের কাছে শুধু শার্টের সাথে আছি! একটু পর দুটা হাত শার্টটাকে ঝাড়া দিলো আর আমি পকেট থেকে উরে গিয়ে সোজা একটা পুরাতন বোতলের কাছে গিয়ে পরি। ভাগ্য ভাল ছিল যে আমি ড্রেনে পরে যাইনি নইলে সারা জীবন বুড়িগঙ্গার নিচেই কাটিয়ে দিতে হতো! সারাটা দিন রোদ বৃষ্টির মধ্যে সেই বোতলের পাশে পরে ছিলাম পরের দিন ভাগ্যক্রমে একটি ৮-৯ বছরের টোকাই আমায় তুলে নিলো। আমি যেন হাপ ছেরে বাচলাম। আমি ভাবলাম আমাকে দিয়ে ও চকলেট কিনে খাবে কিন্তু ও আমাকে কিছু মার্বেলের সাথে রেখে দিলো আর সাড়া বিকেল তার সাথে আরো চার পাচজন টোকাই মার্বেল খেলে আমাকে এক হাত থেকে আরেক হাত এভাবে ঘুরাতে লাগলো আর সন্ধ্যায় সরাসরি আমাকে আর আমার জ্ঞাতি ভাইদের একসাথ করে এক গাজা বিক্রেতার হাতে তুলে দিলো! তার ঘন্টাখানেক পরেই পুলিশ এসে আমাকে সহ ওই লোকটাকে জেলে ভরে দিলো! আমি সামান্য পয়সা হয়েও সারা রাত ওই লোকটার সাথে জেলে কাটাই কিন্তু সকালে আমার ঘুম ভাংতেই মনে হল আমি কোন রেডিওর পাশে! আচ্ছা এটা রেডিও নয় এটা পুলিশের ওয়্যারলেস তার মানে আমি এখন পুলিশের পকেটে!! এর পরে পুলিশের পকেট থেকে আমি একটা পান সিগারেটের দোকানে গিয়ে পরি যেখানে আমাকে দিয়ে একটা পান কিনে নিলো। এই প্রথম নিজেকে খুব সুখি মনে হতে লাগলো আমি ভাবলাম আমার মান বেড়ে গেছে আমার আর ৫ টাকার পয়সার মধ্যে কোন ভেদাভেদ নাই! কিন্তু পুলিশ যাওয়ার পরে দোকানদারের গালি শুনে বুজতে পারি আসলে এটা শুধু পুলিশের জন্য প্রযোজ্য তারা নাকি এক টাকা দিয়ে কি যেন একটা সিগারেট ব্যান্ডসন নাকি গ্রান্ডসন্ড কিনে খায়!! যা হোক দুই দিন ওই দোকানে থাকার পর আমি একটি চকলেটের সাথে কোন এক স্কুল বালকের ব্যাগে স্থানান্তর হই যেখানে আমার সাথে অনেকগুলো রংপেন্সিলের ভাব হয় কিন্তু সেখানে একটা কাটার থাকে যে কিছুদিন পর পরই নাকি ওদের মাথা একটু একটু করে কেটে দেয়! সেদিন বুজলাম মানুষ শুধু একাই পাষণ্ড নয় তাদের সাথে আরো অনেক ছোট ছোট পাষন্ডও আছে! কয়েক দিন সেখানে থাকার পর আমাকে নিয়ে একটি মাটির ছোট ঘরের মধ্যে রাখা হয় যেখানে আমাদের জ্ঞাতি ভাইদের সাথে দেখা হয় এমন কি ৫ টাকার পয়সাদের সাথেও কিন্তু এখানে এসে দেখতে পাচ্ছি ওরা খুব শান্ত ওদের মধ্যে অহংকার নেই হিংসা নেই। আমি ওদের সাথে কথা বলে বুজলাম আমরা সবাই ব্যাংক নামক মাটির পাত্রে বন্ধি!! খুব ভয় করা শুরু করলো বেশি ভয় লাগে যখন আমাদের ঝাকানো হয়! আমি ওখানে থাকা অন্যদের জিজ্ঞাস করতে শুরু করলাম আমাদের মুক্তির উপায় কি? একটি পুরানো এক টাকার কয়েন বললো যখন নাকি ঘরের কোনায় কোনায় পয়সা দিয়ে ভরানো হবে তারপর নাকি দেয়াল ভেঙ্গে আমাদের বের করা হবে! সে নাকি এভাবে দুই বছর আটকে ছিল!! কি আর করা ওই মাটির ঘড় টাকে আপন ভেবে সবাই মেলে থাকতে লাগলাম সবাই একটাই প্রার্থনা করতে লাগলো কবে দেয়াল ভাঙ্গা হবে কবে বের হবো? মাঝে মাঝে বাইরে থেকে ঝাকি দেয়া হয় আর এক এক করে ঘরের মধ্যে নতুন নতুন পয়সা এসে যোগ দিতে থাকে আমাদের সাথে। সবার মধ্যে একটা বন্ধুত্ব গড়তে থাকে। হঠাত করে যেন জিবনে বসন্ত চলে আসে অর্থাৎ আমাদের সাথে যোগ হয় চকচকে একটা ২ টাকার পয়সা! আমি যেন পুরানো দিনে হারিয়ে যেতে থাকি দিনে দিনে......।
কাল্পনিক আত্নকহন
মসজিদ না কী মার্কেট!
চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷
আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে আপনি হাদিস শুনতে চান?
,
আপনি যদি সচিব, পিএইচডি, ইন্জিনিয়ার, ডাক্তারদের মুখ থেকে হাদিস শুনতে চান, ভালো; শুনতে থাকুন। আমি এসব প্রফেশানেলদের মুখ থেকে দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সমাজনীতি, বাজেট,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আকুতি
দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
ক- এর নুডুলস
অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।
ক
একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন
স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু
২-১ : আলিফ-লাম-মীম
আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন