ব্লগে শেইখ হাসিনার বিরুদ্ধে বলা যাবে, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডারদের বিরুদ্ধে বলা যাবে, বীর মুক্তিযুদ্ধদারে রাজাকার উপাধি দেয়া যাবে কিন্তু জাফর ইকবালের বিপক্ষে বলা যাবে না। ব্লগের সো কল্ড ছাগু ফাইটাররা জাফর ইকবালের বিপক্ষে কিছু বলা মাত্র তাদের মহান দায়িত্ব পালন করতে চলে আসে। তাদের নিয়ে একটু পড়ে বলি। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধ দেবতা। তিনি যা বলবেন তাই সই। কেও তার বিপক্ষে বলতে পারবে না। কারন উনি যে মুক্তিযুদ্ধ দেবতা। কিন্তু দুঃক্ষের ব্যপার মুক্তিযুদ্ধ দেবতার মুক্তিযুদ্ধরে সার্টিফিকেট নাই। দেশ স্বাধীন হবার পর টগবগে তরুণ দেশ গড়ার কাজ বাদ দিয়ে সেই দেশে গিয়ে ছিলেন যে দেশের সরকার আমাদের দেশের মানুস মারার জন্য যুদ্ধ জাহাজ পাঠাতে চাইছিল।(আমি জানি আমেরিকার জনগণ তা প্রতিহিত করে)। দেশগড়া বাদ দিয়ে তিনি তখন তার ক্যারিয়ার গড়া নিয়ে বিজি। আবার তিনি এখন আমাদের জ্ঞান দেন দেশ গড়ার জন্য। তাকে বলি "ওকে আমি বিদেশ গিয়ে যৌবন পুরা ওখানে ঢেলে এসে নিজের পোলাপান কে বিদেশে রেখে এসে বুড়া কালে দেশে এসে আপনার মত দেশদরদী হব”। অনেক ছাগু ফাইটার আমাকে বল্ববেন জামায়তের নেতার পোলাপানও তো স্কুলে পড়ে মাদ্রাসাতে না পড়ে,বিদেশে গিয়ে নষ্টামি করে। তারা কুলাঙ্গার ধর্ম ব্যবসায়ী তাই করে, আর জাফর ইকবাল আমাদের দেশ প্রেমের বুলি শিখান তিনিও সেম কাজ করেন। আমি তাহলে তো কোন পার্থক্য দেখতেছি না। দুই পক্ষই দেখি ভণ্ড। তার বড় ভাই কি বিদেশ থেকে পড়াশোনা শেষ করে সাথে সাথে চলে আসেনি যেখানে তার বউ তাকে দেশে আসতে দিতে আসতে চাচ্ছিল না ? ওহ! বলা যাবে না এইগুলা। কারন তিনি মুক্তিযুদ্ধ দেবতা।
এই বার আসি আমাদের ছাগু ফাইটারদের বেলাতে। যে সকল জামায়াত শিবিরের কর্মীদের সাথে এদের আমি বিশেষ কোন পার্থক্য পাই না। চমকে উঠলেন? মিল কোথায়? মিল দুইজনই অন্ধ আর গোঁড়া। ৭১এ জামায়াত শিবির যে কাজ গুলো করছে সেই কাজ আমি হলফ করে বলতে পারি এরাও করবে যদি সেরকম সুজগ পায়। প্রমান চান। ২৮ শে অক্টোবর। ব্লগে অনেক ছাগু ফাইটারদের কে কান্নাকাটি করতে দেখি কেন সেদিন তিনি পল্টনে ছিলেননা এই বিষয়ে আফসুস করতে। কারন থাকলে তিনিও দুইতিনটা ছাগু বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে তিলে তিলে তক্তা করতে পারেন। যাঁদের মারা হল তাদের দোষ? তারা কি খুনি ছিল? না তাদের দোষ তারা জামায়ত করে। কেও শুধু মাত্র জামায়ত করে এই জন্যই যদি আপনি তাকে এভাবে মারতে পারেন তাইলে সেই নরপশু জামায়াতিরা যারা ৭১ এ রাজাকার হইছিল তাদের মাঝে আর আপনার মাঝে পার্থক্য কই? যাঁদের রাজাকাররা হত্যা করেছিল কারন তারা বাংলাদেশ নামক একটা স্বাধীন দেশের সপ্ন দেখে। বিরোধী মতাদর্শের ওপর তারা যেমন হিংস্র এখন ব্লগে ২৮শে কয়েকটা ছাগু মারতে পারেন নাই এই বলে কান্নাকাটি করে আপনি সেই বিরোধী মতাদর্শের ওপর হিংস্রতারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছেন। তারা ছিল খুনি বর্বর, আপনিও খুনি বর্বর। তারা সু্যোগ পাইছে আর আপনি সেরকম সুযোগ না পেয়ে ব্লগে কান্নাকাটি করতেছেন। পার্থক্য কই? ৭১এ যে শয়তান গুলা তাণ্ডব লিলা চালাইছিল তা আপনারাও এখন সুজগ পাইলে করবেন সেইটা আপনারে ২৮ শে অক্টোবর কয়েকটা ছাগু মারতে পারেন নাই এই দুঃখে কেদে কেদে পোষ্ট দেয়ার মাধ্যমে প্রমান করে দেন।
কৃষ্ণ করলে লিলা খেলা আর আমি করলে পাপ!! পিয়াল বললে ঠিক আছে আমি বললে ছাগু। পিয়াল যদি এসে বলে মুক্তিযোদ্ধারা মাসিক ভাতা পেত আর এই ভাতা দিত ওপারে পালিয়ে থাকা কিছু লোক। সুতরাং তারা দেশের মালিকানা দাবি করতে পারেই তাইলে কেও তারে বড় গলায় কিছু বলবে না। কিন্তু আমি বলা মাত্র আমি ছাগু আর অকথ্য ভাসায় গালাগালি। সেদিন একব্লগার পিয়ালের কথা গুলোই বলেছিল তাকে এই ছাগু ফাইটাররা কি সুন্দর সুন্দর গালি দিলো । কিন্তু যখন বের হয়ে গেলো যে কথা গুলো আসলে তাদের আরেক দেবতা পিয়ালের তখন ব্লগার কে ছুপা ছাগু বলা শুরু করল। আরে ছাগু ফাইটাররা কথা গুলো কি ওই ব্লগার বানিয়ে বলছিল নাকি? ওই কথা গুলোতো তোমাদের দেবতা পিয়ালের। সাহস থাকলে তারে ছাগু বলে গালি দেনতো দেখি? মুক্তিযোদ্ধারা কি মাসে ৩ টাকা ৪ টাকা পাওয়ার জন্য মাঠে গিয়ে জান বাজি রেখে যুদ্ধ করছে? তারা যদি টাকার জন্যই যুদ্ধ করতে তাইলে রাজাকার হলেই পারত। তাইলে অনেক বেসি টাকা পাইত। আর আপনি এখন ২-৩ টা বই পড়ে ঘরের এককোনায় আপনার ল্যাপি নিয়ে বসে দুইদিন পরপর একটা পোষ্ট দিয়ে সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা যারা জীবনের মায়া না করে যুদ্ধ করেছে তাদের চেয়েও দেশপ্রেমিক সাজেন। দুইকলম পড়ে তো আমিও ওইসব লিখতে পারবো কিন্তু আপনি কি পারবেন মাথা ঠিক রাখতে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করার পর যদি এমন কেও আপনাকে বলে যে কিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় বিদেশে এসি তে বসে আরাম খাইছে সে বা তারা দেশের মালিক কারন তারা মুক্তিযোদ্ধারে টাকা দিছে যুদ্ধ করার জন্য? আরে হ্যাডম থাকলে তো বিদেশে গিয়া পালাই থাকতো না দেশে এসে যুদ্ধই করতো। ছাল নাই কুত্তার বাঘা তার নাম। কাদের সিদ্দিকির মত মুক্তিযোদ্ধাদের আপনারে এখন পারলে রাজাকার বলে দেন। আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি সেই সময় থাকলে আপনারে ঘরে সিদ কেটে বসে থাকতেন। কারন খালি কলসি বাজে বেসি ভরা কলসি বাজে না। আপনাদের ভিতরে খালি তাই বাজে বেসি। কয়দিন ছাগুরা সমানে পোষ্ট দিতে থাকলে এইখানেই ব্লগে যেখানে জীবন হারানোর কোন চান্সই নাই সেখানে বুক চিতিয়ে লড়াই করতে পারেন না। পোষ্ট ড্রাফ্ট করে লেজ গুটিয়ে কুই কুই করে পালান আর অস্ত্র নিয়ে পাকি হানাদার দের সামনে নাকি আপনারা আবার যুদ্ধ করতে পারতেন? তার আগেই তো ডরে পি করে দিবেন। আবারো বলি ছাল নাই কুত্তার বাঘা তার নাম। আর এখন ওই সব পালিয়ে যাওয়া বীরপুরুষেরা বলেন “অস্ত্র হাতে নিলেই মুক্তিযোদ্ধা হওয়া যায় না”।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৩৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



