সুন্দরবন বাংলাদেশের মা হয়ে যেন যুদ্ধ করে গেছে একা একটি দানবের সাথে। যেন তার সন্তানের ক্ষতি কম হয়। তার মূল্য মানুষ খুব তাড়াতাড়ি দিয়েছে।
পেপারে দেখলাম একটা বাঘ পার্শ্ববর্তি গ্রামে ঢুকে পরায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অথচ গ্রামটি আগে সুন্দরবনের জায়গা ছিলো। বাঘটা কে মারার সময় শ্বাপদ-সঙ্কুল মানুষ বারংবার বলেছে, "আমাদের গ্রামে বাঘ ঢুকবে কেন?"
বাঘটি কী একবারও জিজ্ঞেস করেছিলো, "তোমরা আমার বন উজাড় করে দিচ্ছ কেন?" একবারও কী জানতে চেয়েছে, "আমার বনের গাছ কেড়ে নিচ্ছ কেন?"
আমাদের দেশে পশু প্রেম বলতে কোন জিনিস নাই, নাই নিজের জন্মভূমির প্রতি এতুটূকু ভালবাসা। থাকলে, আমরা বন উজাড় করে বসবাস করতাম না। আমাদের বনের রাজারা লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক হতো না। কী দিলাম সুন্দরবনকে? টাকার বালিশ আর লেপ তোষক?
বাঘ মারবে না তো কি আদর করবো নাকি? বাঘ যদি মানুষ ধরে নিয়ে যায়? বাঘটাকে ধাওয়া করে বনে দিয়ে আসলেই পারতো লোকগুলো। কারণ বাঘটি সংবাদ-দাতার মতে, লাঠির ভয়ে দৌড়াচ্ছিলো। মানুষ কী আর বাঘটাকে তাড়ানোর জন্য মেরেছে?
পরে জানতে পারলাম, বাঘটার চামড়া তুলে বিক্রি করা হয়েছে। পাষন্ড এই জাতের গন্তব্য বিধাতাই বলতে পারবেন। তিনি তো কম দেননি। দিচ্ছেন এখনো ক্রমাগত। আর আমরা আছি নষ্ট করার তালে। যাই হোক সুন্দরবন তোমাকে তো একবিন্দুও ভালবাসি না। তোমার গাছ পালা কেটে লক্ষ লক্ষ টাকার ভেতর ঘুমানোর আগে, তুমি ধ্বংস হয়ে যেতে পার না?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০০৭ রাত ৯:৫৯