somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গণ-বিলাস, বাক-স্বাধীনতা এবং জননিরাপত্তায় আইন শৃংখলা বাহিনী

১২ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বর্তমান বিশ্ব গনহারে এত বেশি বিলাস প্রিয় হয়ে উঠেছে যে তাদের এই সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতার বিপরীতমুখি প্রভাব আজ তাদের উপরেই পতিত হওয়া শুরু করেছে । এই বিলাসিতার তীব্রতানুযায়ি পুরো পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন- ১ম ভাগে রয়েছে সেকুল্যার পশ্চিমা বিশ্ব আর ২য় ভাগে রয়েছে তৃতীয় বিশ্ব বা এশিয়া প্রধান দেশের লোক। ১ম ভাগের জনগন এই ধরনের ভোগ-বিলাসিতার মন্দ প্রভাব বুঝতে শুরু করেছে আর ২য় ভাগের জনগন ঐ ধরনের ভোগ-বিলাসিতার জন্য মরিয়া হয়ে আছে, এরা সাধারনত দাস পর্যায়ে রয়েছে আর ১ম ভাগে যারা আছে তারা হল প্রভু শ্রেনীর যেমন- আমেরিকা, ইউরোপ, ফ্রান্স , জার্মান , জাপান , থাইলান্ড এমনকি রাশিয়া , চীন এবং তুরস্কের মত কিছু মুসলাম রাষ্ট্রও এর অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এই ধরনের ভোগ-বিলাসে মত্ত হওয়াকি সত্যিই মানব জাতির জন্য কল্যানকর ?
মনোবিজ্ঞানীরা গবেষনা করে দেখেছে যে- সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতার চুরান্ত প্রতিফল হল আত্বহত্যা। এটি কিভাবে সম্ভব তা সহজ একটি উদাহরণ হতে বুঝা যাবে যেমন ধরুন- আপনি এক সময় স্বপ্ন দেখতেন যে খুবই দামী একটি মোবাইল পেলেই আপনি খুবই সুখি অতঃপর যেকোন উপায়ে আপনি তা অর্জন করলেন, তখন আপনি ভালভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন কিছুদিন ঐ দামী মোবাইল ব্যাবহার করার পর আপনার আর মোবাইল ভাল লাগছে না, এরকম হবার কারন হল দামী মোবাইলের আশায় আপনার মনে অভিভূত হবার যে মানষিক অনুভুতি পূর্বে ছিল তা নষ্ট হয়ে গেছে ঐ মোবাইল কিছুদিন ব্যাবহার করার পর। সুতারাং আপনি আর ঐ মোবাইলে মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারবেন না ফলে তখন আপনার মন সমাজে প্রচলিত বিনোদন-বিলাসবহুল আরও উন্নত কিছু খুজবে যেমন এরপর আই সেভেন ল্যাপটপ নিলেন কিন্তু দেখা যাবে এতেও আপনি কিছুদিন পর বোরিং ফিল করবেন এরপর দামী গাড়ী-বাড়ী এভাবে যতই চলতে থাকবে এবং আপনার মন শুধু চাইবে আরো কিছু- আরো কিছু। এভাবে যতই অর্থ, নারী-সন্তান, সম্মান, প্রতিপত্তি আপনি অর্জন করতে থাকবেন ততোই আপনার অভিভূত হবার যে মানষিক অনুভুতি ছিল তা নষ্ট হতে থাকবে আর প্রতিটা মানুষেরই তার শরীর ও মন অনুযায়ি ভোগ-বিলাসের একটা মাত্রা থাকে কিন্তু যখনই সে ঐ মাত্রা অতিক্রম করে অর্থাৎ সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতা করতে থাকে তখনই সে নেগেটিভ কোয়ালিটির বিলাসিতার মাঝে শান্তি খুজতে খুজতে এক সময় আত্বহননের পথ বেছে নেয় যদিও তৃতীয় বিশ্বের কাছে মনে হতে পারে যে অশান্তি হতে মুক্তির জন্যই তারা এসব করে, আসলে কিন্তু তা নয় বরং তারা সর্বচ্চ বিনোদন নিতেই এসব করে যা ঐসব দেশে স্বশরীরে না থাকলে এবং ঐরকম ভোগ-বিলাস না পেলে বুঝা সত্যিই কঠিন, তবুও সহজ দুটি উদাহরণের মাধ্যমে অনেকেই বুঝতে পারবে ইনশাহ আল্লাহ-
১) সাধারনত তৃতীয় বিশ্বের মানুষের ক্ষেত্রে যা হয় তা হল, তারা কোনকিছুতে অত্যাধিক আশা করে হতাশাগ্রস্থ হয়ে মাত্রারিক্ত ক্ষোভ এবং অভিমানে অনেক সময় জেনেবুঝেও নিজের ক্ষতি করে আর সেটি হতে পারে তিলে তিলে নিজের ক্ষতি করা বিভিন্ন নেশাদ্রব্য গ্রহনের মাধ্যমে বা অন্যকোন মাধ্যমে আবার নিজের নিশ্চিত পরিণতির কথা জেনেও অন্য কাউকে বা নিজেই নিজেকে হত্যা করা বা আত্বহত্যা করা। এক্ষেত্রে সাধারন জ্ঞান-বুদ্ধি সম্পন্ন যে কেউই বলবে – সে যা করেছে তা আসলে না বুঝেই তার বিবেক বিরুদ্ধ কাজ করে ফেলেছে অথবা সে চরম দুঃখ সইতে না পেরে ভুলবশত এসব করেছে । মোটকথা এসব সে মোটেও সুখ পাবার আশায় করে নাই বরং হটাৎ করেই খারাপ কাজ করে ফেলেছে বা বাধ্য হয়েছে । আসলে কিন্তু তা নয় কারণ এক্ষেত্রে সাইকোলজি বলে যে সে আসলে নিজের মনের তীব্র ক্ষুধা মিটাতেই এসব করছে যদিও সে জানে যে সবাই এসকল কাজকে খারাপই বলে কিন্তু তার বিবেকের কাছে এটাই সঠিক কাজ অর্থাৎ সে এখন নিজেই নিজেকে কষ্ট দিয়ে আনন্দ লাভ করে আর অপ্রিয় হলেও সত্যটা হল এটাই এখন তার কাছে বড় ধরনের বিনোদন আর বিলাসের ব্যাপার যদিও কাজগুলোকে সবাই খারাপই জানে। এমনকি নিজের ক্রোধ মিটাতে বা অন্যের উপর অভিমান বশত নিজের মনকে সর্বচ্চ তৃপ্ত করতে সে আত্ব্যহত্যাও করতে পারে কেননা ইতিপূর্বে সে জীবন হতে যতরকম বিনোদন নিয়েছে তাতে সে মোটেও তৃপ্ত নয় আর তাই সে তড়িৎ সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছে যে আত্যহনন ছাড়া আর কোনকিছুর দ্বারাই সে তৃপ্ত হতে পারবে না। তাই অনেকের কাছেই আত্ব্যহত্যাও হতে পারে সর্বচ্চ বিলাসের সর্বশেষ চেষ্টা।
২) প্রকৃতিগতভাবেই কিছু কিছু মানুষের রয়েছে নেগেটিভ বিনোদনেই বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করার প্রবনতা বা নিজেকে নিজেই কষ্ট দেবার প্রবনতা, এর মাঝেই এরা বেশী সুখ পায়। এইধরনের মানুষ সাধারনত নিজেকে অল্প অল্প কষ্ট দেওয়ার মাঝেও বিলাসিতা খুজে থাকে যেমন- এরা যখন ঘরের বাইরের বিপরীত লিংগের সুন্দর মানুষকে দেখে তখন এসব সৌন্দর্য্য তাদেরকে আকৃষ্ট করার পাশাপাশি একান্ত করে কাছে পেতে ভীষন মন চায় কিন্তু তারা খুব ভালভাবেই জানে যে তা সম্ভব নয় বা এত সহজে এত তারাতারি তা সম্ভব নয়, তবু তারা নির্দিধায় লোলুপ দৃষ্টিতে বিপরীত লিংগকে চোখ দিয়ে দেখবে আর তাকে সেই মূহুর্তেই না পাবার কষ্টের মাঝেই মনে মনে এক ধরনের বিনোদন খুজে নিবে আর এরকম সে প্রত্যহই বার বার করতে চাইবে নেগেটিভ বিনোদন নিতে। যারা এমন নেগেটিভ ব্যাপারে আনন্দ পায় তারাই অন্যের সাথে ঝগড়া-মারামারি বাধিয়েও আনন্দ পায় যদিও তারা নিজেরাও এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয় তবু তারা এসব কর্মেই আনন্দ-বিলাস অনুভব করে আর এরাই হতে পারে সত্যিকারের মাদকাসক্ত অথবা আত্ব্যহননকারী।
যাইহোক কোন দেশের সামাজিক পরিবেশ যদি পুরোপুরি ফ্রী-কালচারে আসক্ত, স্বাধীন ও ভারসম্যহীন না হয় তবে এই ধরনের নেগেটিভ স্বভাবের মানুষ যাদের সংখ্যাই সমাজে সর্বদা বেশী, এরা সাধারনত লোলুপ দৃষ্টি দেয়া আর মানুষের মাঝে ছোটখাট ফিতনা লাগানোর মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে কিন্তু কোন দেশের সামাজিক পরিবেশ যদি সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতার দিকে ধাবিত হয় তবে এদের দ্বারা মাদকাসক্ত, ধর্ষন, প্রেমে ছ্যাকা, চুরি-ডাকাতি, অবশেষে খুন- আত্ব্যহত্যা এসব বেশি হয়ে থাকে।
আর বর্তমানে দাস পর্যায়ের তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সামাজিক অবস্থাও সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতার দিকে ধাবিত হচ্ছে তাই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। যদিও এর পেছনে সত্যিকারের দায়ী হল হুজুর সম্প্রদায়ের লোক কারন তাদের কথাতেই সাধারন মানুষ বেশি অনুপ্রানিত হয় কিন্তু তারা সত্যিকারের দ্বীনের কথা না বলে শুধুমাত্র মহিলাদের পর্দা আর হুজুরদের খেদমত করার দিকেই মানুষকে বেশি তাগিত দেয় কিন্তু মহিলারা তাদের কথা না শুনলেও পরকালে পার পাবার আশায় তাদেরকে ঠিকই কিছু অর্থ দিয়ে খেদমত করে থাকে আর সমাজ দিনের পর দিন শুধু খারাপের দিকেই যেতে থাকে। আর তখনি এসব হুজুর সম্প্রদায়েরই কিছু অংশ আবার ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের জন্য উঠেপরে লাগে কিন্তু তাদের কাছে যদি এসব বেপর্দা, অজ্ঞ নারীরাই প্রধান সমস্যা হয় তবে তারা কেন নারীদেরকে ধর্ম শিক্ষার জন্য কোন আলাদা কওমী মাদ্রাসা তৈরী করে নাই? যেখান থেকে নারীরা অন্ধ হাফেজা না হয়ে বরং চোখওয়ালা মৌলভী হয়ে বের হত আর নিজেরা পর্দা করার পাশাপাশি অন্যদেরও পর্দা করার তালিম দিত। তবে হুজুররা এ দায়িত্বে অবহেলা করলেও বৃটিশরা কিন্তু নারীসহ পুরুষদেরকে পশ্চিমা ধাচের ইসলাম দ্বারা ব্রেইন ওয়াস করতে ঠিকই আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং পাশাপাশি সেকুলার ধাচের অসংখ্য স্কুল-কলেজ নির্মান করে এক ধরনের ধর্মহীন জাতি এমন ভাবে সৃষ্টি করে গেছে যার প্রতিফল জাতি আজকে হারে হারে টের পাচ্ছে। তারা সচেতনতার নামে মানুষকে আদিমযুগে নিয়ে যাচ্ছে আর নতুন প্রজন্মকে শিখাচ্ছে মানুষের পূর্বপুরুষ আগে উলংগ থাকত আর কাঁচা মাংস খেত এবং সবাই পূর্বে বর্বর, কু-সংস্কার আর অসভ্য ছিল। আর যেন এখন মানব জাতিকে একমাত্র পশ্চিমারাই সভ্যতা শিখাচ্ছে যারা কিনা নিজ বেডিং এ এখনও কুকুরের সাথে ঘুমায়, সকালে একইসাথে একই টেবিলে ব্রেকফাস্ট করে এবং একই সাথে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ।

পশ্চিমাদের তৈরী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে যে কেউই ভাবতে পারে- বর্তমান যুগই সভ্যতার চরম শীর্ষে অবস্থান করছে, কিন্তু এই যুগেও যদি বনে জংগলে লক্ষ লক্ষ আদিবাসী উলংগ থেকে জংগলের ছাইপাশ খেয়ে বর্বর থাকতে পারে তবে অতীতের যুগেও এক ধরনের এমন গোষ্ঠী সর্বদাই সভ্য ছিল যাদের কিনা আমরা বর্তমানে ধার্মীক গোষ্ঠী বলি। কিন্তু বর্তমান যুগের নারীরা এসব ধার্মিক শ্রেনীদের মনে মনে প্রচন্ড ঘৃনা করে কারণ একজন নারীর মন যা যা চায় ঠিক সেসবেই ধর্ম বিধি নিষেধ আরোপিত করে তাই তারা মন থেকে ধর্মকে ভালবাসে না এমনকি নারীসুলভ অনেক পুরুষও এমনটি হয়ে থাকে কিন্তু পশ্চিমা ব্যাবস্থা তাদের মন যা চায় তাই করার ব্যাবস্থা করে দিয়েছে আবার মৃত্যুর পুর্বে কওমী ধাঁচের হুজুর দ্বারা বিশাল একটা তওবা করে ঈশ্বরকে বোকা বানানোর রাস্তাটাও বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নয়নের মাধ্যমে যেন তারাই করে দিয়েছে। যাইহোক ইত্যাদি তাদের বিভিন্ন চাঁকচিক্যময় প্রতারনার ফাঁদে পুরুষসহ নারীরাই বেশী পরেছে যদিও এর পেছনেও দায়ী কিন্তু পুরুষরাই কেননা উপমহাদেশের পুরুষতান্ত্রিক আলেম সমাজ নারীদেরকে সত্যিকারের ফরজ ধর্মীয় শিক্ষা হতে বঞ্চিত করে শুধুই দাস দাসীর মত ঘরে বন্দি করে রাখার পক্ষপাতি ছিল। এতে করে নারীরা থাকত মূর্খ্য , আর মা এমন মূর্খ্য হলে বাবা যতই না শিক্ষিত হোক না কেন দু-এক সন্তান মায়ের মত পুরো মূর্খ্য না হলেও অনেকটাই মূর্খ্য হতে বাধ্য। আর বৃটিশরা সর্বপ্রথম এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে , তারা আলালের ঘরে দুলাল কিন্তু ধর্মীয় ক্ষেত্রে অনেকটাই মূর্খ্য এদেরকেই চাকুরী আর শিক্ষিত হবার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের নির্মিত বিভিন্ন খ্রিষ্টান স্কুল, ভার্সিটিতে ভর্তি করিয়েছে কিন্তু ১ম দিকে চার্চভিত্তিক স্কুল থাকায় মোল্লা শ্রেনীরা এসবের আশপাশে যাওয়াকেই পাপ কাজ মনে করত পরে যখন দেখল যে এসব স্কুল কলেজ হতে পাশকৃতরা বিশেষ করে আলিয়া মাদ্রাসার হুজুররাও বিভিন্ন সরকারি চাকুরী করে বেশী রিজিক পাচ্ছে এমনকি ওয়াজ মাহফিল করেও, তখন আলিয়া মাদ্রাসারই এক ছাত্রের উদ্যেগে তৈরী হয় ১ম কওমী মাদ্রাসা দেওবন্দ, এরপর ধীরে ধীরে প্রায় সব মাজহাবের হুজু্ররাই মাদ্রাসা তৈরী করে। আর এসব মাদ্রাসাতে যখন মহিলাদের আবাসিকভাবে থেকে শিক্ষা অর্জনের ব্যাবস্থা করা হল না। এমনকি মসজিদে পর্যন্ত নারীদেরকে নামাজ আদায়ের ব্যাবস্থা রহিত করা হল ফতোয়া দিয়ে। অথচ সমস্ত আরব দেশে নারীদের মসজিদে যাবার সর্বদাই সুব্যাবস্থা ছিল আজও আছে। যাইহোক ইত্যাদি বিভিন্ন শয়তানী চক্রান্ত্রের স্বিকার হতে হতে এক পর্যায়ে বৃটিশরা বড় বড় নেতা টাইপ হুজুরদেরকে দিয়ে ফতোয়া দেয়া শুরু করল যে নারীরা পুরুষদের মত মাদ্রাসায় পড়তে না পারলেও কিছু প্রয়োজনীয় দুনিয়াবি হিসাব নিকাশ শেখার জন্য পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত স্কুলে পড়ালে গুনাহ হবে না।
ব্যাছ! শুরু হয়ে গেল একের পর এক বেগম রোকেয়ার মত নিজ ধর্মের উপর অভিমানী মূসলমান নারীদের উত্থান আর এমন সব নারীর গর্ভেই জন্ম নেয়া শুরু হল যতসব মুসলমান ঘরে জন্ম নেয়া- নামে মুসলিম কিন্তু কর্মে বৃটিশদের দল আর এরাই কিনা সমাজের মাথা হওয়া শুরু করল যার ফলে সীমাহিন ভোগ-বিলাসের রাস্তা এদের দ্বারাই তৈরী হতে লাগল, ফলে মুসলমান সমাজে ধর্মভীরুদের স্থলে বাড়তে লাগল দুনিয়ালোভীদের সংখ্যা আর অবশ্যই এদের মাঝে নারীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশী হয়েছে বর্তমানে। ঠিক এজন্যই কিন্তু নারীসমাজ আজকে পশ্চিমাদেরই পরিত্রান কর্তা, রক্ষাকর্তা বা একমাত্র মাসিহা ভাবতে বাধ্য হচ্ছে।
উদাহরনস্বরুপ- কয়েকযুগ পূর্বে সেকুল্যার মন-মানষিকতা সম্পন্ন অবিবাহিত নারী বা পুরুষের সর্বচ্চ স্বপ্ন দেখা শুরু হয়েছিল মোটামুটি অর্থ, শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি চলচিত্রের নায়ক বা নায়িকা হওয়া। প্রশ্ন জাগতে পারে তাদের মনে কেন এমন আশার উদ্রেক হত? উত্তর - খ্যাতি অর্জন , মানুষের মাঝে নিজেকে জাহির করার প্রবণতা এবং সর্বপরি মানুষের ভালবাসা পাওয়া কিছু অভিনয় দেখিয়ে অথচ সে কিন্তু কাহিনীর চরিত্রের মত হুবহু কোন ব্যাক্তি নয় এমনকি নূন্যতম যোগ্যতাও হয়ত নেই তার , তারপরেও মানুষের সামনে ফলস অভিনেতা সেজে নিজেকে বড় কিছু ভাবার প্রবনতা তৈরী হত যা কিন্তু আজও আছে অনেক মানুষের মনে । এছারা যারা আরেকটু বাস্তববাদি তারা রাজনৈতিক হিরো হবার স্বপ্ন দেখত যদিও এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাও ছিল নির্দিষ্ট ৪/৫ বছর মেয়াদের একটি ধোকাবাজীমূলক চক্রে বাধা এমনকি এসব করতে গিয়ে অনেকের একটা সময় এসে তা মৃত্যু পর্যন্ত গড়াত। আর সর্বনিম্ন পর্যায়ে স্বপ্ন যাদের তারা মোটামুটি কিছু অর্থ যশ শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি নায়ক নায়িকাদের মতন কোন প্রেমিক প্রেমিকার সাথে কিছুদিন প্রেম করে পরে তাকে বিয়ে করলেই নিজেদের জীবন সাকসেস হয়েছে ভাবত অনেকে নিজের চাইতে ধন দৌলতে ও শিক্ষায় বেশী এমন কাউকে পটিয়ে বিয়ে করার ধান্দা করত। তারপত পশ্চিমারা গবেষনা করে দেখল যারা এমন আশা আকাংখা করে থাকে তাদের কিন্তু সবারই তা পূরন করা সম্ভব হয় না , এবং এর ফলে মানুষ একসময় হতাশগ্রস্ত হয়ে পশ্চিমা বিরুধী হয়ে ধার্মীক পর্যন্ত হয়ে যায় তাই তারা সারা বিশ্বব্যাপি হাজার হাজার টিভি চ্যানেল এবং নাটক-সিনেমার জন্য হাজার হাজার কল্প কাহিনী তৈরী করতে লাগল ব্রেইন ওয়াশ করতে। তাই মানুষগুলোও সারাদিন বিভিন্ন অফিস আদলতে পশ্চিমাদের গোলামী শেষ করে ঘরে ফিরে সেসব কাল্পনিক ছবি দেখে ক্লান্তি দূর করবে আর রাত্রে ঘুমিয়ে পরবে তাদেরই তৈরীকৃত আজগুবী সব স্বপ্ন নিয়ে, আর পরের দিন সেসব কাল্পনিক বিষয়গুলোকে মানুষ মনের অজান্তেই বাস্তবে রুপ দেয়ার চেষ্টা করবে। এই সিস্টেমে অনেকটাই কাজ হলেও কিন্তু এতেও যখন পুরোপুরি কাজ হল না তখন তারা ইন্টারনেট সারা বিশ্বব্যাপী ছরিয়ে দিল যার বড় একটি উদ্দেশ্য সাধনে ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকের মত জনপ্রিয় অয়েবসাইট তৈরী করা হল অবশেষে টিকটক তৈরী করা হল , যার মাধ্যমে যে কোন নারী বা পুরূষ অল্পদিনের মধ্যেই নির্দিষ্ট এলাকা বা দেশের মাঝে সেলিব্রেটি হয়ে উঠতে পারে এবং তা কিন্তু এখন হতে পারে খুব অল্প খরচেই। ফলে যে কেউই রাতারাতি অনেক মানুষের কাছে নায়ক-নায়িকা বনে যেতে পারে, এমনকি এখন তো মেটাভার্সের মত সাইট তৈরী করা হচ্ছে যাতে টেকনোলজীর মাধ্যমে সারাবিশ্বের নর-নারী একে অপরকে ভার্চুয়ালী ছুঁতেও পারবে। তবে মানুষের হাতে হাতে মোবাইল পৌছে যাবার পর এবং বিশেষ করে ইন্টারনেট সুবিধা সকলের মাঝে সহজলভ্য হবার পূর্বে যেসব নারী পুরুষরা স্বপ্ন দেখত ১টি মাত্র প্রেম করার সেখানে এখনকার যুবক যুবতীরা স্বপ্ন দেখে বিয়ের পূর্বে কে কে সেঞ্চুরি বা হাফ সেঞ্চুরি করবে আর বিবাহিতরা মেতে উঠেছে পরক্রিয়ায় , এমনকি সমকামীতার মাঝেও অনেকে নিজেদের ভাসিয়েছে । এছারা সমাজের অন্নান্য অপরাধ প্রবনতা বেড়েছে মাত্রারিক্ত কিন্তু এরপরেও মানুষগুলো এগুলোকেই ভোগ-বিলাসের জন্য বড় একটি মধ্যম ভাবছে যা এনে দিয়েছে পশ্চিমারা সুতারাং মানুষগুলো এখন বিশেষ করে নারীরা তাদেরই মাসিহা ভাবছে পক্ষান্তরে ধার্মীক হুজুর সম্প্রদায়ের নারীদের প্রতি অযত্নের ফলে ধর্মকে কুসংস্কার ভাবছে আর সীমাহীন ভোগবিলাসিতার মধ্যমকে আধুনিকতা মেনে এসবের হর্তা কর্তাকে মাসিহা বা ত্রানকর্তা ভাবছে আর মন থেকে তাদেরকেই ভালবাসছে এবং সকল ক্ষেত্রেই তাদেরই অনুকরন করছে আর তাদের সমাজ ব্যাবস্থার অনুকরনে সমাজ তৈরী হওয়াতে আজ প্রায় সকলেই সীমাহীন ভোগ-বিলাসিতায় মত্ত হয়ে সমাজের মৌলিক কাঠামোর ভারসম্যটাই চরমভাবে নষ্ট করে ফেলেছে। ফলে জাতি আজ চরম দূর্ভোগে পরেছে কিন্তু তা থেকে পরিত্রানের উপায় হিসেবে তাদের দেয়া জীবন ব্যাবস্থাসহ বস্তুবাদমুখী সব প্রযুক্তির উন্নয়নকেই একমাত্র হাতিয়ার ভাবছে যা এই জাতিকে আজ আরও ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে ছেড়েছে ।

পশ্চিমাদের তৈরী জীবন ব্যাবস্থাগুলো ধোকাবাজী করে এমনভাবে মানুষকে আধুনিক ও তথাকথিত স্মার্ট বানানোর নামে ঈশ্বরবিমুখ করেছে যে মানুষ এখন প্রত্যহ ঈশ্বরের কাছে সরানোপন্ন না হয়ে তাদের মতই শুধুই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ধর্মীয় উপাসানলে যাচ্ছে বাপ-দাদার সামাজিকতা রক্ষার্তে, অনেকে আবার তাও যায় না। তাদের দেয়া গনতন্ত্র নামের নব্য রাজতন্ত্রে বাঁকস্বাধীনতার মাধ্যমে যে প্রার্থনা বা দাবী দাওয়াগুলো মানুষ অতীতে ঈশ্বরের নিকট ব্যাক্ত করে সত্যিকারের প্রতিফল পেত সেই সব সমস্যার কথা বা নিজস্ব দুঃখ দুর্দশার কথা আজকে মানুষ প্রশাষনের কাছে ব্যাক্ত করে সাময়িক প্রশান্তি পেতে দেখা যায় । যদিও সত্যিকারের বাঁকস্বাধীনতা বলতে যা বুঝায় এটি আসলে তা নয় বরং টেকনিক্যালী এর মাধ্যমে মানুষের বিপ্লবী কামনাকে গ্রাউন্ডিং করার ব্যাবস্থা , ঠিক যেভাবে বস্তুগত ব্যাপার যেমন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে আর্থিং করা হয়। কারন যেকোন ধরনের দুঃখ দুর্দশার কথা অপরকে বললে তা অনেকটাই হালকা হয়ে যায় যদিও সে ঐসব দুঃখ দুর্দশা লাঘব না করে শুধুমাত্র সেই দুঃখী ব্যাক্তির কথা মনযোগ সহকারে কিছুক্ষন শুনে থাকে মাত্র । আর আমাদের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ সাধারন জনতাকে বোকা বানাতে বিভিন্ন মৌসুমে এসবের আয়োজন প্রায়ই করে থাকে । কিন্তু মানুষগুলো যদি তাদের ধোকাবাজীতে কান না দিয়ে সত্যিকারের বিশ্বাস সহকারে একমাত্র ঈশ্বরের নিকট শুধুই ফরিয়াদও জানাত তবে নিশ্চয় তিনি দ্রুত সমাধানের সেরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দিতেন কেননা তিনি মজলুমের ডাকে সারা দেন কিন্তু বেশিরভাগ মানুষগুলো যেন তাদের নিজ নিজ অবস্থান নিয়ে খুবই সুখী।

তাদের প্রায় ১০০ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের বদৌলতে বর্তমান প্রজন্ম এর মানুষগুলো কিন্তু আজ প্রচলিত ধোকাবাজী গনতন্ত্রিক সিস্টেমকে খুবই সুন্দর একটি সিস্টেম মনে করে থাকে কেননা তারা ইতিপূর্বে রাজতন্ত্র এবং স্রষ্টার দেওয়া তন্ত্রতে একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করলে সেই রাষ্ট্রের মাঝে কি রকম শান্তিতে বাস করা যেত তার কোন বাস্তব অভিজ্ঞতা কোথা হতে কেউই পায়নি এমনকি অতীতের সকল রাষ্ট্রীয় সিস্টেমকেই পশ্চিমারা এমনভাবে ইতিহাস বিকৃত করে বিগত একশত বছর হল ব্রেইন ওয়াশ করে যাচ্ছে মানুষকে যে তারা সবাই ভাবছে অতীতের রাজা-বাদশারা গনহারে সকলেই বর্বর ছিল তাছারা ধর্মীয় শাষনও ছিল মধ্যযুগীয় পশ্চাদপদ শাষন ব্যাবস্থা যেখানে সবাই বোধ হয় আনন্দ-বিনোদন বাদ দিয়ে শুধু আধ্যাতিকতা চর্চাই বেশি করত। আর বর্তমানে মানুষ কতকিছু দেখছে, করছে আর ভাবছে ! আর কত্ত মজা আধুনিক যুগে ! এখানে সবাই রাজা রাজার রাজত্বে ।
কিন্তু মানুষ জানে না বর্তমানের প্রচলিত রাষ্ট্রীয় সিস্টেমে জনগনকে শাষক মহল এমনভাবে শোষন করে যাচ্ছে যে সত্যিকারের প্রতিবাদ করার ক্ষমতাটুকুও কেরে নেয়া হয়েছে বিশেষ করে পিস্তল-বন্দুক, রাইফেল এবং বোমা আবিস্কার করার পরে। শাষক মহল পুর্ব হতেই জানত যে তাদের পালাবদল করে একই জিনিস বার বার সামনে আনার সিষ্টেমের ধোকাবাজীকে অনেক সচেতন জনগনই বুঝতে সক্ষম হবে তাই তারা যাতে এসব ধোকাবাজীকে সাধারন জনগনকে বুঝিয়ে প্রশাষনের বিরুদ্ধে কোন প্রকার স্বশস্ত্র বিদ্রোহ ঘটাতে না পারে তাই কৌশলে জনগনকে সর্বদাই নিরস্ত্র করে রাখা হয়েছে কিন্তু এভাবে তো আর বেশিদিন কোন জাতিকে ঠান্ডা রাখা যায় না তাই বাঁকস্বাধীনতার মাধ্যমে জনগন শুধুই মিছিল মিটিং আর হরতাল ভাংচুর করে মনের ঝাল মেটাবার ব্যাবস্থা করা হলেও এই বিশ্বব্যাবস্থাকে সম্পূর্নভাবে হটাতে কিছুতেই অস্ত্র ধরতে দেয়ার ব্যাবস্থা করা হয় নাই। তবে নিজেরা নিজেরাই যুদ্ধ করে যদি আরো ছোট ছোট দেশে বিভক্ত হতে চায় তবে আরো সহায়তা করা হয়েছে কারন সারা পৃথিবীকে যারা নিয়ন্ত্রন করছে তাদের কাছে কোন বড় জাতি যতই দূর্বল হবে ততোই তাদের আরো বেশি লাভ এবং সেই জাতিকে নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোন ঝুকিই থাকে না অথচ অতীতে একজন সাধারন জনগনের কাছে যেসব অস্ত্র থাকত সেনাবাহিনীদের কাছেও একই অস্ত্র থাকত ফলে যতবড়ই রাজা বাদশা হোক না কেন জনগনকে কম বেশী ভয় পেত বলে বর্তমান শাষকদের মত এত বেশী স্বৈরাচার হতে পারত না আর জনগনকেও এত বেশি চাপাবাজীমুলক বানী ছেড়ে বোকা বানাতে পারত না । অতীতের সেসব রাজা বাদশা এবং নবী রাসুল আঃ গন কিন্তু সেনাবাহিনীকে আদেশ প্রদানের সাথে সাথে নিজেরাও যুদ্ধ করত এবং সৈনিকদের দুঃখ নিজেরাও ভালভাবে অনুভব করত আর তাদেরকে অন্তর থেকেই ভালবাসত কিন্তু বর্তমানের শাষকগন শুধুমাত্র যুদ্ধের আদেশ দিয়ে আরামে নিজ বাস ভবনে লুকিয়ে থাকবে কিন্তু নিজে যুদ্ধে যাবে না আর সেনাবাহিনীর প্রতি এসব শাষকদের কোনই দরদ বা ভালবাসা নেই , শুধু তাই নয় প্রশাসনিক সকল ক্ষেত্রেই এমনি স্বার্থপরতা লক্ষ্য করা যায় এতে করে সকলেই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় । তাই জন-নিরাপত্তায় আইন শৃংখলা বাহিনীর কার্যক্রমগুলো উল্টো আরো সরকারকেই বাঁচানোর একধরনের ফন্দি, যা তারা করে সিস্টেমিক্যালী জনগনকে একধরনের জিম্মি বা বন্দি করে রাখে , যা অসচেতন জনগন বুঝতেই পারে না , কেউ কেউ কিছুটা সচেতনতাবশ্বত আবার গনতান্ত্রিক দেশে সমাজতন্ত্রের মাঝে সমাধান খুজতে থাকে আবার কমিউনিষ্ট কান্ট্রিতে ডেমোক্রেসির মাঝে অন্ধের মত সুখ হাতরাতে থাকে যদিও দুটোই ওদেরই সৃষ্টি তাই ঘুরে ফিরে ওদেরই গোলামী করা । ওদের গোলামী করে কেউ কখনও সাকসেস হতে পারবে না এমনকি তারা জনগনকে শক্তি আর বুদ্ধি দিয়ে পুরোপুরি জিম্মি আর দাস বানিয়ে রেখেছে আবার অনেকে কিছুটা অশান্তি বুঝতে পেরে তাদের কাছেই সমাধান চাইছে যা অনেকটাই শিয়ালের কাছে ছাগল বন্ধক রাখার মত ব্যাপার।
সুতারাং মানুষের উচিৎ তাদের সরনাপন্ন না হয়ে এবং অন্য কারও ভরসায় না থেকে সরাসরি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে নিজেরা নিজেরাই আত্ব্যরক্ষার কৌশলগুলো রপ্ত করা।
তবে ইতিহাসে বর্তমান শাষকদের ন্যায় এত বেশি ধোকাবাজ শাষক আর খুজে না পাওয়া গেলেও কিন্তু কিছু অত্যাচারী শাষক ঠিকই স্বল্প মেয়াদে অনেকটা এভাবে রাজ্য শাষন ঠিকই করেছিল। কিন্তু ঈশ্বর পরবর্তীতে তাদেরকে শ্রী কৃষ্ণ এবং মুসা আঃ এর মতন নবীদের দ্বারা চরমভাবে ধংস করেন, ঠিক একইভাবে বর্তমানের এই শাষন ব্যাবস্থাকে বিনাশ করবে ইমাম মাহদী নামের এক যুবক যা ইসলাম ধর্মসহ অন্নান্য ধর্মগ্রন্থেও কিছুটা ইংগিত আছে। অতীতের ফেরাউনরাও কিন্তু সাধারন জনগনকে অনেকটা এভাবেই সরকারি শিক্ষার মাধ্যমে ব্রেইন ওয়াশিং এবং অশ্লীল বিনোদনের মাধ্যমে মানুষকে দুনিয়ালোভী বানিয়ে রাখত কিন্তু যখন সে বুঝত পারল মুসা আঃ জন্মগ্রহন করে তার রাজত্বকে সম্পূর্ন ডুবিয়ে দিবে তখনি সে শিশু হত্যায় মেতে উঠল কিন্তু ভবিষ্যতবানী ঠিকই বাস্তবে রুপান্তরিত হল। ঠিক একইভাবে পশ্চিমারাও জানে ইসলাম ধর্মে একজন ইমাম আসার কথা যে কিনা যুদ্ধ করে সর্বদাই জয়ী হবে, আর পশ্চিমারা কিন্তু তার আসার সময় এবং সাল সম্পর্কে আগেভাগেই জানে তাই মুসলমানদের মাঝে জংগী নাটক নিজেরাই সাজিয়ে মানুষকে পূর্ব হতেই ইমাম মাহদী বিরোধী করে তুলতে চরমভাবে সফল হলেও তারা এবং তাদের অনুসারিদেরও বিদায় ঘন্টা কিন্তু ঠিকই বাজা শুরু হয়ে গেছে। সুতারাং সাধু সাবধান , উপরোক্ত আলোচনায় একমত হয়ে চেষ্টা করলেও বেঁচে থাকার আশা ত্যাগ করতে হয় আর যারা একমত নন তারা আরো বেশি বেশি ভোগ-বিলাসিতা করে নিন কারন- ইনশাহ আল্লাহ আপনাদের ধ্বংস খুবই নিকটে।

সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩১
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×