বর্তমান সরকারের মেয়াদ যতই ঘনিয়ে আসছে আগামী জাতীয় নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাজনীতির মাঠ আস্তে আস্তে ততোই উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। এক পক্ষ সংবিধানের দোহাই দিয়ে আর অনির্বাচিত সরকারের জুজুর ভয় দেখিয়ে চাইছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করা। কিন্তু অপর পক্ষ গোঁ ধরেছে- দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কিছুতেই নয়। প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের পারস্পরিক সন্দেহ, অবিশ্বাস আর আস্থাহীনতার দোলাচলে দেশ তথা গণতন্ত্রের ভবিষ্যত শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠেকে তা একমাত্র ভবিতব্যই বলতে পারে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও প্রধান দুই দলের উদ্দেশ্য- যে কোন প্রকারে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা ক্ষমতা ধরে রাখা। এ কারনেই দুই দলের মধ্যে সমঝোতার কোন ক্ষীণ লক্ষণ ও আপাতত দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানপূর্বক শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে সততার সাথে আমাদের নিজস্ব আন্তরিক প্রচেষ্টায় জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। কিন্তু পারস্পরিক জেদাজেদি আর একগুঁয়ে মনোভাবের জন্য যদি দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ের আন্তর্জাতিকীকরণ হয়, তবে এটা জাতি হিসাবে আমাদের কপালে এঁকে দিতে পারে কলংকের তিলক। আমরা দেশের শান্তিকামী সাধারণ জনতা আশা করি বিদেশী কোন মহল কিংবা জাতিসংঘের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়াই আমাদের রাজনীতিবিদগন আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের একটি গ্রহণ যোগ্য ফর্মুলা বের করে ফেলবেন।
নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মনোভাব আমরা ইতোমধ্যে জেনে গিয়েছি। কিন্তু এ নিয়ে কি ভাবছে দেশের সাধারন জনগণ তা নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কারো। তাই সামুর সকল সচেতন ব্লগারদের এ ব্যাপারে মনোভাব কি তার একটি ক্ষুদ্র জরিপ করা যেতে পারে। আমরা ব্যক্তিগত রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে উঠে দেশ তথা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎের কথা মাথায় রেখে আমাদের সুচিন্তিত মতামত দিলে দেশের সচেতন মহলের ভাবনা সম্পর্কে কিঞ্চিৎ হলেও ধারনা লাভ করতে পারব। কারন আমরা যারা ব্লগিং করি তারা সমাজের সচেতন মহলেরই প্রতিনিধিত্ব করি বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। এ পোস্টের উদ্দেশ্য কোন রাজনৈতিক বিতর্ক নয়, একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে ব্লগারদের মনোভাব জানা।এ ব্যাপারে সামুর সকল ব্লগারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ একান্ত ভাবে কামনা করছি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




