somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিজের কথা ....* তারা'র জন্ম দিন এবং আমার পাগলামী*

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

২০০৮ সালের ১৩ই মার্চ "তারা"র জন্ম দিন ছিলো ....
আমার খুব সখ ছিলো যে ওর জন্মদিন এক সাথে পালন করবো ....
কিন্তু তার অনেক আগেই আমাদের দুই জনের সম্পর্কের কথা জেনে ফেলে ....
ও বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না । কি করি কোন বুদ্ধি আসছে না ..।
কোন উপায় না দেখে ওর ছোট মামার কাছে ৩টা ওডিও এলবাম ও একটা জাফর ইকবালের বই কিনে দিয়েছিলাম...। বইটির নাম ছিলো "আমিই তপু" না কি যেন ... । সবাই জানবে ওর মামা দিয়েছে কিন্তু যার জানার দরকার সে সঠিক টাই জানবে ।

তারপরও মনের মাঝে আকুপাকু করছে .... কি যেন বাদ পড়ছে .....
ওকে পাশে বসিয়ে কেক কাটবো কত আনন্দ করবো .. কিন্তু কিছুই হলো না ..।

তখন আকাশ নামের এক বন্ধুর পরামর্শে কফি হাউজে গিয়ে ওর ১৩ তম জন্ম দিন উপলক্ষ্যে ১৩শত টাকা দিয়ে ১৩ পাউন্ডের একটি কেক ১৩ তারিখ ১৩টার সময় দিতে হবে বলে অর্ডার দিয়ে এলাম ...। এবং ১৩টা ক্যান্ডেল কিনে আমরা ১৩ মিনিটে আমার মেসে চলে আসলাম ...।

বাসায় এসে প্লান করছি ওটা না হয় অর্ডার দিলাম বাট ওদের বাসায় পৌছে দেবে কে ...???

তখন মনে পড়লো আমাদের সোহেল নামে এক ফ্রেন্ডের কথা । কিন্তু ও যাবে কি করে ... ???

তখন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি এলো .... আমি আকাশ কে নিয়ে সাইবার ক্যাফেতে বসে দুজনে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের একটা আইডি কার্ড বানালাম ... তারপর ওটা প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করলাম ।

এইবার খুজতে শুরু করলাম পোশাক ...। তখন সোহেল বললো দোস্তু আমার খাকি কালারের ড্রেস আছে স্কাউটের ড্রেস । ওকে গুড বয় ....।

এবার সন্ধ্যায় ওদের বাসার পাশে আমার যে ফ্রেন্ড আছে নুর তাকে দিয়ে ওদের বাসার ঠিকানা কালেক্ট করলাম ।

এবার পরদিন সাড়ে বারোটার দিকে আমি আর ঐ দুই ফ্রেন্ড মিলে প্লান মাফিক আগে কফি হাউজ থেকে কেক আনলাম । তারপর কেক ও ক্যান্ডেল আর ১৩ টা গোলাপ ফুল ছিড়ে পাপড়ি গুলো নিয়ে খুব যত্ন করে র‌্যাপিং করলাম । তারপর ঠিকানা লিখে আপাতত কাজের সমাপ্তি টানা হলো.।

এবার সোহেলের মেসে গিয়ে ওর হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ও একটা প্রবলেমের কথা বলে ফাঁকি দিতে চাচ্ছিলো .... তখন ওকে খুব বুঝিয়ে প্রস্তুত করে বের হোলাম....।

মিশন জন্মদিন সফল করতে ......


"তারা"র বাবার পোশাকের ব্যবসা আছে । শহরের মিডিল পয়েন্টে দোকান....। তিনি আমাকে ভাল চেনেন না । আর তাই আমি গেলাম দেখতে উনি দোকানে কিনা ....। দেখলাম দোকানেই আছে .....।

তারপর বিকাল ৫টার দিকে ওদের বাসার রাস্তায় সোহেল কে রেখে আমি আর আকাশ একটু নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখে ওর সাথে কথা বলতে থাকলাম । সোহেলের কানে আকাশের ব্লুটুথ হেডফোন ....।

বাড়ি চিনতে দেরি হলো না ওর... কারণ ঐ বাড়ির ছাদে গ্রামীনের টাওয়ার আছে ....

ও বাসায় গিয়ে কলিনং বেল টিপলো ...। আমরা সব শুনছি .. কি হচ্ছে ..।
একটু পরেই "তারা"র ছোট বোন নেমে আসলো ।

:কে ??
: আমি সুন্দরবন করিয়ার থেকে এসেছি ,আপনাদের একটা পার্সেল আছে ।
:ও আচ্ছা , আম্মুকে ডাকবো ..??
: নানা .. তুমিই নিতে পারো ..।
: দেন
: এখানে একটা সাইন করো..??
: কেন ???
: এটা কোম্পানির নিয়ম ।
: ও !!!
: ধন্যবাদ .........

তারপর গেট লাগানোর শব্দ হলেই আমি এপাশ থেকে ফোনে চিল্লিয়ে উঠলাম ..... থ্যাংকস দোস্তো ......।

তারপর ওকে পেট পুরে খাওয়ালাম কফি হাউজে ....।

এই ঘটনার ২ দিন পর জানতে পারি .... ওকে অনেক শাস্তি দেওয়া হয়েছে শুধু ঐ কেকটার জন্য ..... আমি ওকে সরি জানিয়েছিলাম সামনাসামনি .......

সেটাও অনেক রিস্ক নিয়ে .....
কিভাবে ....??
পরে বলবো ..........


সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৯
২১টি মন্তব্য ২১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে shoot করে লাভবান হলো কে?

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২৪


শরিফ ওসমান হাদি যিনি সাধারণত ওসমান হাদি নামে পরিচিত একজন বাংলাদেশি রাজনৈতিক কর্মী ও বক্তা, যিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে গঠিত রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত। তিনি ত্রয়োদশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×