আগের দুটি পোস্টের পরবর্তি অংশ ;
তাহমিনা নুপুরের সাথে ঐ চেয়ারম্যান বাড়ি থেকে চলে আসার পর ওর আপুদের সাথে গল্প করছে ...। এমন সময় নুপুর তাহমিনার বড় আপুর উদ্দেশ্যে বলে ...
নুপুর : ছোট মা আপনার বোন কিন্তু মানুষের নজরে পড়া শুরু করেছে !! অনেকেই দেখলাম ওর দিকে আড়চোখে তাকায় । :#>
এই কথা শুনে তাহমিনা বলে...
তাহমিনা : কি বলছেন এসব .. আমার কিন্তু এইসব ভাল লাগে না
একটু একটু রেগে গিয়ে তাহমিনা কথাগুলো যখন বলে তখন ওর বড় আপু পাশে বসে মুচকি মুচকি হাসে । আর ভাবে বোন টা আমার অনেক সুন্দরী । তাই ওকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিতে হবে । তা না হলে কিছুদিন পরে ওকে নিয়ে সমস্যা হতে পারে ।
দুপুরে তাহমিনার দুলাভাই বাজার থেকে ফিরে এলে সবাই এক সাথে খাওয়া দাওয়া করতে বসে । তখন ওর আপু তার স্বামীর উদ্দেশ্যে বলে ..
বড় আপু : শুনছো !! তোমার শালীকে তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে বিদেয় করতে হবে তা না হলে আর রক্ষা নেই । এখনই নাকি ওর পিছে লোক লেগেছে ।
দুলাভাই : তাই নাকি ছোট গিন্নী !! তাহলে তো ভালই । তা কে পিছু নিলো তোমার ??
আপু দুলাভাইয়ের এমন কথা শুনে তাহমিনা লজ্জা এবং রাগ মেশানো গলাই বলে .....
তাহমিনা : আপু এসব কথা বললে আমি কিন্তু ভাত খাবো না ..
ছোট বোনের কেমন রাগ তা ওর আপু জানে । তাই তখনকার মত ঐ প্রসঙ্গ বাদ দিয়ে ওরা অন্য কথা বলে ..।
দুপুরের খাওয়া শেষ করে একটু বিশ্রাম নিয়ে বিকালে নুপুরের সাথে তাহমিনা ওদের বাড়ির পেছনের পুকুর পাড়ে বসে গল্প করে ,। এমন সময় ওখানে আসে নুপুরের বান্ধবী রুবী ...
রুবী : কিরে তোরা এখানে আর আমি কোথায় কোথায় খুজে বেড়াচ্ছি !! কেমন আছো তাহমিনা ???
তাহমিনা : জী ভাল আছি
নুপুর : আয় এখানে বস !!
এবার ওরা তিন জন গল্প করতে করতে হঠাৎ রুবী নুপুরের কাছে বলে
রুবী : এই শোন কানে মুখে একটা কথা বলবো ....
নুপুর : কি কথা ??
তারপর রুবী নুপুরের কানের কাছে মুখ নিয়ে আসতে আসতে বলে ...
রুবী : জানিস তাহমিনাকে দেখে ভাইয়ার মথা ঘুরে গেছে !!! রাতে মার কাছে বলেছে অনেক কিছু ।
নুপুর : ধ্যাৎ !! মিলন ভাই কি পাগল নাকি ?? ও তো কেবল সিক্সে উঠবে !! এতটুকু মেয়েকে দেখে ওমন করার কি হলো ..??
রুবী : আমি কি জানি তার কাছে গিয়ে শুনে দেখ !!!
তাহমিনা কিছু না শুনতে পেলেও ঐ দুই বান্ধবীর কানে মুখে কথা বলা দেখে ভাবে , ওরা বুঝি তাকে নিয়েই কিছু বলছে । একটু খারাপ লাগে তবুও কিছু বলে না । তবে ওর আপুদের বাড়িতে ওর কেন জানি আর থাকতে ইচ্ছে করছে না ।
পুকুর পাড়ে বসে গল্প করতে করতে মাগরিব এর আজান হলে ওরা উঠে পড়ে .। তারপর রুবীকে এগিয়ে দিতে ওদের বাড়ি পর্যন্ত যায় নুপুর এবং তাহমিনা ।
রুবীকে বিদায় দিয়ে যখন ফিরে আসার জন্য পা বাড়িয়েছে ,,, তখন রুবীর ভাই মিলন ওদের ডাক দেয় পেছন থেকে ।
মিলন : এই নুপুর একটু দাড়া !!!
নুপুর : কিছু বলবা মিলন ভাই ??
মিলন কিছু বলে না ,, ওদের কাছে এসেই , চিঠির খামের মত কিছু একটা ধরিয়ে দেয় নুপুরের হাতে । তারপর আবার পিছনে ফিরে সোজা হাটা দেয় বাড়ির ভেতরে ।
নুপুর একবার শুধু ঐ জিনিসটার উপরে লেখা নামটার দিকে তাকায় ,, তারপর তাহমিনার দিকে একবার তাকিয়ে বলে ....
নুপুর : চলো তাহমিনা বাড়ি যায় ।
একটু আগে যা ঘটলো তা শুধু নিরব দর্শকের মতই দাড়িয়ে থেকে দেখলো তাহমিনা ..। তারপর নুপুরের কথায় আবার ওর আপুদের বাড়ির দিকে হাটা শুরু করলো ...
( চলবে ......)
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





